এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১২১৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ২২.০৪.২০২৩ 

    না, ঈদ নিয়ে আমার কোন উচ্ছ্বাস নাই। কারণ আমি বিন্দুমাত্র বুঝতে পারিনি ঈদ কোথা দিয়ে এসে কোথা দিয়ে চলে গেছে। একদিন আগে ঈদ এখানে। এটাও একটা সমস্যা। তার মধ্যে আমরা প্রায় ত্রিশ জন বাঙালী এক সাথে ছিলাম। ঠিক ঈদের আগের দিন আমাকে সহ চারজনকে দুম করে বদলি করে দিল কোম্পানির অন্য একটা অংশে। এইটা আমার জন্য বেশ ভাল হয়েছে। এখন আমি কাজ করি ওষুধ কোম্পানিতে। বেশ আরামের কাজ, থাকার জায়গা ফ্যাক্টরির সাথেই। কাজেই আমার ঘুম, থাকা খাওয়া সব এখন বেশ আরামদায়ক হয়েছে। মুশকিল হচ্ছে ঈদের একদিন আগে এখানে এসে পড়ছি বিপদে। এখানে কোথায় মসজিদ আছে বা ঈদের নামাজ হবে তার কোন কিছু আমি জানি না। এখানে আগে থেকে তিনজন বাঙালী ছিল, তারা কেন জানি আমাদের উপস্থিতি মেনে নিতে পারছিল না। ঈদের দিন সকালে আমাদেরকে কিছুই না বলে দৌড়ে কোথায় জানি নামাজ পড়তে চলে গেল। আমি তৈরি হয়ে বের হয়ে দেখি তারা কেউ নেই। আমি গুগল করলাম মসজিদের খুঁজে। দেখলাম একটু দূরে একটা মসজিদ দেখাচ্ছে। সময় নষ্ট না করে উবার ডেকে রউনা হয়ে গেলাম। উবার যখন আমাকে নামায় দিল তখন আমি অকূল পাথারে! আশেপাশে মসজিদের কোন নাম নিশানা নাই! আবাসিক এলাকা। বাড়িঘর আছে কিন্তু মসজিদ নাই! গুগল তখনও দেখাচ্ছে মসজিদের পাসেই আমি দাঁড়িয়ে আছি। আমি আশপাশে ঘুরে ফিরে দেখলাম, দুই একজন কে জিজ্ঞাস করলাম। যথারীতি ইংরেজি নামে যে একটা ভাষা পৃথিবীতে আছে সেই ব্যাপারে তিনি বিন্দু মাত্র ধারনা রাখেন না। নামাজ পড়া বুঝলাম, টুপি দেখাইলাম কিন্তু তিনি সম্ভবত কোন কিছু জানবেন না বলে পণ করে এসেছেন ধরিত্রীতে! 
    ফলাফল, আবার উবার দিয়ে ফিরলাম নতুন ঠিকানায়। ভুল হয়েছে তখন যদি আবার পুরাতন আবাসের দিকে চলে যেতাম তাহলে একটা কিছুর ব্যবস্থা হত। ঠিকানায় ফেরার ইচ্ছা করেছে কারণ ভেবেছি এখন আর কোথাও নামাজ পাওয়া যাবে না আর এখান থেকে আবার সারাদিন ঘুরার মত করে একবারে বের হব। কিন্তু এবারের ঈদ ভিন্ন রঙ নিয়ে অপেক্ষা করেছিল আমার জন্য। 

    এই ঘটনা শুরু আরও কয়েকদিন আগে থেকে। বাংলাদেশ থেকে নতুন দুইজন এসেছেন আমাদের কোম্পানিতে। তারা যে এজেন্টের মাধ্যমে এসেছেন আমি সেই একই এজেন্টের মাধ্যমে এসেছি। আমাকে বলা হল আমি যেন এই দুইজনকে আমাদের সাথে রাখি, খাওয়া দাওয়া আমাদের সাথে করাই। আমার সঙ্গী রাজি ছিল না। আমার মনে হল আমরা যখন প্রথম আসছিলাম তখন আমরা নানাজনকে বলছিলাম যে তাদের সাথে যেন আমাদের রাখে, এক সাথে খাওয়া দাওয়া রান্নাবান্না করে খাব। কেউ রাজি হয়নি। তখন আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমি সেই কথা চিন্তা করে বললাম, ঠিক আছে, উনারা থাকুক আমাদের সাথেই। 

    এই দুইজন আগে  বিদেশ করে এসেছেন। ঝানু জিনিস! নিজেদের মধ্যে প্রথমে প্রেম মহব্বত দেখা গেলেও বুঝলাম সমস্যা আছে। একজন আমাকে জানালেন তিনি গেম দিয়ে চলে যাবেন। তখনও তিনি কোন কাজে ঢুকেন নাই, আগেই জানিয়ে দিলেন তিনি পালিয়ে যাবেন! এদের একজন এজেন্টের কাছের লোক। তিনিও শুনছেন এই লোক চলে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। তিনি দিলেন জানিয়ে এজেন্টকে যে আপনার পাখি একটা উড়াল দিতে চাচ্ছে। এই দুইজন ঈদের আগের দিন আমাদের সাথে নতুন কোম্পানিতে এসেছেন। এবার বলি ঈদের দিনের গল্প। 

    ঈদের দিন নামাজ ব্যর্থ হয়ে আসার পর রান্না করে খাওয়া দাওয়া করা হল। এরপরেই এজেন্ট এসে হাজির। শুরু হল বিচার! এখানে বলা দরকার যে যিনি পালিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন তিনি গণ্ডমূর্খ। বিদেশ করে টাকা কামাই করেছেন কিন্তু দিন দুনিয়া একটু বুঝেন কম। আমার ধারনা বুদ্ধিশুদ্ধিও একটু কম আছে। কিন্তু তিনি যে একটু বুদ্ধিতে পিছিয়ে আছেন তা তিনি জানেন না। নানা চালাকি করতে গিয়ে ধরা খান! প্রথমে তিনি সাফ অস্বীকার করলেন। পরে একটু একটু করে স্বীকার করলেন। এজেন্ট মানে দালাল হচ্ছে দালাল! তিনি লোক চিনেন। এই লোক উনার গ্রামের লোক। তিনি জানেন এই লোকের দৌড় কতদূর! তিনি বললেন, আপনার মোবাইলের সব যে কোম্পানি হ্যাক করে রেখেছে আপনি জানেন? সব জানে, কখন কোথায় কার সাথে কথা বলছেন, কী কথা বলছেন সব জানে! গেম পার্টি ভড়কে গেল এই এক ধাপ্পাতেই! দালাল বলে চলছেন, আপনে যে কোলেন্টিনায় ছিলেন, ওইখানে প্রতিটা রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানো, মাইক্রোফোন লাগান, সব শুনে কোম্পানি! আপনি কই যাবেন আমরা জানি না? গেম পার্টি আবার ভড়কে গেল। এবার দালাল দিলেন মোক্ষম চাল। তিনি যেহেতু জানেন এই লোকের দৌড় কতদূর তাই তিনি জানেন এই লোক ইতালি পালিয়ে গেলে কার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তিনি একটা নাম বললেন, অমুকের সাথে ফোনে কথা হইছে না? শেষ, কিচ্ছা খতম! দালাল বললেন, দেখি আপনের মোবাইলটা! গেম পার্টি জীবনের সেরা ভুল করলেন। তিনি মোবাইল দেওয়ার আগে দুই টিপে একটা নাম্বার ডিলিট করে দিলেন! ব্যাস! 

    এরপরের কাহিনী মর্মান্তিক। দ্বিতীয় যে জন তিনি মাঠে নামলেন। দালালের সহযোগিতায় তিনি তিনি বললেন, তুই পালিয়ে গেলে কোম্পানি আমাকেও দেশে পাঠিয়ে দিবে, আমাকে এত বড় ঝুঁকির মুখে তুই কেমনে ফালাইলি? এজেন্ট বলল ভাই, উনি যে কাজ করছে তাকে আর রাখা যাবে না। আমি কোম্পানিতে এখন জানায় দিচ্ছি, কোম্পানি আজকেই ইমিগ্রেসনে জানায় দিবে। কাল পরশু উনাকে দেশে ফেরত পাঠায় দিবে! আর যদি উনি দেশে থেকে কারো মাধ্যমে আমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারে যে তিনি অন্তত তিন মাস থাকবে দেশে, তাইলে তিনি আর কোম্পানিতে জানেবেন না। কে সেই লোক যিনি রাজি হলে তিনি মেনে যাবেন? তিনি হচ্ছেন দ্বিতীয় জনের বোন জামাই! 
    তিনি কেন? কারণ দালাল বলছে যে আপনার যদি ক্ষতি হত, এই লোক যদি চলে যায় তাহলে আপনাকে যদি ফেরত পাঠায় দেয় তাহলে এই বোন জামাই আমাকে ধরবে, কাজেই তিনিই এখন বলুক ওর ব্যাপারে! আশ্চর্য না? কীভাবে হবে এ কাজ? গেম পার্টির স্ত্রীর বোন, তিনি সম্ভবত অবিভাবক, তাকে রোজার দিন দুপুরের পরে জোর করে পাঠানো হল বোন জামাইয়ের কাছে। তিনি গেম পার্টির স্ত্রী ভাইগ্না সহ গেলেন আরেক গ্রামে। কথা শুনে মনে হল দূর আছে। তারা বললেন যে ভাই আগামীকাল ঈদ হতে পারে, আজকে হয়ত শেষ রোজা, ইফতারির ব্যাপার আছে, পরে যাই? না, এখন যাবেন। ইমিগ্রেশন অফিস বন্ধ হাওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! 

    তারা গেলেন। তারা নিশ্চয়তা দিলেন যে গেম পার্টি গেল দিবে না, তিন মাস থাকবে। কিন্তু তাদের কথার ভরসা কী? দ্বিতীয়জন বলে উঠলেন ওরে এক লাখ টাকা দিতে বলেন জামিন হিসেবে, আর পালিয়ে গেলে আরও দুই লাখ দিবে এমন একটা স্ট্যাম্পে লিখে দলিল তৈরি করেন! তাই হল! তবে এই গেম পার্টি হুট করে হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন! এই করে পঞ্চাশ হাজার টাকায় নামিয়ে আনলেন! এর মধ্যে নানা কথা বের হয়ে আসল। তিনি দেশে থাকতে কথা দিয়ে এসেছেন যে তিনি তিন মাস থাকবেন, এর আগে পালিয়ে যাবেন না। দ্বিতীয় জনের রাগ হচ্ছে তিনি ওমানে ছিলেন। এই লোক তাকে বলছেন ওমান থেকে রোমানিয়া না গিয়ে দেশ থেকে যাইতে। এতে খরচ বেশি হলে বাড়তি খরচ তিনি দিয়ে দিবেন! কিন্তু যখন টাকা দেওয়ার সময় হয়েছে তখন তিনি এক টাকাও দেন নাই! আবার আমরা আগেই শুনেছি তার সাথে যেহেতু দালালের ভাল খাতির তাই তিনিই সমস্ত কিছু পাকা করেছেন। এবং তিনি নিজে এই লোকের কাছ থেকে অন্তত এক থেকে দুই লাখ টাকা বেশি নিয়েছেন! রাগটা এত কই থেকে আসে এইটাই বুঝলাম না! 

    এমন নোংরামি, এমন অসুস্থ কাণ্ড কারখানা আমার সামনে হল! আমি একটা শব্দ বলতে পারলাম না! নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হল, একবার মনে হল বলি যে ভাই আমারে দেশে পাঠায় দেন, আমার বিদেশ অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে, এখানে থাকলে আমি হয়ত দম বন্ধ করেই মরে যাব! বাস্তবতা আমাকে কিছুই করতে দিল না। আমি সিনেমাটা বসে বসে দেখলাম। 

    সন্ধ্যার আগে আগে তারা চলে গেলেন। তখন ঈদ ফিদ সব ফাঁকা! এমন কুৎসিত ঈদ যেন কারো জীবনে না আসে এইটাই শুধু ভাবলাম একা একা! 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১২১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪৯518968
  • কী সাংঘাতিক! কী জটিল কেস রে ভাই!
  • aranya | 2601:84:4600:5410:c4a5:c71c:9ad:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:০৪518969
  • খুবই জটিল কেস। তবে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা আগের চেয়ে ভাল হয়েছে, এটা জেনে খুশী হলাম। 
    তোমার মূল উদ্দেশ্য দেশ ভ্রমণ, সেটা যেন হয়,  একটু বেড়ানোর সুযোগ পাও , এই চাই 
  • যোষিতা | ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০২:০৯518970
  • হ্যাঁ হ্যাঁ বেড়ানোর গল্প শুনতে চাই, তবে ফাইনালি গেম দিতে হবে, নইলে খেলবো না।
  • কিংবদন্তি | ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০৩519007
  • গেম! আমার পক্ষে হবে না মনে হয়। গেমের আদ্যোপান্ত নিয়ে লেখব। ভয়াবহ কাণ্ড করে যায় সবাই। 
  • যোষিতা | ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০:২০519014
  • গেম নিয়ে আমার নিজের কোনও বিরক্তি নেই। গেম কেন দিতে হচ্ছে, সেটাই  এই পৃথিবীর সমস্যা।
  • কিংবদন্তি | ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০০:০৫519036
  • যোষিতা দি, গেম নিয়ে আমারও কোন বিরক্তি বা কোন প্রকার বিদ্বেষ নাই। মুশকিল হচ্ছে গেম দেওয়ার ধরণ নিয়ে। অবিশ্বাস সব কাণ্ড করছে সবাই। বিশাল বড় গ্যাসের ট্যাংকার, তেলের গাড়িতে বসে প্রায় বিশ ঘণ্টা যাওয়া! তাও একটা গাড়িতে ৪০ জনও নেয় দালালেরা। এবার শুনলাম ফ্রিজিং গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া! ফ্রিজিং গাড়ি চেক করে না। এই সুযোগটা নিচ্ছে দালালেরা। কীভাবে বেঁচে থাকে ভিতরে আমি জানি না। আর আমার গেম দেওয়া হবে না তার অনেক কারণের মধ্যে বড় কারণ ইউরোপে আমার কেউ নাই। যারা যাচ্ছে তাদেরকে কেউ না কেউ আশ্বাস দিচ্ছে, থাকার জায়গার আশ্বাস, কাজ জুটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস, কাগজ করে দেওয়ার আশ্বাস। আমার বংশের একমাত্র মানুষ আমি মধ্য প্রাচ্য পার হয়ে ইউরোপের সীমানায় আসছি, যে পরিস্থিতি, হয়ত এই বিজয় নিয়ে কোন একদিন দেশে ফিরে যাব। 
    আরেকটা কথা, আপনারা কেউ জানেন রোমানিয়ার শেঙ্গেনে ঢুকার ব্যাপারে? এখানে সবার মুখে মুখে যে রোমানিয়া এই বছর শেঙ্গেনে ঢুকে যাবে। কিন্তু আমি কোথাও তেমন কোন খবর দেখি নাই। যা দেখছি তা হচ্ছে রোমানিয়া চেষ্টা করছে ঢুকার। এই চেষ্টা গত বছরও করে, এর আগেও করেছিল। অস্ট্রিয়া ভেটো দিয়ে বাদ করে দিয়েছিল। এবার শুনেছিলাম যে অস্ট্রিয়া আপত্তি তুলে নিয়েছে। কিন্তু ওইটারও কোন সঠিক সংবাদ পাই নাই।  
  • যোষিতা | ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০০:১৫519038
  • জয়েন করবে বলেই মনে হচ্ছে, হয়ত ২০২৫ অবধি অপেক্ষা করতে হবে।
  • যোষিতা | ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৩১519039
  • আপনাকে সিরিয়াসলি বলছি।
    ১) কোনও রিস্ক নেবেন না।
    ২) চাকরি করবার পাশাপাশি দুটো কাজ করে নিন।
    ক) স্কিল তৈরি করবার বৈধ নথি বা সার্টিফিকেট এবং যেখানে কাজ করছেন তার সম্পূর্ণ এম্প্লয়মেন্ট রেকর্ড রেখে দিন যত্ন করে।
    খ) পরবর্তীতে যে দেশে যাবার পরিকল্পনা করছেন, সেই দেশের ভাষা শিখবার ক্লাসে জয়েন করে, পরীক্ষা দিয়ে ইয়োরোপিয় শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃত অন্ততঃ B1 level এর পাশ করার শংসাপত্র।
    দুবছরের মধ্যে এটুকু করে ফেললে এবং রোমানিয়া শেংগেনের সদস্য বনে গেলে আপনি নির্দিষ্ট দেশে গিয়ে চাকরি করতে পারবেন। আবার প্রয়োজনে রোমানিয়া ফিরে আসতে পারবেন।
    শুধু তাইই নয়, নির্দিষ্ট কিছু বছর বৈধভাবে চাকরি করবার দরুণ এবং রোমানিয়া শেংগেন সদস্য হয়ে গেলে আপনি হয় ন্যাচারালাইজেশন পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব পাবেন, অথবা বিয়ে করলে আরও তাড়াতাড়ি নাগরিক হবেন, উপরন্তু শেংগেনসদস্য দেশের নাগরিক হওয়ার ফলে শেংগেনজোনের যে কোনও দেশে বিনা ভিসায় ছমাস অবধি থাকতে পারবেন এবং যোগ্যতা/স্বীকৃত শিক্ষার শংসাপত্রের সুযোগে চাকরিও পেতে পারেন।
    ছমাসের বেশি থাকলে সম্ভবত সে দেশে চাকরি নেওয়াই শ্রেয়।
    ভুলেও ব্ল্যাকে কাজ করবেন না। পুলিশ ধরলে আপনার ট্র্যাক রেকর্ড খারাপ হয়ে যাবে, নাগরিকত্ব পাওয়া মুশকিল হবে।
  • যোষিতা | ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০১519040
  • সাদেকভাই,
    যে সমস্ত পদ্ধতির কথা বললেন, সব জানা। নিয়মিত হয়। ভুল করে ফ্রিজার অন করা ছিল এমন গাড়ি থেকে জমে মরে যাওয়া লাশ পাওয়া গেছে এমন খবরও কাগজে বের হয়েছে। বিশেষ করে ফ্রঁস থেকে ইংলন্ডে যাবার পথে "কালে" বর্ডারে বিশাল চেকিং হয়। মালবাহী ট্রাকে করে নিয়মিত মানুষ পাচার হচ্ছে। এগুলো স্থলপথে। কিছু মানুষের কাছে এগুলো তেমন রিস্ক নয় কারন তারা যে সব দেশ থেকে আসে সেখানে মৃত্যুকে নিয়ে ঘর করে তারা। তবে বাংলাদেশ বা ভারতে তো তেমন যুদ্ধ বা সিভিলওয়ার নেই। তাই অত দাম কেন দেবে? তাদের নিশ্চয় যুক্তি আছে। তাদের যুক্তিটা আমরা জানি না। ডেসপারেশন এই লেভেলে কেন হয়? গলদটা কোথায়? একমুখী ইমিগ্রেশনের মূল কারন কী?
    লক্ষ্য করে দেখুন সব দেশগুলো বিদেশি কলোনিয়ালিজমে ছিবড়ে হওয়া দেশ। আমি এইভাবে দেখি আজকাল। এত মিথ্যাচার, ঘুষ, দালাল, প্রাণের ঝুঁকি নেবার চরিত্র একদিনে হয় নি। একেকটা জাতি পাল্টে গেছে, বদলে গেছে তাদের চারিত্রিক গঠন।
    লজ্জা ঘৃণা ভয়, কোনও কিছুর পরোয়া নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন