এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ এপ্রিল ২০২৩ | ২০১১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • কী করব, কী করা উচিত এমন নানা প্রশ্ন বেশ অনেকদিন ধরেই ঘুরছিল। বেকার জীবন তো বেশ লম্বা বানায় ফেলছিলাম। এরপরে হুট করেই মাথায় আসল, আচ্ছা, বিদেশ গেল কেমন হয়? আমার বন্ধুরা তো অনেকেই বিদেশ, আমিও কেন যাই না? স্টুডেন্ট ভিসা? এখন আবার বইপত্র নিয়ে বসতে হবে? আমাদের মধ্যে সবচেয়ে যে ভাল জায়গায় আছে, শাকির, আমেরিকার জন হপকিন্সে পড়তে গিয়ে এখন চাকরি করছে। ও বলল পড়ার কোন বয়স নাই, তুমি একটু কষ্ট কর, হয়ে যাবে! কিন্তু মাথা আমার, আমি জানি এই মাথায় কত কী করা সম্ভব! যখন চালু ছিল বা চালু থাকার কথা ছিল তখনই তো ঠিকঠাক চলে নাই! কাজেই পিছিয়ে গেলাম। ততদিনে মাথায় বিদেশ আসন করে বসে গেছে। আর কিছু চোখে পড়ছে না তখন। জীবনে উন্নতি করতে হলে বিদেশ যাও, কামলা খাট! 

    আমার জন্য অন্য দিক থেকেও বিদেশ গমন যথার্থ ছিল। আব্বা আম্মা কেউ নাই, আমিও এখনও ঠিক আগের মতোই আছেই, মানে শিবরামের সাক্ষাৎ চেলা! তাই মুক্ত হাত পা নিয়ে কেন আমি দেশে বসে থাকব? চিন্তা মনি আমার চিনির যোগান দিলেন। আমি রাস্তা পেলাম রোমানিয়া যাওয়ার। হুট করেই বাংলাদেশ রোমানিয়া সম্পর্ক বেশ জোরাল হয়ে উঠল। আমি দেখলাম এই সুযোগ। ইউরোপ বলে কথা! না হোক সেঞ্জেন, ইউরোপ তো! আমি আমার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। শুরু করার পরে একদিন দেখি টিকেট হাতে আমার! ঘর ছাড়তে হবে! 

    ঘর ছাড়া বা দেশ ছাড়া যে এত কঠিন, এর যদি বিন্দুমাত্র ধারণা থাকত আমার তাহলে আমি এর আশেপাশেও যেতাম না। ঘরকুনো অপবাদ নিয়ে মরতে রাজি হয়ে যেতাম। শেষ সময় গুলো আমি কারো কাছ থেকে স্বাভাবিক বিদায় নিতে পারিনি। ঝটকা দিয়ে চলে এসেছি। দুম করে দৌড় দিয়ে চলে আসছি। কেউ প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগেই চট করে চলে আসছি সেখান থেকে। কেউ একবার শক্ত করে ধরলে আমি রাজি হয়ে যেতাম ঘরে থাকতে। কেউ একবার ধমক দিয়ে বললে যে তোর বাহিরে কিসের কাজ? তুই চুপ করে ঘরে বসে থাক! অতগুলা টাকা দেওয়া হয়ে গেছে, কেউ বলল না! কিংবা এখন আমি যেমন জানি এসে খুব একটা খারাপ কিছু করি নাই, তারাও হয়ত জানত। হয়ত দেখতে চেয়েছে যা, গিয়ে শিক্ষা হয়ে আয়, তুই থাকবে ঘর ছেড়ে! 

    বিমানে উঠার পরেই শুরু হল শ্রমিক জীবন! আমি মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান, নিজেকে একটু উন্নত প্রাণী বলে মনে করি, আমি বইপত্র পড়ি, সিনেমা সিরিজ নিয়ম করি দেখি, মতামত দেই, অস্কারের ভাল মন্দ নিয়ে জ্ঞান দেই, দেশের নারী অধিকার নিয়ে আমার কথা না বললে চলেই না, খুব আগ্রহ নিয়ে সংখ্যালঘুদের কথা বলি, নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আমার বোন, যার ভেরিফাইড পেজটা খুলছি এবং এখনও অন্যতম এডমিন আমি, এমন শতশত বিষয় যা আমাকে একটু আলাদা করে রেখেছিল, বিমানে উঠা মাত্র সব শেষ! আমি শ্রেফ শ্রমিক! আমার জন্য কাটা হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা টিকেট। ঢাকা থেকে বুখারেস্ট, মাঝে দুবাইয়ে থাকতে হবে ছয় ঘণ্টা, সব মিলিয়ে ১৮ ঘণ্টার ভ্রমণ। এই লম্বা ভ্রমণে কোন খাবারের ব্যবস্থা নাই! বিমানে খাওয়া নাই! শ্রমিকদের এগুলা থাকতে হয় না, মানে বিদেশ ভ্রমণে ক্ষুধা পিপাসা আবার কী! 
    যেন বিমানের শব্দের মাঝে শুনতে পেলাম কোন গায়েবি আওয়াজ, শ্রমিক জীবনে স্বাগতম শরীফ!    

    আমার সঙ্গী একজন রোমানিয়া পৌঁছে আমাকে জিজ্ঞাস করছে, পশ্চিম কোন দিকে? আমি বললাম কেন? খিতা কইলান ইতা! নমাজ পরমু না? পশ্চিম কোন দিকে? আমি বললাম, ভাই পশ্চিমের খবর পরে দিচ্ছি, আপনে আগে বলেন সিলেটী হয়ে আপনি রোমানিয়া কেন? আপনের তো লন্ডন থাকার কথা! পরে বললাম, ভাই, এখন আর পশ্চিম খুঁজে লাভ নাই! এখন উল্টা দিকে খুঁজে দেখেন, কাবার দিশা পাবেন! ব্যাডা জীবনে এমন আশ্চর্য আর হয় নাই মনে হয়। কাবা পশ্চিমে না? না, কাবা আর পশ্চিমে নাই! 

    রোমানিয়া আসার পরে আমি সবচেয়ে মুগ্ধ কী নিয়ে? জেব্রা ক্রসিং! আমি ঢাকায় এই জিনিস দেখছি, ভাবছি এইটা রাস্তার সৌন্দর্যের জন্য মনে হয় আঁকা! এই জিনিস যে কাজ করে তা এখানে দেখে অবাক! জেব্রা ক্রসিং, যেখানে ট্রাফিক লাইট নাই ওইখানে মনে হয় চোখ বন্ধ করে হলেও পার হওয়া যাবে। হাঁটা শুরু করলেই গাড়ি থেমে যাচ্ছে। আমি দাঁড়ায় ছিলাম এমনেই, গাড়ি থেমে দেখে আমার যাওয়ার খবর নাই, পরে হর্ন দিয়ে আমাকে ইশারা দিল আমি রাস্তা পার হব না কি করব? লোকটা এত সম্মান দিল দেখে হুদাই রাস্তা পার হয়ে গেলাম! 

    শুধু রোমানিয়া না, প্রবাসীদের অনেককেই আমি দেখছি বিদেশীদের, যারা বাংলা জানে না তাদেরকে তুই বলে সম্বোধন করতে। কেন এমন করে এই রহস্য আমার জানা নাই। বস কেউ যদি ডাক দিয়ে কোন কাজের কথা বলে, ইউ এর অনুবাদ কেন জানি সবাই মনে মনে তুই করে করে!  এই জন্য সে যখন বলে তখন তুই করে বলে! এইটা আমার একটা ব্যাখ্যা। দেশে সব সময় শ্রমিকদের সাথে এমন ব্যবহার করা হয় যে এখানে যে তুই তুমি আপনে নাই, ইউ সবার জন্যই, এইটা এদের মাথায় ঢুকে না। তারা নিজেদেরকে তুই বলে ধরে নিয়ে তুই বলে যায়। আরেকটা কারণ হতে পারে উপরের শ্রেণীর প্রতি বিশেষ বিদ্বেষ, নিজের অবস্থানের প্রতি হীনমন্যতা থেকে হয়ত তুই বলে একটু স্বস্তি খুঁজে!  জানি না আসল কারণ কী। রোমানিয়াও একই দৃশ্য। সিনিয়র বা বসকে বাংলায় তুই বলে ডাকছে সবাই। আশ্চর্য!  

    আমাদের কয়েকজনকে একটা রুমে থাকতে দিয়েছে। আমি বরাবর একাএকা থেকে অভ্যস্ত। অস্বস্তি হচ্ছিল খুব। কিন্তু শ্রমিকদের এমন করেই থাকতে হবে। আমিও মেনে গেলাম। গোল বাধল শুরুতেই। আমার রুমমেট একজন বেশ বয়স্ক মানুষ, ৫০ ছুঁয়েছে। তিনি ঘোষণা দিলেন উনাদের সাথে এক পাকে খেতে হলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে! হল না গণ্ডগোল! আমি বুঝলাম এই লোককে এখনই থামাতে হবে, নাহলে একে সামনে আর বাগে পাওয়া যাবে না। আমি বললাম ভাই, আমরা (আমার সাথে দেশ থেকে আরও দুইজন আসছে, ওরা আমার সাথেই আছে) আলাদাই খাব। বলল কেন? আমি বললাম, যে শর্ত দিয়েছেন তা মেনে খাবার খাওয়া সম্ভব না। নামাজ নিয়ে কেউ এই কথা বলবে এইটা উনার ধারণার বাহিরে ছিল। আমি বললাম দেখুন, নামাজ আল্লার সাথে আমার হিসাব, আমার হিসাব আমি দিব, আপনে কে শর্ত দেওয়ার? উনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন। বললেন, আমি নামাজের দাওয়াত দিব না? আমি বললাম, এইটাকে দাওয়াত বলে? এমনে কেউ দাওয়াত দেয় নামাজের? উনার সাথের লোকজনও তখন বলছে ভাই, এইটা ঠিক হয় নাই, আপনে শর্ত দিবেন কেন? যাই হোক, আমি মুক্তি পাইলাম এই লোকের থেকে। এখন একই রুমে তারা এক দিকে আমি আমার সাথের তিনজন মিলে একদিকে। 

    যে ধর্মান্ধদের থেকে মুক্তি চাচ্ছিলাম সেই জিনিস এখন আমার রুমে! একে কী বলব? আরও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে যারা শ্রমিক হিসেবে আসছে এখানে তাদের প্রায় সবাই এই রোগে আক্রান্ত। সমাজের এমন একটা শ্রেণী থেকে এরা চলে আসছে যে সেখানে আলোর কোন জায়গা নাই। আমি দেশে এদের সম্পর্কে জানতাম, বেশ ভাল করেই চিনতাম কিন্তু সংস্পর্শে যাওয়া হয়নি। এদের সাথে আমার দূরত্ব হাজার মাইল। আর আমি এখন আমি দৈনিক শুনি ওয়াজ, সস্তা সংলাপ সমৃদ্ধ উদ্ভট ভিডিও! 

    আমি নানা রকম প্রতিকূল পরিবেশের জন্য মানসিক ভাবে তৈরি হয়ে এসেছিলাম, কিন্তু এইদিক থেকে ধরা খাব বুঝি নাই! দেখা যাক সামনে কী আছে…   
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ এপ্রিল ২০২৩ | ২০১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৪৩518148
  • আপনাকে রোমানিয়ান ভাষা শিখতে হয় নি?
    কবে গেছেন বুখারেস্ত?
    অনেক আগ্রহ সহকারে পড়ছি। লিখুন।
  • যোষিতা | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০২:৫৩518149
  • যেটুকু আন্দাজ করছি, আপনারা ফ্লাইদুবাই এর ইকোনমি লাইটের টিকিট কেটেছিলেন। ওতে আলাদা করে খাবারের মূল্য দিতে হয়। 
  • কিংবদন্তি | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৫১518156
  • @যোষিতা, রোমানিয়ান ভাষা শেখার দরকার পরে নাই। এইটা আক্ষরিক অর্থেই শ্রমিক ভিসা। অনেকেই ইংরেজিও জানে না কিন্তু চলে আসছে। মূল লক্ষ্য সবার এখান থেকে পালিয়ে সেঞ্জেন ভুক্ত কোন দেশে চলে যাওয়া। বুখারেস্ট আসছি মার্চের ২০ তারিখ, এখনও আছি এখানেই। ফ্লাই দুবাইয়ের ফ্লাইট ছিল, তবে টিকেট আমি কিনিনি, কিনেছিল আমার এজেন্ট। পার্থক্য খুব বেশি না হয়ত কিন্তু ওরা হিসাব করে ৫০/১০০ টিকেটের। যদি এক দুই হাজার করেও হয় ওদের অনেক লাভ। আর বলির পাঠা হয় শ্রমিকেরা। আমি আসার আগে ফ্লাই দুবাইয়ের ঢাকা অফিসে ফোন দিয়ে কত কেজি নিতে পারব তা জিজ্ঞাস করেছিলাম, কারণ আমার কাছে যে কাগজ ছিল তাতে ওজনের ব্যাপারে কিছু লেখা ছিল না। তখন আমি যদি জানতাম খাবারের ব্যাপারেও খোঁজ নিতে হবে তাইলে নিতাম, আমার ধারনাই ছিল না এত লম্বা ভ্রমণে খাবার ছাড়া কোন ফ্লাইট হতে পারে! 
    যাই হোক, লিখব, সুযোগ পাইলেই লিখব। ধন্যবাদ।  
  • যোষিতা | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩৯518158
  • ঠিক। "মূল লক্ষ্য সবার এখান থেকে পালিয়ে সেঞ্জেন ভুক্ত কোন দেশে চলে যাওয়া।" অক্ষরে অক্ষরে ঠিক।
    কাগুজে বিবাহ এই ব্যাপারে একটা পন্থা। 
    আরেকটা পন্থা ঝুঁকি নিয়ে বর্ডার ক্রস করা।
    তবে এগুলোতো আমি অন্যায় কিছু দেখি না
     
  • ঝুঁকি নিয়ে বর্ডার ক্রস | 109.7.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫২518159
  • বেআইনি ভাবে আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করার সময় কানাডার সেন্ট লরেন্স নদীতে নৌকা উল্টে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ ভারতীয়। সংবাদমাধ্যমে এমনই জানিয়েছে কানাডার পুলিশ।

    কানাডার অ্যাকওয়েসেসেন এলাকায় ওই দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার থেকে নদীর পাশ্ববর্তী জলাভূমি থেকে ৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও তাঁদের মধ্যে মৃত ভারতীয়দের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি স্থানীয় প্রশাসন। তবে অসমর্থিত সূত্রে দাবি, ওই ৪ জনই হয়তো গুজরাতের বাসিন্দা ছিলেন।
     
  • guru | 103.17.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০৪518161
  • নতুন দেশে নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইলো সাদেক ভাই | আপ্নে কি সফটওয়্যার লাইনের লোক ? কত বছরের জন্য গেছেন ?
  • Kuntala | ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৪৫518195
  • আচ্ছা, দেশের বাইরে গিয়ে মানুষের ধর্ম আর দেশভক্তি এত বাড়ে কেন বলুন তো? 
     
    যাই হোক, দানিয়ুব নদী আর তার চরগুলো দেখে আবার লিখবেন, দেশের কথা মনে পড়লো কিনা বলবেন, ঠিক আছে?  
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০২518203
  • এটা অবশ্য USA এও দেখেছি - religion, caste bias - দক্ষিন ভারতীয়দের মধ্যেও বেশ চল। বোধ হয় identity politics
  • aranya | 2601:84:4600:5410:24ac:1444:f7dd:***:*** | ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১২518206
  • শরীফ রোমানিয়ায় , আরে বাঃ । দারুণ তো । এই অভিজ্ঞতার দাম আছে
    পড়ছি এবং ভাল লাগছে, বলাই বাহুল্য 
    ধর্ম পালন নিয়ে রুমমেট-দের সাথে বেশি তর্ক-্বিতর্কে যেও না। বিদেশ-বিভুঁয়ে ওরাই বন্ধু 
  • কিংবদন্তি | ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৫৩518223
  • অরণ্য দা, এ এক মহা পাগলামি করে ফেলছি। কিন্তু আস্তে আস্তে ভালই লাগছে এখন। সামনে যা ইচ্ছা আছে তা ঠিকঠাক করে করতে পারলে দুর্দান্ত কিছু অভিজ্ঞতা হবে আশা করছি। আমি মুক্ত বিহঙ্গ, তাই করে নিয়ে নিছি একটা রিস্ক। আর রুমমেটরা প্রথম সবক খাওয়ার পর আর আমাকে ঘাটায় না, আমিও ঘাটাই না। অল কোয়ায়েট অন দা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট!
  • যোষিতা | ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০২:১৩518224
  • আরও গল্প কই? শীঘ্র চাই সাদেক ভাই।
  • Ranjan Roy | ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৪৬518237
  • আমার প্রিয় সাদেক ভাই,
    আরও অনেক গল্প চাই।
     ভুতের রাজায় বর দিবে,
    রোমানিয়ায় রোমান্স হবে। 
    সাদেক ভাইয়ের ঘুরবে মাথা,
    বলবে-- আফনে কইলাইন কিতা!
  • | ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৫518245
  • আপনার লেখাগুলো ভারী আন্তরিক।আপনার এই যাত্রার কথা পড়ে মনে পড়ল অনেকদিন আগে (তা প[্রায় ১২ বছর হবে) সচলায়তনে 'তীরন্দাজ' নিকে একজন লিখতেন। তাঁর ছোটবেলার এবং ইউরোপ যাবার গল্পগুলো মুগ্ধ হয়ে পড়তাম। জানিনা পরে বই হয়েছে কিনা, কিন্তু হওয়া খুবই উচিৎ। 
     
    লিখতে থাকুন সময় বের করে। অপেক্ষায় রইলাম।  
  • কিংবদন্তি | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০১:১৭518277
  • ধন্যবাদ, ধন্যবাদ ধন্যবাদ! 
    যোষিতা, শ্রমিক মানুষ, সময় বের করা কঠিন। রোমানিয়ায় ডে লাইট সেভিং চলছে, তাই আগে যেতে হয় আর একটা ঘণ্টা আগেই কাজ শেষ করে বের হওয়া যায়। সেই হিসাবে বেশ ভাল সময় পাওয়া যায় কাজের পরে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আমি ব্যস্ত ইফতার নিয়ে। এখানে বেশ কিছু মসজিদ আছে, ভরপুর খাওয়া দাওয়া করায়। এই দূরদেশে ভাল খানাপিনার লোভ ছাড়তে পারি নাই, তাই দৌড় দেয়। ওই বিষয়েই লিখছি। আজকে দিব। 
  • যোষিতা | ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪৫518283
  • সাদেকভাই, 
    আমি আপনার থেকে একঘন্টা পিছিয়ে। আপনার ইস্ট ইয়োরোপিয়ান টাইম, আমার সেন্ট্রাল ইয়োরোপিয়ান টাইম। 
    আমরা সকলেই খেটে খাই। শ্রমিক সকলেই।
    আপনার লেখাগুলোর মধ্যে অনেক সততা আছে।
    এ লেখা চলুক, পরে বই হয়ে বের হলে বেশ হবে।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৭518340
  • সাদেক ভাই 
    রোমানিয়া শেনগেনের সদস্য নয়। অস্ট্রিয়ার আপত্তি ।
  • পারমিতা | 14.139.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫২518446
  • আমরা আপনার চোখে রোমানিয়াকে চিনছি।
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৯518509
  • @দঃ
    সচলায়তনের 'তীরন্দাজ' ওরফে আনিস হক জার্মানীতে থাকেন। ২০১০/১১ সালে তাঁর ঐসব লেখা নিয়ে বই বের হয়েছিল। নাম সম্ভবত 'জাহাজী'।
  • sarkar | 151.95.***.*** | ১৩ মে ২০২৩ ২৩:২৯519775
  • অসাধারণ দাদা অসাধারণ
    এত সুন্দর লেখেন আমি কখনো জানতাম না
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন