এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৩৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ৯.০৭.২০২৩ 

    প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন কেমন? আমার স্বল্প দেখায় যা বুঝেছি তার কিছু বলতে পারি। অনেক কিছুই বলতে পারব না। বর্ণনার ভাষা জানা নাই, আমার লেখার অত ক্ষমতা নাই সব লেখার। কী অবর্ণনীয়, কী অসহনীয় জীবন যাপন করে চলছে সবাই, কীভাবে লিখব সব! 

    আমার রুমে একজন বেশ বয়স্ক মানুষ থাকেন। আগে দুবাই করে এসেছেন। ভদ্রলোকের বয়স ৫৫ বছর। বাড়িতে স্ত্রী সন্তান রেখে এসেছেন। একদিন রুমে আমি ঘুমিয়ে আছি। হুট করেই ঘুম ভেঙে গেল। কান্নার শব্দ আসছে। আমি হকচকিয়ে গেছি, কে কাঁদবে এখানে! দেখি ওই ভাইয়ের বিছানা থেকে শব্দ আসছে। ফোনে বাড়িতে কথা বলছেন আর কাঁদছেন। বাড়িতে কেউ অসুস্থ, চিকিৎসা করানো হচ্ছে, উনি কাঁদছেন আর বলছেন চিন্তা কর না, ভাল হয়ে যাবে, আল্লাহ ভাল করে দিবে। হয়ত সিরিয়াস কিছু, না হলে উনার মত অভিজ্ঞ বিদেশ করা লোক ভেঙে পড়ার কথা না। আমি চোখ বন্ধ করে নীরব রইলাম, উনি যেন না বুঝে আমি সজাগ হয়ে গেছি। এই কষ্ট, এই আর্তনাদ অসম্ভব লাগে আমার। টাকা পয়সার দুনিয়ায় কী একটা কঠিন প্যাঁচে পরে গেছি আমরা। 

    আমার রুমে আরেকজন থাকেন। তিনিও বিদেশ করে এসেছেন। দুই ছেলে স্ত্রী রেখে এসেছেন দেশে। আমি উনার ফোন করা শুনি প্রায়ই। জুনায়েদ, কইরে আমার জুনায়েদ! বাবা কই? কইরে জুনায়েদ! উনি স্বাভাবিক ভাবেই ডাকেন হয়ত, আমার কানে শোনায় হাহাকারের মত। ডাকতে ডাকতেই স্ত্রীকে বলেন, জুবায়ের কই? জুনায়েদ আমি দেশে থাকতে আব্বা আব্বা করত, এখন কথা কয় না কেন? বলতে বলতেই আবার জুনায়েদ, কইরে বাবা জুনায়েদ! আহারে জীবন! 

    আরেকজনের গল্প বলি। আমার পাসের রুমে থাকেন, মধ্য বয়স্ক। আসছেন বিশ পঁচিশ দিন হয়েছে। এসেই পড়েছেন বিপদে। কোম্পানি কাজ দিচ্ছেন না উনাকে। এদের নিয়ম হচ্ছে কাজ নাই মানে টাকা নাই। উনি জানেন না ইংরেজি, আরবি, হিন্দি! ( আমাদের কোম্পানির মালিক যেহেতু ইরাকি তাই আরবি জানা থাকলেও কাজ চলে। যারা মধ্য প্রাচ্য থেকে এসেছেন দীর্ঘদিন, তারা বেশ আলাপ করে আরবিতে। আর এখানে আমাদের দেখাশোনা করে একজন ভারতীয়, হিন্দি জানলে তার সাথে কথা বলাও সহজ হয়)  নিজের সমস্যার কথা কাওকে বলতেও পারেন না। এদিকে এসেছেন ঋণ নিয়ে। কে যে বুদ্ধি দিছে এঁদেরকে যে ঋণ করে রোমানিয়া চলে আসছে। এখন শুধু হায়হুতাস করছেন। কাজ দিচ্ছে না, সাথে টাকাও বেশী আনেন নাই। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার। নিজেই এসেছেন ঋণ করে, এখন স্ত্রীর চিকিৎসা কীভাবে করাবে? আমি দুই একদিন উনার কথা শুনেছি। এরপরে দূরে থাকি উনার থেকে, কষ্ট লাগে খুব। কেন এমন হয়! মানুষ কেন এমন অসহায় হয়ে যায়! জানি না।  একদিন হুট করেই মনে হল আরে, এই লোক চলছে কীভাবে! আমাদের বাজারের সময় একটা বড় চকলেটের জার কিনলাম, পাওরুটি কিনলাম, কিনে উনার হাতে দিয়ে বললাম সকলের নাস্তা করবেন এইটা দিয়ে। আর কিছু লাগলে জানাবেন। মাঝে মধ্যেই ডেকে আমাদের সাথে বসিয়ে ভাত খাওয়াই। উনি প্রথমে সংকোচ করতেন। কিন্তু এখন আর তা করেন না। পরিস্থিতি, ক্ষুধা সংকোচকে উড়িয়ে ফেলেছে। এখন ডাক দিলেই প্লেট নিয়ে বসে জান আমাদের সাথে। গতকাল তিনি কাজ পেয়েছেন। হয়ত এরপরে আর সমস্যা হবে না। হয়ত বললাম, কারণ এই দেশের কোন কিছুই ঠিক নাই। 

    আরেক রুমে একজন থাকেন। ধূর্ত মানুষের উৎকৃষ্ট নমুনা তিনি। নিজে এনওসি নিয়ে কোম্পানি ছাড়তে পারছেন না। কারণ কোথায় কোন কাজে যাবেন তাই তিনি ঠিক করতে পারছেন না। অথচ রোমানিয়া নিয়ে দেশে যত ফেসবুক গ্রুপ আছে সব জায়গায় সব সময় লোক লাগবে, পারমিট আছে হাতে, অভিজ্ঞ লোক দরকার বলে বলে পোস্ট করছেন। মানুষ ফোন দিচ্ছে, উনি দুই লাখ টাকা অগ্রিম লাগবে, ভিসা পেয়ে বাকি টাকা, মোট লাগবে নয় লাখ বলে দিচ্ছেন অবলীলায়! আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম উনার আত্মবিশ্বাস দেখে। উনি আমাকেও দুইদিন চাকরি সেধে গেছেন। এনওসি নেন, আমি ঠিকানা দিচ্ছি, সোজা চলে যাবেন, এরচেয়ে ভাল চাকরি পেয়ে যাবেন!

    একজন কোন কাজকেই পাত্তা দেন না। আরে সাদেক ভাই, আমি এই কাজ করার লোক? কোম্পানি আমার যে ট্রেড তার বাহিরে কোন জায়গায় আমাকে কোনদিন কাজ করাতে পারবে না। যেখানেই পাঠাবে, আমি এমন কাজ করব যে আমাকে ফেরত পাঠাবে। বলবে এই লোক দিয়ে চলবে না। আমিও চলে আসব, এসে রুমে ঘুমাব। অথচ আমরা সবাই জানি উনি খুব পরিশ্রমী। যে কাজেই লাগায় দেওয়া হোক তিনি একটুও গাফলতি না করে কাজ করেন। আমি যে ওষুধ কোম্পানিতে ছিলাম ওইখানে এখন উনি কাজ করেন। যাওয়ার সময় বললেন, কালকেই চলে আসব, দেইখেন! দুই মাস হতে চলল, ভাই এখনও একই কথা বলেন। দেইখেন, বেতন নিয়েই এমন কাজ শুরু করব যে আমাকে ফেরত দিয়া কুল পাবে না। আমি আর কী, শুনি শুধু! 

    নতুনদের মাঝে আরেকজন আছে। তিনি দুবাই থেকে এসেছেন। কোন সময় ছিলেন দুবাই? করোনার সময়। আমি শুনেই বুঝলাম এই গল্প আমার শুনতেই হবে। জিজ্ঞাস করতে হল না, প্রবাসীরা এই সব গল্প করতে খুব মজা পায়, তৃপ্তি নিয়ে করে এই গল্প। তিনি বললেন, আরে ভাই, আমি তখন কাজ করতেছি সাগরের মধ্যে একটা দ্বীপে। শেখের ভিলা আছে। ওইটাতে কাজ করি। কোম্পানি জাহাজ দিয়ে খাবার নিয়া আসে, ইচ্ছা মত খাই আর কাজ করি, ওইখানেই থাকি। এদিকে দুনিয়ায় কী হচ্ছে তার খোঁজ খবর নাই। উনি দুই মাস কাজ করছেন। এরপরে তাদেরকে জাহাজে করে আবুধাবি নামিয়ে দিয়েছে। ভাল টাকা কামাই করছেন। এসেই সব টাকা দিছেন বাড়ি পাঠিয়ে। এরপরে দেখেন আরে, সব এমন কেন? মানুষ এমন করে কেন! শুনেন করোনা আসছে। এইটা কী, খায় না মাথায় দেয় তাও তিনি জানেন না। গেছেন উনার এক বন্ধুর বাড়িতে। বন্ধু পরিবার নিয়ে থাকেন। উনাকে জায়গা দিছেন থাকার কিন্তু এমন আচারন করছে যে তিনি ওই বন্ধুকে গালি দিয়ে চলে আসছেন। তখনও তিনি জানেন না পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। সব শ্রমিকরা যেখানে থাকে সেখানে গিয়ে একটা সিট নিয়ে উঠে পড়েছেন। দিন যায়, সব কিছু কঠিন হয়। কোথাও কোন কাজ নাই। পাওরুটি খেয়ে, পানি খেয়ে দিন পার করতে থাকেন। একদিন কোথায় এক জানলা পরিষ্কারের কাজ পেয়েছিলেন। কয় দিরহাম পেয়েছিলেন, তাই দিয়ে চলছেন কিছুদিন। এরপরে আবার আগের মতোই সব। একদিন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই বের হয়েছেন সমুদ্র সৈকতের দিকে। দেখেন অনেক মানুষ, আর কিছু মানুষ পানি বিক্রি করছেন। উনি বুঝলেন এইটাই করতে হবে। পরেরদিন পানি নিয়ে হাজির। প্রথমে এক দিরহাম দিয়ে বিক্রি করা শুরু করলেন। পরে দেখেন দাম না বললে সবাই দুই দিরহাম দিয়ে যায়! শুরু হল পানি বিক্রি। উনি টানা এক বছরের উপরে শুধু এই কাজ করেছেন। এর মধ্যে পুলিশ ধরেছে, করোনায় পুলিশও ধরে রাখেনি, ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। উনার কথা হচ্ছে ম্যালা টাকা কামাই করছিলাম ভাই! বিশ ত্রিশ লাখ টাকা কাঁচা কামাই হইছিল! 

    করোনায় উনার চেয়েও বড় দান আরেকজন মেরেছিল। তিনি ছিলেন ওমানে। উনি দর্জি ছিলেন। মেয়েদের সব পোশাক, এমন কী ফেন্সি পোশাকও বানাইতে পারতেন। আমাকে ছবি দেখালেন উনার দোকানের। বেশ বড় দোকান। যে পোশাক গুলো আমি ভেবেছি গার্মেন্টসে ফ্যাক্টরিতে তৈরি তিনি নিজে বানিয়েছেন! করোনায় ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ছিলেন তিনি। নারীরা আসত, কাপড় দিয়ে চলে যেত। তিনি কর্মী দিয়ে সেলাই করিয়ে যার যার বাড়ি পৌঁছে দিতেন। কেউ কাপড় পাঠিয়ে ফোনে নির্দেশনা দিতেন, তিনি বানিয়ে ফেলতেন পোশাক। ঈদের সময় বাম্পার কাজ করেছেন। উনার কথা অনুযায়ী ওই বছর ৭০-৮০ লাখ টাকা কামাই করে ছিলেন! 

    শ্রমিকদের কেন জানি গুছিয়ে উঠা হয়ে উঠে নাই। কিংবা এঁদের অনেকেই জানে না আসলে জীবনের কাছে তাদের কী চাওয়া। গুছিয়ে উঠতে পারে নাই যারা তাদের হিসাব বুঝা মুশকিল। টাকা উপার্জন করে কেন ধরে রাখতে পারেনি? বেশির ভাগ ঋণ করে এসেছে। এখন এই দেশে ঋণের টাকা শোধ করার কোন উপায় খুঁজে পায় না আর আফসোস করে। রোমানিয়া থেকে সবাই পালিয়ে যেতে চায় কারণ হচ্ছে এখানে টাকা কম। খুব ভাল যে আছে সেও ট্যাক্স দিয়ে থুয়ে ৬০০/ ৭০০ ইউরোর বেশি কামাই করতে পারে না। আর আমাদের মত কোম্পানি তো দিচ্ছিই ৪০০ ইউরো! কীভাবে ঋণ শোধ হবে? তাই এঁদের গল্প গুলা শুধুই দীর্ঘশ্বাসের। ডুবে যাচ্ছে, আরও বেশি করে ডুবার জন্য গেম মেরে ইতালি যাচ্ছে। গিয়ে অবিশ্বাস্য রকম বিপদে পড়ে দীর্ঘশ্বাস আরও বড় করছে। শ্রমিকদের জীবনে সুখ নামক অলীক পাখি আর ধরা দেয় না।     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৩ | ১৩৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১০ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪৭521132
  • আমরাও শুধু দীর্ঘশ্বাসই ফেলতে পারি। কে যে কী বুঝে কী করে,  কতটা নিরুপায়তা থেকে আরো বেশী অনিশ্চিতের দিকে ঝাঁপ দেয় সে ওন্যে আর কিইবা বুঝবে। অনেকে হয়ত স্রেফ লোকের মুখে শুনে একটা সোনালী ভবিশ্যতের স্বপ্ন দেখে ফেলেছে এদিকে বাস্তব তা নয়। মরীচিকার পিছনে ছুটে মরছে। 
  • :/ | 193.108.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৫521133
  • এই জন্যই ইমিগ্রেশনের কড়াকড়ি দরকার বলি। কিন্তু তাইলে আবার লেলিদের বুকে লাগে। শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় শত্ৰু হচ্ছে লেফটিস্টরা।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৬521140
  • আমি আপনার এই সিরিজ পড়ি আর কী এক দ্বিধায় মন্তব্য করতে পারি না। সেটা কিছুটা শঙ্কাজাত, কিছুটা কষ্টজাত। শুধু কামনা করি, আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

    অনেক কাল আগে অন্য পাড়ায় শ্রমিক হিসাবে প্রবাসে যাওয়া নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেটার লিঙ্ক দিলাম আপনার সময় সুযোগ হলে, ইচ্ছে করলে পড়ে দেখতে পারেন।
  • কিংবদন্তি | ১০ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৩521144
  • @ষষ্ঠ পাণ্ডব, পড়লাম। আমি এর আগেও পড়ছি আপনার লেখা। সচললেই পড়ছি হয়ত। এইটা পড়ি নাই। এখন পড়লাম। এখানে শত শত মিনহাজ ভাই। অবিশ্বাস্য সব গল্প সবার। রোমানিয়া জনপ্রিয় হয়েছে মূলত এখান থেকে গেম দিতে মৃত্যু ঝুঁকিটা কম, এই কারণে। এখানে ঝামেলা হলে দেশে ফেরত পাঠাবে, এর চেয়ে বেশি কিছু সাধারণত হয় না। রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকবে বলে এখন কড়াকড়ি কিন্তু এক সময় সহজেই সীমান্ত পাড়ি দেওয়া যেত। অনেকেই হেঁটে হেঁটে সীমান্ত পার হয়ে হাঙ্গেরি হয়ে সেন্ট্রাল ইউরোপে চলে গেছে এই তিন চার বছর আগেও। এখন অনেক ঝামেলা, ধরা পড়লেই দেশে। 
     
    শ্রমিকদের জীবন আগে এত কাছ থেকে দেখিনি। আর প্রবাসী শ্রমিক তো দেখিই নাই। নিজে শ্রমিক হিসেবে এসে বুঝলাম শ্রমিক চাইলেই হওয়া যায় না। বিশেষ করে এই বয়সে এসে হুট করে চাইলেই হার্ড ওয়ার্ক করা মুশকিল। তাই হয়ত এই সিরিজের ইতি খুব দ্রুতই হবে। আমার দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় হয়ত নেই। পা নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি। কাজ বন্ধ রাখছি প্রায় দুই সপ্তাহ হল। মানে এই দুই সপ্তাহের বেতন নাই। কোন মতে টিকেটের টাকা জোগাড় করতে পারলেই আমি উড়াল দিব। এই লেখাটার মাধ্যমে আমি অনেকের দারুণ ভালবাসা পেয়েছি। যা আমার সারা জীবন মনে থাকবে। সব স্নেহ ভালবাসা অপাত্রে পড়েছে কি না জানি না। 
     
  • যোষিতা | ১০ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৯521146
  • ভাল থাকবেন সাদেক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন