চার দশকের ইউরোপ প্রবাসে নানা ভাবে সংগৃহীত ইহুদি রসিকতা বাঙালি পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবার এক কুণ্ঠিত প্রয়াস শুরু করি গত বছরের এপ্রিল মাসে। প্রথমে ভেবেছিলাম সেই সব গল্প পরের পর সাজিয়ে দেব। লেখা শুরু করতেই বুঝেছি প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর ব্যাপারটা ভীষণ জরুরি (আজকের হিসেবে ফেসবুকে ঢোকার আগে ফোন ব্যাটারি চার্জ করার মতন) । তাই আমার লেখায় রসিকতার পাশাপাশি ইহুদি ইতিহাস, ইদিশ ভাষার জন্মকাহিনি, নামের আখ্যান উঠে আসে। একেকটি পর্বের ভূমিকা ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ব্যাঙ্কিং, ওকালতি, অনেক ইহুদি সঙ্গীর গল্প, নিউ ইয়র্ক, লন্ডনের ইহুদি পাড়া, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ইউরোপের প্রত্যন্ত অঞ্চল অনিবার্যভাবেই তাদের আসন করে নিয়েছে।
যে কোন কৌতুকের পটভূমিকাটি বুঝে নেওয়া প্রয়োজনীয়, তা সে গোপাল ভাঁড়ের হোক বা লুধিয়ানার সরদারজির হোক। ইহুদি ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের পরিচিতি স্বল্প। তাকে জনসমক্ষে আনতে প্রায়শ লিখতে হয়েছে বিস্তারিত পটভূমিকা। আশঙ্কা থেকে গেছে মনের ভেতরে- মজার গল্প পড়তে গিয়ে পাঠক কেন খামোখা বইবেন ইতিহাস আর তথ্যের ভার? এই দুশ্চিন্তা হয়তো সম্পূর্ণ অমূলক নয়। জানি হারিয়েছি অনেককে। তবে বহু পাঠক সেটিকে নিজগুণে মার্জনা করে আমাকে আরও লিখতে উৎসাহিত করেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই।
লন্ডনের গোলডারস গ্রিন লাইব্রেরীর অধ্যক্ষ আমাকে ইদিশের সঙ্গে পরিচয় করান। তাঁর নামটি মনে না রাখতে পারার জন্য আজীবন মর্মাহত হয়ে আছি। আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকারের তালিকা কয়েক গজ লম্বা –লেনি ফেডার, আইসাক ফেলডারবাউম, জেফ্রি উইন, জনাথান সলোমন, ইলান শাফির, আমার ফ্রাঙ্কফুর্টের বাড়িওলা, বারলিনার ব্যাঙ্কের হর্সট শ্নুস, হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ার কয়েকজন সহযোগী, প্রতিবেশীরা - রোজেনবাউম, ক্যাথি ম্যানসেল, জুডিথ মিকেলসন, শিরা টেনডলার, রেচেল টেনডলার এমনি আরও কতজন। তাঁরা কেউ আমার এই অমূল্য সঙ্কলন পড়তে পারবেন না! তবে এ সব গল্প তাদের জানা।
আমি এক সামান্য সূত্রধার। দূর দেশের প্রায় অপরিচিত এক জনতার হাসি কান্নার ইতিহাস বাঙালি পাঠকের কাছে, তাঁর বৈঠক খানায় পৌঁছে দেবার সাধ ছিল আমার কিন্তু সাধ্য নিতান্ত সীমিত। হিব্রু অক্ষর চেনা হয় নি। জার্মানের কল্যাণে ইদিশ জেনেছি কানে শুনে, পড়েছি রোমান হরফে।
গন্ধমাদন স্বরূপ ইহুদি কৌতুকের প্রকাণ্ড ভাণ্ডার থেকে বিশল্যকরণী খুঁজে বের করা প্রকৃত গুণী মানুষের কাজ। হিব্রু এবং ইদিশ জানা কোনো বাঙালি একদিন সেই কর্ম সম্পন্ন করবেন, ইহুদির সঙ্গে বাঙালির সখ্য আরও নিবিড় বন্ধনে বাঁধবেন এবং বাংলা সাহিত্যে এক নতুন জানলা খুলে দেবেন। এ বিষয়ে আমার গভীর আস্থা আছে। তাঁর আগমন ত্বরান্বিত হোক।
বিগত উনিশটি কিস্তিতে বর্ণিত রসিকতার বেশির ভাগ বক্তা, নায়ক বা খলনায়কের নাম আমাদের অচেনা। কোন গল্পটা কে যে কাকে বলল তা কারো জানা নেই। সবটাই মুখে মুখে প্রচলিত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ঘরানার মতো। তার ওপর কখনো রঙ চড়ানো হয়েছে, স্থান কাল পাত্র বদলে গেছে। সঠিক ফ্যাক্ট চেকিঙ্গের কোন উপায় নেই। তাতে অবিশ্যি স্বাদের কিছু ক্ষতি বৃদ্ধি হয় নি। কৌতুকের কোন তকমা লাগে না।
আজ এই শেষের আসরে যাদের গল্প বলেছি তাঁদের নাম জানা যায় - তাঁরা খ্যাতনামা ইহুদি। হয়তো সকলে আইনস্টাইনের মতন বিশ্ব বিদিত নন, তাই তাঁদের খানিকটা পরিচয় দেওয়া আবশ্যক মনে করেছি।
In 1933, Strauss wrote in his private notebook:
I consider the Streicher–Goebbels Jew-baiting as a disgrace to German honour, as evidence of incompetence—the basest weapon of untalented, lazy mediocrity against a higher intelligence and greater talent.[9]
Meanwhile, far from being an admirer of Strauss's work, Joseph Goebbels maintained expedient cordiality with Strauss only for a period. Goebbels wrote in his diary:
Unfortunately we still need him, but one day we shall have our own music and then we shall have no further need of this decadent neurotic.[10]"
এর পরে আবার ঃ
"trauss attempted to ignore Nazi bans on performances of works by Debussy, Mahler, and Mendelssohn. He also continued to work on a comic opera, Die schweigsame Frau, with his Jewish friend and librettist Stefan Zweig. When the opera was premiered in Dresden in 1935, Strauss insisted that Zweig's name appear on the theatrical billing, much to the ire of the Nazi regime. Hitler and Goebbels avoided attending the opera, and it was halted after three performances and subsequently banned by the Third Reich.[14]
On 17 June 1935, Strauss wrote a letter to Stefan Zweig, in which he stated:
Do you believe I am ever, in any of my actions, guided by the thought that I am 'German'? Do you suppose Mozart was consciously 'Aryan' when he composed? I recognise only two types of people: those who have talent and those who have none.[15]
This letter to Zweig was intercepted by the Gestapo and sent to Hitler. Strauss was subsequently dismissed from his post as Reichsmusikkammer president in 1935. The 1936 Berlin Summer Olympics nevertheless used Strauss's Olympische Hymne, which he had composed in 1934. Strauss's seeming relationship with the Nazis in the 1930s attracted criticism from some noted musicians, including Toscanini, who in 1933 had said, "To Strauss the composer I take off my hat; to Strauss the man I put it back on again", when Strauss had accepted the presidency of the Reichsmusikkammer.[16] Much of Strauss's motivation in his conduct during the Third Reich was, however, to protect his Jewish daughter-in-law Alice and his Jewish grandchildren from persecution. Both of his grandsons were bullied at school, but Strauss used his considerable influence to prevent the boys or their mother being sent to concentration camps.[17]"