বিএনপি একটা দল যারা এমনই দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে এই চরম দুর্নীতিবাজ ছাত্রদের সাথেও পেরে উঠছে না। সকাল বিকাল ধমক দেয় ছাত্ররা। ৫ আগস্ট পরবর্তী চাঁদাবাজি এমন পর্যায়ে করেছে যে এখন মানুষ তাদেরকে সহ্য করতে পারে না। আমি আমার এলাকায় যা দেখছি তার কথা বলতে পারি। দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাহিরে থাকায় পাতি নেতারা ঝরে পড়ে গেছিল। আমি এক সময় রাজপথ কাঁপানো ছাত্র নেতাকে দেখছি আমাদের নিউ মার্কেট মোড়ে অটো লাইন ধরানোর কাজ করত। জ্যাম বেঁধে গেলে লাঠি দিয়া অটো, রিকশাকে সামনে আগানোর কাজ করত। ওই করে কয় টাকা কামাই করত জানি না। কিন্তু দিনের পর দিন এই করতে দেখছি। যার কথা বলছি সে আমাদের স্কুলেই পড়ত। পড়াশোনা কেন বাদ দিল, কেন রাজনীতির নেশায় পেয়েছিল ওকে কে জানে। কিংবা সবাই জানে মনে হয়। প্রবল প্রতাপ দেখানোর লোভ, সেই ২০০২/০৩- ২০০৫/০৬ সালে বিশ একুশ বছরের একটা ছেলের যদি শহর কাঁপানোর ক্ষমতা থাকে, টাকা থাকে তাহলে পড়াশোনাকে বাহুল্য মনে হবে না? ওর তাই হয়েছিল। ওকে সহ আরও কয়েকজনকে দেখতাম এই অটো সামলানোর কাজ করত। এবার আসুন ৫ আগস্টের পরের পর্বে। আবার ওদের চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। কাপড় চোপর চিকচিক করছে! দুইজন দোকান দিয়ে বসেছে, আরেকজন আল্লাই জানে কী করছে এই মুহূর্তে। যা বুঝলাম কামাই করে নিয়েছে এরা প্রত্যেকেই। ... ...
সেই সময় এই প্রসঙ্গ ধামাচাপা পড়লেও যতই সময় ঘনিয়ে আসল ততই এই প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিক হতে থাকল। এবং শেষ মুহূর্তে হেফাজতে ইসলাম থেকে বলা হল মঙ্গল শোভাযাত্রা করা যাবে না, এই নাম চইলত ন! ফলাফল হাতেনাতে, চারুকলার ডিন জানিয়ে দিলেন তারা নাম পরিবর্তন করছে, এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে আনন্দ শোভাযাত্রা! ব্যাস, হয়ে গেল সব! ফারুকির নাক গলানোর পরেই যে ব্যাচ এবার দায়িত্বে থাকার কথা তারা একটা বিবৃতি দেয়, দিয়ে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয় যে তারা এবার এই দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এবার যে শোভাযাত্রা হচ্ছে তার সাথে তারা জড়িত না! সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এবারের শোভাযাত্রার আয়োজন করছে, তাদেরকে এর সাথে রাখা হয়নি, তারা সাথে নাইও। উপদেষ্টার জন্য এরচেয়ে লজ্জার কী হতে পারে? কিন্তু না, ফারুকি এই সামান্য বিষয়ে থেমে যাওয়ার লোক না। ... ...
বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করার যন্ত্রণা আছে। আপনি যাকে একদম পছন্দ করেন না, যার কথা মানেই প্রলাপ, তার সেই প্রলাপ বকার স্বাধীনতাই বাক স্বাধীনতা। আপনি যা পছন্দ করেন তা বলবে আর আপনি বলবেন আমি তো কথা বলতে দিচ্ছিই, কাওকে তো বাধা দেই নাই, এইটা বাক স্বাধীনতা না। এই সব কিছু যন্ত্রণা আছে সুনাগরিকের, আপনি মানবিক হবেন, আপনি মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাস করবেন অথচ আপনার অপছন্দের লোকের অকারণ হেনস্থায় চুপ থেকে মজা নিবেন, এইটা হবে না। অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করতেই হবে তা সে আপনার পছন্দের হোক বা অপছন্দের হোক। আমি সুনাগরিক লিখছি, মানবিক লিখছি, আসলে এইটা মানুষেরই ধর্ম। এ না হলে মানুষ বলা কঠিন হবে আমার পক্ষে। এই যে শাহরিয়ার কবিরকে হত্যা মামলায় হেনস্তা করা হচ্ছে, অসুস্থ একটা লোককে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে এইটা অন্যায় হচ্ছে। শাহরিয়ার কবির মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে পরিমাণ লেখালেখি করেছে তা অবিশ্বাস্য। এখন কি সেই দায় মিটাচ্ছে? মুক্তিযুদ্ধ এখন অপাংক্তেয় বিষয় এই দেশে। সেই সূত্রেই অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন শাহরিয়ার কবির? নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়, একাত্তরের যিশু, বাভারিয়ার রহস্যময় দূর্গসহ দুর্দান্ত সব কিশোর উপন্যাস লেখা শাহরিয়ার কবিরের কী হবে? আমরা হেরে যাচ্ছে কোথায়? কাদের কাছে? ... ...
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হল বঙ্গবন্ধু সহ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া চারশজনকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না যেহেতু তাঁরা কেউ সরাসরি সম্মুখ সমরে লড়াই করে নাই! এই যুক্তি দিয়ে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বলা হবে এখন থেকে, মুক্তিযোদ্ধা না। বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযোদ্ধা বললেই কী আর না বললেই কী? একই কথা খাটে তাজউদ্দীন আহমেদসহ বাকি শীর্ষ নেতাদের ক্ষেত্রে। প্রশ্নটা হচ্ছে এদের চেষ্টার! কী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে যদি কোন ভাবে ছোট করা যায় এঁদেরকে। কোনভাবে যদি আরেকটু নামানো যায় তাঁদের অবস্থান থেকে। এরা যে সূত্র দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বাপ মাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাতিল করছে সেই সূত্রে তো মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানীকেও মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না! তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করেছেন? এখন দেখেন তো শুনতে কেমন লাগে যে যাকে সেনাপতি বানানো হল যুদ্ধের তিনিই যোদ্ধা না! দারুণ না? ... ...
"ইতিহাসের এই ধারাবাহিকতার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম শাহবাগ। বিদ্যমান রাজনীতির দুই মেরুতে ছিল আওয়ামীলীগ আর বিএনপি। একদল ক্ষমতায় এসেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ম্যান্ডেট নিয়ে। আরেকদল জোটে নিয়েছিল যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতকে। ক্ষমতায় তখন আওয়ামীলীগ তবু এই অভূতপূর্ব গণআন্দোলন হয়েছিল। অভূতপূর্ব ও নজিরবিহীন। সরাসরি সরকার বিরোধী না হয়েও এত বিপুল স্কেলে কোনো আন্দোলন এই ভূখণ্ডে কখনোই হয়নি। সরকারবিরোধীতা না, ক্ষমতা থেকে কাউকে নামানো বা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নও না, কেবল সুতীব্র দেশপ্রেম জ্বালানি হয়ে যে এত বড় গণবিস্ফোরণের জন্ম দিতে পারে, শাহবাগ তার অনন্য উদাহরণ। শাহবাগ টানা সতেরোদিন লাখো মানুষের অবস্থান ধরে রেখেছিল, এখন তো সরকার, পুলিশ, মব সবই আপনাদের, পারবেন সাতদিন কোনো ইস্যুতে এই অবস্থান ধরে রাখতে? পারবেন না। তাই শাহবাগকে আপনারা ভয় পাচ্ছেন। তবে আপনারা শাহবাগকে যতোটা ভয় পাচ্ছেন ততোটা ভয় পাওয়া ঠিক হচ্ছে না। আপনাদের উচিত আরো বেশি ভয় পাওয়া। শাহবাগ আপনাদের ভাবনার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। সরকারবিরোধীতা না করেও যে শাহবাগ জনস্রোত তৈরি করতে পারে, ক্ষমতার বিরোধিতায় নামলে সেই শাহবাগ জোয়ার তৈরি করবে। অনুমান করছি শাহবাগের ডাক আপনারা শোনা শুরু করেছেন, ঠিকই শুনছেন। আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। জয় বাংলা।" - ইমরান এইচ সরকার। ... ...
কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটা কুৎসিত ঘটনা ঘটে গেল। এইটা আকাশ থেকে হুট করে আসে নাই। একটু পিছন ফিরে দেখেন, এই কয় মাসে কী পরিমাণ নারীদেরকে হেনস্তা করা হয়েছে। আমি নিজেই লেখছি কতবার যে সারা দেশে নারীর জন্য রেড এলার্ট জারি হয়েছে। পোশাক নিয়ে কথা বলছে, কেউ কেন সিগারেট খাচ্ছে বলে অপমান করছে, কেউ হেনস্তা হচ্ছে বোরকা পরে নাই কেন দেখে, কেউ জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচছে কারণ ওই সময়ে তিনি কেন সেখান গেছেন! সমতা বজায় রেখে, কোন বৈষম্য না রেখে সকল ধর্মের, সকল বয়সই নারীকেই হেনস্তা করে যাচ্ছে একটা বিশাল সংখ্যার মানুষ। এগুলা যখন হচ্ছিল, এগুলা যখন বাড়ছিল তখন প্রশাসন, সরকার মহাশয় চুপচাপ দেখেছে, কোথাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টা শাহবাগে যাকে আটক করে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে তৌহিদি জনতা তাকে ছাড়িয়ে এনেছে, ফুলের মালা গলায় দিয়ে বীরোচিত সংবর্ধনা দিয়েছে, বুকে তুলে দিয়েছে কোরান শরীফ! ধর্ষক ছাড়া পায়, ফুলের মালা গলায় দিয়ে ইভ টিজার মুক্তি পায় যে সমাজে সে সমাজে ধর্ষণ বেড়ে গেলে যে আশ্চর্য হবে তাকে দেখে আশ্চর্য হওয়া জায়েজ আছে না? কঠিন আইন করেই লাভ কী যদি আপনি বদমায়েশ গুলোকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার ব্যবস্থা করে দেন! ... ...
২০১৬ সালে ৫ বছরের বাচ্চা একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে এক নরপশু। যখন শিশুটিকে পাওয়া যায় তখন তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক, গায়ে ছিল সিগারেটের ছ্যাকার চিহ্ন, প্রজনন অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত। ধর্ষক ধরা পড়ে, শাস্তি হয় যাবজ্জীবন জেলের। সেই ধর্ষক জামিনে মুক্তি পেয়ে ধর্ষিতার বাবার সামনে দিয়েই গাড়ি করে বাড়ি ফিরেছে। একই গ্রামে বাড়ি, তাই চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছি এমন কুৎসিত প্রাণীটাকে, আসেপাশেই থাকছে এখন। শিশুটি শারীরিক ভাবে এখনও সুস্থ না, সারাদিন বাড়িতেই থাকে, ঘর থেকে বের হয় না। ধর্ষিতা সেই শিশুর বাবা অবাক হয়ে প্রশ্ন করছে 'বিচার তো পাইছিলাম, তাইলে এমন হইল ক্যানে? জনক জানে না এই প্রশ্ন করা বারণ! ... ...
অবিশ্বাস্য রকমের অরাজকতা চলছে দেশে। বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেছে কিন্তু বিচারের কোন খবর নাই। ডাকাতি হচ্ছে নিয়ম করে। এই লেখা যখন লিখছি তখন ফেসবুকে একটা খবর দেখলাম ঢাকার ধানমন্ডিতে ডাকাতি চলছে! মসজিদ থেকে মাইক দিয়ে বলা হচ্ছে কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয়, ডাকাতরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছে! প্রতি রিফ্রেশে একটা না একটা দুর্ঘটনার খবর দেখা যায়! ধানমন্ডির খবর দেখে লিখতে লিখতে দেখে ঠাকুরগাঁও সদরে অশেষ সরকার নামে একজনের বাড়িতে আগুন দিয়েছে! গতকাল ঈশ্বর ডাক্তার নামের একজনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে! এখন দেখলাম রাত তিনটায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে! কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ দেখলাম লিখেছে এত রাতে যে সংবাদিকেরা এই সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে যাবেন তারা যেন মোবাইল মানিব্যাগ ঘড়ি সাবধানে রাখেন! এত রাইতে ঢাকা শহরে যা খুশি তাই হতে পারে! প্রসঙ্গত বলে রাখি, অনেকেই এই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাচ্ছিল দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য। হয়ত সেই ব্যাপারেই কিছু বলবেন। তবে আমার কাছে অবাক লাগছে মানুষ এইটা এই উপদেষ্টার দায় দেখছে দেখে! এর দায় সরকারকে দিচ্ছে না! এইটা যে এই উপদেষ্টার সমস্যা না, সরকারটাই যে একটা অথর্ব তা কেন বুঝছে না মানুষ? সরকারকে কেন আমি দায়ী বলছি? বলছি কারণ ঢাকা সহ সারাদেশে হুট করেই আইন শৃঙ্খলার অবনতি এমনে এমনেই হয়নি। যতগুলো শীর্ষ সন্ত্রাসিকে সরকার মুক্তি দিয়েছে তার প্রভাব পড়বে না? সুব্রত বাইন, পিচ্চি হান্নান সহ আরও যতগুলো টপ টেরর জেলে বন্দি ছিল তাদের মুক্তি দিয়ে এখন কইতেছেন এমন কেন হচ্ছে! যত জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি পেয়েছে তার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার? কে তাদের মুক্তি দিয়েছে? আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নাই? ইউনুস সাহেবের দায় নাই? সেনাবাহিনী এখনও আগের মতই রাস্তায় আছে, তারপরেও কেন এমন হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? ... ...
আমাদের যেদিন থেকে ধর্মানুভুতি খুব স্পর্শকাতর হল সেদিন থেকেই সর্বনাশের শুরু। সত্য হচ্ছে ধর্মীয় অনুভূতিতে কখন যে কার কীভাবে আঘাত লাগবে তা কেউই জানে না। আল্লা ছাড়া আর কেউ জানে না যে কখন কিসে কার ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগে যাবে! এই যে আল্লা লিখছি আল্লাহ্ লেখি নাই, এইটার জন্যও একজন আমাকে ফেসবুকে চার্জ করে বসেছিল, কেন এমন লিখলাম! মোট কথা বাঁচার উপায় নাই। আপনি গল্প লিখবেন, সিনেমা বানাবেন একজন ভণ্ডকে নিয়ে, যে নামাজ পড়ে ঘুষ খায়, মাগিবাজি করে, পারবেন না! নামাজ পড়ে কেউ ঘুষ খাচ্ছে? হতেই পারে না। অথচ টিকিত কালোবাজারির প্রধানকে ধরা হল যখন তখন দেখা গেল তার কপালে কালো দাগ, নামাজ পড়তে পড়তে দাগ করে ফেলেছে কপালে! প্রশ্ন পত্র ফাঁসের জন্য ধরা হল, কী সুন্দর নুরানি চেহারা, সুন্দর দাঁড়ি টুপি পরা আল্লার বান্দা! কিন্তু আপনি এগুলা লিখতে পারবেন না, সাহিত্যে আনতে পারবেন না, সিনেমা বানাইতে পারবেন না, গল্প লিখতে পারবেন না। লিখলে, বানালে ঠিক কারো না কারো অনুভূতিতে আঘাত লেগে যাবে, তারপরের দায়িত্ব পরাক্রমশালী শেখ হাসিনা সরকারও নিতে পারেনি আর এই নড়বড়ে ধ্বজভঙ্গ সরকার নিবে এমন আশা আর কইরেন না! ... ...
"জাতিসংঘের রিপোর্ট যত পড়ছি, তত চমক লাগছে। এমনই মহা শক্তিধর এক বিশ্বসংস্থা- যাদের দেখা করার অনুরোধে পাত্তা দেয়নি জামায়াত ও ছাত্রশিবির। সেনাবাহিনী, ডিজিএফআইয়ের সঙ্গেও তারা কথা বলার সুযোগ পায়নি। এমনকি লিখিত প্রতিবেদন চেয়েও পায়নি। আর কারাগারে আটক সাবেক আইজিপির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চাইলে অন্তর্বর্তী সরকার বলে দিয়েছে- 'হবে না'। শেষপর্যন্ত তারা বিভিন্ন বাহিনীর এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা কেউ ওই সময়ে বাহিনীর নীতিনির্ধারক পর্যায়ে ছিলেন না। একমাত্র সে সময়ের বিজিবি চিফ কথা বলে কিছুটা মান বাঁচিয়েছেন। এসব আবার রিপোর্টে উল্লেখও করা হয়েছে!!" ... ...