ছেলে মেয়ের বেশির ভাগ বন্ধু বান্ধব ইহুদি। উত্তর পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পষ্টেড থেকে হেনডন, স্ট্যানমোর ফিঞ্চলি পর্যন্ত বিস্তৃত ইহুদি জনপদে তাদের বাস। আমাদের বাড়িতে সেই সব বালক বালিকার নিত্য আনা গোনা। অচিরে পরিচিত হয়েছি নানান ইহুদি উৎসব, প্রথা প্রচলনের সঙ্গে। গড়পড়তা ইহুদি পরিবারে পাঁচটি সন্তান। ঐন্দ্রিলার বন্ধু ভিকি মানসেল থাকতো আমাদের বাড়ির খুব কাছে। ভিকিরা সাত ভাই বোন (সম্প্রতি তার বাবা মারটিন কোভিদে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন) । তার মা ক্যাথি কি করে যে সংসার সামলাতেন জানি না। একদিন ক্যাথি বললেন এবার তিনি হেনরিয়েটা বারনেট স্কুলের পরিচালনা সমিতিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন, গভর্নর হয়ে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি কি তারও সময় পাবেন? ক্যাথি হেসে বলেছিলেন, সময় কেউ কাউকে দেয় না, করে নিতে হয়। আরেক দিন গল্প করেছিলেন - যখন হাজার কাজের চাপ পড়ে যায়, খানিকক্ষণের জন্য একটা বই নিয়ে বাগানের বেঞ্চে বসেন। নিজেকে বলেন ‘ জানি, অনেক কাজ বাকি আছে। সে সব করব এক সময়ে। তবে আপাতত, এইখানে, এই বাগানের বেঞ্চে বসে এই বই পড়ব! ‘
মারগারেট মিচেলের গন উইথ দি উইন্ড উপন্যাসের (ছবিটি নয়) শেষ বাক্যটি মনে করুন - স্কারলেট ও’ হারার মুখে- – আমি এ ব্যাপারে কালকে ভাববো। আগামী কাল আরেকটা দিন (আই উইল থিংক অ্যাবাউট ইট টুমরো। টুমরো ইজ অ্যানাদার ডে) ।
লেনি ফেডার ছিলেন আমার বিগত ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ।
লেনির পরিবার পোলিশ ইহুদি। ষ্টেটেলের মানুষ। নামেন পরিচয়তে। ফেডার এসেছে জার্মান শব্দ ফেদার বা পালক থেকে। তাঁরা গত শতাব্দীর গোড়ায় আমেরিকার জাহাজ ধরেছিলেন। ইউরোপে ইহুদি নিধন শুরু হবার অনেক আগে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি ব্যাভেরিয়ার রিম্পার শহর থেকে আমেরিকা এসে হেনরি, মায়ার আর ইমানুয়েল তিন ইহুদি ভাই তুলোর ব্যবসা শুরু করেন আমেরিকার দক্ষিণে, আলাবামা শহরে। তারপর গেলেন নিউ ইয়র্কে। তাঁদের প্রতিষ্ঠিত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের নাম লেমান ব্রাদারস (আমেরিকানরা লিমান বলেন) । নিউ ইয়রকের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক লেনির কর্ম জীবন শুরু এই ব্যাঙ্কে। ২০০৮ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যাবার আগেই লেনি গেছেন সিঙ্গাপুর। বেয়ার ষ্টেরনস (অধুনা লুপ্ত) নামক আমেরিকান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের এশিয়ান বাণিজ্য দেখতেন। পরে যোগ দিলেন আমাদের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কে , সিঙ্গাপুরে। আমাদের দু জনের পদ মর্যাদায় কয়েক ক্রোশের ফারাক থাকলেও সুযোগ হয়েছে গল্প গুজবের। কোন অজানা কারণে তিনি আমাকে তাঁর শীর্ষ দলের অন্তর্ভুক্ত করেন। যখন কাজ কর্মের রেশ কম, ব্যাঙ্কের মূল্যবান সময় নষ্ট করে গুলতানি করেছি প্রচুর।
চাকরি জীবন শেষে এখন লস এঞ্জেলেসে বাস করেন। সম্পত্তির ব্যবসা আর স্টার্ট আপ নিয়ে আছেন, ব্যাঙ্কিং থেকে দূরে (ইন্টারনেটে লেনিকে পাবেন) । আমার ছেলে ইন্দ্রনীল ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসে আছে জেনে লেনি তাকে আপন গৃহে আপ্যায়ন করেছিলেন। সেই বিস্তৃত উচ্চ প্রাসাদে প্রবেশ অধিকার পেয়ে আমার ছেলে চমৎকৃত হয়। আমি যে হাই সার্কেলে মুভ করেছি সেটি সে বিশ্বাস করতে শুরু করে। ইন্দ্রনীলের কাছে জানলাম সে প্রাসাদটি ডিজনি প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন সি ই ও মাইকেল আইসনার বানিয়েছিলেন। তিনিও ইহুদি।
প্রায় সত্তর বছর বয়েসে লেনির মা মারা যান। লেনি গল্প করছিলেন। আমরা একটা কনফেরেন্সে ছিলাম ইন্দোনেশিয়াতে।
‘ইহুদি পরিবারে মায়ের একটা কঠোর ভূমিকা থাকে। বয়েস যাই হোক না কেন, পুত্র কন্যা কখনো তার ছায়া কাটিয়ে উঠতে পারে না! এই কারণেই ইহুদি মায়েদের নিয়ে গল্পের শেষ নেই ‘। আপন মায়ের দিদিমার গল্প করলেন। আমার এই পর্বের কিছু গল্প লেনির কাছে শোনা।
লেনির মতে প্রথমেই মনে রাখতে হবে একটি আপ্ত বাক্য :
ঈশ্বর দুনিয়ার সর্বত্র হাজির থাকতে পারেন না। তাই তিনি ইহুদি মাতা সৃষ্টি করেছেন।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার বর্তমান সহ রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফের পূর্ব পুরুষ অস্ট্রিয়ান ইহুদি। এমহফের প্রথম পক্ষের ছেলে কোল এবং মেয়ে এমা কমলা হ্যারিসকে “ মমলা” নামে ডাকে – মামে এবং কমলা মিলিয়ে!
১৮ শতকে ইউরোপের উত্তর পূর্ব কোণায় একটি বৃহৎ ইহুদি বাসভূমি বা বৃহত্তম ঘেটো গড়ে ওঠে (পেল অফ সেটলমেনট – গ্রামে গঞ্জে পর্বে দ্রষ্টব্য) । জীবন সেখানে অত্যন্ত কঠিন। ইহুদিদের গতায়াত একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে বাঁধা। তাঁদের পেশা সীমিত। কোন কোন কাজ তাঁরা করতে পারবেন না তার ফিরিস্তি এক গজ। মনে করুন থাকেন একটি গ্রামে । তাঁদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সেই গ্রামের ভেতরেই। এই জীবনে ইহুদি মাতার ভূমিকা ছিল বরণীয়।
সেই গ্রামের ইহুদি পাড়ায় পুরুষরা মিদ্রাসে (বিদ্যালয় / মাদ্রাসার সমার্থক: একই সেমিতিক সূত্র) ধর্মগ্রন্থ পাঠে ব্যস্ত, ছেলেরা পাঠশালায় হিব্রু পাঠে। তাহলে সংসার চালায় কে? সেই ইহুদি মাতা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ খোঁজেন। কোথাও সেলাই করে, কারও ঘর মুছে, ফল মুল কিছু কুড়িয়ে যোগাড় করে গ্রামের বাজারে বেচে সন্ধ্যে বেলায় স্বামী সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেন। সংসারের সকল কাজ করেন একা হাতে। তিনি রান্না করেন, বাসন মাজেন, ছেলে মানুষ করেন। কি করে যে তিনি এইসব কর্মের সময় পান তা কারো অনুমানের বাইরে। তাঁর একমাত্র ধ্যান ধারণা সংসারকে নিয়ে - স্বামীর ধর্ম চর্চা, ছেলে মেয়ের বিদ্যা চর্চা যেন অব্যাহত থাকে। সাবাথের দিনে সবার বিশ্রাম পুত্র কন্যা দাস দাসী গোরু ছাগল অবধি কিন্তু ইহুদি মাতার ছুটি নেই ( অবশ্যই দশ আদেশের নিয়ম মেনে – সাবাথ পর্ব দ্রষ্টব্য) ।
পেল বা স্টেটেলে ইহুদি মাতা ক্বচিৎ হিব্রু শিখেছেন। সেটা ধর্ম চর্চা, মিদ্রাশ আর সিনাগগের ভাষা। মায়ের মুখে ছেলে মেয়ে শিখেছে ইদিশ। মামে লশেন (মায়ের ভাষা) আর ইদিশ কথা দুটো সমার্থক। আমার মায়ের মুখে আমি যে ভাষাটি শিখেছি সেটি বাংলা, আমার মাতৃ ভাষা। বিহারের শিশুর মাতৃভাষা হিন্দি। হাজার বছরের বেশি মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের ইহুদি বালক বালিকার মাতৃ ভাষা ছিল ইদিশ, তারা রাশিয়া পোল্যান্ড লিথুয়ানিয়া ইউক্রেন যে দেশেরই বাসিন্দা হোক না কেন।
মিদ্রাসে বা সিনাগগে ধর্ম চর্চার কাজে মায়ের ভূমিকা প্রায় শূন্য। সিনাগগে স্ত্রী ও পুরুষ আলাদা বসেন। ইজরায়েলের সর্বত্র দেখেছি একই প্রথা। মাউনট অফ জাওনে ডেভিডের সমাধিতেও নারী পুরুষের স্বতন্ত্র প্রবেশ পথ।
লেনি বলেন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় আগত প্রথম ইহুদি জনগণ নিজেদের মধ্যে ইদিশ বলেছেন। ছেলে মেয়েরা ইংরেজি শিখেছে, ইদিশ নয়। তাই ইহুদি পিতা মাতা ছেলে মেয়ের কাছে কোন কথা গোপন করতে হলে ইদিশ বলতেন।
সিটি ব্যাঙ্কে আমার এক নরওয়েজিয়ান ইহুদি খদ্দের ছিল, বিওরন। তার মা সাংহাইয়ে বড়ো হয়েছেন। কর্মসূত্রে বিওরনের সঙ্গে আলাপ হয় নরওয়ের রোগাল্যান্ডে – সে একবারে পশ্চিম প্রান্তে আটলান্টিকের উপকূলে। সেখানে আছে সেই পালপিট রক। ফিওরডের জল থেকে খাড়া পাহাড় উঠে গেছে হাজার ফিট। তার সামনে একটা স্টেজের বা গিরজের পালপিটের মতো অংশ অনেকটা এগিয়ে আছে সেই ফিওরডের ওপরে – আজকাল যাকে স্কাই ওয়াক বলে। সেখানে দাঁড়াতে পারেন। মনে হবে মহাশূন্যে ঝুলছেন।
বিওরন পরে তেল আভিভে বাসা বাঁধে, নয়ের দশকে। তার কাছে এই গল্পটা শুনি। প্রতিপাদ্য বিষয় হল ইহুদিয়ানা প্রমাণ হয় কিসে?
তেল আভিভ থেকে হাইফার বাস। এক ইহুদি মাতা বছর দশেকের ছেলের সঙ্গে কথা বলে চলেছেন ইদিশে। সে বুঝছে নিশ্চয় তবে জবাব দিচ্ছে খুবই স্বছন্দ হিব্রুতে। আমাদের মতো দেশত্যাগীরা তাতে অভ্যস্ত -ছেলে মেয়ের সঙ্গে বাংলা বললে ইংরেজিতে জবাব পাই। মা তাকে বার বার বলছেন হিব্রু নয়, ইদিশে জবাব দাও। পাশে বসা এক বয়স্ক ভদ্রলোক খানিকক্ষণ শুনে মহিলাকে হিব্রুতে বললেন ‘আপনার ছেলে তো দিব্যি হিব্রু বলে। ওকে বলতে দিন না ‘। ইহুদি মাতা ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, “ আমার ছেলে যে ইহুদি সেটা যেন সে ভুলে না যায়’।
বিওরন নিজে ইদিশ মোটে পছন্দ করে না। জার্মানের মতো একটি অসেমিতিক ভাষার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বলে। কিন্তু এটা মানতে সে বাধ্য হয় যে এক হাজার বছরের ইউরোপীয় ইতিহাসে ইহুদিকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছিল এই ভাষা, আর এই সূত্রটির ধারক ইহুদি মাতা। তাই বাসের সেই দৃঢ় সকল্প ইহুদি মাতার কাছে ইদিশ হল ইহুদি হওয়ার একমাত্র পরিচয়! ইজরায়েল বা হিব্রু নয়!
এটা তিরিশ বছর আগের গল্প। আমি বার বার লিখেছি ইজরায়েলে ইদিশ আজ প্রায় লুপ্ত। বেঁচে আছে ব্রুকলিনে!
মুখের ভাষা আজ বদলে গেছে কিন্তু ইহুদি মাতা বদলান নি।
লেনি ফেডারের মাতৃ বন্দনা শুনে আমার দেখা গোলডারস গ্রিনের ক্যাথি মানসেল, হেনডনের রেচেল মাইঞ্জ বা ফিঞ্চলির জুডিথ মিকেলসনের মতো ইহুদি মায়েদের কথা মনে পড়েছে। সকাল থেকে মায়েরা সতত সঞ্চরমান। একবার ছুটলেন এই ছোটটাকে কিনডার গারটেনে রাখতে, ফিরে এসে দুটোকে স্কুলে নিয়ে গেলেন, কোনো মেয়েকে নাচের আখড়ায়, আরেক ছেলেকে নিকটবর্তী ট্রেন স্টেশনে। বিকেল বেলায় আবার বিপরীত মুখী যাত্রা। ঐন্দ্রিলাকে তার হ্যাম্পষ্টেড গার্ডেন সাবারবের স্কুল থেকে শুক্কুরবারের বিকেলে আনতে গিয়ে বিশাল যানজটে পড়েছি। মায়েরা কেবল যে মেয়েদের বাড়ি ফেরানোর জন্য ব্যস্ত তা নয়। দু ঘণ্টার মধ্যে সাবাথ শুরু হবে তার ভাবনা মাথায় নিয়ে রাস্তার ফাঁক ফোঁকর খুঁজে গাড়ি চালাচ্ছেন।
গোলডারস গ্রিনের পথে ঘাটে তিন চারটি ছোট ছেলে মেয়ে একত্র রাস্তা পার হচ্ছে এমন দৃশ্য সতত দেখা যায়। তাদের মধ্যে বড়টি, সাত আট বছর হবে কিনা সন্দেহ, সবার দেখ ভাল করে। মায়ের সময় কোথায়?
সিনাগগ মিদ্রাশে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত নীরব। কিন্তু ইহুদি মাতা থাকেন সকলের মাঝে, সকলের পাশে। ছায়ার মতন আছি, চোখে দেখো না দেখ!
আমাদের সকলের মায়ের মতো।
চার দেয়ালে ঘেরা বাড়ির ভেতরে যে পৃথিবী সেটি সম্পূর্ণ তাঁরই শাসনে, তাড়নায়, স্নেহে, ভালবাসায় সুরক্ষিত। শাবেসের (সাবাথ) সন্ধ্যায় আপন গৃহে তাঁর ভূমিকা গরীয়সী রমণীর। সেদিন নিজে সুন্দর পোশাক পরে ও সকলকে সুসজ্জিত করে দীপ জ্বালাবেন, চোখ বন্ধ করে তার শিখার আঁচ মাথায় দেবেন মনে মনে বলবেন প্রভু আমার পরিবারকে রক্ষা করো, আমাদের স্বাস্থ্য, শান্তি ও সম্মান যেন অটুট থাকে।
এই শিখার আঁচ মাথায় নেবার প্রথা আমাদের আছে। আমরা সে আঁচ বিতরণ করি আশে পাশে যাকে পাই তার মাথায়, বিশেষ করে ছোটদের। সাবাথের সন্ধ্যেয় সেই আঁচ বন্টিত হতে দেখি নি।
ইন্দ্রনীলের স্কুলের বন্ধু গাই বিরনবাউম থাকতো ওয়েস্ট হ্যাম্পষ্টেডে। তাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের অসম্ভব নৈকট্য গড়ে ওঠে। অনেক সাবাথের সন্ধ্যা কাটিয়েছি তাদের সঙ্গে। বাংলায় আমরা যাকে ভুরি ভোজ বলি সেটা শুক্রবার ইহুদি সাবাথের সান্ধ্য ভোজনের তুলনায় জলখাবার মাত্তর! গাইয়ের মা বিরশেবাকে বলতাম শনিবারের দিনটায় কাজ কর্ম কেন যে মোজেস বারণ করে গেছেন এবারে বুঝলাম। আগের দিনের সেই বৃহৎ ভোজন উৎসবের পরে শনিবার শরীরকে ব্যস্ত না করাই ভালো!
শ্রদ্ধেয় হীরেন সিংহ রায় এঁর লেখা পড়ে গর্ববোধ করছি l দূর-দেশের ভাষা ,সাহিত্য সংস্কৃতি, ইতিহাস বর্তমান আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে l
কথা বলার সুযোগ চাই 8509320019
মাকে নিয়ে লেখা এই পর্বটা দারুন। মামে আর মায়েরা তো হুবহু একই দেখছি। জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ একা হাতে সব সামলানো, অতন্দ্র প্রহরীর মত সন্তানকে আগলে রাখা , সন্তান গরবে গরবীনি হওয়া, দোষ ঢাকা, সন্তানের সাফল্যের তিলকে তাল করা সব দিক থেকেই মিল। অনবদ্য পরিবেশনার জন্য খুবই মনোগ্ৰাহী হয়ে উঠেছে লেখাটা।অপেক্ষায় রইলাম, ইহুদীদের সঙ্গে আরও কি কি মিল আছে, দেখি !!