এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  উৎসব  ইস্পেশাল

  • আমি হিটলারের বাবা

    রঞ্জন রায়
    ইস্পেশাল | উৎসব | ২০ অক্টোবর ২০২৫ | ৯৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)
  • অবিস্মরণীয় নজরুল | বাঙালি বিদ্বেষ ও পরিচিতি নির্মাণের রাজনীতি | সোনম ওয়াংচুক: গণতন্ত্র কি শুধুই কাগজে-কলমে? | নবান্ন, গাজা থেকে বাংলার দুর্ভিক্ষ | দুই ঘর | সমসাময়িক | ফ্লোটিলা | ঢাকের দিনে ঢুকুঢুকু | দু-প্যান্ডেলের মাঝখানটায় | সুন্দরী কমলা নাচে রে | কাশী বোস লেনের পুজো : লড়াইয়ের হাতিয়ার | অস্তিত্ত্ব | শালপাহাড়ের গান | পুজোর দিনগুলি | অপেক্ষা-দিন | ভোলুরামের হাঁচি ও মত্তের উৎসব | এ অবধি আঠারো | মিনিবাসে গদার | জালিকাটু | তিনটি কবিতা | সাত সেতুর সাতকাহন | ফ্রান্স - একটি অবতরণিকা | শারদীয়া | বালিকা ও ইস্ত্রিওয়ালা | তিনটি কবিতা | গগন | যে জীবন গেঁড়ির, গুগলির | লা পাতা | দু’টি কবিতা | ধাতব পাখিটি একা | নিষিদ্ধ গন্ধ ছড়িয়েছে হাসনুহানা বলে | তিন ঋতুর কবিতা | গ্যেরনিকা | "এই জল প্রকৃত শ্মশানবন্ধু, এই জল রামপ্রসাদ সেন।" | ছায়া দুপুর | আমাদের ছোট নদী (২) | শারদ অর্পণ ২০২৫ | আমি হিটলারের বাবা | হিমাংশু ও যতীনবাবুদের খবরাখবর | যে চোখে ধুলো দেয় তার কথা | লক্ষ্মীর ঝাঁপি | ত্রিপুরায় পিরামিড রহস্য | এবং আরো শিউলিরা | উৎসব সংখ্যা ১৪৩২

    ছবি: ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক




    আচ্ছা, যদি ছেলে জন্মালে জানতে পারেন যে ও বড় হয়ে হিটলার হবে, তখন কী করবেন?


    মানে ওর মুখে নুন দিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন? নাকি আদরে বাঁদর পুষবেন?

    না না, ভুল বুঝবেন না। আমার ছেলের নাম অ্যাডলফ হিটলার নয়। আর আমি কোন নর্ডিক আর্য নই, নেহাৎ ছাপোষা বাঙালি। একেবারে কালোকোলো। আমাকে দেখলে কেউ জার্মান বলে ভুল করবে না। কিন্তু দ্রাবিড় জাতি, মানে মদ্র বা মালয়ালি, ভাবতে পারে। একবার ছত্তিশগড়ের সায়েন্স কলেজে এক মালয়ালি ভদ্রলোক নিজের মেয়েকে ভর্তি করাতে এসে চেনাজানা লোক খুঁজছিলেন। আমাকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এসে ঝড়ের মত কী কী সব বলে গেলেন।

    আমি অবাক হয়ে ভাবলাম –গাল দিচ্ছেন নাকি? দু’একবার তাঁর সঙ্গের লবঙ্গলতার দিকে তাকিয়েছি বটে, কিন্তু সেটা এমনকি অপরাধ? মেয়েটা বরং লাজুক হেসে প্রতিদান দিয়েছে। নিরুপায় হয়ে ভাঙা ইংরেজিতে ‘এক্সকিউজ মী, এবং পার্ডন পার্ডন কয়েকবার আওড়ালাম। সত্যিই কিছু বুঝতে পারছিলাম না। শেষে ওঁর ভেতরের টিউবলাইট জ্বলে উঠল। চোখ বড় বড় করে বললেন- নট ফ্রম কেরালা?
    - নো স্যার। ফ্রম ক্যালকাটা।

    উনি একগাল হেসে হাত বাড়িয়ে বললেন- আমি অ্যালেক্স রাজন। ঠিক আছে, আমার মেয়েকে ভর্তি করাতে এসেছি, বায়োলজি স্ট্রিম। একটুর জন্যে মেডিক্যালে চান্স পায় নি। ফের ট্রাই করবে। কিন্তু এ’বছর বিএসসি ফার্স্ট ইয়ারে পড়লে ওর ভালই হবে। আপনি কিছু সাহায্য করতে পারেন? মানে, কার সঙ্গে দেখা করতে হবে? কোন ডোনেশন লাগবে কিনা।

    আমি তক্ষুণি মেয়েটির বড়দা হয়ে যাই এবং বলি- এটা সরকারি কলেজ এবং প্রিন্সিপাল সিনহা স্যার অত্যন্ত অনেস্ট, নো ডোনেশন! ওর ভাল রেজাল্ট, সহজেই হয়ে যাবে। চলুন, আমি হেড ক্লার্কের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিচ্ছি যাতে ওর ফর্ম তাড়াতাড়ি প্রসেস করা হয়।

    উনি বিগলিত হয়ে আমার হাত ঝাঁকাতে থাকেন এবং বলেন- বেঙ্গল এবং কেরল, দুটোর কমন ফ্যাক্টর আছে। দু’ রাজ্যেই বামপন্থী কালচার এবং ওই দুই রাজ্যের মেয়েরা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর।
    আমি এবার খোলাখুলি ওঁর মেয়ের দিকে তাকাই- সে কথা আর বলতে!

    জানিনা, আজ দেখা হলে উনি কী বলতেন।

    কিন্তু এর মধ্যে হিটলার কোথায়?

    দাঁড়ান, দাঁড়ান, - আসছে, হিটলার আসছে।

    কালের নিয়মে কলেজের পাট চুকলো, চাকরি পেলাম, বিয়ে হল। এবার তো ছেলে হবার কথা! মানে, আমার তো মেয়ে হলেই ভাল। কিন্তু কিছু একটা হোক। দিন যায়, মাস যায়, বছর ঘোরে—তবু তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই। ডাক্তার দেখানো হোল, আপাতদৃষ্টিতে শরীরের কলকব্জা, কেমিস্ট্রি সব ঠিক। তাহলে?

    অর্ধাঙ্গিনী প্রতি শনিবারে উপোস রাখলেন। আমি শনি-মঙ্গল দু’দিন নিরামিষ খেতে লাগলাম।

    কার আজ্ঞে? হাড়িপ বাবার আজ্ঞে। সেই বাবা আর কেউ নয়, গিন্নির বড়দা। উনি রেভিনিউ অফিসের বড়বাবু। মাইনে ছাড়া উপরি আছে। ভাল রোজগার। কিন্তু ভাল’র কোন শেষ নেই। বিদ্যার বিষয়ে ছোটবেলায় পড়েছিলাম—দানেন ন ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্‌!

    ‘যতই করিবে দান, তত যাবে বেড়ে’!

    বড় হয়ে দেখলাম সব ফালতু কথা। নইলে যে স্যারেরা গাদাগুচ্ছের টিউশনি করেন বছর বছর—তারা সবাই এতদিনে বিদ্যাদিগগজ মহাধনুর্ধর হয়ে যেতেন। বরং ‘যতই খাইবে ঘুষ তত লোভ বাড়ে’- এটা একেবারে মোক্ষম। একবার খাওয়া শুরু করলে থামা যায় না—রোলার কোস্টার। কেউ বলতে পারে না যে অত টাকার ঘুষ হয়ে গেলে বা একটা গাড়ি এবং বাড়ি হয়ে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দেব।

    আমার বড়শালা শুরু করেছে ভাগ্যগণনা। স্থানীয় পত্রিকায় টাক মাথায় টুপি পড়ে দাড়ি রেখে একটা ছবি সহ বিজ্ঞাপন দেয়—সব জ্যোতিষ বার বার, চাঁদু শাস্ত্রী একবার। হ্যাঁ, চন্দ্রমোহন দাস এখন চাঁদু শাস্ত্রী। রোজ সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ স্নান টান করে তিলক লাগিয়ে আমার বাড়ির গ্যারেজের পাশে অ্যাসবেসটস এর ছাতওলা একটা কামরায় টেবিল সাজিয়ে টেলিফোন নিয়ে বসে থাকে। দু’ঘন্টা। হাত দেখে, কোষ্ঠিবিচার করে, পাথর ধারণ করতে দেয়। তাঁর পরামর্শের আওতায় - বিবাহ এবং বিচ্ছেদ, জন্ম ও মৃত্যু, চাকরি এবং সন্তান প্রাপ্তি, জমি কেনা, মারণ-উচাটন-বশীকরণ, সবই আছে। নিজের বোনকেও মাদুলি দিয়েছে, আমাকে দিয়েছে আংটিতে বসানো পাথর। দামটা আমিই দিয়েছি, নইলে ফলে না।

    বুঝলাম ভাগ্যদেবীর দরবারেও নো ফ্রি লাঞ্চ।

    তা শাস্ত্রী মশায়ের পরামর্শ মেনে চলার ফল হোক বা আমাদের কপাল- ছ’বছরের মাথায় আমাদের একটি সন্তান হল, এবং পুত্রসন্তান। ব্যস্‌ আমার স্ত্রীর হিস্টিরিয়া সেরে গেল। সংসারে সুখ-শান্তি ফিরে এল। আর বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে চান করতে গিয়ে আমার আঙটি হারিয়ে গেল। কোন মাছের পেটে গেছে কে জানে!

    আঙটি হারানোর ফল হাতেনাতে পেলাম।

    একমাসের মধ্যে আমার ট্রান্সফার হয়ে গেল অন্য জেলায়, ঘর থেকে অনেকটা দূর। গোড়ার দিকে প্রত্যেক শনিবারে বাড়ি আসতাম। কিছুদিন পরে সেটা মাসে একবার হয়ে গেল। বুঝে গেছি আমি যতই বিরহে জ্বলেপুড়ে ছাই হই না কেন, গিন্নির তাতে খুব একটা যায় আসে না। উনি তাঁর নতুন খেলনা আমাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত। যখনই ফোনে কোন কথা বলি, সংসারের খোঁজখবর নিই ওনার মুখে খালি ছেলের কথা।

    - জানো, আজ আমাকে মাম্মা বলেছে। আজ দুটো দাঁত উঠেছে, তাতে কী সুন্দর হাসে। আমায় দেখলে কোলে ঝাঁপিয়ে আসে।

    গণ্ডগোল বাঁধল খোকার অন্নপ্রাশন দেবার সময়। মুখে ভাত দেবে কে? কেন মামা আছেন তো! সেটাই নিয়ম। সেসব হল। এবার বোনের আবদারে মামা বসলেন নবজাতকের কোষ্ঠী বিচার করতে, এতে সময় লাগে অনেক।

    জন্মলগ্ন, গ্রহনক্ষত্র, সুতহিবুক যোগ, সাড়ে সাতি, বুধ কোথায় বক্রী, মঙ্গল কোন ঘরে বসেছে, সেই সময় শনি কী করছিলেন? কেতু দেবতার কতটুকু প্রভাব এই সব দেখে অনেক অংক কষে তবে না। বললে হবে? খর্চা আছে।

    ২ হিটলারের উদ্ভব

    পরের মাসের গোড়ায় মাইনে পেয়ে সংসারের খরচা দিতে বাড়ি এলাম। হ্যাঁ, খোকাকে দেখব সেটাও একটা কারণ বটে। তাই দু’দিন সিএল নিয়ে এসেছি। রাত্তিরে খাওয়াদাওয়ার পর আমার খোকার ধর্মবাপ , মানে ওর মামু, ধোঁয়া গেলার অছিলায় আমায় ছাদে নিয়ে গেল। তারপর হাতের সিগ্রেট নিভিয়ে দু’বার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল- শোন রাজীব, একটা সিরিয়াস কথা।
    আমি ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে। জানি, উনি সবসময় সিরিয়াস। কখনও হালকা কথা বলতে বা কোন চুটকি শোনাতে দেখি নি। হাসলে মুখটা একটু ফাঁক হয়, পুরো দাঁত দেখা যায় না।

    - তোমার ঘরে এক অসাধারণ প্রতিভার জন্ম হয়েছে। খোকা বড় হয়ে এমন কিছু করবে যে ইতিহাসে ওর নাম থেকে যাবে।

    আমার হাঁ-মুখ বন্ধ হয় না। আমার ঘরে কোন মহাপুরুষ! কী ভাবে? আমি তো খোকার জন্মের আগে আপনার বোনকে কাজু কিসমিস বা পুষ্টিকর কোন কিছু খাওয়াতে পারি নি। প্রোটিন বলতে ওই চারাপোনা আর তেলাপিয়া। পনের দিনে একবার পোলট্রির চিকেন, ফল বলতে কলা আর ডাঁসা পেয়ারা । নাঃ, আপেল, বেদানা, আঙুর, পেস্তাবাদাম ওসব আমার সিলেবাসের বাইরে ছিল। এরকম সাধারণ খাওয়া দাওয়ায় কি মহাপুরুষের জন্ম হয়?

    - বাজে বোকো না। মহাপুরুষ নয়, ইতিহাসপুরুষ। ওর কপালে দুই ভুরুর মাঝখানে একটু উপরে একটা দাগ দেখেছ? ওটা রাজতিলকের চিহ্ন। ও হোল লীডার বাই বার্থ! ওর মধ্যে রয়েছে স্বাভাবিক নেতৃত্বের ক্ষমতা আর আর বীরত্ব।

    - সে কী? ও কি আর একজন গান্ধীজি কি নেতাজি হবে? না না, আমি অমন চাইনে। এঁরা সবাই অপঘাতে মারা গেছেন- আততায়ীর পিস্তলের গুলিতে এবং প্লেন ক্র্যাশ হয়ে। আমি একজন ছাপোষা সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত। আমার ছেলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাক। ভাল করে লেখাপড়া শিখে চাকরি করে খেয়ে পরে বাঁচুক এবং আমার বুড়ো বয়সে ওর বাবা মায়ের সহায় হোক। আর কিচ্ছু চাই না।

    ও ভাল মানুষ হলেই যথেষ্ট। ইতিহাসের পাতায় নাম তোলার কোন দরকার নেই।

    - শোন, সব পিতা চাইবেন যে তাঁর সন্তান তাঁকে ছাড়িয়ে যাক। গুরু চাইবেন- শিষ্যাদ্‌মিচ্ছেৎ পরাজয়ম্‌! শিষ্যের হাতে পরাজয়। এটাই সনাতন ভারতের পরম্পরা। আর ভারত কেন, গোটা বিশ্বেও তাই। দেখ, সক্রেটিসের শিষ্য প্লেটো, তাঁর শিষ্য অ্যারিস্টটল। আবার অ্যারিস্টটলের শিষ্য আলেকজান্ডার হলেন কর্মযোগী, বিশ্ববিজয়ী।

    এভাবেই সভ্যতা এগিয়ে চলে। তোমার ছেলেকে তোমারই মত ভেতো বাঙালি করে বড় করতে চাও?

    বুঝে ফেললাম আমার বিশ্ববিজয়ী পুত্রের গুরু অ্যারিস্টটলটি কিনি? খালি গুরুর দক্ষিণা কত সেটা ক’দিন পরে জানা যাবে। একদিকে ভালই হোল। আমার বদলির চাকরি। খোকাকে সময় দেয়া, ওকে অংক, ইংরেজি শেখানো এবং হোমটাস্ক করিয়ে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

    তা খোকাকে কি এনসিসি করাতে চান? গাড়ি ও বন্দুক চালানো?

    - তোমার যত ছোট চিন্তা! ও কি পুলিশ হবে না সাধারণ সৈনিক? ও হবে কম্যান্ডার। ওকে নিজে হাতে বন্দুক চালাতে হবে না। ও স্ট্র্যাটেজি বানাবে, প্ল্যানিং করবে। তার জন্য দরকার উর্বর মস্তিষ্ক এবং চরিত্রনির্মাণ। ও তোমার যত বদ অভ্যেস সব এড়িয়ে চলবে। সিগ্রেট খাবে না, মদ ছোঁবে না, মেয়েদের পেছনে ঘুরঘুর করবে না। যাবনিক আদবকায়দার বদলে আমাদের সনাতন রীতিনীতি আত্মস্থ করবে।

    যেমন, “মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ”। ও ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের মাতৃবৎ ভাববে এবং নির্লোভ হবে।

    - মরেছে! সব মেয়েদের মা ভাবলে ও বিয়ে করবে কী করে? আপনি কি চান ও আজীবন ব্রহ্মচারী থাকুক, আনন্দমঠের সন্ন্যাসীদের মতন? তাহলে আমার বাড়িঘর কার জন্যে? বুড়ো বয়সে আমাদের দেখবে কে?

    - এখন থেকেই নাকে কান্না শুরু করলে? আরে বড় হয়ে নিশ্চয়ই বিয়ে করবে কোন মেয়েকে। কিন্তু বাকি সব মেয়ে ওর জন্যে মাতা অথবা ভগিনী হবে। কোন গার্লফ্রেন্ড-ট্রেন্ড নয়। একটা বয়সে ল্যাঙোট কষে বাঁধতে হয়। তোমার মতন ঢিলেঢালা হলে---।

    এবার আমার রাগ হোল। উনি আমার মধ্যে বেচাল কী দেখলেন? ওনার বোনকে কখনও ঠকিয়েছি? বেপাড়ায় গেছি? হ্যাঁ, বিয়ের আগে একটু টুং টাং ফুং ফাং কার না থাকে?

    যাক গে, সবাই জানে যে ম্যান প্রোপোজেস্‌ , ওম্যান ডিস্পোজেস্‌। কাজেই গিন্নির বড়দার অভিভাবকত্বে ‘নন্দের আলয়ে কৃষ্ণ দিনে দিনে বাড়ে’- এমনটাই হবে।

    কিন্তু বড়দা, আপনার কল্পনা তো ঠিক আলেকজান্ডারের সঙ্গে মিলছে না। উনি তো নিজে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতেন, হাতিয়ার চালনায় পারঙ্গম ছিলেন। তাহলে আপনার ভাগ্নের জন্যে রোল মডেল কাকে ভেবেছেন? অবশ্যি নরাণাং মাতুলঃ ক্রমঃ। আপনি থাকতে--।

    বড়দা মিটিমিটি হাসেন। সবুরে মেওয়া ফলে।

    হায়, তখন যদি একটু খতিয়ে দেখতাম। আমার কুলপ্রদীপ!

    ৩ হিটলারের বিকাশ

    রাশি নক্ষত্র মিলিয়ে খোকার নাম রাখা হল রামচন্দ্র। ভর্তি করা হোল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে- সোজা কথা! কোন প্রাদেশিকতার ছাপ ওর মামাবাবুর অপছন্দ।

    - কিন্তু দুদিনে ও পাড়ার লোকের মুখে রামু হয়ে গেল, আর বন্ধুরা ডাকল রেমো বলে। স্কুলে কিছু হিন্দি অঞ্চলের ছেলে এসেছে। ওরা ওকে দেখলেই “রাম নাম সত্য হ্যায়” বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। তখন খোকাকে ভর্তি করা হল গুরুকুলে, তার অন্যতম ট্রাস্টি হলেন ওর মামাবাবু। ওর স্কুলের খাতায় নাম হল বিজয়প্রতাপ।
    আমি বললাম বাঙালিদের অমন নাম কখনও শুনিনি।

    - অনেক কিছুই শোননি। এবার শুনবে, একদিন এই নাম ইতিহাসের পাতায় উঠবে। একদা বিজয় সিংহ হেলায় লংকা জয় করে পাঠ্যবইয়ের কবিতায় জায়গা পেয়েছেন।

    মামাবাবু ভুল বলেন নি। ক্রমে ক্রমে খোকার মধ্যে শৌর্য বীর্য নেতৃত্বের ক্ষমতা সব প্রকট হোল। কয়েক বছর পরে এক শনিবারে বাড়ি ফিরে দেখি খোকা নেই। গিন্নি কাঁদছেন। কী হল রে বাবা!

    - ওকে পুলিশে ধরেছে। তুমি কিছু কর।

    জানলাম, ওকে থানায় আটকে রেখেছে। তবে আমাকে কিছু করতে হয় নি। খানিকক্ষণ পরে ও ফিরে এল সঙ্গে ওর দ্রোণগুরু। মামাবাবু বন্ড ভরে ওকে ছাড়িয়ে এনেছেন। হাজার হোক ও জুভেনাইল, এখনও গোঁফ গজায় নি।

    ছেলে ফিরল বীরদর্পে, যেন কিছুই হয় নি। একেবারে ‘হেলায় লংকা করিল জয়’ মোডে। মামাবাবুর মুখ গর্বে উদ্ভাসিত। শিষ্য একটা কাজ করেছে- কাজের মতন কাজ!

    - বুঝলে! কাল রাত্তিরে বিজয়প্রতাপ পাঁচটা ছেলের সঙ্গে গিয়ে ঢিল ছুঁড়ে পাশের পাড়ায় যে মসজিদ রয়েছে তার কাঁচ ভেঙেছে, বারান্দায় নোংরা ফেলেছে।

    আমি স্তম্ভিত, কেন করলি খোকা? এসব কী পাগলামি!

    - খোকা নয়, ও বিজয়প্রতাপ। উচিত শিক্ষা দিয়েছে ম্লেচ্ছদের।

    মানে? ওদের অপরাধ?

    - বাঃ , ওরা বাংলাদেশে আমাদের মন্দির অপবিত্র করেনি? ভাঙচোর চালায় নি? এবার বুঝুক কত ধানে কত চাল!

    - বেশ, ওরা গু খেলে তুই গু খাবি? ওরা কুয়োয় ঝাঁপ দিলে তুইও তাই করবি? এ বুদ্ধি তোদের কে দিল?
    খোকা বিপন্ন মুখে গুরুর দিকে তাকায়।

    - ছেলের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বল। ও আর দশটা ছেলের মত নয়। লুকিয়ে ধোঁয়া গেলে না, পানু পড়ে না। বরং সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে।

    - কী করতে? ঢিল ছুঁড়ে মসজিদের কাঁচ ভাঙতে?

    - আরে এটা সামান্য ব্যাপার। ও সবাইকে শেখাচ্ছে ধর্মযুদ্ধের জন্য তৈরি হতে।

    ধর্মযুদ্ধ?

    - হ্যাঁ বাবা। যুদ্ধ তো চলছে, কয়েক শতাব্দী ধরে। তোমার মত বাঙালিরা চোখ বুঁজে থাকলে কী হবে?

    - সেরেছে! তা তোর যুদ্ধ কাদের বিরুদ্ধে?

    - যারা আমাদের মানে হিন্দুদের অসম্মান করে, আমাদের ধর্ম নিয়ে ইয়ার্কি করে তাদের সবার বিরুদ্ধে। হিন্দুস্থান দেশটা আমাদের, মানে হিন্দুদের- সেটা ভুলে যাচ্ছ কেন?

    - ওরে বাবা! দেশটার নাম ভারত, ইংরেজিতে ইন্ডিয়া। সংবিধানের প্রথম লাইন, প্রথম আর্টিকল।

    - ওসব আইনের কচকচি। দেশ চলে জনগণের আবেগে, ভালবাসায়। আমরা কি সাধারণ কথাবার্তায় দেশকে হিন্দুস্থান আর কালোয়াতি গানকে হিন্দুস্থানি সঙ্গীত বলি না? জ্যোতিবাবু কি হিন্দুস্থান পার্কে থাকতেন না? আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের বইয়ের নাম কি ‘হিন্দু কেমিস্ট্রি’ নয়?

    এবার গুরু ময়দানে নেমেছেন। মামাভাগ্নের যুগলবন্দীতে আমি কুপোকাৎ। আমাকে চুপ করতে দেখে খোকার উৎসাহ বেড়ে যায়।

    - আচ্ছা বাবা, তুমিই বল। সংবিধানে মন্ত্রীদের শপথ নেবার সময় ঈশ্বরের নামে শপথ নেবার নির্দেশ রয়েছে না? তাহলে। কোন আল্লা বা যীশুর নাম তো নেই?

    --এবার তুই একটু শোন। ইংরেজিতে ‘গড’ বলা হয়েছে যার মানে ভগবান, আল্লাহ্‌ যীশু সবই হতে পারে, যার যেমন বিশ্বাস।

    --ওসব তো নেহরুদের বিলিতি কায়দার ফল। কিন্তু কোন না কোন ভগবানের নাম তো নিতেই হবে। সেকুলার শব্দটা ইন্দিরা জরুরী অবস্থার সময় জোর করে ঢুকিয়েছিলেন।

    --না বড়দা। শপথ নেবার আর্টিকলে একটা ‘অথবা’ রাখা হয়েছে। তাতে বলা আছে কেউ চাইলে “ঈশ্বরের নামে শপথ করছি” না বলে বলতে পারেন “I solemnly affirm that”, মানে আমি দৃঢ় নিশ্চয় হয়ে বলছি।
    তাই সুপ্রীম কোর্ট সেকুলার শব্দটা খারিজ না করে বলেছে আমাদের সংবিধান এবং রাষ্ট্র গোড়া থেকেই ভাবনায় ‘সেকুলার’।

    এবার খোকা কেমন মিইয়ে গিয়ে মামাবাবুর দিকে তাকিয়ে চোখ নামালো। আমার ওর জন্য কষ্ট হল। কথা ঘোরাতে বললাম- ওসব কচকচি থাক। বল, তুই ছাড়া পেলি কীভাবে?

    - পুলিশের তদন্তে বেরিয়েছে ও আসলে ইঁট ছোঁড়েনি, ভাঙচুর করেনি। ইন ফ্যাক্ট, ওতো মসজিদের আঙিনায় ঢোকেনি। ও তখন সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।

    - তাহলে ভাঙচুর করল কারা?

    - কেন, বাকি চারজন। ওরা দোষ স্বীকার করেছে।

    - বুঝলাম, ওদের নিয়ে গেল কে?

    - কেউ নয়। ওরা নিজে থেকেই দল বেঁধে গেছে। ওরা স্টেটমেন্ট দিয়েছে তো, সাইন করে।

    - খোকার নাম নেয়নি? একজনও না?

    - কেন নেবে? ও হোল লীডার, ওকে ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ওকে পদাতিকদের সঙ্গে এক করে দেখলে চলবে? যুদ্ধ চলবে নিরন্তর।

    - ওরা ছাড়া পেয়েছে?

    - এখনও পায় নি। কাল জুভেনাইল কোর্ট বিচার করবে। বাবা মা জামিন হয়ে ছাড়িয়ে আনবে। ওদের জন্য চিন্তা করতে হবে না।

    - আমি এখনও বুঝতে পারছি না। ওই বাচ্চাছেলেগুলো মুখ বুঁজে রইল? বিজয়প্রতাপ শব্দটা একবারও বলল না? এমন আনুগত্য?

    - উফ, নাথুরাম গোড়সে, গোপাল গোড়সে, কারকারেরা কি সাভারকরের নাম নিয়েছিল? উনি যে কম্যান্ডার! আরও আগে লন্ডনে ছাত্র অবস্থায় সতেরো বছরের মদনলাল ধিংড়া যখন কার্জন-উইলি এবং একজন পার্শি ডাক্তারকে হত্যা করে ফাঁসিকাঠে চড়ল তখন কি একবারও সাভারকরের নাম উচ্চারণ করেচিল? উনি ওকে পিস্তল দিয়ে বলেছিলেন- মেরে এসো; ব্যর্থ হলে আর আমাকে মুখ দেখিও না।

    এই হোল লীডারশিপ কোয়ালিটি- প্রশ্নহীন আনুগত্য সবাই পায় না। আমার ভাগ্নের মধ্যে রয়েছে।

    - বড়দা, আপনি ওকে সাভারকর বানাতে চান? কী দরকার?

    - শোন, এ’কথা যেন পাঁচ কান না হয়। ও আরও বড় কাজ করবে। সাভারকরের অসমাপ্ত মিশন সম্পূর্ণ করবে।

    - কী সেই মিশন?

    - হিটলারের জার্মানি ১৯৩৮ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রিয়া দখল করায় সাভারকর হিটলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এটা ওনার চোখে জার্মানির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাহরণ। মনে করলেন এই ভাবেই ‘হিন্দু ভারত’ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে ।

    - খেয়েছে, আপনি ওকে মেইন ক্য্যাম্ফ ধরিয়েছেন। অত মোটা বই!

    - না না। প্রথম দু’শ পাতা পড়িয়েছি। এখন ওতেই চলবে। আচ্ছা, এখন খেতে বস। বিজয়প্রতাপের খিদে পেয়েছে।

    ৪ জয়-পরাজয়

    রাতে খেতে বসে ফের লেগে গেল বড়দা, থুড়ি অ্যারিস্টটলের সঙ্গে। দোষের মধ্যে আমি বলেছিলাম ওকে নিজের মত বড় হতে দিন না! কেন নিজের পছন্দের ছাঁচে গড়ে তুলতে চাইছেন? এইসব ইতিহাসপুরুষ, সিদ্ধপুরুষ হ্যানো পুরুষ ত্যানো পুরুষ হওয়া অনেক চাপ। শেষে ওর ব্যক্তিত্ব দড়কচ্চা মেরে না যায়! এমন কি বীর হওয়ার চেষ্টায় কোন অপরাধ --!

    আর হিটলারের আত্মজীবনী?

    সবটা পড়ান। পাঁচশ পাতার পর দেখুন হিটলার কী অবজ্ঞার চোখে ভারতীয় জাতি এবং বিপ্লবীদের দেখতেন। ওদের বৃটিশ সাম্রাজ্যের অধীন হওয়াই ভবিতব্য বলেছেন এবং নেতাজির প্রতিবাদ ও অনুরোধ সত্ত্বেও ওই লাইনগুলো বাদ দেওয়া হয় নি।

    ব্যস্‌ ফুটন্ত তেলে জলের ছিটে পড়ে চিড়বিড় শব্দ।

    আমি খাওয়া ছেড়ে উঠে পড়লাম।

    ঘুম আসছে না। ভাবতে লাগলাম এসব কী হচ্ছে? আমার খোকা হিটলারকে রোল মডেল ভাবছে? ও বড় হয়ে ভারতে হিটলারের ক্লোন হবে! আমার কী করা উচিত? আচ্ছা, ওই মামাবাবু যদি হঠাৎ টেঁসে যান!

    হার্টের সমস্যা আছে। সুগার এবং প্রেসার দুটোর ওষুধ খান নিয়মিত। ভগবানের কোন ভুলে যদি এক দিন প্রেসারের ওষুধের ডোজ বেশি হয়ে যায়! অথবা ওনার ওষুধের শিশিতে ট্যাবলেটগুলো বদলে দেয়া হয়? অনেকটা একইরকম দেখতে অনেক ট্যাবলেট আছে। মেডিকোপিডিয়া ঘাঁটতে লাগলাম। দেখতে একইরকম, বিস্বাদ নয় অথচ হার্টফেল হতে পারে এমন ওষুধ?

    আছে আছে। পাওয়া গেছে।

    কিন্তু নেটফ্লিক্সের সিনেমা হয়ে যাচ্ছে না? তাতে তো শেষ মুহুর্তে অপরাধী ধরা পড়ে যায়। আমি জেলে গেলে গিন্নি ও খোকার কী হবে? সংসার ছারেখারে যাবে। তারচেয়ে বড় কথা হোল খোকার চোখে ওর গুরু শহীদ হয়ে যাবে, আর আমি ভিলেন।

    নাঃ এ চলবে না।

    ভোরের দিকে ঘুম এল এবং ঘুমের মধ্যে সমাধান। কেউ হিটলার হয়ে জন্মায় না। ওসব বাজে কথা। শিশু শিশুই থাকে। কাঁথায় শুয়ে হিসু করে, ওঁয়া ওঁয়া করে কাঁদে এবং ফোকলা মুখে খিলখিলিয়ে হাসে।

    উপসংহার

    সকালে রওনা হবার আগে স্ত্রী-পুত্রকে ডেকে পাশে বসালাম। বললাম- আমি আর হাত পুড়িয়ে খেতে পারছি না। বয়েস হচ্ছে। একটা দু’কামরার ভাড়াবাড়ি ঠিক করেছি। তোমাদের আগামী সপ্তাহে এসে নিয়ে যাব। খোকাকে ওখানকার ভালো সরকারি স্কুলে ভর্তি করে দেব। আমরা একসঙ্গে থাকব, আর আলাদা নয়। তোমরা গোছগাছ শুরু করে দাও। টিসি’র ব্যবস্থা বড়দা করে দেবেন। আমি নতুন ভর্তির ব্যাপারটা দেখছি।

    সাতদিন পরে বাড়ি যাওয়া হয় নি, অফিসের চাপ। কিন্তু পরের মাসের মাইনে পেয়ে ভাড়াবাড়ি ঠিক করে ওদের আনতে গেলাম। গিয়ে দেখি কোথায় কী? কোন গোছগাছ হয় নি, সব আগের মত চলছে। খোকা বাড়িতে নেই।
    গিন্নি চায়ের কাপ নিয়ে এসে বললেন- শোন, আমাদের খোকাকে এখন এক ডাকে সবাই চেনে। শুধু এ তল্লাটে নয়, পুরো মহকুমায়।

    - কেন?

    - ওদের স্কুলে একজন মাস্টারমশাই আছেন না? আরে তোমার বন্ধু, যিনি বিয়ে করেন নি। তাকে বেধড়ক ঠেঙিয়েছে। উনি নাকি চরিত্রহীন। মানে ওই হোমো না কীসব বলে। আর কেমিস্ট্রির সুধীনবাবু ও ইংরিজির ফিরদৌসি লাভ ম্যারেজ করেছিল। খোকা সমস্ত ছাত্রদের নিয়ে আন্দোলন করে- এমন লুজ ক্যারেক্টার টিচারদের গুরুকুলে রাখা হলে ওরা পড়বে না। এসব সনাতন আদর্শের সঙ্গে বেমানান।

    - সর্বনাশ! ফের পুলিশের খাতায় নাম? ওর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এইজন্যেই বলেছিলাম যে-

    - আরে না না। ওসব কিছু হয় নি। পুলিশ ফুলিশের ঝামেলা নেই। কেউ নালিশ করেনি তো। সেই দু’জন টিচার গত সপ্তাহে গুরুকুল থেকে রিজাইন করে এখান থেকে চলে গেছে। আর খোকাকে এখন সবাই বিজয়প্রতাপ নামে চেনে।

    - খোকা কোথায়? ওর সঙ্গে কথা বলব।

    - কেন? ও তোমার সঙ্গে যাবে না। স্কুল বদলাবে না। ওদের প্রভাত ফেরি শুরু হয়েছে। ওরা জিতে গেছে তো! চল ছাদে গিয়ে দাঁড়াই। ওরা আসছে।

    একশ’ জন ছেলে হেঁটে চলেছে। সামনে দু’জন ড্রাম বাজাচ্ছে। সমবেত কন্ঠে একটা গান বাতাসে ভেসে আসছে।

    “ধাও ধাও সমরক্ষেত্রে, গাহ উচ্চে রণজয় গাথা,
    রক্ষা করিতে পীড়িত ধর্মে ওই শোন ডাকে ভারতমাতা।
    চল সমরে দিব জীবন ঢালি, জয় মা ভারত, জয় মা কালী।”

    হ্যাঁ, হিটলারের মৃত্যু নেই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    অবিস্মরণীয় নজরুল | বাঙালি বিদ্বেষ ও পরিচিতি নির্মাণের রাজনীতি | সোনম ওয়াংচুক: গণতন্ত্র কি শুধুই কাগজে-কলমে? | নবান্ন, গাজা থেকে বাংলার দুর্ভিক্ষ | দুই ঘর | সমসাময়িক | ফ্লোটিলা | ঢাকের দিনে ঢুকুঢুকু | দু-প্যান্ডেলের মাঝখানটায় | সুন্দরী কমলা নাচে রে | কাশী বোস লেনের পুজো : লড়াইয়ের হাতিয়ার | অস্তিত্ত্ব | শালপাহাড়ের গান | পুজোর দিনগুলি | অপেক্ষা-দিন | ভোলুরামের হাঁচি ও মত্তের উৎসব | এ অবধি আঠারো | মিনিবাসে গদার | জালিকাটু | তিনটি কবিতা | সাত সেতুর সাতকাহন | ফ্রান্স - একটি অবতরণিকা | শারদীয়া | বালিকা ও ইস্ত্রিওয়ালা | তিনটি কবিতা | গগন | যে জীবন গেঁড়ির, গুগলির | লা পাতা | দু’টি কবিতা | ধাতব পাখিটি একা | নিষিদ্ধ গন্ধ ছড়িয়েছে হাসনুহানা বলে | তিন ঋতুর কবিতা | গ্যেরনিকা | "এই জল প্রকৃত শ্মশানবন্ধু, এই জল রামপ্রসাদ সেন।" | ছায়া দুপুর | আমাদের ছোট নদী (২) | শারদ অর্পণ ২০২৫ | আমি হিটলারের বাবা | হিমাংশু ও যতীনবাবুদের খবরাখবর | যে চোখে ধুলো দেয় তার কথা | লক্ষ্মীর ঝাঁপি | ত্রিপুরায় পিরামিড রহস্য | এবং আরো শিউলিরা | উৎসব সংখ্যা ১৪৩২
  • ইস্পেশাল | ২০ অক্টোবর ২০২৫ | ৯৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Kishore Ghosal | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৯735077
  • বাঃ। দারুণ গল্প।   
  • | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০৯735080
  • erm.. আমার গল্পটা তেমন ভাল লাগল না রঞ্জনদা। কিরকম জোর করে মেলানো লাগছে। মানে এরকম হয়। খুবই হয়। কিন্তু এই গল্পটাতে সেই হওয়াটা স্বত:স্ফুর্তভাবে এলো না। 
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:১৬735081
  • @দ
    আমি তোমার সঙ্গে একমত l কেমন যেন ফর্মুলা ফর্মুলা গন্ধ l হতে হতে হয়ে ওঠেনি l দায়সারা ভাব l
     
    অন্য ভাবে চেষ্টা করব l
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩৪735083
  • "যেন ফর্মুলা ফর্মুলা গন্ধ l হতে হতে হয়ে ওঠেনি l দায়সারা ভাব l"
     
    ফরমুলা হোক না হোক, ভয়ঙ্কর একটা বাস্তবের যে ছবি এঁকেছেন পড়ে শিউরে উঠতে হয়। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:১৭735087
  • অরিন বাবুর সঙ্গে হুনডারট প্রোতসেনট একমত 
    "ফরমুলা হোক না হোক, ভয়ঙ্কর একটা বাস্তবের যে ছবি এঁকেছেন পড়ে শিউরে উঠতে হয়। "। গ্রেট ডিকটেটরের মতন। 
    ভ্রাত :বইয়ের নাম মাইন কামফ ! আমার লড়াই 
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৩৯735098
  • দাদা 
    শুধরে নিলাম l
    --মাইন  কামফ।
  • শ্রীমল্লার বলছি | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৪১735103
  • এর মধ্যে যে হাস্যরস রয়েছে, সেটা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে! 
  • জয় | 2a02:26f7:c88c:707d:0:7000::***:*** | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ০৩:১০735105
  • রঞ্জনদা দরকারি লেখা। খুবই ভয়ের সময়। ইংল্যান্ডে এপ্রিল থেকে চরম দক্ষিণপন্থী দল রিফর্ম পার্টি ৫-৭ পয়েন্টে ধারাবাহিক ভাবে লিড করছে। চতুর্দিকে হিটলার হিমলার গোয়েবলস কিলবিল করছে। 
  • kk | 2607:fb91:4c21:664d:6d19:be00:1c38:***:*** | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:০৩735106
  • এই লেখাটা আমার একটু রাশড লাগলো। লেখার কনটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ তাতে সন্দেহ নেই।
  • হীরেন সিংহরায় | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৩৯735123
  • জয় 
     
    স্থিতি গম্ভীর 
     
    এদেশ রিফরম এগিয়ে 
     
    এদিকে লেটেস্ট 
    জার্মান ট্রেন্ড %
     
    এফডি ২৬ 
    সি ডি উ ২৪ 
    এস পি ডি ১৪ 
    গ্রিন ১২ 
    লিংকে ১১ 
     
    হাঙ্গেরি চেক স্লোভাকিয়া নেদার‍ল‍্যানড অস্ট্রিয়া একই পথের পন্থী । 
     
    Die Werte im Einzelnen: AfD 26 Prozent (Bundestagswahl am 23. Februar: 20,8 Prozent) CDU/CSU 24 Prozent (28,5 Prozent), SPD 14 Prozent (16,4 Prozent), Grüne 12 (11,6 Prozent), Linke 11 (8,8 Prozent)
  • <> | 2405:201:802c:7858:f12f:59df:2845:***:*** | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০৭735125
  • দেখুন রঞ্জনদা, এসব লেখা লিখে কিস্যু হয় না, দক্ষিণপন্থীদের উত্থান এসব লেখা লিখে তো আর আঁটকায় না। গল্প লেখার উদ্দেশ্য কি শুধু জানা কথাটা জানিয়ে দেওয়া যে, দেখ চতুর্দিকে কী বিপদ? অথচ, লেখা পড়ে সবাই খুশী, তারা জানা কথাটাই জেনে যাচ্ছে ! এগুলো নেহাত শিশুপাঠ্য হচ্ছে, না আছে 'কেন, কী বৃত্তান্ত" তার অনুসন্ধান, না আছে লেখার গুণ।

    আপনাকেই বললাম, অনেক পড়েছেন, অভিজ্ঞতাও অনেক বলে।
  • হীরেন সিংহরায় | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:২৯735128
  • <>
     
    ঠিক একমত হওয়া গেল না ! গুন্টার গ্রাসের ব্লেখ তরোমেল ( টিন ড্রাম ) অথবা ইস্তভান সাবোর মেফিসটোকে মনে করিয়ে দেয় রনজন । প্রসঙ্গটা আরো সাময়িক কারণ জার্মানির সবচেয়ে হালের ট্রেন্ড লাইন দেখাচ্ছে সে দেশ কোনদিকে যাচ্ছে । জার্মানি অবশ‍্যই একা নয় 
  • Ranjan Roy | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৫৯735129
  • @<>
     
    ১.আপনার সঙ্গে সহমত যে লেখাটার কোন গুণ নেই, দাঁড়ায় নি।
     
    ২ এটা লিখে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান আটকানো? না, সেরকম কোন এজেন্ডা নেই । এরকম লেখা লিখলে বা না লিখলে  কারও কিছু এসে যাবে না। দক্ষিণপন্থীদের তো একেবারেই না। 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৫৩735149
  • গল্পকার কথক সত‍্যিটুকু তুলে ধরলেই অনেকটা হয় না কি, তাঁর ওপর ভুবনের ভার না চাপালেই নয়? 
    এ বাদ দিলে রঞ্জনবাবুর "লেখাটার কোন গুণ নেই" বক্তব‍্যের  সঙ্গে একেবারেই একমত নই। কে বলে এ লেখার কোন গুণ নেই? গুণ না থাকলে এতজন মানুষ পড়ে ভাল মন্দ যা হোক মন্তব‍্য করছেন তো। 
    আমার বেশ ভাল লেগেছে। 
    এ সময়ের ছবি তো ফুটেছে। 
    আবার কি চাই?
  • <> | 2405:201:802c:7858:f12f:59df:2845:***:*** | ২২ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪০735154
  • সত্যিটুকুই হল ভুবনের ভার। গল্পকার, হ্যা, যে কোন গল্পকারই, যে ভেবেছে সত্যি প্রকাশ করবে, সে তখনই ভুবনের ভার নিয়ে নিয়েছে। সুতরাং পাঠক তো চাপায়নি, লেখক যেচে নিয়েছে, এরকম টপিক নিয়ে গল্প লেখার কথা ভেবে আরোই নিয়েছে। এখন বললে তো হবে না, ভুবনের ভার নিইনি, টাইম পাস করছিলাম। কিন্তু, ঐ সত্যিটা গল্পের মাধ্যমে বার করে আনাই তো লেখা, বাস্তবে তো কী চলছে সে সবাই জানে, যারা পড়ছে, সারা পৃথিবী জুড়ে, কাগজ দেখলেই বুঝে যাওয়া যাবে যে দেশের হাল কী, কিন্তু গল্প পড়ি যখন তখন তো আর ঐসব জানা মিলিয়ে নেওয়ার জন্য পড়িনা, চেনা খবরকে আবার চিনে নেওয়ার জন্য পড়ি না, পড়ি তো, বিশেষের মধ্যে দিয়ে সমগ্রকে দেখার জন্য। এ গল্পের নামে হিটলার শব্দটি ব্যবহার করে পাঠককে প্রথমেই 'কিউ' দিয়ে দেওয়া হয়েছে গল্পটি কী নিয়ে, আর ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা হয়নি। একটা হাসির ভাব তৈরী হয়েছে হিটলারের বাবার আচরণে, গল্পের সে উদ্দেশ্য ছিল কিনা জানা নেই।

    আর হীরেনবাবু যে সব কাজের উল্লেখ করলেন, মনে হল হিটলার নামের ব্যবহার তার উদ্দেশ্য সফল করেছে।
  • Ranjan Roy | ২২ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩৪735158
  • "হাসছে যে, ভীষণ খবরটা সে পায়নি এখনও, 
    তাই হাসছে"।  --বেরটল্ট ব্রেখট।
     
    <> 
    না, খবরের কাগজে সব খবর বেরোয় না। বঙ্গে বসে সব জানা সম্ভব নয়। যেমন ক'জন জানেন যে দীপাবলীর রাতে দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার বিখ্যাত দরগায়  কিছু লোক ঢুকে জোর করে দীপাবলীর প্রদীপ জ্বালিয়ে এসেছে। মজার ব্যাপার, তখন সেখানে আর এস এসের নামজাদা নেতা ইন্দ্রেশ কুমার প্রতিবছরের মত এসে চাদর চড়িয়ে বসেছিলেন। ওনার সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। 
    সুদর্শন চ্যানেল সেই ঘটনাকে বিজয় উৎসবের মত দেখাচ্ছে। 
    নামজদ এফ আই আর হয়েছে -- ব্যস। ওইটুকুই। 
     
    ক'জন বাঙালী এই ঘটনার ব্যাপারে জানেন, হয়ত আপনি ব্যতিক্রম। 
     
    এই লেখাটা বাঙালী পাঠকের জন্যে। হিন্দি বলয়ে আমার প্রত্যক্ষ যা অভিজ্ঞতা তা আমি এখানে লিখতে পারব না। তাই গল্পটি বাঙলার কাল্পনিক পরিবেশে। 
     
    খবরের কাগজে ভূমিকম্পে দশ হাজার লোকের মৃত্যুর খবরের অভিঘাত যা হয় আর চোখের সামনে দুটো ডেড বডি দেখার যে অভিঘাত তার কোন তুলনা হয়? 
    দক্ষিণ পন্থের উত্থানের খবর কাগজে পড়লাম -- বেশ। কিন্তু তার নানা রূপ, তার প্রকাশ আলাদা গত শতাব্দীর তিরিশের দশক আর আজকের সময়ে অনেক তফাৎ। 
     
    মানছি, সাহিত্যের কাজ বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন করানো। তাতে কেউ সফল হয়, কেউ হয় না। কিন্তু এই সময়ে চেষ্টা চালানো উচিত, তাই করছি। 
     
    বাবার হাসিটা অসহায়ত্বের, আত্মকরুণার। কোন ঠাট্টা মশকরা নয়। যেমন স্কুলে বাচ্চা ছেলে র‍্যাগিং এর সময় জোর করে হাসে। 
    আমার ব্যর্থতা, লেখা পড়ে পাঠকের তা মনে হয় নি।
     
    আপনাকে ধন্যবাদ খুঁটিয়ে পড়ার জন্যে। আপনার ফীডব্যাক আমার সম্পদ। তবে একটা গল্প থেকে আপনি অনেক কিছু আশা করেন -- কারণ অনুসন্ধান ইত্যাদি। আমার সাধ্য নেই গল্পে সেটা ফোটানোর। এর জন্যে আমি প্রবন্ধ লিখি, গুরুর পাতায় এবং অন্যত্র। 
    আমার কথাগুলো অন্যভাবে নেবেন না প্লীজ। 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১০:১২735160
  • রঞ্জনবাবু, "হাসছে যে, ভীষণ খবরটা সে পায়নি এখনও, 
    তাই হাসছে"
     
    সেই কবে শঙ্খ ঘোষ লিখে রেখেছেন,
     
    "পেটের কাছে উঁচিয়ে আছো ছুরি
    কাজেই এখন স্বাধীনমতো ঘুরি
                   এখন সবই শান্ত, সবই ভালো। 
    তরল আগুন ভরে পাকস্থলী
    যে-কথাটাই বলাতে চাও বলি
                   সত্য এবার হয়েছে জমকালো।" 
    সুতরাং
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২২ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৪৫735194
  • রঞ্জনবাবু, আপনাকে একান্ত অনুরোধ উত্তর ভারত বা হিন্দি বলয়ে দেখা আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ধারাবাহিক ভাবে ব্লগে লিখুন। সেন্সর না করেই লিখুন।
  • syandi | 2401:4900:8829:4be3:74f9:9d4:a9a6:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৩৪735196
  • আমার ভালো লেগেছে রঞ্জনদার লেখাটা। হাসি-মজার মোড়কে উনি দেখিয়ে দিয়েছেন ভারতের সামনের দিনগুলোর সম্ভাব্য় হালটা। অবশ্য গোটা পৃথিবীতেই কট্টরতার চাষ চলছে। রমিতবাবুর মত আমারও অনুরোধ রঞ্জনদার প্রতি যে উনি ওনার অভিজ্ঞতা যেন লেখেন দরকার হলে আলাদা একটা টই খুলে। রঞ্জনদার দেখার চোখও যেমন আছে, তেমনি গুছিয়ে গল্প বলতেও জানেন। 
  • Ranjan Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০৬735206
  • এই দেখুন না,  কালকের দুটো ঘটনা l
    উত্তর প্রদেশ এবং বিহার l
    Lucknow এর কাছে  শীতला মন্দিরের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় এক দলিত বুড়োর সুসু হয়ে যায় l ও অসুস্থ এবং asthmatic. 
    ওকে লাথি মেরে বলা হয় চেটে পরিস্কার করে দে l
    ও ভয়ের চোটে তাই করে l
    তারপর দলিত সমাজের নেতারা বললে ও গিয়ে থানায় নালিশ করে l video তে थानेदार এবং ওর কথা শুনলাম l
    2
    বিহারে কিছু बदमाश রাত্রে একটি মসজিদে ঢুকে ভাঙচুর করে ও ধর্ম গ্রন্থ ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয় l কারা করেছে? কেউ জানেনা l
     
    3 গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মধ্য প্রদেশে এক বিশেষ দল এর লোক একজন দলিত এর গায়ে সু সু করে l ইলেকশন সময় l তাই দলের নেতারা माफ চেয়ে নেন l
    এগুলো কোলকাতার কাগজে বেরোয়?
  • <> | 103.99.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩৮735208
  • রঞ্জনদার উদ্দেশ্য কী ? উত্তর ভারতে যা ঘটছে সেসব যেহেতু অনেক বাঙালি জানে না, পড়ে না, তাই গল্পচ্ছলে সেগুলো জানিয়ে দেওয়া ? এখন এতে হয় কী, না হয় গল্প না হয় ঘটনার প্রচার। যদি গল্প লিখেই দেশের পরিস্থিতি 'জানাতে' চান, তাহলে বলব সেটি হয়ে উঠবে ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখে ইতিহাস শেখানোর উল্টোদিক। গল্প লেখার থেকে ঢের সহজ হবে, একটা ব্লগ খোলা যেখানে "খবরে প্রকাশ" বলে ঘটনাগুলো নিয়ে লিখলেন, নিজের মন্তব্য দিলেন। অনেক বেশী এফেক্টিভ হবে মনে হয়, গল্প লিখে হোয়ানিভার্সিটির মোকাবিলার চেষ্টা করার থেকে, আসল খবর জানানোর সৎ উদ্দেশ্যে সফল করার জন্য।

    আর একটা পথ আছে মনে হয়, যদি চেনাজানা মানুষকেই জানানো উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে অন্ততঃ দুটো ইংরেজী কাগজ রেফার করলেন। আমি তো আপনার লেখা তিনটে ঘটনার দুটো অন্ততঃ indian express এ দেখেছি, গতকাল।

    গতকাল করা আপনার পোস্ট নিয়ে কিছু লেখার ছিল, উত্তর ভারতের ঘটনা বাংলায় কাল্পনিক প্রতিস্থাপন (খুবই প্রব্লেম্যাটিক) , তিরিশের জার্মানি আর এ দেশের অবস্থা এক নয় (ঠিকই লিখেছেন) ইত্যাদি নিয়ে। দেখি, লিখি কিনা।

    আর, ভেবে দেখলাম, গল্প লিখে মানুষকে জানানোই যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সে তো একরকমের agenda ই হল, কিন্তু প্রথমদিকে আপনি লিখেছিলেন আপনার কোন agenda নেই !
  • <> | 103.99.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:০৫735209
  • আপনার শেষ পোস্টের, ১ আর ৩ এর ঘটনা নিয়ে কি আপনি গল্প লিখে ফেলবেন ? বা ক'দিন আগে ইউপিতে "ড্রোন চোর" বলে একজনকে পিটিয়ে মারা হল বা আর একজন দলিত (বাল্মিকী কমিউনিটির) যাকে মেরে ফেলা হল, রা- গা তার বাড়ি গেল, এসব এসবই আপনি 'বাঙালী' - কে জানাতে চান ? গল্প লিখে ? এ হয় নাকি ? কেউ পারে ? এমনও তো হতে পারে, হয়েই গেছে বলে মনে হয় যে দেশের পরিস্থিতি, সাহিত্যর যা ক্ষমতা তাকে তুচ্ছ করে বেরিয়ে গেছে, যা চলছে সেসব খবরের কাগজের রিপোর্ট দিয়েও বুঝে ওঠা যায় না, সেসব ৫০০ শব্দের নিতান্ত বর্ণনামূলক গল্প দিয়ে কেউ ধরে ফেলবে ? রুশদি -র ম্যাজিক রিয়েলিজম ও তো কম পড়বে এসবের জন্য। (হ্যাঁ, সেসব যদি লিখতে পারেন, তাও নয় পড়ার মত কিছু একটা হবে বলে মনে করি।)
  • r2h | 208.127.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩৫735211
  • ইন্টারেস্টিং, এই জিনিসটা আমারও প্রায়ই মনে হয়, উদার বাম ইত্যাদি স্পেসের বেশিরভাগ জিনিসপত্র প্রিচিং টু দ্য কয়ার কিনা; চারদিকের অবস্থা দেখে ভ্যাবাচ্যাকা লোকজন আরও একটু রেগে উঠছে।
    অন্যদিকে, সাহিত্য ঠিক কতদূর, কী করতে পারে? প্রত্যাশাটা কী? মানে গল্পে তো আর উদাহরন দিয়ে ভুবনের মাসির মত হবেন না কিন্তু, এমন বলা আজকের দিনে যায়ও না, কেউ শুনবেও না। তো, এজেন্ডামূলক সাহিত্য হলে তাতে ঠিক কতটুকু কী হতে পারে?

    জানিয়ে দেওয়া টেওয়া ওসব কিছু না, সবাই সব জানে আজকাল, রুচি পছন্দ মত চক্ষু বোজে বা মেলে। রঞ্জনদার বলা খবরগুলির মধ্যে ১ নং তো আবাপতে দেখলাম কাল না পরশু। এইসব চতুর্দিকে হয়েই চলেছে, যাদের জানার অনিচ্ছে নেই তারা জানেই।

    কিন্তু আবার তাতে সামাজিক আসাম্য বা সমস্যা বিষয়ে বারবার বলার দরকারটাও ফুরিয়ে যায় না।

    তো, ঐ, প্রত্যাশা কী, কতদূর কী হতে পারে- এইসব নিয়ে বিস্তারিত পড়তে আগ্রহী।
  • <> | 103.99.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:০১735212
  • হ্যাঁ, ১ নং খবরটা আবাপে ছিল, প্রতিদিন - এও ছিল। ৩ নং টা পুরোন ঘটনা, নিশ্চয় তখন বেরিয়েছিল। আর এইসব ঘটনা সোশাল মিডিয়াতেও ঘোরে, বিজেপির বিরুদ্ধে। তো, রঞ্জনদা ঠিক কেন মনে করেন যে এসব খবর বাংলার লোকে জানে না বা কারা ঠিক সেইসব লোক, সেটা বোঝা দরকার।

    পুণাতে এক জায়গায় (ফোর্ট না কোথায় যেন) নমাজ পড়া হয়েছিল বলে, ভাজপার মহিলা সাংসদ গিয়ে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করেছেন, দু'দিন আগে ঘটেছে। এবার রঞ্জনদা ওদিকে থাকেন না বলে কে এখবর জানানো হবে না ?বা, হিন্দুদের যে কোন পুজো - উৎসবের সময়ে একটা SOP হল যে মসজিদের সামনে নাচা হবে, গান বাজানো হবে, খিস্তি করা হবে, তারপর ঝামেলা বাঁধবে, দাঙ্গা হবে, পুলিশ গিয়ে ঐ 'ওদেরই; ধরবে। এই যেমন কদিন আগে কটকে হল, তিরিশ বছর পরে হিন্দু - মুসলিম ঝামেলা, ভাসানের সময়ে মসজিদের সামনে ঘটনা দিয়ে শুরু, তারপর VHP ইত্যাদির নেমে পড়া।

    চতুর্দিকে এতসব ঘটে চলেছে কিন্তু রঞ্জনদা যদি মনে করেন সেসব লোকে জানে না, তাহলে আগে খুঁজতে হবে কেন জানে না। সেই বিষয় নিয়েই একটা গল্প লেখা হতে পারে। হিটলারের বাবা নয়, আমি ভাল ছেলের বাবা, সে নিয়ে। অথবা, রঞ্জনদা যেমন আগে লিখলেন যে উত্তর ভারতের কথা সরাসরি বলতে পারবেন না, কেন পারেন না সে নিয়ে একটা গল্প লেখা যায়, সে গল্পে রঞ্জনদার মত কেউ প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠে, গল্প তথাকথিত অব্জেক্টিভ আর চারপাশের বর্ণনা না হয়ে সাবজেক্টিভ হয়ে উঠতে পারে। আমার তো আজকাল মনে হয়, লিখলে এরকম গল্প লেখকদের লেখা উচিত যেখানে বর্তমানের দেশের পরিস্থিতিতে তারাই গল্পের 'চরিত্র'।
  • Ranjan Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:০৯735213
  • 1  আপনি বিশেষ ব্যক্তি l গড়পড়তা বাঙালি IE নয়, আনন্দ, আজকাল, এই সময়,  বর্তমান পড়েন
    2 আমি সাংবাদিক না,  যে লোককে খবর জানানোর দায়িত্ব নেব l
    আর আগেও বলেছি-- খবরের কাগজের রিপোর্ট  পড়ে সেই মানসিক অভিঘাত হয় না l
     
    উদাহরণ দিলাম এই জন্যে যে আম বাঙালি জানে না বাস্তবে কী হচ্ছে l সেগুলো ন্যাশনাল লেভেলে বেরোয় না l
    তাহলে  লিখি কেন? লিখি নিজের জ্বালায়, ব্যস্ l ভেতরে গ্যাস ভরে গেলে রাতে ঘুম হয় না l ওই টুকুইl এছাড়া কোন মিশন নেই l
     
    আর ঘটনার বাইরের বিবরণ দিয়ে ভেতরে ভেতরে যে tectonic প্লেট  সরে যাচ্ছে তা ধরা যায় না l গল্পে চেষ্টা করি l তবে প্রবন্ধ লিখি,  ইতিহাস নিয়ে,  शास्त्र নিয়ে l দর্শনের ব্যাখ্যা নিয়ে l
     
    4 আমার উপর কিছু embargo আছে l কে চাপিয়ে দিয়েছে বলা যাবে না l তাই যা বলি-আকারে ইঙ্গিতে l অতএব যা দেখেছি তা হুবহু লেখা যাবে না l
     
    5 লেখার শিল্প গুণ l
    আরে আমি হরিদাস পাল l আপনি আমার থেকে অনেক বেশি আশা করেন l ওসব আমার সীমিত  
  • Ranjan Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৫735214
  • 1 ভারতের পদ্ম পুরস্কার পাওয়া বিখ্যাত হকি forward शाहिद এর দোতলা বাড়ি बुलडोजर ভেঙে দিল,  গত মাসে l বুড়ো शाहिद হাত জোড় করে  বলেছিল-- 24 ঘন্টা সময় দিন স্যার
    শোনা হয় নি l
    2 Uttarakhand landslide হয়ে tunnel থেকে আটকে পড়া লোকদের rat holing করে যে বাঁচালো তার বাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে l
    3 गोरखपुर এ উত্তর  প্রদেশের পুলিশের গাড়িতে  লাঠি ও পাথর ছুঁড়ে হামলা করে কিছু হিন্দু মেয়ে ও পুরুষ l একজন পুলিশ আহত l
    না  , কারো বাড়ি ভাঙা হয় নি l
     
    আমি চুপ করলাম l
    আর কিছু বলার নেই l
  • Ranjan Roy | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০৪735215
  • শেষ কথা l
    আমার গল্পে এমন কোন ঘটনার কথা নেই তো l
    লোককে "জানানো আমার কর্তব্য " এটা আপনি ধরে নিয়েছেন l তাই ভুল presumption এর উপর বিশাল structure দাঁড় করিতেছেন l
     
    আমি আগে যা বলেছিলাম এখনও তাই বলছি l
    আমার ওরকম কোন महान উদ্দেশ্য নেই l
    লিখি নিজের জন্যে,  নিজের ভেতরের জ্বালা খানিকটা অন্যের সঙ্গে ভাগ করতে l
    খবর নয়,  জ্বালা টুকু l
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২১735216
  • রঞ্জনদা, কোন পাঠক বলেছেন এ গল্প লেখার কোন মানে হয়না, দরকারই নেই। আর অন্য কেউ বলেছেন বেশ লেখা। কেউ বলেছেন এই রকম লেখার দরকার আছে। এ ত হয়, হয়ে আসছে কতকাল। আমাদের যাদের মনে হয়েছে এমন লেখার দরকার আছে, তারা আপনার এমন লেখার অপেক্ষায় থাকব।
     
    লেখা নিয়ে একেবারেই অন্য কিছু কথা ছিল। তার পরিসর ভিন্ন বিধায় অন্য কোন সময় তা নিয়ে আলাপ করা যাবে।
  • <> | 2401:4900:7076:1878:a0e8:f047:1ddf:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০২735217
  • রঞ্জনদা, দেখুন, আমি একটা পোস্টে লিখেছিলাম, বাস্তবে কী ঘটছে সে সবাই জানে। তাহলে গল্প পড়ব কেন ?

    তার পরেই আপনি লিখেচিলেন, যে , না সব কথা সবাই জানে না। এই বলে একটা উদাহরণ দিয়েছিলেন, ঘটনার। এবং, এও লিখেছিলেন, যে এই গল্প বঙ্গের পাঠকের জন্য। তারপরও বিভিন্ন ঘটনা কোট করেছেন। তো, আমার সিদ্ধান্ত যে আপনি বঙ্গের আম- বাঙালীকে সচেতন করার জন্যই এই লেখা লিখেচেন। কর্তব্য না হতে পারে, উদ্দেশ্য সেটাই।

    পরের পোস্টগুলো পড়ে দেখুন।

    জ্বালা নিয়ে সন্দেহ নেই, আপনিও প্যাঁচে পড়েছেন, অনেকেই, বর্তমান পরিস্থিতির জন্যই। কিন্তু সে প্যাঁচ থেকে বেরোবার উপায় এরকম লেখা না বলে মনে করি। উদ্দেশ্য আর তাকে সফল করার জন্য art , এর মধ্যে যোজন যোজন তফাত। কিন্তু আমরা সবাই রাজনৈতিক, খুব তাড়াতাড়ি সমাধান চাই, জ্বঅলা জুড়োতে চাই, মেনে নেওয়া ভাল, সেসব সহজে ঘটে না। রাজনীতি বলুন আর লেখা, দুই তো সফল হয় অনেক পরিশ্রমের পরে। সেই জন্যই প্রথমে লিখেছিলাম, যে এসব লেখা লিখে কিসু হয় না।
  • <> | 2401:4900:7076:1878:a0e8:f047:1ddf:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১২735218
  • সমস্যা মনে হয় হচ্ছে যে 'সবাই জানে' বলতে আপনি ধরেছেন প্রতিটি বিশেষ ঘটনা। আর, আমি বলতে চেয়েছি, সামগ্রিক পরিস্থিতি। আপনার জ্বালা, ঐ একের পর এক ঘটনার জন্য তৈরী হওয়া সামগ্রিক অবস্থা। সব পোস্টগুলো পড়লে বুঝবেন, সকলেই ধারণা আছে চতুর্দিকে অবস্থা নিয়ে, দেশ বিদেশ ইত্যাদি। কিন্তু সেই অবস্থা লেখা দিয়ে কীভাবে এক্সপ্রেস করবেন সেটাই তর্ক।

    দুটো ইঙ্গিত দিতে পারি। একটা, এবারে যে নোবেল পেয়েছে, ক্রাজনোহোরকাই তার লেখা। যদি বলেন, ওরে বাবা নোবেল, আমি অত বড় নই, তাহলে বলব, হাতে পাঁজি, দেবেশ রায়ের প্রতিবেদনগুলো।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন