এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  শনিবারবেলা

  • রসুইঘরের রোয়াক ৮ - পাতুরি বড়া, বাঁধাকপির পাতায় সর্ষে কাচকির বড়া।

    স্মৃতি ভদ্র
    ধারাবাহিক | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ৪০৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • পাতুরি বড়া, বাঁধাকপির পাতায় সর্ষে কাচকির বড়া।

    ঠিক মাঝ উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা বরই গাছটি নরম রোদের অদম্য প্রাচীর হয়ে ওঠে প্রায়ই এইসময়। একটু আধটু যাওবা ছেঁড়া ছেঁড়া হয়ে উঠোনে এদিক ওদিক ওঁত পাতার চেষ্টা করে, কিন্তু বাইরবাড়ির দেবদারু গাছগুলো কেমন হৈ হৈ করে ছায়া ফেলে তা তাড়িয়ে দেয় বারবেলা আসতে না আসতেই।
    বড়ঘরের টিনের চালে বরইগাছের দাপাদাপিতে প্রায় রাতেই ঘুম ভেঙে যায়। আর কার্তিক মাস এলেই শুরু হয় বরই পাতা চুইয়ে নীহার পড়া।

    টিনের চালে অনবরত টুপটাপ।

    অন্ধকারে আমি আরেকটু সরে যাই ঠাকুমার কাছে। ঠিক ঠাকুমার বুক ঘেঁষে মাথাটা রাখি, ফিসফিস করে বলি, ওটা কীসের শব্দ ঠাকুমা? ঘুম জড়ানো গলায় ঠাকুমা বলে, নীহার পড়ছে দিদি; তুমি ঘুমাও। হাকিমপুরি জর্দা আর ধূপের সুবাস মিলেমিশে ঠাকুমার গা থেকে অদ্ভুত এক ঘ্রাণ আসে। আমি সেই সুবাসে শ্বাস নিতে নিতে ধীরে ধীরে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই।

    কোনো কোনোদিন আমাকে সেই ঘুমে রেখেই ঠাকুমা উঠে যায়।

    বাসি উঠোনে গোবর জলের ছড়া, এঁটেল মাটিতে তুলসীতলা লেপা, ফুলের সাজি দেবকাঞ্চনে ভরে ওঠা; সব হয়ে যায় আমার অলক্ষ্যে। কপাল আর নাকে তিলক কেটে ঠাকুমা পূজায় বসলে তবে আমার ঘুম ভাঙে। তাও দাদুর ডাকে,

    'ওঠো শিশু মুখ ধোও
    পর নিজ বেশ
    আপন পাঠেতে মন
    করহ নিবেশ'

    আমি বিছানা থেকে হুড়মুড় করে নেমেই ঠাকুমার পূজার জায়গাতে হাজির হই, ও ঠাকুমা আজ আমাকে রেখেই তুমি ফুল তুলে এনেছো? তুমি সাহাপাড়া থেকে ফুল এনেছো আজ?

    খুব সকালে ফুলের সাজি হাতে ঠাকুমার পেছন পেছন দৌঁড়ানোই তো আমার খেলা! আর এ বাড়ি সে বাড়ি থেকে সাদা, রঙিন ফুলে সাজি ভরে ইতুকে দেখাতে দেখাতে বাড়ি ফেরাও খুব আনন্দের। ইতুর সাজিতে ফুল কেন যেন বরাবরই আমার থেকে কম হতো।

    আজ সেসব কিছুই হলো না।

    আমি বাইরবাড়ির বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই। কোহিনূর ফূপু তেজপাতা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে আছে, রীতা কই রে?

    মনিপিসি কোথায় তা কী করে জানবো আমি? আমি তো এখনি ঘুম থেকে উঠলাম। কিন্তু আমাকে বলার সুযোগ দেয় না কোহিনূর ফুপু। আমার হাতে একটা বড় কাঁসার গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে বলে, রীতাকে বলিস চা হলে ডাক দিতে।

    গোলেনূর দাদী সবসময় চা খায় না। তবে সর্দিগর্মি হলে ঠাকুমার হাতের আদাগুড়ের চা তাঁর লাগেই।
    আমি গ্লাস নিয়ে রান্নাঘরের বারান্দায় রাখতেই মনিপিসির দেখা পাই, হাতমুখ ধুয়ে নে, পড়তে বসতে হবে। আমি ভোরে না উঠতে পারার দু:খটুকু ঢেকে রেখেই বলি, যাচ্ছি।

    বড়ঘরের লালমেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে আগে থেকেই দাদু বসে আছে। আমি শিশুশিক্ষা নিয়ে পাটিতে বসতেই দাদু বলে ওঠে,

    'সকালে উঠিয়া আমি
    মনে মনে বলি
    সারাদিন আমি যেন
    ভাল হয়ে চলি।
    আদেশ করেন যাহা
    মোর গুরুজনে
    আমি যেন সেই কাজ
    করি ভাল মনে'

    ও দাদু, এইটা তো আমি শিখে গেছি কবেই! একটু হেসে দাদু বলে, এটা প্রতিদিন সকালে নিজেকে বলতে হয় গিন্নী।

    আমি দুলে দুলে সুর মেলাই দাদুর সাথে। শিশুশিক্ষা শেষ করে ধারাপাত ধরি,

    ১ এ চন্দ্র
    ২ এ পক্ষ
    ৩ এ নেত্র
    ৪ এ বেদ
    ৫ এ পঞ্চবাণ
    ৬ এ ঋতু
    ৭ এ সমুদ্র

    আমি পড়া থামিয়ে দেই, ও দাদু সমুদ্র কত বড়? আমাদের করোতোয়া নদীর থেকেও বড়?
    গিন্নি সমুদ্র অনেক বড়, দাদুর পান খাওয়া ঠোট আর দুই হাত একইসাথে প্রশস্ত হয়।
    আমি সে প্রশস্ততায় মাপতে থাকি সমুদ্র।

    দিদি, প্রসাদ নাও, ঠাকুমার পূজায় আজ শশা আর বাতাসা প্রসাদ। আমি এক হাতের উপরে আরেক হাত রেখে এক টুকরো শশা আর বাতাসা নেই। আর সাথে সাথেই হাত থেকে সবটা মুখেও পুরে ফেলি।
    ঠাকুমা এরমধ্যেই রান্নাঘরে চলে গেছে।

    শ্লেটে দাদুর লিখে দেওয়া 'অ আ' এ হাত ঘুরাতে ঘুরাতে বুঝতে পারি উনুনে গুড় আদার চা বসেছে। বড়ঘর পেরিয়ে সে ঘ্রাণ বাইরবাড়ির দিকে ছুটছে। আমি মন দিয়ে লেখাগুলোর উপর হাত ঘুরাতেই থাকি।

    আমার শীতলপাটি মাড়িয়ে চলে যায় মনিপিসি। হাতে কোহিনূর ফুপুর রেখে যাওয়া সেই কাঁসার গ্লাস।
    যতই গোলেনূর দাদীর বাড়ির ভেতর ঢুকতে থাকে মনিপিসি, ততই আবছা হতে থাকে তার ছায়া।
    একটি জামবাটি ভরা মেশানো মুড়ি আর মুড়কি। দাদুর জন্য মায়ের হাতে। আর প্রায় তার সাথে সাথেই ঠাকুমার হাতে গুড়ের চা। শীতল পাটিতে আমার পাশেই জমে ওঠে সবার চা খাওয়া।

    গুড় আদার চায়ের ঘ্রাণে আমার মন কীভাবে বসবে পড়াতে?

    ও ঠাকুমা, খেজুর গুড়ের চা? চোখ ভর্তি লোভ নিয়ে আমি তাকাই ঠাকুমার দিকে।

    একটু চা খাবে দিদি? ঠাকুমার আহ্বানে আমার চোখ খুশিতে ভরে যায়। আমার ছোট্ট কাঁসার গ্লাসে চা পড়ে ঠাকুমার কাপ থেকে। তাতে মুড়ি আর মুড়কী ফেলে আমি চামচ দিয়ে ঘেটে ঘেটে খেতে শুরু করি, মায়ের চোক পাকানো উপেক্ষা করেই।

    বড়ঘরের শীতল পাটিতে যতই আদাগুড় চায়ের আসর জমুক না কেন, উনুন কিন্তু খালি নেই মোটেও। লাল মোটাচালের ফেনা ভাত বলকাচ্ছে তখন অল্প আঁচের উনুনে।

    খালি চায়ের কাপগুলো নিয়ে মা কলতলার দিকে যেতেই, বাইরে থেকে ডাক আসে,

    মাষ্টারমশাই.....

    যোগেন রাজবংশীর ডাক। এই মানুষটি বাড়িতে আসা মানেই উঠোন জুড়ে খলবলানো আনন্দ।
    ও যোগেন, আজ খেও জাল ফেলেছিলি?

    দাদুর আগেই আমি দৌড়ে বাইরবাড়ির বারান্দায় চলে যাই। বারান্দার এককোণে রাখা যোগেন রাজবংশীর খালই।

    আমার পিছন পিছন দাদুও বারান্দায় বের হয়ে আসে। তা দেখেই যোগেন রাজবংশীর চেহারায় হাসি ভেসে ওঠে, খুব ভাল মাছ পাইছি আজ। কিন্তুক খুব বেশী না। তাই সব্বার আগে আপনের বাড়িত আইলাম, মাষ্টারমশাই।

    ফাঁকা হাত খলুইয়ের ভেতর ঢোকে যোগেন রাজবংশীর। কিন্তু বের হয়ে আসে ভরা হাত। যগেন রাজবংশীর হাতের উপর সকালের নরম রোদ । আর সেই রোদে হাতের মাছগুলোর হালকা সবুজ রঙ চকচক করে ওঠে।

    ও শুধু ট্যাংরা মাছ আনছিস, দাদুর গলার হেঁয়ালী সুর।

    দাদুর সে সুরকে উপেক্ষা করতেই এবার যোগেন রাজবংশী আবার খলুইয়ে হাত ঢোকায়। রূপোর মতো মাছের রঙে আমি অবাক হয়ে যাই, ও যোগেন কাকা, এত চকচকে মাছ কোথায় পেলে?

    হ্যাঁ রে, পাবদাগুলো তো খুব পাকা দেখছি রে! প্রিয় মাছ দেখে এখন দাদুও খুব খুশী।

    মনিপিসি কলার পাতা এনে রাখতেই যোগেন রাজবংশী খলুই উপুর করে। সবুজ কলার পাতায় তখন ট্যাংরা আর পাবদার গা লেপ্টে বেশ অনেকগুলো কাচকি মাছও পড়ে।

    ও যোগেন, ওসব চুনো মাছ দিয়ে কী করবো? দাম ধর কিন্তু ওগুলো তুই বাড়ি নিয়ে যা....., দাদুর কথা শেষ হয় না।
    যোগেন, কাচকি অল্পকিছু আলাদা করে এখানে দাও, ঠাকুমা একটা কাঁসার বাটি এগিয়ে দেয়।

    রূপোলী কাচকিগুলো কাঁসার বাটিতে আরোও চকচক করতে থাকে।

    মাছ ভর্তি কলার পাতা উঠোনে নামে। সকালের পাত না উঠতেই মায়ের মাছ কুটা শেষ হয়ে যায়। আর কাচকিগুলো ঠাকুমা কলতলায় নিয়ে বেছে ধুয়ে সরিয়ে রাখে।

    সকাল না ফুরাতেই উনুনে দুপুরের রান্না চাপে। রাঁধুনি ফোড়নে ট্যাংরা মাছের মরিচ পোড়া ঝোল, সর্ষে বাটায় পাবদা, পাঁচ রকমের মেশানো ডাল, বেগুন ভাজা আর সবশেষে পাতুরির বড়া।

    ঠাকুমা নতুন ওঠা বাঁধাকপির সবুজ পাতাগুলো অল্প লবণ দিয়ে জলে সেদ্ধ করতে বসায়।

    আর সেই কাঁসার বাটির রূপোলী কাচকিগুলোর গায়ে পড়ে সর্ষে বাটা আর অনেকটা সর্ষের তেল। এরপর অল্প হলুদ বাটা। খুব আলতো হাতে মাছগুলো মাখিয়ে নেয় ঠাকুমা। কড়াইয়ের গরমজলে বাঁধাকপির পাতাগুলো আরোও সবুজ হয়ে ওঠে।

    ঠাকুমা ভাপানো পাতাগুলো জল থেকে তুলে নেয়। একটু ঠান্ডা হতেই সেসব পাতার ঠিক মাঝখানে পড়ে সর্ষে বাটা মাখা কাচকি। এরপর বেশ যত্ন করে কয়েক ভাঁজে মুড়িয়ে দেয় সেই পাতা।

    মা'র ততক্ষণে ভিজিয়ে রাখা মটর ডাল আর আতপচাল বাটা শেষ। ঠাকুমা তাতে অল্প জিরাবাটা, হলুদ বাটা, মরিচবাটা লবণ আর চিনি মিশিয়ে একটি গোলা বানিয়ে নেয়। এরপর সেই গোলায় কাচকিভরা মোড়ানো পাতাগুলো ডুবিয়ে উনুনে তেতে ওঠা কড়াইয়ের তেলে ফেলে।

    অল্প আঁচে বেশ সময় নিয়ে ঠাকুমা ভেজে চলে সেই পাতুরি বড়া। বড়াগুলো সোনালি হতেই ঠাকুমা ছাঁকনায় তেল ছেঁকে বড়া গুলো কাঁসার বগি থালে ফেলে।

    আর তা ফেলতেই কড়কড় শব্দ বাতাসে ভেসে জানান দেয় বড়াগুলো খুব কুড়মুড়ে।



    আমি স্নান করে, বা দিকে সিঁথি ফেলে পাট করে চুল আঁচড়ে লাল বারান্দায় দাদুর পাশে বসে পড়েছি। পাতের ভাত,বেগুন ভাজা আর ঘি ভুলে আমি সোনালি পাতুরি বড়াগুলো কুড়মুড় করে শেষ করতে থাকি।

    গিন্নি ঘি দিয়ে ভাতটা মেখে নাও ভাল করে, আমি দাদুর কথা শুনলে তো? হাতের সোনালী বড়াগুলো কিছুতেই পাতে রাখবো না আমি। এরপর দাদু নিজেই ঘি আর বেগুন ভাজায় ভাত মাখিয়ে দেয়। আমি সেই ভাত টপাটপ শেষ করে আবার বায়না ধরি পাতুরি বড়ার।

    দুপুরের পাত উঠে যেতেই আজ আমি দাদুর পাশে শুয়ে পড়ি ভাতঘুম দিতে। তবে এর পেছনে নিগূঢ় কারণ কিন্তু আছে।

    বিকেল হতেই দিন এখন কেমন মিইয়ে আসে। আমি মায়ের বানিয়ে দেওয়া লালহলুদ উলে বোনা নতুন সোয়েটার পড়ে দাদুর হাত ধরে বেরিয়ে পড়ি। বাইরবাড়িতে সোলেমান চাচা রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা উঠতেই প্যাডেলে পা পড়ে সোলেমান চাচার।
    সাহাপাড়া, পুকুরঘাট পেরিয়ে রিক্সা চলতে থাকে পশ্চিমে। আর হালকা কুয়াশায় ঢাকতে থাকে আকাশ।

    একটু সময় পড়েই টুপ করে বেলা ডুবে যায়।

    উত্তুরে বাতাস একটু আধটু ভাসতে শুরু করেছে। দু'পাশে হলুদ ধানের ক্ষেত নিয়ে আমাদের রিক্সা ছুটতে থাকে নরিনা গ্রামে। আজ সে গ্রামের হেডমাষ্টার দাদু আজহার মোল্লার বাড়িতে পুঁথি পাঠ হবে।
    হেড মাষ্টার দাদুর বাইরবাড়িতে লাল-সাদা সামিয়ানা টানা। অল্প পাওয়ারের বাতিতে আলো কম বলে হ্যাজাক বাতিও জ্বলছে। আমি আর দাদু হেডমাষ্টার দাদুর পাশে গিয়ে বসতেই শুরু হয়,

    'শুনো শুনো বন্ধুগণ শুনো দিয়া মন
    কমলা সুন্দরীর কথা করি যে বর্ণন
    হিরণ নগরের মেয়ে কমলা সুন্দরী......'

    আমি কমলা সুন্দরীর কথা শুনতে শুনতেই উশখুশ করতে শুরু করি। রাত তো বেড়েই চলেছে। দাদু কখন বাড়ি যাবে? ঠাকুমা তো আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

    কিন্তু কমলা সুন্দরীর গল্পের সুরে কীভাবে যেন মন আবার ডুবে যায়।

    অবশেষে পুঁথি পাঠ শেষে মাসকলাই ডালের ঝাল খিচুরি খেয়ে আমরা যখন বাড়ির দিকে ফিরি, তখন রাতের নীহার ভেদ করে চতুর্দশীর চাঁদ সাদা ঘোলা আলো ছড়িয়ে চলেছে।

    যাবার পথের সেই চেনা পথ, চেনা পাড়া ঘোলা সে আলোয় কেমন অচেনা হয়ে উঠছে!

    প্যাডেলের ক্যাঁ ক্যাঁ শব্দ ছাপিয়ে যাচ্ছে চারপাশের ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। আর হলুদ সেই ক্ষেতের উপর এখন শুধু জোনাই পোকার সবুজ দপদপানি।

    আমি দাদুর গা ঘেঁষে বসি। ভাবতে থাকি, আজ রাতেই ঠাকুমাকে কমলা সুন্দরীর গল্পটা বলতে হবে।
    নিশুতি চারপাশের মাঝে রিক্সার প্যাডেলের শব্দ হারিয়ে ফেলি, মনে মনে আওড়াতে থাকি,

    শুনো, শুনো বন্ধুগণ.......


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ৪০৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:৫৯100951
  • কি মায়ামাখা ছবি। 


    কাঁচকিমাছে চচ্চড়ি আর ঝাল এই দুইরকম খেয়েছি। এই বড়াটা করে দেখতে হপবে। 

  • s | 100.36.***.*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৪২100961
  • কি সুন্দর গল্প! আমার ঠাকুমা বানাতেন এইরকম বড়া কুমড়ো পাতা দিয়ে, ভেতরে থাকত সর্ষেবাটা মাখা কুচো চিংড়ি। মনে পড়ে গেল।

  • র২হ | 73.106.***.*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৫৩100963
  • আমার এই সিরিজটা খুব ভালো লাগছে।


    কিন্তু সঙ্গের ছবিগুলো ভালো লাগছে না, ছবিগুলো বড্ড বেশি এডিটেড, ফটোশপড মনে হচ্ছে। লেখার নরম মায়া ছবিতে ধাক্কা খাচ্ছে যেন।

  • syandi | 2a01:c22:cc4c:e000:15a8:8110:cfb3:***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৪৯101003
  • কাঁচকি মাছ কি স্পেসিফিক কোন মাছের নাম নাকি 'চুনো মাছ' জাতীয় কোন জেনেরিক নাম? এই টার্মটাই এই প্রথম শুনলাম। হয়তবা টার্মটা পশ্চিমবঙ্গের ঘটি পরিমণ্ডলে ব্যবহৃত হয় না খুব একটা, এজন্য অচেনা লাগছে। 

  • s | 100.36.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:২০101005
  • কাঁচকি একটা স্পেসিফিক চুনো মাছ, কেচকি বা কাচকি ও বলা হয়। দেখতে একদম ইটালিয়ান আনচোভির মত। খুবই ছোট, এতই ছোট যে কাটা যায় না, ভাল করে ধুয়ে রান্না করা হয়। সাধারণত কড়া করে ভাজা বা চচ্চড়ি বানানো হয়।

  • সর্বানী ঘোষ | 2409:4061:386:44e::1fba:***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:২৫102001
  • আহা!অপূর্ব বর্ণনা

  • kiju transgirl | ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০০:০১102011
  • কাচকি মাছের  বড়া  হয় ।আমি খেয়েছি . অনেকটা মৌরলা মাছের মতো দেখতে ।সত্যি খুব ভালো লাগছে পড়ে ।তবে ছবিগুলো ভালো লাগছে না ।ছোটোবেলার সব ছবি এডিট ফোটোশপেড করে দেওয়া যায় না ।ওগুলো আমাদের মনের ভেতরে জমা হয়ে থাকুক .

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন