"আমাদের মাঝ থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে বলল তোমরা, ফিনিশ! "এটা বুঝলাম না। ফিনিশ কেন বুখারেস্টে চাকরি করতে যাবে? ফিনল্যান্ডের ইকোনমি কি খারাপ?
পাসপোর্ট অনেক দেশেই আটকে রাখে। যেমন আরব আমীরশাহি। এটা করলে জোর করে ভয় দেখিয়ে কাজ করানো সহজ।
যে দালালচক্রের হাত ধরে আপনি এসেছেন, তারা মুনাফা পায় এসব থেকে।
একবার ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়নে এসে পড়লে খুব সহজে এখানকার অন্য দেশে পালানো যতটা সহজ ভাবছেন, তত সহজ নয়। আপনাদের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন এদের সিস্টেমে আছে। যারা অ্যাসাইলাম সীকার হয়, তারা পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে স্টেটলেস হিসেবে নিজেদের ক্লেইম করে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যেসব অ্যাসাইলাম সীকার ইয়োরোপে আসে দালালদের মাধ্যমে।
"গলাকাটা" পাসপোর্টেও প্রচুর মানুষ আসে, দেশে জমিজমা বিক্রি করে দালালকে টাকা দিয়ে।
আপনাদের মেডিকেল টেস্ট হয়ে গেছে অর্ৎ আপনাদের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন মানে ডিএনএ ওদের কাছে স্টোর করা হয়ে গেছে।
এদের মধ্যে কেও এখন শেনগেন ফ্রি ইকোনমিক জোনে পালিয়ে গেলে রোমানিয়ার সরকারের কাছ থেকে এই তথ্য সেসব দেশ পেয়ে যাবে। ফলত তারা স্টেটলেস স্টেটাস পাবে না। নিজের দেশ কোনটা তা অস্বীকার করলেও প্রমাণ হয়ে যাবে। ফলে শেনগেন জোনেও লুকিয়ে থাকতে হবে, চাকরি বাকরিও গোপনে করতে হবে, অর্থাৎ মালিকপক্ষ যত বেশি পারবে তত ঠকাবে।
এসব নিয়ম একদিনে হয় নি। বছরের পর বছরের অভিজ্ঞতায় দেশগুলো এসব নিয়ম বহাল করেছে।
এগুলোর কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ, সেটা বিতর্কিত বিষয়।
মডার্ন ডে স্লেভারি থেকে এরা কেও বিচ্ছিন্ন নয়।
পাচার ব্যবসা যারা করে এবং যারা পাচার হয়ে যায়, উভয়পক্ষই এটা জেনেশুনে করে।