১৩
তোমার অসহ্য রূপ পড়ে আছে ভূমিতে খানখান
তুলে নিয়ে জোড়া দিই দুহাতের আঙুলে আঙুলে
দশ আঙুলে জ্বলে ওঠে শিখা, ভুমা ফেটে যায়
তুমি মুখে নিয়ে আগুন নেভাও
আমি ফের গড়ে তুলি শূন্য হতে তোমার মৃত্তিকা
উত্তরে হিমাচল দক্ষিণে কন্যাকুমারিকা
মহাসাগরের জল উপচে আসে মুখে
দেখি,
তোমার নির্মাণ শেষে আমাকেই গ্রাস কর তুমি ভূভারত
অসহ্য দংশনে তুমি তুলে আনো সমুদ্র-অমৃত
আমার মৈনাক দণ্ড নত হয়ে আসে
পুনরায় ভেঙে পড়ে মায়ার কাঠামো
সারারাত ব্যাধিভার জোড়া দিই
আঙুলে আঙুলে সেই পুড়ে যায় হিমানীর ক্ষত…
১৪
কিভাবে লিখব এই ভোর
বিগত জন্মের ব্যাধিঘোরে
যখন ডুবেছে চাঁদ, কৃষ্ণপক্ষ অতি মনহর
খুলে গেছে কৃষ্ণানদী, আবছায়া নদীর কুহর
ঘুমঘোর কাটিয়ে নদী এত ভোরে মেলে দিচ্ছে সোনার মোহর
হাঁটু মুড়ে প্রার্থনায় বসি আমি যদি
আমার দুপাশে দুই প্রসারিত জানুবৎ নদী
ঢেউ ওঠে, কলসের মুখে দিয়ে মুখ
শুষে নিই, ধারাবতী সুখ ও অসুখ
গাঢ় ফাটলের নিচে রাখি কঠিন দরদী
তার দরদীয়া গম্বুজের মুখ
কেঁপে ওঠো, ছিন্নমুণ্ড চুমো করতলে
গভীর গভীরে গিয়ে তুলে আনো গতজন্মদুখ
দরদীয়া, ডুবে মরে গভীর অতলে…
১৬
মাথা গিলে খাচ্ছে হাড়িকাঠ!
পিছনে গর্দান, পিঠ, দুইপা আছাড়ি পিছাড়ি
মাথার দুপাশে আঁটো হয়ে বসেছে শ্রীকাঠ
প্রাণকণ্ঠাগত হতে হতে ফিনকি দিয়ে ওঠে
রক্তকাদামাখা সেই ঘাসে ঢাকা মাঠ...