এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫৮৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • মূল লেখায় যাওয়ার আগে শ্রমিকদের চিন্তা ভাবনা নিয়ে একটু বলি। সব শ্রমিক মনে করে কী দিন পার করে এসেছে আর কই এসে পড়ল! কেউ কাতার, কেউ দুবাই, কেউ সিঙ্গাপুর, কেউ মালয়শিয়া থেকে এসেছে। শ্রমিকদের ভাষায় - করে এসেছে! মানে পাঁচ বছর কাতার করে এসেছে, তিন বছর দুবাই করেছে! আমাকে প্রশ্ন করে আপনি এর আগে বিদেশ করছেন? না, আমি কোনদিন বিদেশ করি নাই! 

    দেশের যে সমাজ থেকে এরা আসছে আমি ওই সমাজটাকে খুব ভাল করে চিনি। এখন আরও পরিষ্কার হচ্ছে সব। একজন কেউ আমি সুস্থ চিন্তা, স্বাভাবিক চিন্তার পাই নাই। এরা নাসার ষড়যন্ত্র, ইজরাইল বাংলাদেশ প্রায় দখল করে ফেলছে, বড় বড় সব কোম্পানি ইজরাইলের দখলে চলে গেছে ইতিমধ্যে! কোন কোম্পানি? প্রাণ কোম্পানিই তো ইজারাইলের! ৩৬ বছরের মধ্যে প্রাণ কোম্পানি নিয়ে এমন অপবাদ আমি এর আগে কখনও শুনি নাই। 

    আমি যেহেতু বিদেশ করি নাই তাই আমি আসলে জানি কী? সারাদিন জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, আজকে যে প্রাপ্ত জ্ঞান হয়েছে তা হচ্ছে এই যে রোমানিয়া এক ঘণ্টা আগায় দিছে সময় এর অর্থ কী? এরা ইহুদি নাসারা, এরা আল্লা খোদা কিচ্ছু মানে না, নিজেরা ইচ্ছা মত সময় ঠিক করে। কেন, সবার ডিউটি এক ঘণ্টা আগে শুরু হবে বললেই তো হয়ে যেত, যেত না? সমবেত জনতা ঘাড় দুলিয়ে বলল ঠিক! তুরস্কাকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এই সময় আগানোর, কিন্তু তুরস্ক এই সব আকামে নাই, পরিষ্কার না করে দিছে! আমার হজম হয় নাই এই জ্ঞান, এখন পর্যন্ত টক ঢেঁকুর উঠছে! 

    যাই হোক, আজকে লিখতে চাচ্ছিলাম এখানকার মুসলিম সমাজ নিয়ে। আমি নতুন দেশে আসছি। খাওয়া দাওয়া নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করছি। নিজে তেমন রান্নাও পারি না। কোনমতে পেট ভরছি শুধু। তো এই অবস্থায়  শুনলাম রোজা শুরু হয়েছে। আমি রোজা এমনেই রাখতেছি, আলাদা করে আর কী রাখব? তাই আমার কোন বিকার নাই এই ব্যাপারে। কিন্তু হুট করে দেখি ইফতারের সময়ে আমাদের আশেপাশের লোকজন কই জানি চলে যায়। আমি বুঝি নাই প্রথমে। পরে শুনলাম বুখারেস্টে বেশ কয়েকটা মসজিদ আছে, মিশরের, তুরস্কের অর্থায়নে চলে হয়। এই মসজিদ গুলাতে ইফতারির আয়োজন করা হয় সব মানুষের জন্য। পেটের জন্য আমি ইউক্রেন সীমান্তে পাহারা দিতে রাজি আর রোজা না রেখে ইফতার খাইতে যাইতে পারব না? একজন বলল ভাই রোজা না রেখে যাবেন? আমি বললাম ক্লাস থ্রি পড়ার সময় থেকে রোজা রাখি, দুই একটা এদিক সেদিক হইছে কিন্তু টানা রোজা রাখছি গত বছর পর্যন্ত। এখন আগের ওই রোজার ইফতারি খাব! লোকটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে দেখল আমাকে! আমি কুছ পরোয়া না করে চলে গেলাম মসজিদে। 

    আজব মসজিদ। নিচে রেস্টুরেন্ট উপরে মসজিদ। যাওয়ার পরে দেখি খেজুর আর পানি রাখা, আর কিচ্ছু নাই! ইফতারের সময় হলে সবাই খেজুর আর পানি খেয়ে নামাজে দাঁড়ায় গেল। আমিও নামাজ পরে নিলাম জামাতে। শার্ট প্যান্ট পরা ইমাম সাহেবকে দেখলে বাংলার তৌহিদি জনতা খেপে গিয়ে কিছু একটা করে ফেলত হয়ত, এখানে কিছু হল না! 

    নামাজের ফরজ শেষ হতেই দেখি হুড়মুড় করে সব নিচে নামছে। আমার পেট আমাকে বলল শরীফ, এইটা হচ্ছে সময়! চল মুসাফির! আমি নামতে নামতে বুঝলাম না এত মানুষ কই থেকে সব জায়গা দখল করে ফেলল! মসজিদের পিছনে রীতিমত আয়োজন। টেবিল চেয়ার। একজন একটা স্লিপ ধরায় দিল আমাকে। ওইটা নিয়ে ঠেলে ঢুকলাম একটা রুমে। একজন একটা বক্স ধরায় দিল। নিয়ে একটা ফাঁকা চেয়ারে বসে পড়লাম। বক্স খুলে দেখি বাহ! পোলাও, খাসির বড় এক টুকরা মাংসের রেজেলা! আর আমার চেয়ারের সামনে টেবিলে রাখা আছে প্রত্যেকের জন্য তিন বাটি তিন রকমের ঝোল। একটা মুরগির, আরেকটা ঘন ডালের মত, আরেকটা গরু বা খাসির ঝোল। সালাদ, চাটনি আরও নাম না জানা কয়েকটা পদ। তৃপ্তি করে খেয়ে চিন্তা করলাম গুগলকে জিজ্ঞাস করতে হবে বুখারেস্টে কই কই মসজিদ আছে! 

    একই তরিকায় পরের দিনও আমি তৈরি। গুগল লাগল না। আমার আশেপাশের ভাইয়েরা গুগলের থেকেও জবরদস্ত খবর দিল। একটু দূরে আরেকটা মসজিদ আছে, ইফতার সেই! আমি অজু করে সময়ের দুই ঘণ্টা আগে তৈরি! চললাম ইফতারির খোঁজে। এখানে গিয়ে অন্য রকম একটা বিষয় দেখলাম। বিশাল হল রুম। একদিকে নারীরাও বসে গেছে। আমরা ঢুকতেই একজন প্লেট ধরায় দিল। পোলাও দিল একজন, মাংস ভুনা দিল আরেকজন, আরেকজন আলুর ভর্তার মত কিছু একটা দিল যা আমি খেয়েও বুঝিনি, পরে আমার ভাগ্নি বলল যে ওইটা আলু ছিল। টেবিলে বসতেই দেখি খেজুর, মিষ্টি! ওহ, এর আগে আরেকজন এক বাটি সুপ ধরায় দিল! এই নাদান লোককে এত সমাদর! খেয়ে উঠে দেখি টেবিলে আরও খাবার পরে আছে। বেকারি আইটেম। আমার গলা দিয়ে আড় কিছুই নামা সম্ভব না। পরে দেখি সবাই প্যাকেটে করে নিয়ে যাচ্ছে! পাউরুটি, ডোনাট, আরও নানা কিছিমের জিনিস। আমার তবুও আগ্রহ হল না, নিয়া করব কী! এই জিনিস আজকে রাতে তো আর খাওয়া সম্ভব না! এক সপ্তাহ পরে চা খাইলাম, লাল চা, যা আমি কোনদিনই খাইতে চাই না। সেই জিনিস এত মজা করে খাইলাম যে নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। 

    মসজিদের বাহিরে গিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এরা মসজিদকে আমাদের মত পেট মোটা হুজুর পাঁচবার নামাজ পড়াবে আর বাকি সময় মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যয় করবে এমন করে রাখে নাই। সুন্দর সবুজ ঘাসের একটা ছোট্ট উদ্যান। শিশুদের জন্য দোলনা, বাস্কেটবল কোর্ট, সবার বসার জন্য সুন্দর করে সাজানো চেয়ার টেবিল! এক পলকেই পুরো ধারনাটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেল! 

    এই মসজিদে আজব এক কাণ্ড দেখলাম। সাধারণত মাগরিব নামাজের সময় কম থাকে। প্রথম দিনের মসজিদর মতোই সবাই আগে নামাজ পরে নেয় এই কারণে। এখানে সবাই ইফতার খাইলেন আয়েস করে, কেউ কেউ বিড়ি ফুঁকলেন। এরপরে আস্তে ধীরে মসজিদে উঠলেন নামাজের জন্য। ইফতারির প্রায় বিশ মিনিট ত্রিশ মিনিট পরে! যথারীতি শার্ট প্যান্ট পরা ইমাম! নামাজ শুরুর আগে তিনি গায়ে একটা আলখাল্লা জড়ায় নিলেন। আমি খেয়াল করলাম, ইমামের পায়ের গোড়ালি প্যান্টে ঢেকে আছে! মনে মনে বললাম, তুমিও মাইর খায়া মরত বাংলার বুকে ইমামতই করতে গেলে! টাকনুর নিচে প্যান্ট! ফাইজলামি!  

    তৃতীয় মসজিদের খোঁজ পেতে গুগল করা লাগল। আমার কাজের জায়গা থেকে অল্প দূরে, থাকার জায়গা থেকে একটু দূরে। চলে গেলাম একদিন। গিয়ে হকচকিয়ে গেলাম। বিশাল বড় একটা গির্জা, তার পাশেই বিশাল বড় মসজিদ। ভীরু পায়ে ঢুকলাম। কারণ আমি জানিই না এইটা আসলে মসজিদ না অন্য কিছু। দেখে মসজিদ বুঝার উপায় নাই। রোমানিয়ান ভাষায় কী সব লেখা, বুঝি নাই ছাতাও! দরজা ঠেলে ঢুকতেই সব শঙ্কা উড়ে গেল। একজন দেখা মাত্রই চিনবে যে এই লোক তুর্কি, যেমন আমরা সিনেমায় দেখে অভ্যস্ত। ঠিক তেমন একজন হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এল। জিজ্ঞাস করল কোন দেশ আমার, আজকেই প্রথম আসছি, ইত্যাদি। এরপর তিনি দেখিয়ে দিলেন কোন দিকে যেতে হবে। আমিও ঢুকে গেলাম। ঢুকে দেখে মসজিদ! এই জায়গায় আমার দারুণ লাগল তা হচ্ছে এখানে বাচ্চাদেরকে উৎসাহ দেওয়ার যে চেষ্টা। একজন পাশে দাঁড়িয়ে আজান দেওয়াল, কিশোর একজন মাগরিবের নামাজ পড়াল! পুরো ব্যাপারটাই সুন্দর লাগল। নামাজের পরে সবাই যে দিকে যাচ্ছিল আমিও সেদিকেই গেলাম। বিশাল হল রুম। একজন আদর করে বসাল একটা চেয়ারে। ভরপুর খাওয়া দাওয়া হল। আমার সামনে একজন বসে খাচ্ছিল, দেখে মনে হল বাঙালী। আমি যখন ভাবছি জিজ্ঞাস করব তখন তিনিই আমাকে জিজ্ঞাস করলেন, ভাই কি বাংলাদেশী? আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি আমার চেয়ে বয়সে ছোট আর রোমানিয়ায় আমার চেয়ে বড়! তিনি চার মাস হয় এসেছেন। বেসরকারি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসছে! মানে ইউরোপ যে কি এক নেশার নাম! টাকা খরচ করে রোমানিয়ার মত দেশে পড়তে আসছে! একটু আশ্চর্যই হলাম। ছেলেটা তাড়াহুড়ো করে চলে গেল। আমি খাওয়ার হল থেকে বের হতেই দেখি চায়ের ব্যবস্থা। কড়া একটা চা পান করে নিজের ডেরার উদ্দেশে রউনা হয়ে গেলাম। 

    আমার মত বাঙালের জন্য দৈনিক এমন দারুণ সব খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য মসজিদ গুলোকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন দেশে একটা মাস যদি এক বেলা খাবারের এমন বন্দোবস্ত থাকে তাহলে তা আশীর্বাদ। আপাতত এই আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই টিকে আছি!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f97d:c09e:15a7:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:০২518287
  • দারুণ বিবরণ। ইফতার- এর খাবারের মতই উপাদেয় :-)
  • যোষিতা | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৪০518290
  • আপনি রসিক লোক
  • kk | 2601:14a:500:e780:4c6b:33bd:f6ea:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:৫০518292
  • খুব সরস আর স্বচ্ছন্দ লেখা। খুব ভালো লাগছে সিরিজটা। চলতে থাকুক।
  • dc | 2401:4900:2312:fa72:201c:8b20:b9ff:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৫৬518293
  • দারুন লেখা। ইফতারের খাওয়ার বর্ণনা পড়ে সক্কালবেলা খিদে পেয়ে গেল :-)
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৩518337
  • দারুন লেখা। জব্বর লাগছে পড়তে। নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৩518339
  • অসাধারন লিখছেন। আপনি কি বুখারেসটে  আছেন? কোন সেকটরে ? রোমানিয়ায় আমার শ্বশুর বাডি! কোন কাজে যদি লাগতে পারি জানাবেন । 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:a53b:4c30:e8f9:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২১:২৬518341
  • আমার ইচ্ছে আমি একইসাথে হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টান ইহুদী বোঙ্গাপূজক ইত্যাদি সব হব। সবার খানায় হাত লাগাতে হবে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২৬518346
  • "সবার খাবার" বলে একটা কিছু দরকার। সব ধর্মের লোকেরা সদস্য হবেন আর তাঁদের ভালো ভালো সব খাবারদাবারগুলো টেবিলে টেবিলে দেবেন। 'সবার খাবার' সদস্যেরা খাবেন আর নতুন নতুন আগ্রহীরাও খেতে পারেন। ঃ-)
  • কিংবদন্তি | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:২৯518357
  • সবার খবারের দরকার আছে? খাবার নিজেই একটা ধর্ম। সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী ধর্ম! ভোজন রসিকেরা খাদ্যে আর কিছু খুঁজে না, শুধু খায়! 
     
    @হীরেন সিংহরায়, জেনে ভাল লাগল। এই আকুল পাথারে আসলেই কোন দিশা পাই না। আপনার কথা মনে থাকবে আমার। যদিও জানি না কীভাবে খুঁজে পাব দরকারে সময়। ধন্যবাদ। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৩৩518359
  • শুধু ভোজনরসিকেরাই না, ক্ষুধার্ত যেকোনো ব্যক্তি। দিন দুই খাদ্য পায় নি, এরকম কোনো লোক খাবার পেলে শুধু খুশিই হবে না, বেঁচেও যাবে। খাদ্য জিনিসটাকে ধর্মের ঘেরাটোপে থেকে আসলেই বের করা দরকার। এটা খাই না, ওটা খাই না-এসব করতে পারে বড়লোকরা।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪১518361
  • সাদেক ভাই
     
    আপনি আমাকে হোয়াটসএ্যাপে জানাবেন।  আমি আপনার  প্রয়োজন মাফিক সঠিক মানুষের সংগে যোগাযোগ  করিয়ে দেব +৪৪৭৮৮৭৬২৬৭৩০
    ইমেল hsingharay@aol.com
     
    আরেকটা কথা - রোমানিয়া শেংগেন চুক্তির সদস্য নয় 
  • কিংবদন্তি | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৫০518364
  • @হীরেন সিংহরায়, ধন্যবাদ ভাই। আমি জানি রোমানিয়া শেঙ্গেন ভুক্ত না। সবাই আসে, পালিয়ে চলে যায় শেঙ্গেন ভুক্ত দেশ গুলোতে। রোমানিয়াকে এখন একটা শেঙ্গেনে ঢুকার রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছে সবাই। এর মধ্যে আমি এসে বলছি আমি থাকতে চাই, কাজকর্মের ফাঁকে দেশটা ঘুরে দেখতে চাই। একজনও পাই নাই যে বিশ্বাস করছে আমার কথা। আবার আমি সাথে করে আমার ল্যাপটপ আনছি এইটা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে অনেকে। আরে, রোমানিয়া আসবে, কয়দিন থেকে পালিয়ে যাবে। পালিয়ে যাওয়ার সময় সমস্ত পরিচয় ফেলে যেতে হবে। সেখানে কেউ ল্যাপটপ নিয়ে আসে? যাই হোক, তিন নাম্বার কিস্তি দিয়েছি। পড়ে দেখবেন। ধন্যবাদ ভাই। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3995:ff6e:593b:***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৪০518372
  • আহা, ফ্রি খাবার চাই। মুসলমান না শুনলে ইফতারে ফ্রি খাওয়াবে? অথবা হিন্দু না হলে ভাণ্ডারায়?
  • যোষিতা | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৪৯518374
  • মমতা ব্যানার্জিতো ইফতারের খাবার খেতেন।
  • kk | 2601:14a:500:e780:779a:ff94:dd2e:***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:০৭518377
  • হ্যাঁ দেখুন, আমি আগে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন উৎসবেই তার স্পেশ্যাল খাবারগুলো বানাতাম। সে ধর্ম টর্ম নিয়ে কিছু যায় আসেনা। পৌষ সংক্রান্তি, সেন্ট প্যাট্রিক'স ডে, ইস্টার, শবে-বরাত, অক্টোবরফেস্ট, সিনকো-ডে মেয়ো সব সব। খাবার হলো আনন্দ প্রকাশের একটা মাধ্যম। তার থেকে বেশি আর অজুহাত কিসের দরকার?
  • | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:২৯518378
  • মুসলমান না হলেও ইফতারে দিব্বি খাওয়ায়। গিয়ে বললেই দিব্বি যত্ন করে বসিয়ে খাইয়ে দেয় সম্পূর্ণ অচেনা লোকজন। আমি পুণেতে খেয়েছি বেশ কয়েকবার। 
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3995:ff6e:593b:***:*** | ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:০১518380
  • ভাল খবর। কালকেই ইফতারের খোঁজে বেরোব।
  • পারমিতা | 14.139.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৪518447
  • অসাধারন।
  • Reeta Bandyopadhyay | ১৭ জুন ২০২৩ ১০:০৪520461
  • কেমন তরতর করে লেখা এগিয়ে চলেছে,  চমৎকার ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন