ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্স
সুমন বলে, "অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই কমপ্লেক্সের স্বরূপ প্রচ্ছন্ন বা অস্পষ্ট। এই ধারণার প্রবর্তক ফ্রয়েডের একদা একনিষ্ঠ অনুগামী সুইস মনোবৈজ্ঞানিক কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং। ফ্রয়েড তাঁকে তাঁর উত্তরসূরী ভেবেছিলেন।"
"গ্ৰীক রাজা অগামেমননের কন্যা ইলেক্ট্রা একটি আলোচিত পৌরাণিক চরিত্র। তাকে নিয়ে সোফোক্লেস, ভলতেয়ার ও আরো অনেকে নাটক লিখেছেন। হোমারের লেখাতেও আছে ইলেক্ট্রার উল্লেখ।”
“নিম্ফোম্যানিয়া বা হাইপার সেক্সুয়াল ড্রাইভ জাতীয় প্রবণতায় আক্রান্ত না হলে প্রকৃতিগত ভাবে মেয়েদের যৌনাকাঙ্খার তাড়না বা লিবিডো সচরাচর ছেলেদের তুলনায় কম হয়। তার প্রকাশও হয় নিয়ন্ত্রিত, কখনো তির্যক যা ছেলেদের কাছে তো বটেই এমনকি মেয়েদের নিজেদের কাছেও অনেক সময় তা সহজবোধ্য নয়। তাই মেয়েদের আত্মসংযমের প্রয়োজনীয়তা অপেক্ষাকৃত কম। কিছু সামান্য আচরণ থেকেও প্রকৃতি মেয়েদের তির্যক আনন্দের ব্যবস্থা রেখেছে। যেমন ধর, ছেলেদের দিকে আড়চোখে তাকানো, চোখ পাকানো, মুচকি হাসি, ভেংচি কাটা, চুল ঘেঁটে দেওয়া, চিমটি কাটা ইত্যাদি।"
"এসব থেকে মেয়েরা অজান্তেই পেতে পারে এমন কিছু অব্যাখ্যাত আনন্দ যা যৌন আনন্দ নয় কিন্তু তা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত রাখতে সাহায্য করে। যেমন ধর, এই যে ঈশু সাবলীলভাবে আমার পিঠ চাপড়ে দিলো, হয়তো অজান্তেই ও পেয়েছে এরকম কোনো আনন্দ। বা তুই যে গাঁট্টা মারবি বললি, তাতেও হয়তো পেতে পারিস।"
পাশেই বসে ছিল ঈশু। বিনা নোটিশে সুমনের পিঠে গুম গুম করে দিলো কয়েকটা কিল বসিয়ে। মেয়েলি হাত। তবে পাহাড়ে চড়া মেয়ে। গায়ে জোর আছে। দিয়েওছে বেশ কষিয়ে। একটু লেগেছে সুমনের। তবু হাসতে হাসতে বলে, "বলা যায় না আমায় ঘুঁষিয়েও হয়তো ও পেলো এমন কোনো আনন্দ যার স্বরূপ ওর নিজেরও অজানা।"
এবার ঈশু রেগে গিয়ে বলে, "বেশ তো সুন্দর আলোচনা হচ্ছিল, ফের তুই চ্যাংড়ামি শুরু করলি তো?"
তুলি উঠে এসে সুমনের মাথায় খানকতক গাঁট্টা কষিয়ে বলে "আমিই বা হিসেব বাকি রাখি কেন। এঃ, খুব এয়েছেন ফিমেল সাইকোলজি এক্সপার্ট রে। এ্যাই, চুনি, তুইও দে তো পাজিটাকে ঘা কতক কষিয়ে?"
চুনি শান্ত স্বভাবের মেয়ে। মুচকি মুচকি হাসে। তুলি বলে, "মাঝখান থেকে তোর এই সব ফাজলামিতে কী কথা হচ্ছিল সেটাই গেল গুলিয়ে।" তুলিটা গোলগাল নরম সরম হলে কী হয়, ওর হাতেও বেশ জোর।
সুমন মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বলে, "কিচ্ছু গুলোয় নি। আসলে অনেকক্ষণ ধরে সিরিয়াস আলোচনা হচ্ছে তো, তাই ভাবলাম একটু কাদের খান স্টাইলে কমিক রিলিফ নেওয়া যাক। তোরা যে সেটাও এতো সিরিয়াসলি নিবি কী করে জানবো। হয়তো ইয়ারকীর ছলে সত্যিটাই বেরিয়ে গেছে।"
ঈশু পটাং করে উঠে দাঁড়িয়ে বলে, "এ্যাই তুলি চল তো, চুনি তুইও চল, এবার জেঠুকে চ্যাংড়ামিতে পেয়েছে। আলোচনা মাথায় উঠলো। ও এখন এইসব আজে বাজে বকতে থাকবে।"
ঈশুর হাত ধরে টেনে বসায় সুমন। "আচ্ছা বাবা, ঘাট হয়েছে, বোস, বোস। এই হচ্ছে ফেমিনিস্টদের নিয়ে মুশকিল। এতো সিরিয়াস কেন তোরা? রসিকতাও বুঝিস না। তুম চলে যায়োগে তো ইয়ে পুনম ভি অমাওস মে বদল যায়েগী" - নাটকীয় ঢঙে চাঁদের দিকে হাত তুলে দেখায় সুমন।
আগামীকাল পূর্ণিমা। তখন তার ঔজ্জ্বল্য চোখ ধাঁধানো। কটমট করে তাকায় ঈশু সুমনের দিকে। কিন্তু সেই দৃষ্টিতে আপাত উষ্মার আড়ালে কি প্রহেলিকাময় সূক্ষ্ম প্রশ্রয়ও লুকিয়ে আছে কুহেলিকার মতো? নাকি তা নিছকই সুমনের বিভ্রম! সুমনের নাটুকেপনা দেখে তুলি আর চুনি খিল খিল করে হাসছে। বলা যায় না এবার হয়তো সত্যিই চলে যাবে ঈশু। দু হাত কানে ঠেকিয়ে সুমন বলে, "ও-কে, ও-কে, নো মোর চ্যাংড়ামি, আপনি পিলিজ চলে যাবেন না ম্যাম?"
এবার হেসে ফেলে ঈশু। সেই দূর্লভ ঐশ্বর্যময় হাসি! কালাহারিতে ইলশেগুঁড়ি! এমন কিছু মাধূর্যের চকিত ঝলক দেখার আশাতেই তো সুমন এসব চ্যাংড়ামি করে।
ঈশু বসতে, সুমন বলে, "যা কথা হচ্ছিল। বাবার প্রতি মেয়ের আকর্ষণ অনেক সময়ই এনিগম্যাটিক। কচিৎ হয়তো মেল ফ্যানটাসি। তবে বাবা যদি মেয়ের অবুঝ কল্পনার ফানুসে হাওয়া না দেন তবে তা বাহ্যত যৌন আকর্ষণে রূপান্তরিত নাও হতে পারে। কিছু ছেলে বা মেয়ে হয় Sapiosexual প্রকৃতির। শারীরিক সৌন্দর্যের থেকেও সঙ্গীর সংবেদনশীলতা, তিক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা তাদের বেশী আকর্ষণীয় লাগে। তেমন মেয়ের কাছে পেশীবহুল বোকাটে ছেলে লাগতে পারে রাঙামূলো বা শিমূল ফুল।”
“কোনো ছেলে Sapiosexual হলে তারও অঙ্গ প্রদর্শনে উন্মুখ মেয়েদের দেখলে ক্লিশে হয়ে যাওয়া শশী ডাক্তারের সংলাপ মনে পড়বে - শরীর, শরীর, শরীর - তোমার মন নাই কুসুম? ল্যাটিন ভাষায় Sapere মানে অনুভূতিপ্রবণ। যেমন Sapient মানে বিচক্ষণ। তাই একদা বানর প্রজাতি থেকে হোমো হাবিলিস, হোমো ইরেক্টাস, নিয়ানডার্থাল হয়ে বর্তমানে যে বিবর্তিত প্রাণীটি পোশাক আশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার বৈজ্ঞানিক নাম - হোমো স্যাপিয়েন্স।"
"ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্সে আক্রান্ত হলে মেয়েটিও ইডিপাস কমপ্লেক্সে ভোগা ছেলের মতো ভবিষ্যতে তার প্রেমিক বা স্বামীর মধ্যে তার বাবার কিছু বৈশিষ্ট্যর প্রতিফলন দেখতে চাইবে। তা কিছু দোষেরও নয়, প্রায়শ হয়েও থাকে। চেহারা, ব্যক্তিত্ব, চরিত্রবৈশিষ্ট্য, বুদ্ধিমত্তা আকর্ষণীয় হলে বাবা শুধু মেয়ের নয় ছেলের জীবনেরও প্রথম রোল মডেল হতে পারেন যার প্রভাব সারা জীবন থেকে যেতে পারে। যেহেতু opposite sex attracts তাই কখন যে সেই হিরো ওয়র্শিপ মেয়ের মনে ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্সে বদলে যায় বেচারা মেয়েটি বুঝতেও পারে না।
ঈশু বলে, “শুনেছি, বুদ্ধদেব বসুর বড় মেয়ে মীনাক্ষীরও ছিল বাবার প্রতি খুব টান। সেটাকেও কী তুই ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্স বলবি?”
সুমন বলে, “বুদ্ধদেবের বিখ্যাত উপন্যাস 'তিথি ডোর' প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে। বছর খানেক তো লেগেইছে তা লিখতে। তখন নিয়মিত বাবার পাণ্ডুলিপি থেকে প্রেসকপি তৈরী করতো মীনাক্ষী। সেটাই গেছিলো প্রেসে। বুদ্ধদেবের মূল পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে শান্তিনিকেতনে। সে উপন্যাসের মূল চরিত্র স্বাতীর সাথেই যেন কল্পনায় 'বড়' হয়ে উঠছিল মীনাক্ষী। তখন তার বয়স তেরো। পারিবারিক বন্ধু সন্তোষ কুমার ঘোষ বুদ্ধদেবের রাসবিহারী এ্যাভেনিউয়ের বসতবাড়ি কবিতা ভবনে এসে মীনাক্ষীকে দেখলে বলতেন, এই যে ইলেক্ট্রা, কেমন আছো? কারণ ঐ, মীনাক্ষীর বাপের প্রতি অদ্ভুত টান। তবে তা হয়তো আমাদের বর্তমান আলোচনার প্রেক্ষিতে অবোধ্য যৌন আকর্ষণজনিত নয়। অমন প্রতিভাবান পিতার প্রতি সেরিব্রাল কন্যার বিশেষ টান হতেই পারে। সব টানের মূলেই যে যৌনতা থাকবে তার কোনো মানে নেই। মীনাক্ষীর মায়ের ওপরেও টান কম ছিল না।"
চুনি বলে, “কিন্তু বাবা তো কন্যার থেকে বয়সে বড়, জীবন অভিজ্ঞতায় প্রাজ্ঞ, তিনি যদি বোঝেন তাঁর প্রতি কন্যার কোনো অবুঝ আকর্ষণ তৈরী হচ্ছে, তিনি তো সুকৌশলে তা হ্যান্ডল করে কন্যার সেই ফ্যানটাসি কাটিয়ে দিতে পারেন, তাই না?”
সুমন বলে, “একদম ঠিক বলেছিস। কিন্তু মানব মন অত্যন্ত বিচিত্র। যে বাবা একদা তাঁর শিশু কন্যাকে কোলে পিঠে করে অপত্যস্নেহে আদর করেছেন, স্নেহসিক্ত চুমোয় ভরিয়ে দিয়েছেন তার টুসটুসে মিষ্টি গাল সেই বাবাই চোদ্দ পনেরো বছরে খোলস ছাড়া সতেজ লাবণ্যময় কিশোরীটিকে আগের মতো জড়িয়ে ধরে আদর করতে দ্বিধাগ্ৰস্ত বোধ করতে পারেন। তখন যদি ইলেক্ট্রা কমপ্লেক্সে আক্রান্ত মেয়েটি বাবাকে আগের মতোই জড়িয়ে মড়িয়ে আদর খেতে চায় বাবা হয়তো তার প্রতি বাৎসল্যবোধের গণ্ডির বাইরে অন্য ধরনের আকর্ষণ বোধ করতে পারেন। এসব অনুভবের উৎস সজ্ঞান ইচ্ছার বিরুদ্ধে, প্রবৃত্তির তাড়নায় যখন শরীর অবাধ্যতা করতে পারে মনের অনুশাসন। তখন ক্ষণিকের চ্যূতিতে হয়ে যেতে পারে বিপর্যয় - যত না শারীরিক, তার চেয়েও মানসিক। কন্যা ও পিতা - উভয়কেই হয়তো তার জন্য আজীবন বইতে হতে পারে আত্মগ্লানির ভার।"
চুনি বলে, “তাহলে বাবা সেক্ষেত্রে কী করবেন?”
সুমন বলে, “সিচুয়েশনটি অত্যন্ত ডেলিকেট। কিছু পিতা এইসময় তাঁর তরফে কোনো রকম বিচ্যূতি এড়াতে মেয়েকে দৃষ্টিকটু ভাবে এড়িয়ে গিয়ে দূরত্ব বজায় রাখতে চান, গম্ভীর হয়ে যান অর্থাৎ এমন কিছু বিসদৃশ আচরণ করেন যাতে কিশোরী কন্যা তাঁর কাছে শারীরিকভাবে বেশী না ঘেঁষতে পারে। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হতে পারে যাকে মনোবিদরা বলেন - Counter Incest Syndrome.”
চুনি বলে, “সেটা কী রকম?”
সুমন বলে, “Impulsive Incestuous Infatuation এর বিপরীত অনুভূতি। কৈশরের অপরিণত মনে অবুঝ ভালোলাগার পরিণামে বাবা বা মায়ের দৃষ্টিকটু আচরণে মনে লাগলো জোর ঝটকা। এর ফলে মেয়েটি নিজেকে অনাকর্ষণীয়া বা অনাকাঙ্ক্ষিত ভেবে নিজের মধ্যে গুটিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আবার মা যদি হন খুব সুন্দরী, আকর্ষণীয়া, তাহলে কন্যা নিজেকে মায়ের কাছে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে অবুঝ হীনমন্যতাবোধেও আক্রান্ত হতে পারে।"
তুলি বলে, "আচ্ছা, এমন পরিস্থিতির উদ্ভবই যাতে না হয় তার কোনো উপায় নেই?"
সুমন বলে, "ইলেক্ট্রা বা ইডিপাস কমপ্লেক্সে আক্রান্ত হয়ে মেয়ে বা ছেলে যাতে বাবা বা মায়ের প্রতি অবুঝ আকর্ষণে জড়িয়ে না পড়ে তার কোনো সম্ভাব্য উপায় আমার কেতাবি জ্ঞানে জানা নেই। তবে আমার কিছু উপায় মাথায় আসে।"
তুলি বলে, "যেমন?"
সুমন বলে, “যেমন ধর, স্বামী স্ত্রী তাদের সন্তানের শৈশবকাল থেকে তাদের সামনেই স্বাভাবিকভাবে পরস্পরকে আদর করবেন। ছেলেমেয়েরা চোখের সামনে দেখবে বাবা তাদের মায়ের পিছনে লাগছেন, রাগিয়ে দিচ্ছেন, কখনো আবার মায়ের কপট মান ভাঙাতে সহজভাবে কপালে বা গালে কিসি করছেন। এর ফলে ছেলেমেয়েদের মনে হবে প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষের মধ্যে এমন আকর্ষণ এবং শারীরিক নৈকট্যময় মিথস্ক্রিয়া হয়েই থাকে। বাবা মায়ের পরস্পরের প্রতি ভালোলাগার বহিঃপ্রকাশ তাদের সহজ, সুস্থ, স্বাভাবিক মনে হবে। তারা এখন ছোট, বড় হলে তাদের জীবনেও মা বাবার মতো এমন সুন্দর রসায়নের দিন আসবে। তবে এসব করতে গিয়ে বাবা যেন কখনোই তাদের সামনে মায়ের স্তনস্পর্শ বা ওষ্ঠচুম্বন না করেন। যত সহজ ভাবেই করা হোক না কেন, কোনো দূর্বোধ্য উপায়ে ছেলেমেয়েদের কাছে এই দুটি আচরণ তীব্র যৌনতাউদ্রেককারী মনে হবেই। এসব তারা করবেন শয়নকক্ষের আড়ালে।”
“মোদ্দাকথা হচ্ছে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মনে কোনো অপ্রত্যাশিত ভাবনার উন্মেষ হলেও বাবা মা তাতে হাওয়া দিয়ে উস্কানি দেবেন না বা তার জন্য বিচলিত হয়ে, বকাঝকা করে, তাদের উপেক্ষা করে বা নিজে দূরে সরে গিয়ে কোনো সিন ক্রিয়েট করবেন না। খুব সহজ ভাবে, সংবেদনশীলতার সাথে এসব হ্যান্ডল করতে হবে। একসাথে মাঝেমধ্যে পারিবারিক ভ্রমণে যেতে পারেন। সন্তানদের নিয়ে ক্যাম্পিং, ট্রেকিং, রক ক্লাইম্বিং এর মতো হালকা এ্যাডভেঞ্চার করতে পারেন। উঠতি বয়সে নতুন জায়গা দেখার আনন্দ, প্রকৃতির সান্নিধ্যে আউটওয়ার্ড বাউন্ড আ্যাক্টিভিটির প্রভাব অপরিসীম। বাড়িতে পুষতে পারেন কুকুরের মতো অতি সংবেদনশীল বা বিড়ালের মতো আদরের ডেলা পোষ্য। এভাবে মাঝে মাঝে ভ্রমণে গিয়ে, পোষ্যের সাথে সময় কাটিয়ে, একসাথে বাগান করে তাদের সুকুমার মন ব্যস্ত থাকবে আরো নানা কিছু নিয়ে। মনের ওপর পড়বে নানা আনন্দময় প্রভাব। এর ফলে তাদের মন থেকে ক্রমশ মিলিয়ে যেতে পারে বাবা বা মায়ের প্রতি সামাজিকভাবে অননুমোদিত, অবুঝ, অনাকাঙ্ক্ষিত আকর্ষণ।”
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।