ঐহিকে ঐশ্বরিকে
বাগদাদ সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বিকেল পাঁচটায় একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ে, সাড়ে ছশ কিলোমিটার দক্ষিণে বাসরা অভিমুখে। তার যাত্রাপথ টাইগ্রিস ইউফ্রেতিস নদী ধরে, পৃথিবীর প্রাচীনতম নদী মাতৃক মানব সভ্যতার বুক চিরে। তার নাম মেসোপোটেমিয়া – মানে দুটি নদীর মাঝখানে । আলফাবেটের জন্ম দিয়েছে সেই সভ্যতা । কারবালা ব্যাবিলনকে পাশ কাটিয়ে মধ্য রাত্রি নাগাদ বাসরা মুখি ট্রেন যে শহর পার হয় তার নাম উর।
হিব্রু পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ার উর শহরে বাস করতেন আব্রাম এবং সেরাই। গোরু ভেড়া চড়িয়ে কাটে নিঃসন্তান জীবন। স্থানীয় রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী আব্রাম বিশ্বাস করেন নানান দেব দেবতায়। একদিন ঈশ্বর প্রকট হলেন আব্রামের কাছে। বললেন ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। আমাকে মান্য করো। আব্রামকে নির্দেশ দিলেন- তোমার পৈত্রিক দেশ ত্যাগ করে চলো কানান অভিমুখে (আজকের ইজরায়েল, সিরিয়া – হাঁটা পথে বারো দিন) সেখানে বংশ প্রতিষ্ঠা করো। তোমার নাম হবে আব্রাহাম, বহু সন্তানের জনক।সেরাই হবে সারা (অভিজাত মহিলা / সুখী) । কানান তোমার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাসভূমি।
ফারাও আখেনাটনের পরে লিখিত ইতিহাসে প্রথম একেশ্বরবাদ - ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের চুক্তি (টেসটামেনট বা কভেনানট) যার অনুসারী হলেন ইহুদিরা।
আব্রাহামকে পিতৃ পুরুষ মান্য করবে পরবর্তী আরো দুই ধর্ম।
এবার পাঁজির নির্ঘণ্ট গুলো বুঝে নেওয়া যাক। হিব্রু হিসেবে দিন শুরু হয় সূর্য ডুবলে। দিন গোনা হয় চাঁদের হ্রাস বৃদ্ধির ভিত্তিতে। বছর ৩৫৩ দিনের। অতএব অঙ্ক মেলানোর জন্যে প্রতি উনিশ বছরে সাতটা মাস গুঁজে দেওয়া হয় শেষ মাস বা আদারের সঙ্গে। আমাদের এই চলতি বছরটা (২০২১) হিব্রু পঞ্জিকার সন ৫৭৮১। সেই হিসেবে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন খ্রিস্ট পূর্ব ৩৭৬১ সালে। পৃথিবীর বয়েস এই ধরুন সাড়ে পাঁচ হাজার বছর। সে বছরে নদ নদী মহাসাগর বানালেন। আদম ও ইভ নন্দন কাননে আবির্ভূত হলেন ঈশ্বরের ইচ্ছায়।
জেরুসালেম থেকে ডেড সি যাবার পথে দেখেছি জেরিকো শহর (বাইবেলে উল্লিখিত) । প্রামাণ্য ইতিহাস মতে তার বয়েস এগারো হাজার বছর। বুলগারিয়ায় সোফিয়া নগরীর পত্তন হয় সাত হাজার বছর আগে। সিরিয়ার দামাস্কাসে মানুষের অবিচ্ছিন্ন বসবাস দশ হাজার বছর যাবত।
আদমের জন্মদিন নিয়ে যুক্তি তক্ক করা নিরর্থক। বিশ্বাসে মিলয়ে বস্তু।
আব্রাহামের সন্তান ইতঝাক (আইসাক) । ইতঝাকের সন্তান ইয়াকব (জেকব / ইয়াকুব) ঈশ্বর তাঁর নাম দিলেন ইজরায়েল। ইয়াকবের বারোটি সন্তান -ইজরায়েলের বারোটি কুলের পিতৃ পুরুষ।
কানানে অন্ন অকুলান হলে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সন্ধানে পুত্র ইয়াকব ইহুদিদের নিয়ে গেলেন মিশরে। প্রথম দিকে দিন ভালোই কাটছিল রাজ দপ্তরে কাজও জুটেছিল। কিন্তু ফারাওয়ের রোষানলে পড়ে ইহুদিরা দাসে পরিনত হলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করবেন মোজেস, আবার নিয়ে যাবেন সেই কানান পানে। যাবার পথে সিনাই পাহাড় চুড়োয় সংগ্রহ করবেন ঈশ্বরের দশ আদেশ এবং সব সমেত ৬১৩টি আইন। আর পেলেন তোরা – হিব্রু বাইবেলের প্রথম পাঁচটি পর্ব।
এ কাহিনি হিব্রু বাইবেলে (যাকে আমরা ওল্ড টেস্টামেন্ট বা প্রাচীন চুক্তি নামে জানি) লিপিবদ্ধ। পাঁচটি অধ্যায় - জেনেসিস (মনুষ্য সৃষ্টি, আদম ও ইভের সুখের সংসার), একসোডাস (মিশর হতে নিষ্ক্রমণ) , লেভিটিকুস (মোজেস ও ঈশ্বরের সম্ভাষণ), নাম্বারস (সিনাই থেকে প্রতিশ্রুত ভূমির দিকে যাত্রা) , দয়তেরোনমি (আইনের বিষয় বস্তুর পুনরাবৃত্তি) ।
নন্দন কানন থেকে মিশর হয়ে কানান উপত্যকা (ইজরায়েল) পৌঁছুনোর যে ইতিবৃত্ত তার নাম তোরা। গ্রিক ভাষায় পেনটাতেউখ বা পাঁচটি বই।
লন্ডনের লিঙ্কনস ইনের নিউ হলের দেওয়ালে জর্জ ওয়াটসের (১৮৬২) একটি ফ্রেসকোতে মানুষের ইতিহাসের বরণীয় আইন প্রনেতাদের ছবি অঙ্কিত আছে – মনু মোজেস হামুরাবি শারলামেন মহম্মদ (আমার জানা মতে একমাত্র এখানেই পয়গম্বরের মুখ আঁকা হয়েছে) ।
তোরা এবং দশ আদেশের ভিত্তিতে স্থাপিত হল ধর্মাচরণের প্রথা, রেওয়াজ। সেগুলি চলে এসেছে মুখে মুখে বহু শতাব্দী ধরে। এর নাম মিশনা। এই মৌখিক নিয়মাবলী নিয়ে রাবিরা অনেক বিচার বিমর্ষ করেন। তার কিছুটা লেখা হয় ব্যাবিলনে (ইহুদিরা যখন সেখানে নির্বাসিত) কিছুটা জেরুসালেমে। সেগুলি লিপিবদ্ধ হয় প্রায় ১৮০০ বছর আগে। তার নাম গেমেরা। এই মিশনা এবং গেমেরাকে একত্রে বলা হয় তালমুদ (হিব্রুতে যার অর্থ শিক্ষা) । তাতে আছে ২৭১১ টি পৃষ্ঠা যার দুই দিকে লেখা।
তোরা এবং তালমুদ ইহুদির পবিত্র গ্রন্থ।
শনিবার সিনাগগে হাতে লেখা তোরার মোড়ক খুলে পাঠ করা হয়।
ইহুদি প্রার্থনা করেন দিনে তিনবারঃ সকাল (শাখারিত) দুপুর (মিঞ্চা) এবং সন্ধ্যা (মারিভ)। শনিবার, সাবাথের দিনে একটি অতিরিক্ত প্রার্থনা করা হয় যার নাম আমিদা।
মৃত্যু শয্যায় ইহুদি যে প্রার্থনা করেন তার নাম শেমা ইজরায়েল প্রার্থনা করেন : শোনো ইজরায়েল। ঈশ্বর আমাদের প্রভু। ঈশ্বর এক।
হিব্রু বাইবেলের পঞ্চম পর্ব দয়তেরোনোমি। সেখানে এই প্রার্থনাটি পাওয়া যায়।
ইউরোপের দীর্ঘ ইহুদি নিধনের ইতিহাসে বন্দুকের গুলি, বেত, গ্যাস, ফাঁসির দড়ির সম্মুখীন ইহুদি শেমা ইজরায়েল স্মরণ করেন।
ধর্মনিষ্ঠ ইহুদি বাড়িতে গেলে দেখবেন সদর দরোজার ডানহাতে একটি বাক্স আটকানো আছে। এর নাম মেজুজা। বাড়িতে ঢোকার সময় সেই মেজুজাকে ডান হাত দিয়ে ছুঁয়ে সে হাত মুখে ঠেকানোর প্রথা সম্যক প্রচলিত। এই বাক্সটির ভেতরে পারচমেট কাগজে শেমা ইজরায়েলের পংক্তি গুলি লিপিবদ্ধ করা থাকে।
পুরোহিত প্রথা ইহুদি ধর্মে নেই।
তাহলে রাবি কে?
রাবির ভূমিকা আমাদের অর্থে পুরোহিতের নয়। ঈশ্বর এবং সামান্য মনিষ্যির মাঝখানের সেতু তিনি নন। ক্যাথলিক পাদরির মতো তাঁর কোনো আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের অধিকার নেই। তিনি শুধুই রাবি ! তাঁর সম্মান তোরা তালমুদ পাঠ করে অর্জিত ধর্মজ্ঞানের জন্য। তিনি ইহুদিদের মার্গ দর্শক। মানুষ জন তাঁর মতামত, পরামর্শ নেয়। নব জাত বালকদের সুন্নত করেন। তেরো বছর বয়েস হলে বালক বালিকাকে ইহুদি সমাজে প্রাপ্ত মনস্ক বলে আহ্বান করেন (বার এবং বাট মিতসভা) , বিবাহ দেন এবং তার বিচ্ছেদের মীমাংসা করেন। মহিলাদের রাবি হবার কোন আইনি বাধা নেই। তবে সময় লেগেছে। ইহুদি ইতিহাসে রেগিনা ইওনাস প্রথম মহিলা রাবি (জার্মানি ১৯৩৫) : আউশউইতসের আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন ১৯৪৪ সালে। দ্বিতীয় মহিলা রাবি স্যালি প্রিয়েসানড (সিনসিনাটি, ১৯৭২, বয়েস তখন ২৬) ।
জেরুসালেমে মন্দির ভাঙ্গা ইস্তক ইহুদি ধর্মে ভ্যাটিকান বা চার্চ অফ ইংল্যান্ডের মত কোন কেন্দ্রীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেই। রাবিকে কাজে বহাল অথবা বরখাস্ত করার অধিকার আছে স্থানীয় ইহুদিদের।
যে রাবিকে তাঁর সিনাগগের লোক তাড়ানোর জন্য কখনো বদ্ধ পরিকর হয় নি তিনি সঠিক রাবিই নন। আর যে রাবি সিনাগগে তাঁর আপন অফিস থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি কোন মরদ নন।
ঐশ্বরিক নির্দেশে যথার্থ ধর্ম আচরণ ইহুদির পবিত্র কর্তব্য।
আবার তার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের বৈষম্য, দারিদ্র্য, সুযোগের অভাব, সরকারি উৎপীড়ন এবং দৈনন্দিন তিক্ততার প্রতিফলন দেখা যায় ইহুদি রসিকতায়। সেখানে আছে আত্ম নিগ্রহের অকরুণ বর্ণনা আর তারই সঙ্গে দেখা যায় দুর্বিনীত কৌতুক যা কোন রাবি, পবিত্র পুস্তক, মান্য গণ্য মানুষ বা মহা পুরুষকে রেয়াত করে না ! পরম পুরুষ মোজেস কোন ছাড়!
সেটি ঐহিক রঙ্গরস !
দুর্দান্ত লাগলো। সবকটা অনবদ্য।
একটা রাবি নিয়ে জোক শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
একবার একটা গ্রামের খ্রিস্টান রা ইহুদিদের ওপর ক্ষেপে গিয়ে চরমপত্র দিলো হয় তাদের খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহন করতে হবে নয় তিন দিনের মধ্যে এই গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।
ইহুদীরা বললো তা হয়না। শেষমেশ ঠিক হলো বিশপ আর রাবির মধ্যে তর্ক হবে, যে জিতবে তাদের কথাই মানা হবে।
রাবি যে ছিল, তার অনেক বয়স আর সে দেশের ভাষায় মোটে জানত না, তাই ঠিক হলো তর্ক হবে কথা না বলে, আকারে ইঙ্গিতে।
তর্কের দিন সময়মতো গ্রামের মাঝখানে সবাই জড়ো হল।
বিশপ শুরু করলেন, রাবির দিকে তিন আঙ্গুল দেখিয়ে। রাবি তার জবাবে বিশপের দিকে একটা আঙ্গুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখালেন।
এরপর বিশপ আঙ্গুল দিয়ে তাঁর চারপাশ টা ইঙ্গিত করলেন।
তার উত্তরে রাবি মাটির দিকে আঙ্গুল দেখালেন।
এরপর বিশপ কমিউনিয়ন ওয়েফার আর ওয়াইন বার করলেন।
তাতে রাবি একটি আপেল বার করে বিশপকে দেখালেন।
বিশপ মুখ নিচু করে হার স্বীকার করে নিল।
কেউ তো কিছুই বুঝতে পারে নি, সবাই জানতে চাইলে বিশপ বললো দেখো প্রথমে আমি খ্রিস্ট ধর্মের ট্রিনিটি র কথা বলাতে উনি দেখালেন আমাদের দুজনেরই ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়।
তারপর আমি বললাম ঈশ্বর আমাদের চারদিকেই আছে, তাতে আমাকে উনি দেখিয়ে দিলেন শুধু তাই নয়, আমাদের এই মাটিতেও ঈশ্বর আছেন।
তখন আমি ওয়েফার আর মদ দেখিয়ে বললাম ভগবান আমাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। তাতে উনি আমায় আরো লজ্জায় ফেলে আমাদের আদিম পাপ বা অরিজিনাল সিন এর কথা মনে করিয়ে দিলেন। সবকটায় হেরে আমি শেষমেশ হার স্বীকার করে নিতে বাধ্য হলাম।
ওদিকে ইহুদি রাও জিজ্ঞেস করছে রাবিকে, আপনি কি করে জিতলেন।
রাবি হেসে জানাল, প্রথমে ও আমায় বললো তিনদিনের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাই আমি আঙ্গুল নেড়ে বললাম একদম নয়।
তখন চারদিক দেখিয়ে বললো শুধু গ্রাম নয়, দেশ ছাড়া করে দেবে। তাই আমি মাটির দিকে দেখিয়ে বললাম আমরা এই জমি ছেড়ে যাবোই না।
তারপর দেখি ও ওর খাবারদাবার বার করে দেখাল, তাই আমিও আমার প্রাতরাশ বার করে দেখিয়ে দিলুম আর কি !
ধন্যবাদ !এই গল্পটির আরেকটা ভারশান আছে - সেখানে চরিত্রাভিনেতা পোপ এবং রাবি । আসলে রাবিকে নিয়ে গপ্পের শেষ নেই । গুরুচণ্ডালীর পরিসর সীমিত !
আমি পোপ ও রাবি হিসেবেই গল্পটা পড়েছিলাম, বলার সময় একটু রদ বদল করে বললাম :-)
অসাধারণ. এই সিরিজটার জন্য বসে থাকি প্রতি হপ্তায়
বেশ লেগেছে।
"অতএব অঙ্ক মেলানোর জন্যে প্রতি উনিশ বছরে সাতটা মাস গুঁজে দেওয়া হয় শেষ মাস বা আদারের সঙ্গে।"
সাতটা দিন হবে না কি ?
লেখকের ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। আমি তো তার গল্পের চরিত্রগুলোকে দেখি কি সুক্ষ্ম কায়দায় ধর্মে থেকেও ধর্মীয় রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখানোয় সিদ্ধহস্ত।
বিমর্শ = আলোচনা ইত্যাদি
বিমর্ষ = দুঃখিত ইত্যাদি
এলেখায় প্রথমটির ব্যবহার যুক্তিযুক্ত। বাকি লেখা যথাযথ।
মিডিল ইস্টার্ন খাবারে ইহুদী প্রভাব কতটা কেমন আছে। আজ হুমাস, বাবা গানুশ ইত্যাদি খেতে খেতে মনে হলো। কেউ বোধহয় অলরেডি খাদ্য বিষয়ক কিছু প্রশ্ন রেখেছিলেন, যদ্দুর মনে পড়ছে।
শ্রী syandi
চাঁদের হিসেব অনুযায়ী ইহুদি বছর ৩৫৩ দিনের । বারো দিন ছ ঘন্টা কম পড়ছে । ১৯ বছরে ২৩৪ দিন । এই দিন গুলোকে সাতটা মাসে জুডে দেওয়া হয়! ফলে প্রতি ১৯ বছরে সাতবার শেষ মাস আদার মাসের পরে আদার দুই আসে।
আগের প্রতিটি পর্বের মত এবারের টাও মুগ্ধ করলো। অসাধারণ, অনবদ্য।
শ্রী চতুষ্কোণ
অনেক ধন্যবাদ । যদি বই ছাপা হয় এই বানানের ভুল গুলো সংস্কার করা হবে নিশ্চিত।
রান্না খাওয়া রেস্তোরাঁর গল্প আসবে যথা সময়ে তবে সে কেবল আড্ডা। কোনটা কি ভাবে বানানো হয় সেই জটিল তত্ত্বে যাবার সামর্থ্য আমার নেই । খেতে পেলেই হোল । মেনুর মালিকানা নিয়ে টর্কের শেষ নেই। হাইফাতে ইজরায়েলি রেস্তোরাঁর মালিক প্রকৃত ইহুদি খাবার বলে হুমুস দিলেন ! সারা লেভান্তে তার প্রচলন দীর্ঘ দিনের। কি আর বলা যায় ? আথেন্সে আপনি তুরকি কফি কফি চাইতে পারেন না ইস্তানবুলে গ্রিক কফি চাইলে আন্তর্জাতিক অশান্তির সম্ভাবনা । ফেতা চিজের কপি রাইট নিয়ে গ্রিস লড়ে যাচ্ছে । কোফতা তুরকি না রুমানিয়ান তার সমাধান শক্ত। এটা আরেক গল্প ।
প্রচন্ড প্রিয় সিরিজ। মুখিয়ে থাকি পড়ার জন্য। আর এসে গেলে জমিয়ে রেখে আরাম করে পড়ি।
অনেকের ভালো লাগছে জেনে নিজেকে ধন্য মনে করি। আড্ডা চালিয়ে যেতে চাই আগামী কয়েক মাস! আপনাদের আগ্রহ ধরে রাখতে পারব আশা করছি!
কি বলি! এই পোস্ট থেকে সরানো যাচ্ছিলো না। আর মন্তব্যে বুঝলাম বেশ পিছিয়ে আছি। অতএব পড়তে হবে পেছন থেকেও।
ভেবেছিলুম ধারাবাহিকটি শেষ হলেই লিখবো। কিন্তু ভাবলুম ভালো লাগাটি জানিয়ে রাখি। লেখাটির দুটো দিক খুব ভালো লেগেছে। 'জ্ঞান' না দিয়ে জ্ঞান বর্ধন। আর নির্ভেজাল বাঙালি হিউমর । অপেক্ষায় থাকবো।
স্টেট ব্যাংক যোগটি কৌতুহলী করলো। কোন ব্যাচ আপনি? মানে যদি আপত্তি না থাকে :-)
আড্ডা দেবার জন্য আমার অনুপ্রবেশ । জ্ঞানদাদের আমার ভীষন অপছন্দ । চিরকাল।
আমি স্টেট ব্যাংক নামক বট বৃক্ষের প্রাচীন পত্র ! জুলাই ১৯৭২ ( ওম প্রকাশ ভাট, ভারতী রাও, অভিজিত দত্ত শ্রীধরন- তার সংগে ফ্ল্যাট শেয়ার করেছি ফ্রাঙ্কফুর্ট প্রবাস কালে)।
শ্রী শিবাংশু
ভালো লাগছে জেনে উৎসাহিত হই। অনেক ধন্যবাদ। এ পালা শুনে কান ঝালাপালা হলে কিনতু জানাবেন !
এখনো যে অনেক গপপ বাকি
'ঝালাপালা' একটি বাংলা ক্ল্যাসিক্স । অপেক্ষা থাকবে।
আপনি বহু প্রাচীন বটবৃক্ষ। নমস্কার নেবেন :-)