ক্লাইম্বিং কল
সুশীলদা একটা ফুট তিরিশেক উঁচু বোল্ডারে পাশের ঢাল দিয়ে উঠে ক্লাইম্বিং রোপের একটা প্রান্ত অমিয়দার দিকে মাটিতে নামিয়ে দিলেন। তারপর একটা গাছের সাথে নিজেকে রোপ দিয়ে Anchor করে পাথরে থিতু হয়ে বসলেন। দৃঢ় ভাবে পাথরে ভর দিয়ে রাখা দু পায়ের মাঝখান দিয়ে দড়িটা নীচে নেমে গেছে। সুশীলদা যতক্ষণ নিজেকে এ্যাঙ্কর করছিলেন নীচে অমিয়দা তখন দড়ির প্রান্তটা নিজের কোমরে বেঁধে নিলেন। এখন ওনারা কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না কিন্তু সুমনরা যেখানে আছে সেখান থেকে দুজনকেই পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। অমিয়দা ঐ বোল্ডারটা সেভাবেই বেছেছেন। অমিয়দা বোল্ডারটি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন। অর্থাৎ ক্লাইম্বিং রুটটি ও কীভাবে ক্লাইম্বিং করবেন সেটা ছকে নিলেন। তারপর শুরু হোলো প্রোটোকল।
অমিয়দা- I AM READY. অর্থাৎ বিলেয়ার বা ক্লাইম্বিং পার্টনার কে জানালেন যে তিনি এবার চড়তে প্রস্তুত।
সুশীলদা - OK.
অমিয়দা- TAKE IN, অর্থাৎ কোমরে বাঁধার পরে অতিরিক্ত দড়ি টেনে নিতে বললেন।
সুশীলদা - OK বলে, দড়ি টেনে নিতে লাগলেন। একসময় দড়িটা টানটান হয়ে গেল।
অমিয়দা- THAT'S ME. অর্থাৎ দড়িটা মাঝে অন্য কোথাও পাথরের খাঁজে বা গাছের শিকড়ে আটকে টাইট হয়ে যায়নি। ওটা এখন ক্লাইম্বার ও বিলেয়ারের মধ্যেই টানটান হয়ে আছে। এখন থেকে বিলেয়ারের দায়িত্ব হবে ক্লাইম্ব শেষ না হওয়া অবধি দড়ির ঐ হালকা টানটান ভাবটা বজায় রাখা যাতে ক্লাইম্বার উঠতে শুরু করলে দড়িটা ঢিলে না হয়ে যায়। তাহলে পতন হলে ঝটকা কম লাগবে।
অমিয়দা- CLIMBING. অর্থাৎ তিনি এবার চড়তে যাচ্ছেন।
সুশীলদা- CLIMB ON. তিনিও জানালেন যে উনি বিলে করার জন্য তৈরী। দড়িটা উনি কোমরের পিছন দিয়ে একটা পাক মেরে রেখেছেন। এটা Body Belay পদ্ধতিতে Sitting Hip Belay মেথড (আগের পর্বে ছবি 6-22)। পতন হলে ঝটকা সহ ক্লাইম্বারের ওজন বিলেয়ারের কোমর, পাথরে রাখা নিতম্ব ও দু পায়ের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। হাতের ওপর জোরই পড়বে না। এই পদ্ধতিতে একটি রোগা পাতলা মেয়েও ভারি একটা ছেলের পতন রুখে দিতে পারে। পতন হাত দিয়ে দড়ি ধরে রোখা যায় না, সে চেষ্টা তাই কখনো করা উচিত নয়।
অমিয়দা উঠছেন, সুশীলদা দড়ি টেনে টেনে টানটান ভাব বজায় রাখছেন। কিছুটা ওঠার পর অমিয়দা একটু বাঁদিকে নেমে পাশ দিয়ে উঠতে চাইলেন অর্থাৎ অবস্থা অনুযায়ী একটু গতিপথ পরিবর্তন। কিন্তু দড়ি টানটান তাই নামতে পারছেন না।
অমিয়দা - SLACK. অর্থাৎ দড়িটা একটু ঢিলে করতে বললেন।
সুশীলদা- OK বলে দড়িটা খানিকটা ঢিলা করে দিলেন।
অমিয়দা একটু নেমে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রুটটা আবার ভালো করে দেখে আমাদের বললেন, বিলেয়ারকে SLACK বলার আগে কিন্তু ক্লাইম্বারের উচিত নিজের ভারসাম্য সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া কারণ তখন পা ফসকে পড়লে ঢিলে দড়ির জন্য ঝটকা বেশি লাগবে। SLACK বললে বিলেয়ারও একটু রিল্যাক্স হয়ে যাবে, কারণ সে ধরে নেবে তখন ক্লাইম্বার এমন জায়গায় আছে যেখান থেকে পতনের সম্ভাবনা নেই।
অমিয়দা- TAKE IN. অর্থাৎ উনি আবার চড়তে যাচ্ছেন ফলে বিলে রোপ টানটান থাকা দরকার।
সুশীলদা- OK বলে দড়ি টানটান করে নিলেন।
অমিয়দা- CLIMBING.
সুশীলদা- CLIMB ON.
ওরা খেয়াল করলো কখোনো একতরফা কমিউনিকেশন হচ্ছে না। প্রতিবার অমিয়দা কল দিয়ে সুশীলদার উত্তরের অপেক্ষা করছেন ও সুশীলদাও মূলতঃ OK বলে তা কনফার্ম করছেন। এটা বুক কিপিংয়ে ডাবল এনট্রি পদ্ধতির মতো লাগলো। মূল্যবান শিক্ষা। এতে ভুল বোঝার অবকাশ নেই।
অমিয়দা উঠতে উঠতে এক জায়গায় ওদের পতনের ডেমো দেখানোর জন্য একটু নড়বড় করতে শুরু করলেন, যেন পড়ে যেতে পারেন।
অমিয়দা- WATCH ME! অর্থাৎ আমি একটু বেকায়দায় আছি, পড়েও যেতে পারি।
সুশীলদা- OK. তিনি খুব সতর্ক হয়ে দড়িটা টানটান করে রাখলেন।
অমিয়দা- I AM OK. অর্থাৎ সামলে নিয়েছেন।
সুশীলদা- OK বলে দড়ির টান আবার স্বাভাবিক করে দিলেন।
শৈলারোহণে দড়ির ব্যবহার হয় কেবল পতনজনিত সুরক্ষার জন্য। ক্লাইম্বারকে উঠতে হয় পাথরে প্রাকৃতিক খাঁজ, ফাটল ধরে যাকে শৈলারোহণের পরিভাষায় বলে Hold. কেবল প্রাকৃতিক হোল্ড ধরে ওঠা না গেলে Aid Climbing করা হয়। তাতে পিটন, নাট, এক্সপানশন বোল্ট ও আরো নানা সরঞ্জাম ও পদ্ধতির ব্যবহার হয়। তবে সেসব ওদের জন্য নয়। এ্যাডভান্স কোর্স করে সে ধরণের ক্লাইম্ব করার চেষ্টা করা উচিত।
এখানে ওরা পাথরে চড়ার অভ্যাস করবে সেকেন্ড পার্সন ক্লাইম্বিং পার্টনার হিসেবে। অর্থাৎ কেউ একজন আগেই আশপাশের সহজ ঢাল ধরে ওপরে উঠে গিয়ে বিলে করবে ও অন্যজন চড়বে। এতে বিলে যদি ফেল না করে তাহলে আরোহীর চড়তে গিয়ে পা ফসকালেও পতনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। এই ধরণের বিলেকে বলা হয় Static Belay অর্থাৎ দড়ি সবসময় টানটান থাকবে, পা ফসকালে শুধু বিলেয়ারকে ক্লাইম্বারের ওজনটা রুখতে হবে। এক্ষেত্রে বিলেয়ারের অবস্থান পাথরে সর্বদা ক্লাইম্বারের উপরে কোথাও।
কিন্তু প্রকৃত ক্লাইম্বিং এর ক্ষেত্রে একজনকে ক্লাইম্বিং রুট ধরেই ওপরে উঠতে হয়। তাকে বলে লিড ক্লাইম্বার। সে রুটটা লিড বা ওপেন করে। দলের অভিজ্ঞ, যোগ্য ও সাহসী ক্লাইম্বার সচরাচর লিড করে। কিন্তু লিড ক্লাইম্বারের যদি পতন হয়? তাকে কে রুখবে? তারও পদ্ধতি আছে। সেও কোমরে দড়ি বেঁধে উঠবে ও যেখানে মনে হবে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তার আগেই পাথরে Anchor করে তার মধ্যে দিয়ে দড়িটা গলিয়ে তারপর আরো ওপরে উঠবে।
একে বলে Running Anchor যা করার নানা পদ্ধতি আছে। এক্ষেত্রে বিলেয়ার সর্বদা নীচে থেকে বিলে করবে। লিড ক্লাইম্বারের পতন হলে সে Last Anchor Point থেকে যতটা উঠবে তার দ্বিগুণ দূরত্ব ফ্রি ফল হয়ে Last Anchor পয়েন্টে আটকে ঝুলতে থাকবে। ফলে একজন লিড ক্লাইম্বার যদি কয়েকটা Running Anchor করে একশো ফুট উচ্চতা চড়তে গিয়ে একদম শেষের দিকে পড়ে যায় তা হলে সে একশো ফুট নীচে এসে পড়বে না। ওপরের দিকে শেষ এ্যাঙ্কর পয়েন্টে আটকে তার পতন রোধ হবে।
এ ধরণের বিলেকে Dynamic Belay বলে। এক্ষেত্রে Fall হলে পাথরে Anchor Point, ক্লাইম্বারের শরীর, বিলেয়ারের Fixed Anchor Point সব জায়গায় ভালো রকম ঝটকা লাগবে। Dynamic Belay সচরাচর Body Belay পদ্ধতিতে করা হয় না। তখন ব্যবহার করা হয় Belay Device. মাটিতে এসে না পড়লেও ঐ সীমিত পতনেও পাথরে মাথা, কনুই, হাঁটু ঠুকে গিয়ে লিড ক্লাইম্বারের আঘাত লাগতে পারে। তবে পাথরে প্রথম Running Anchorটি লাগানোর আগেই পতন হলে সেখান থেকে লিড ক্লাইম্বার সটান মাটিতে এসে পড়বে।
আরো কিছুটা উঠে অমিয়দা আর একবার অভিনীত নড়বড়ে ভঙ্গি করতে শুরু করলেন।
অমিয়দা- WATCH ME.
সুশীলদা- OK. গভীর একাগ্ৰতায় তিনি দড়ি ধরে আছেন।
অমিয়দা- TENSION ! তাঁর নড়বড়ে ভাব বাড়ছে। অর্থাৎ উনি পাথরে খাঁজ বা ঘর্ষণের ওপর ভরসা করে ভারসাম্য রাখতে পারছেন না। বিলেয়ারকে দড়ি আরো টেনে ধরে সাহায্য করতে বলছেন।
সুশীলদা- OK বলে দড়িটা বেশ জোরে টেনে ধরলেন।
অমিয়দা- H-O-L-D বলে জোরে আওয়াজ দিয়েই পাথর থেকে পা ফসকে পড়ে গেলেন। আমাদের দেখানোর জন্য। কিন্তু মাটিতে এসে পড়েন নি। তাঁর যোগ্য সহযোগী নিমেষে নিখুঁত বিলে পদ্ধতিতে রোপের সাহায্যে অমিয়দার পতন ওখানেই রুখে দিয়েছেন। তিনি পেন্ডুলামের মতো দড়ি থেকে শূন্যে ঝুলছেন।
এক্ষেত্রে কিন্তু সুশীলদা কোনো আওয়াজ দেননি। HOLD একটা SOS কল। তার প্রত্যূত্তর দেবার প্রয়োজন নেই। তখন বিলেয়ারের একমাত্র কাজ কুইক রিফ্লেক্সে আরোহীর পতন রোখা।
অমিয়দা সামলে নিয়ে আবার পাথরে ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে বললেন, I AM OK. সুশীলদাও OK বলে দড়ির টান স্বাভাবিক করে দিলেন। CLIMBING বলে অমিয়দা আবার উঠতে শুরু করলেন। CLIMB ON বলে সুশীলদাও বিলে করতে লাগলেন। আর কোনো অঘটন ছাড়াই অমিয়দা ওপরে উঠে সুশীলদার কাছে গিয়ে কোমরের দড়ি খুলে ফেললেন। সুশীলদাও বিলে রোপ ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। ক্লাইম্বের এই পিচ বা পর্বটির শেষ হোলো।
ওরা সবাই ও মলয়দা হাততালি দিয়ে ওনাদের দুজনকে এমন একটা ছবির মতো ক্লাইম্বিং ডেমো দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানালো।
অমিয়দা নেমে এসে বললেন, "HOLD কলটা কিন্তু মিনমিন করে দিলে চলবে না। এত জোরে চেঁচাবে যাতে বিলেয়ার যদি সেই মূহুর্তে একটু অন্যমনস্কও থাকে তাহলে কলটা যেন রিফ্লেক্স ট্রিগারের কাজ করে। মনে রেখো, একবার যদি পতনজনিত ঝটকায় দড়ি বিলেয়ারের কোমর থেকে স্লিপ করতে শুরু করে তাহলে আর তা হাত দিয়ে রোখা প্রায় অসম্ভব। এক মূহুর্ত্তের অন্যমনস্কতা হয়তো সঙ্গীর পতন, গুরুতর আঘাত বা মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। বিলে ডিভাইস দিয়ে বিলে করলে এহেন বিপদের সম্ভাবনা অনেক কম। কিছু বিলে ডিভাইস হঠাৎ ঝটকা লাগলে গাড়ির সীট বেল্টের মতো অটো লক হয়ে যায়। তাই বডি বিলে বা শরীরে দড়ির ঘর্ষণজনিত বাধার ওপর নির্ভর করা বিলে অনেকে আনসেফ মনে করেন। তবু এটা শিখে রাখা জরুরি। কখনো কাজে আসতে পারে।”
পুনশ্চঃ - রানিং এ্যাঙ্কর ব্যাপারটি শুধুমাত্র লিখে বোঝানো মুশকিল তাই একটি ৫ মিনিটের ডেমো ভিডিও রইলো। এখানে ছেলেটি ১০০ / ২০০% Redundancy বা দ্বিগুণ, তিনগুণ সেফটি নিয়ে রানিং এ্যাঙ্কর করছে। অর্থাৎ একটির বদলে কমপক্ষে দুটি বা তিনটি এ্যাঙ্করের ওপর ভরসা করতে বলছে যাতে কোনো একটি ফেল করলেও পতনের সম্ভাবনা না থাকে। এই পদ্ধতিতে অনেক এ্যাঙ্কর নিয়ে লিড ক্লাইম্বারকে চড়তে হয়।
ভারতে শৈলারোহণ ব্যাপারটা অতো চালু নয় কিন্তু ইংল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এসব জায়গায় এ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা নিয়মিত সপ্তাহান্তে রকে চড়তে যায়। সেখানে অনেক প্রচলিত রুটের গাইডবুক পাওয়া যায় যাতে রুটগুলি বইয়ের পাতায় সুন্দরভাবে দেখানো আছে। সাথে দেওয়া আছে সেগুলোর Climbing Grading.
আশির দশকে সুমনরা শুনেছিল রক ক্লাইম্বিংয়ের ছয়টি গ্ৰেডের কথা - 1.Easy 2.Moderate 3.Difficult 4. Very Difficult 5. Severe 6. Exceptionally Severe. গাইডবইতে সেগুলির তাৎপর্য ব্যাখা করা থাকতো।
পরে Alphanumeric, Decimal, Prefix, Suffix, + ইত্যাদি সহযোগে গ্ৰেডিং সিস্টেম চালু হয় মূলতঃ রুটটির বৈশিষ্ট্য ও ডিফিকাল্টি লেভেল, আমেরিকান বা ফ্রেঞ্চ স্পোর্টস ক্লাইম্বিং মেথড ইত্যাদি বোঝাতে - যেমন f7c+, IX+, 5.13a ইত্যাদি।
আমেরিকায় যোশিমিতিতে (Yosemite National park) রক ক্লাইম্বিং দুনিয়ায় অত্যন্ত কঠিন কিছু রুট আছে যেমন Nose of El Capitan, Half Dome, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় The University Wall ইত্যাদি। এসব Big Wall Climbing, Free Solo ইত্যাদির জগৎ - যেখানে অত্যন্ত দক্ষ, সক্ষম, মৃত্যুভয়হীন, দুঃসাহসিক ক্লাইম্বাররা খেলাধুলা করেন। বর্তমান প্রসঙ্গ সেসবের ধারেকাছেও নয়।
ভিডিওতে দেখানো পার্মানেন্ট বোল্ট এ্যাঙ্করগুলি আগে থেকে প্রচলিত রুটে কেউ গিয়ে কমপ্রেসড এয়ার বা ব্যাটারি চালিত ড্রিল দিয়ে পাথরে গর্ত করে এক্সপ্যানশন বোল্ট ঠুকে করে আসে।
মহারাষ্ট্রে পশ্চিমঘাটের সহ্যাদ্রী অঞ্চল পুণে, মুম্বাইয়ের কিছু উৎসাহী রক ক্লাইম্বাররা নিয়মিত যায়। ওখানে কিছু ক্লাব আরোহীদের সুবিধার জন্য অমন বোল্ট ঠুকে পার্মানেন্ট এ্যাঙ্কর করে রেখেছে। উপরের ছবিটি সহ্যাদ্রীর একটি বিখ্যাত হিল ফোর্ট ট্রেকের। সেখানে ডিসেম্বর ২০১২তে গেছিলাম একটি স্থানীয় গ্ৰুপের সাথে। ছবিতে তিনটে অমন পার্মানেন্ট বোল্ট এ্যাঙ্কর দেখা যাচ্ছে। যার একটিতে পরাগ নিজেকে এ্যাঙ্কর করেছে। একটিতে লাগিয়েছে নীল রঙের কন্ট্রোলড্ র্যাপেলিং ডিভাইস। D এর মতো বস্তুগুলি ক্যারাবিনার।
ঐ ফোর্টে বিভিন্ন জায়গায় অতীতে পাথরে খোদাই করা সিঁড়িগুলি ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সৈন্য ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মারাঠা বিদ্রোহীরা সহজে ওগুলো ব্যবহার করতে না পারে। এখন অমন কিছু হিল ফোর্টে ট্রেক করতে গেলে একটু রক ক্লাইম্বিং, র্যাপেলিং (দড়ির সাহায্যে স্লাইড করে দ্রুত, সহজে নেমে আসার কৌশল) করতে হয়। ছবিতে পরাগ র্যাপেলিং এ্যাঙ্কর পয়েন্টে বসে দলের সদস্যদের র্যাপেলিং করে নামতে সাহায্য করছে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।