এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গেম!  

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ২১২৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • অবৈধ পথে সীমানা পার হওয়াকে বলে গেম দেওয়া। কেন কীভাবে এই নামকরণ হয়েছে আমি জানি না। ভিডিও গেমের সাথে কোন মিল আছে? কয়েকটা বাধা অতিক্রম করে চূড়ান্ত বিজয়! ধরা পড়লেই শেষ! যারা সমুদ্রপথে গেম দেয় তাদের জন্য এই গেমে কোন লাইফ লাইন নাই, একটা লাইফ নিয়ে হয় জয় আর না হয় গেম ওভার! এই গেমে কোন অস্ত্রও নাই, শুধুই ভাগ্য ভরসা। কিংবা জীবনই একটা গেম, সেই থেকেই গেম নামকরণ! ক্যাম্পে অনেকেই গেম শব্দটা বলতে ভয় পেত। কখন কে শুনে ফেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়, বা কর্তৃপক্ষই কখন শুনে ফেলে এই ভয়ে গেমের পরিবর্তে খেলাধুলা শব্দটা ব্যবহার করত। 

    রোমানিয়া থেকে গেম কিন্তু সমুদ্রপথের মত না। এখানে মৃত্যু ঝুঁকি কম। অন্য ঝুঁকি আছে প্রবল ভাবে। ধরা পড়লে জেল, সরাসরি দেশে ফেরত এবং ইউরোপের নাম প্রায় চিরতরে ভুলে যাওয়া। জীবনের ঝুঁকির কাছে এগুলা কিছুই না। তাই প্রায় দৈনিক শত শত মানুষ গেম দিচ্ছে। সীমান্ত গুলোয় ফেরি ঘাটের মত ভিড় লেগেই আছে! 

    একটা গেম কীভাবে পরিচালিত হয় এইটা জানা জরুরি। শুরু হয় কোথা থেকে? শুরু হয় একদম আপনার রুম থেকে। আপনাকে দালাল খুঁজতে হবে না। দালালই আসবে আপনাকে খুঁজতে। আমাদের ক্যাম্পে প্রায়ই দালাল আসত। উপকারী বন্ধু হয়ে আসত, সরাসরি বলত সম্পূর্ণ নিরাপদে গেম দেই আমারা, আমাদের গেমে কোন ভেজাল নাই, ভিআইপি গেমের ব্যবস্থা আছে ইত্যাদি! আবার এই দালালরা তাদের ‘সাব দালাল’ নিয়োগ করত কাওকে কাওকে। বিনিময়ে হয়ত একটা পারসেন্টেজ দিত কিংবা একটা থোক টাকা। এই সাব এজেন্টরা নীরবে কাজ করত। ক্যাম্পে কে গেম দিতে চাচ্ছে তার খোঁজ রাখত। আমাকে একজন প্রায়ই জিজ্ঞাস করত, ‘তারপর কবে যাচ্ছেন?’ আমি বলতাম 'না ভাই, আমি আছি, আমি গেম দেওয়ার লোক না।’ দুই একদিন পরে আবার একই প্রশ্ন! ‘তিমিশোরা কবে যাবেন?’ তিমিশোরা হচ্ছে রোমানিয়া হাঙ্গেরি সীমান্ত শহর। কেউ তিমিশোরা গেছে মানেই হচ্ছে তিনি ওই পথে হাঙ্গেরি ঢোকার মানে গেম দেওয়ার প্ল্যান করছেন। আমি যথারীতি বলতাম না ভাই তিমিশোরা যাচ্ছি না। পরে বুঝছি ও হচ্ছে মালিক পক্ষের চর! ও এগুলা জানাত সব মালিক পক্ষকে! গেমের দালাল অত কাঁচা না। সে জানত কে যাবে আর কে যাবে না। কিন্তু তিনিও প্রকট হলেন একদিন। সোজা এসে বললেন, ‘সাদেক ভাই, তিন লাখ বিশ, এর চেয়ে কমে কেউ নিতে পারবে না, সব ঠিক করে ফেলছি, আমি যাচ্ছি, গেলে চলেন!’ আমি আকাশ থেকে পড়লাম, আমি কবে বললাম যে আমি গেম দিব? কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা! আরে এর চেয়ে কমে কে নিয়া যাবে? অত চিন্তা কইরেন না, টাকা রেডি করেন। আমি অবাক, বললাম দেখি জানাব। তার সাঙ্গপাঙ্গরাও দুই একদিনের মধ্যে আমাকে জানাল যে তারা চলে যাচ্ছে, একটা লাইন পাওয়া গেছে, সবাই মিলে যাবে, গেলে চলেন। আমি তখনও মূল খেলাটা ধরতে পারিনি। এর মধ্যে একদিন ক্যাম্পে হুলুস্থুল, ইন্ডিয়ান কার গেমের টাকা নিয়ে গেম দেওয়ায়নি এমন অভিযোগ উঠল ওই লোকের বিরুদ্ধে। তিনি এবং যার টাকা ধরা খেয়েছে কেউই স্বীকার করল না এমন কিছু! অদ্ভুত কাণ্ড, তাহলে অভিযোগ আসল কোথা থেকে? কে জানে, কিন্তু তখনই মাথায় প্রশ্ন আসল কেন উনার নামে এমন অভিযোগ আসল? এবার খোঁজ নিলাম, দেখলাম এই লোক পাকা খেলোয়াড়। এই ক্যাম্প থেকে যারাই গেছে তাদের মধ্য থেকে সিংহভাগ গেছে এর মাধ্যমে। তিনি নিজে পাঠান না, ওই জোর উনার নাই। তিনি এক পাকিস্তানি দালালের পক্ষে কাজ করেন। সেই পাকিস্তানিই পাঠায়, তিনি জন প্রতি ভাগ নেন কিছু। আমাকে টোপ দেওয়া হয়েছিল, আমি বেরসিক মানুষ, কিছু না করে চুপ করে ছিলাম। 

    তবে পাকিস্তানিও কিন্তু মূল লোক না। বিশাল বড় একটা মাফিয়া চক্রের হয়ে তিনি কাজ করেন। মাফিয়া শব্দটা বইপত্রে, সিনেমায় পড়ছি, শুনছি। কিন্তু এর উপস্থিতি চোখের সামনে দেখব তা বুঝিনি কোনদিন। দেখছি এইটা বলাও ভুল। শুদ্ধ হবে তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছি। তারা আশেপাশেই আছে, আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে, বায়ুমণ্ডলের মত। 
    আপনি গেম দিবেন, এইটা একবার নিশ্চিত করার পরে তাদের নড়াচড়া অনুভব করবেন প্রবল ভাবে। আপনার একটা পা-ও ওদের নজরের বাহিরে পড়বে না আর। আপনি কই যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন সব ওদের নখদর্পণে। এদের চক্র কত বড় তা একটু বললে বুঝবেন। আপনি থাকেন রোমানিয়া, টাকা দিবেন বাংলাদেশে! যে যেমন দালাল ধরে এমন হিসাব। কেউ আগে কিছু নেয় কেউ এক টাকাও অগ্রিম নেয় না। আপনি সীমান্ত অতিক্রম করার পরে, যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সেই দেশে পৌঁছার পরে ভিডিও কলে আপনার বাড়িতে বা আপনার ঠিক করা লোককে কল দিবেন, বলবেন আমি পৌছাছি। আপনার বাড়ি থেকে টাকা বাংলাদেশেরই কারও একাউন্টে পাঠিয়ে দিবে, আপনাকে ওইখানে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত ওদের কাছেই থাকতে হবে। 

    এরা যদি দুই নাম্বারই করে? করলে কিছু করার নাই। মানে আপনাকে আটকে রেখে বেশি টাকা দাবী করলে কিছুই করার নাই। কিন্তু তারা পেশাদার। একজনের সাথে এমন করে তাদের সুনাম নষ্ট করে না। যদি একবার সবাই জেনে যায় যে ওই দালালের সাথে গেম দিয়ে একজন এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে তাহলে শেষ! কেউ আর তার মাধ্যমে যাবে না। নিজেদের জন্যই, ব্যবসার স্বার্থেই তারা কোন দুই নাম্বারই করে না। যারা অগ্রিম দিয়ে যায়, কোন কারণে যদি গেম সফল না হয়, তাহলে টাকা নিয়ে কোন তেড়িবেড়ি করে না, টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। আমি এখন পর্যন্ত একজনেরও টাকা মাইর গেছে এমন শুনিনি। অগ্রিম দিয়ে ধরা খেয়ে দেশে ফেরত গেছে, কয়েকদিন পরে টাকাও ফেরত গেছে!     

    আপনি গেম নিশ্চিত করার পরে ওরা আপনাকে বলবে অপেক্ষা করুন, আমরা যেদিন বলব সেদিন বের হবেন, এর আগ পর্যন্ত কোন টুটা শব্দ করা যাবে না। কাঙ্ক্ষিত দিনে ফোন আসে। বলবে অমুক বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়ান। দাঁড়াবেন, বলবে দূরে দেখেন একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, গিয়ে উঠে পড়েন। কিংবা বাস নাম্বার বলবে, উঠবেন, নামবেন, সব ওদের ইশারায়। আপনি কাওকে দেখতে পারবেন না কিন্তু ওরা আপনাকে দেখছে, এক মুহূর্তের জন্যও তাদের চোখের আড়ালে যেতে পারবেন না। ট্রেনে বা বাসে বা ট্যাক্সিতে নিয়ে যাবে তিমিশোরা। ওইখানে গেম ঘর আছে। ওইখানে থাকতে হবে কিছু সময়। টাকার উপরে নির্ভর করে কতদিন থাকতে হবে তা। ভিআইপি গেমে কোন থাকা থাকি নাই। আসবেন সোজা চলে যাবেন! আমি একজনের খবর জানি সে বিমান থেকে নেমে বুখারেস্টে কয়েক ঘণ্টার ট্রানজিট ব্রেক নিয়েছিল। গারা ডি নর্ড স্টেশনে কেএফসিতে হালকা খাবার খাইছে, এরপরে চলে গেছে সোজা ইতালি! পরেরদিন খবর পাইছে পৌঁছে গেছে ইতালি! টাকা লাগছে চার লাখ বিশ হাজার! আবার আমার রুমেমটকে প্রায় দুই সপ্তাহের উপরে থাকতে হয়েছিল গেম ঘরে। 

    গেম ঘর থেকে সময় হলে ডাক আসবে। বিশ চাকার বিশাল বড় লরিতে তুলবে। ত্রিশ, চল্লিশ এমন কি সত্তুরজনের খবরও আমি জানি একটা লরিতে তুলেছে! গেম ঘর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটা বনের মত জায়গায়, সীমান্তের কাছে। ঘাপটি মেরে বসে থাকে সবাই। আমাদের কেউ কেউ বৃষ্টির মাঝে পড়েছিল। কিচ্ছু করার নাই, চুপ করে বসে থাক। পাহাড়ি ঢাল বসে ছিল সবাই। উপর থেকে বৃষ্টির পানির ঢল নামছিল, ভেসে চলে যাবে এমন অবস্থা। পরে গাছ ধরে বসে থেকে রক্ষা পেয়েছিল। লরিতে উঠে গেলে গল্প শেষ। হয় ধরা আর না হয় ইতালি। কেউ কেউ অস্ট্রিয়া পর্যন্ত যায়, কেউ হাঙ্গেরি পর্যন্ত। ওইখান থেকে সোজা যার যার গন্তব্যে। তবে বেশির ভাগ ইতালি পর্যন্ত চুক্তি করে। 

    ভিআইপি গেমে কিন্তু লরি নাই। আপনাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাবে। তবে এই গাড়ি চলবে না। গাড়ি বসে থাকবে, গাড়ির লরি যাবে গাড়ি নিয়ে আর আপনি সেই লরির গাড়িতে বসে বসে যাবেন! লম্বা খোলা লরি গুলোতে করে গাড়ি নিয়ে যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। পঞ্চাশ, একশটা করে গাড়ি নেয় বা আরও বেশি নেয় প্রতিটা লরি। এক তলা দুই তলা এমন করে গাড়ি সাজানো হয়। আর গাড়িতে একজন দুইজন করে তুলে দেওয়া হয়। এরা আরামে বসে থাকে, সীমান্তের কাছে আসলে মাথা নিচু করে বসে থাকে। অত গুলা গাড়ির প্রতিটা পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব না সীমান্তে। তাই সহজেই পার হয়ে যায় ভিআইপি গেমের লোকেরা। সর্বশেষ চার লাখ পঞ্চাশ হাজার দিয়ে একজন গেছে এই তরিকায়। তিনি অবশ্য ভালই ভিআইপি সুবিধা পেয়েছেন। সীমান্ত পার হাওয়ার পরে গাড়ি করে নিয়ে গেছে উনাকে। যার ফলে ৪/৫ ঘণ্টায় অস্ট্রিয়া চলে গেছেন। সেখান থেকে এখন ইতালি। 

    মাফিয়া চক্রের নেটওয়ার্ক কত শক্তিশালী তা বুঝা গেছে যখন আমাদের কয়েকজন ধরা খায় সীমান্তে। ধরা খাওয়ার পরে যখন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তখন মুহূর্তের ভিতরেই উকিল হাজির! শুধু রোমানিয়া না, যদি কেউ হাঙ্গেরি বা অস্ট্রিয়াতে ধরা খায় তখনও ছাড়ানোর জন্য উকিল পুলিশ যা লাগে সব ব্যবস্থা এরাই করে। আপনি ইতালি বলছেন, যে পর্যন্ত ইতালি না পৌঁছাবেন ততক্ষণ গেম শেষ হয়নি, টাকা নিতে পারবে না। আর যদি অগ্রিম নিয়ে থাকে তাহলে তা ফিরত দিবে। তবে আমার জানা সর্বশেষ ধরা খাওয়া লোক গুলোকে উদ্ধার করতে পারেনি মাফিয়া। পুলিশ এক বিন্দু ছাড় দেয়নি। এক সপ্তাহ পরে সবাইকে বিমান ভাড়া করে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল বাংলাদেশ, যার যেখানে দেশ তাকে সেখানে নামিয়ে দিয়েছে। আমাকে একজন বলছিল দেশে যাবেন, তার আগে গেম মারেন, হয় পার হয়ে চলে গেলেন ইতালি ফ্রান্স আর না হলে সোজা দেশে। বিমান ভাড়া বেঁচে গেল! হাস্যকর শুনালেও বুদ্ধিটা কিন্তু খারাপ ছিল না! 

    যাই হোক, গেম মারার কথা উঠলে মনে হয় সব দোষ আমাদেরই। কিন্তু ঘটনা তেমন না। আমাদের কোম্পানিতে লোক লাগবে খুব বেশি হলে টেনেটুনে পঞ্চাশ থেকে ষাট জন। পারমিট বের করেছে ২৫০ জনের! তারা ধরেই রেখেছে এরা আসবে আর গেম মেরে চলে যাবে। এখন আমাদের মত আহাম্মকেরা যখন গেম মেরে চলে গেল না তখন তারা পড়ল বিপদে। প্রায় এক  মাসের মত সময় অনেককেই কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখল। কন্সট্রাকশনের দক্ষ শ্রমিকদের বলা হল অন্য কাজ কর। একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এসেছে, তাকে বলা হল হেল্পারের কাজ কর আর না হলে বসে থাক! দীর্ঘদিন পরে এই সব দক্ষ শ্রমিকদের, যার ভিতরে বাংলাদেশ ভারত দুই দেশেরই শ্রমিক আছে, তাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানিতে সাপ্লাই হিসেবে পাঠানো হল। এখানেও কোম্পানির লাভ। শ্রমিকদের পাঠাচ্ছে উচ্চ বেতনে, শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে আগের চুক্তি অনুযায়ী। যে দক্ষ রঙের কাজে কিংবা টাইলসের কাজে সে এখন পাইপ বানানোর কোম্পানিতে সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে পাইপের প্যাকেজিং করে! যারা কাজের লোক তাদের কাছে এই সব কাজ অসহ্য লাগে। কিন্তু ঠেকায় পরে করে যাচ্ছে। আর কেউ কেউ গেম মেরে চলে যাচ্ছে। 
    গেম মেরে চলে না যাওয়াতে কোম্পানি বেশ ভাল বিপদেই পড়েছে। সামনে আরও সত্তুর জন আসবে শুনেছি। তাদেরকে কাজ দিবে কই আর থাকার জায়গা দিবে কই? তাই এখন অনেককেই এনওসি দিয়ে বিদায় করছে। 

    মুশকিল হচ্ছে এই সব হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়! আর এখানেই রোমানিয়া পিছিয়ে গেছে পশ্চিম ইউরোপ থেকে। গেম মারা চলছে, এখন গরমের সময়, এখনও চলছে, শীত আসলেও চলবে। সমস্যার গোরায় হাত না দিলে গেম মারা থামান যাবে না। 
    গেম মারার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে। আর সাথে সাথেই আছে ভারত পাকিস্তান। ( এখানে কিন্তু ভারত পাকিস্তানে কোন ভেদাভেদ নাই। পাকিস্তানি দালাল ধরে ভারতীয়রা হরহামেশা গেম মারছে। পাকিস্তানি নাপিতের জন্য সবাই বসে থাকে, কখন আসবে আর সস্তায় চুল কাটাবে! )  শ্রীলংকান, নেপালিদের বেশ সুনাম রোমানিয়ায়। তারা গেম মারে না বা খুব কম মারে। যতদূর জানি সামনে এই তিন দেশ থেকে আর লোক নিবে না রোমানিয়া। কিন্তু যদি শ্রমিক বান্ধব না হতে পারে তাহলে আসলে কোন কাজই কাজে আসবে না। কেন যায় এইটার উত্তর বের করতে পারলেই গেম মারা বন্ধ হবে। আমি একজন ইথুইপিয়ার নাগরিককে চিনি, তার সঙ্গী সাথী সব গেম মেরে চলে গেছে, তিনিও যাবেন। কাজেই গেমের দোষ শুধু আমাদের দিয়ে আমাদেরকে ব্ল্যাক লিস্ট করে আসলে কোন কাজ হবে না। সমস্যার গোরায় যেতে হবে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ২১২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • যোষিতা | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:২৬523437
  • আমরা ভারত/ইন্ডিয়া নিয়ে লাফালাফি করছি, তাই এগুলো মনে পড়ল।
    চীন দেশকে রাশিয়ানে বলে কিতাই। জারমানে বলে কিনা। কিতাই কেন বলে, এটা নিয়ে দীর্ঘকাল ভেবেছি, তখন ইন্টারনেট ছিল না, অথচ ক্যাথে প্যাসিফিক বলে একটা এয়ারলাইন্সের নাম মাথায় ঘুরত। সেই নামটা কিতাই শব্দটার কাছাকাছি। 
    যদিও গেম দেবার সঙ্গে এসবের যোগ নেই। যেমন উজবেকিস্তানে ভারত/ইন্ডিয়া দেশটাকে দীর্ঘকাল ওদেশের ভাষায় হিন্দিস্তন (হিন্দুস্তান নয়) বলেই লোকে বুঝত চিনত জানত।
  • kk | 2607:fb91:149f:50ef:9d20:d5d0:a078:***:*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:০৫523438
  • হ্যাঁ, এই বিভিন্ন ভাষায় একটা দেশের নাম আলাদা আলাদা হয়ে যায় এটা খুব ইন্টারেস্টিং। ইতালিয়ান ভাষায় চীনকে বলে চিনেজে, জাপানকে জ্যাপোনে, ফ্রান্সকে ফ্রাঞ্চা, এইসব। আমার বেশ ভালোই লাগে শুনতে নানা রকম নাম।
  • যোষিতা | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৭523439
  • একটা ঘটনা মনে পড়ল (সাদেক মাফ করে দিস ভাই, তোর টপিকের গুষ্টির তুষ্টি করছি)।
    আমার বোন সবে পিএইচডি করতে ওদেশে এসেছে। রাশিয়ানে সড়োগড়ো নয়, দিনরাত অসংখ্য বই পুঁথি মাইক্রোফিল্ম ইত্যাদি ঘেঁটে পড়ছে আর খশখশ করে লিখছে। এছাড়া রোগীদের ওপর তো এক্সপেরিমেন্ট চলছেই। তখন কম্পিউটারই নেই, ইন্টারনেট তো কল্পনার বাইরে। 
    রাশিয়ান পেপারগুলো পড়বার সময় ও আমার সাহায্য নিতে আসে ভাষার কারনে। আমি যতটা পারি বাংলা করে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করি। হঠাৎ কদিন ধরে লক্ষ্য করলাম সামুদ্রিক একটা প্রাণীর ওপর ওদের খুব ঝোঁক। প্রাণীই মনে হলো, উদ্ভিদ হবার চান্স কম। যেহেতু গবেষণার একটা বড়ো অংশ মানুষের ইমিউনোলজির ওপরে। ওদেশের ডাক্তারেরা এই সামুদ্রিক প্রাণীটা নিয়ে কেন এত মাতামাতি করে বোঝা গেল না। পাতার পর পাতা সব গবেষণা করে গেছে। শত হলেও মানুষ মূলতঃ স্থলচর। যাইহোক, সামুদ্রিক শুয়োর নিয়ে কাজ। বাপের জন্মে সমুদ্রে শুয়োর আছে জানতাম না। সী হর্স হতে পারে কি? নাহ, হর্স তো ঘোড়া। ডিকশনারি পেলাম না হাতের কাছে।
    তারপরে হঠাৎ মাথায় ঝিলিক দিল হাই ভোল্টেজ স্পার্ক! মারস্কাইয়া স্ভিনিয়া ( সামুদ্রিক শুয়োর) কি তবে গিনিপিগ?
    ইয়েস, গিনিপিগ। পরদিনই ডিকশনারি খুঁজে ব্যাপারটায় শিওর হওয়া গেল।
  • বিপ্লব রহমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২১523441
  • মন্তব্যগুলো আবারও পড়লাম, ভালো লাগলো। 
     
    যোষিতার উচিৎ হবে নিজস্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে আলাদা করে লেখা, বিশেষ করে গেম মারা নিয়ে। জনতার দাবি 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৭523445
  • সাদেক ভাই
     
     
    —>
     
    আপনার রোমানিয়ান ভিসা প্রবেশের অধিকার চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু কাজের অধিকার পাবেন আপনার ভবিষ্যৎ চাকরি পেলে।
    পরে ফোন করছি 
  • কিংবদন্তি | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৩523453
  • যোষিতা দি, ইচ্ছা মত গুষ্টির তুষ্টি উদ্ধার করেন, কোন সমস্যা নাই। আপনার কথা গুলো হা করে গিলছি শুধু। 
     
    হীরেন দা, ফোন দিয়েন তাহলে, কথা বলব। 
  • Aranya | 2600:1001:b053:1231:9a1:2e7a:85d0:***:*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৪২523455
  • শরীফ, পা কেমন ? ভাল হয়ে উঠ্ছ ? 
  • জসল | 2601:c6:d200:2600:e8f3:5646:cc9d:***:*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০১523457
  •  
    ব্যক্তিগত নথি  জন্মতারিখ টারিখ সহ আনরেস্ট্রিক্টেড পাবলিক ফোরামে তুলে দেওয়া বোধহয় নিরাপদ না।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:০৮523458
  • জন্ম তারিখ নেই। ভিসার মেয়াদ ও ভিসার নম্বর দেওয়া আছে। 
  • dobi | 5.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৫০523461
  • ডেট অফ বার্থ পোস্কার দেখা যাচ্ছে।
  • কিংবদন্তি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২:০৫523466
  • অরণ্য দা, না, পা আগের মতোই। জ্যোতি বিসিবির যে ডাক্তার, যিনি জাতীয় সব ক্রিকেটারদের চিকিৎসা দেখভাল করেন, তার একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট জোগাড় করে দিয়েছে। আগামী ১৩ তারিখ উনি দেখবে আমাকে। জ্যোতিই নিয়ে যাবে আমাকে। তখন একটা ভাল মন্দ জানা যাবে আশা করি। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন