এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইদবোশেখি  ইদবোশেখি

  • আদর্শনগর উচ্চ বিদ্যালয়

    দময়ন্তী
    ইদবোশেখি | ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৬৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)

  • ১)
    পুরো আদর্শনগরে এই একটাই সরকারপোষিত স্কুল অবশিষ্ট আছে এখন। আদর্শনগর জায়গাটা নেহাত ছোট নয়, আড়ে বহরে প্রায় সাড়ে চার বর্গ কিলোমিটার, লোকসংখ্যাও হাজার পঁয়ত্রিশেক। এই বছর দশেক আগেও এখানে খান চারেক বালিকা বিদ্যালয় আর তিনখানা ছেলেদের স্কুল ছিল যাদের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন আসত সরকারি কোষাগার থেকে। পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করে পনেরো ষোলো বছর আগে থেকে। বছর সাতেক আগে থেকে সরকারি তরফে উদ্যোগ শুরু হয় দুটো তিনটে স্কুল একসাথে সংযুক্তিকরণের। তারপরে তো কোভিড এসে সরকারের কাজ সহজ করে দিল।

    মেয়েদের স্কুলগুলোতে তাও পড়ুয়া হত কিছু। টিকেও থাকত অনেকেই মাধ্যমিক অবধি। কন্যাশ্রীর টাকাটার জন্য বাপ মায়েরা আজকাল মেয়েদের পড়াশুনোটা চালিয়েই যায়। ঘরে মোটামুটি খাওয়াপরার সংস্থান না থাকলে ছেলেগুলো পড়াশোনাটা চালাতে পারে না। ওই একটু লিখতে পড়তে শেখা, টাকাপয়সা ঠিকঠাক গুণতে শেখা, তারপরে একটু মাথাঝাড়া দিয়ে উঠলেই স্কুল ছেড়ে কাজে লেগে পড়ে। এখানে খেতের কাজে মজুরি কম। বরং বাইরে গিয়ে রাজমিস্ত্রি কি যোগাড়ের কাজে লাগলেও অনেকটা বেশী টাকা পাওয়া যায়। সেসব খবর দেবার লোক স্কুলের আশেপাশেই ঘুরঘুর করে।

    লকডাউনের সময়টাতে অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল, আর লকডাউন উঠতে না উঠতেই কতগুলো মেয়ে কোথায় কোথায় যেন কাজের খোঁজে চলে গেল। কে যে ওদের খবর দিল কোথায়ই বা গেল তারা সেসব কথা এলাকার মানুষ আর জানতে পারল না। অবশ্য তেমন করে খোঁজই বা নেয় কে? যে যার জীবন চালাতেই পাগল হয়ে যাচ্ছে। রোজের খাওয়া পরা অসুখ বিসুখ সামলে লেখাপড়া চালিয়ে যাবার ক্ষমতা এ এলাকায় কম পরিবারেরই আছে। কোনোমতে লিখতে পড়তে জানা আর সংসারের হিসেবটুকু রাখা এর বেশী আর মেয়েদের লাগেই বা কি! কন্যাশ্রীর টাকাকটার জন্যই উচ্চমাধ্যমিক অবধি টানা।

    ২)
    আদর্শনগরে মেয়েদের স্কুলগুলোতে ক্লাস টেন অবধিই ছিল। তারপরে হয় পাশের নতুনপাড়ায় যাও নয়ত আরো দূরে দূরে। দু বচ্ছর আগে দুখানা মেয়েদের স্কুল নতুনপাড়ার সিদ্ধেশ্বরীমাতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাথে জুড়ে দিয়েছিল সরকার থেকে। বাকী দুটো স্কুল ছাত্রী না হতে হতে শেষে এখন কোনোদিন খোলে কোনোদিন খোলে না। একেবারে কোথাও যাবার নেই, কিচ্ছু করার নেই এমন চার পাঁচটা মেয়ে আসে যেদিন ইস্কুল খোলে। মিড ডে মিল খাওয়ার পরে তারাও চুপচাপ কেটে পড়ে। আদর্শনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক অবধি আছে, তাই ছেলেদের ইস্কুল দুটোকে এর সাথে জুড়ে দেওয়া হল এই গত বছরের গোড়ার দিকে।

    পলাশ এই স্কুলে যোগ দিয়েছিল সেই ২০০৬ সালে। স্কুল তখনো উচ্চমাধ্যমিক হয়নি। তা হতে হতে আরো তিন বছর। পলাশের বাড়ি সেই শিয়াখালার কাছে। ট্রেকার ট্রেন বাস ধরে আসতে প্রায় দেড়ঘণ্টার মত সময় লাগে। প্রথমদিকে ম্যানেজিং কমিটি চাপ দিত এই আদর্শনগরে এসে থাকার জন্য। তখন তো নিত্যই রাস্তা ট্রেন অবরোধ লেগেই থাকত। মাঝে মাঝেই এক আধটু লেট হয়ে যেত। হেডস্যার রথীনবাবু মানুষ ভাল ছিলেন। ফার্স্ট পিরিয়ডে পলাশের ক্লাস রাখতেন না। ২০১১তে জমানা বদলের পরে অবরোধ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ততদিনে স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক এসে গেছে, এদিকে তারজন্য টিচার স্যাংশান হয়েছে সাকুল্যে দুজন।

    ২০১৩তে রথীনবাবু রিটায়ার করার পর পরই বছর দুইয়ের মধ্যে আরো সাতজন টিচার রিটায়ার করেন সাথে ক্লার্ক বরুণবাবুও। ক্লার্কের পোস্ট আর স্যাংশান হয়নি, বদলে একজন কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট পাওয়া গেছে। সাতজন টিচারের জায়গায় ২০১৭ পর্যন্ত তিনজন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় ১৪৫৩ জন ছাত্রের জন্য মোট সাতজন টিচার আর একজন টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। পলাশদের কারো কোন অফ পিরিয়ড বলে কিছু ছিল না। তারপর একলপ্তে আরো তিনজন আসায় একটু সুরাহা হয়। সেই সময় থেকেই ছাত্র কমতে থাকে। প্রথমদিকে ওরা তেমন গা করেনি বরং ছাত্র কমায় স্বস্তিই পেয়েছিল খাটুনি কমতে দেখে।

    ৩)
    স্টেশন থেকে স্কুল বরাবর হেঁটেই আসে পলাশ আরো কয়েকজনের সাথে। এখন অবশ্য টোটো চলে সাঁ সাঁ করে গোটা আদর্শনগর নতুনপাড়া জুড়েই। তবু ট্রেন খুব বেশী লেট না করলে হাঁটতেই ভাল লাগে। আজ বাপী বেকারির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মৃন্ময় পলাশের হাতে টান দিয়ে পাশের গলির দিকে ইঙ্গিতে দেখায়। গলি দিয়ে জোরে হেঁটে প্রায় দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অরূপ, ক্লাস নাইনের অরূপ ঘোষ, সাথে একটা অচেনা ছেলে। পলাশ ডাকতে গিয়েও থেমে যায়। ‘'গোল্লায় গেছে ছেলেটা, একেবারে উচ্ছন্নে গেছে।” গজগজ করে মৃন্ময়। ঘাড় নেড়ে সায় দেন কৌশিকবাবু। কৌশিক পোড়েল, বছর দশেক ইনিই হেডস্যারের দায়িত্ব পালন করছেন।

    মৃন্ময় অঙ্ক আর ভৌতবিজ্ঞানের মাস্টারমশাই হলেও টিচারের অভাবে জীবনবিজ্ঞানও ওই পড়ায়। মৃন্ময়স্যার ছাত্রদের খুব প্রিয়। ওরই উৎসাহে ছেলেরা অনেকে অঙ্ক অতিরিক্ত ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে নেয়, ভাল নম্বরও পাচ্ছে মাধ্যমিকে। এই অরূপ ছেলেটাও অঙ্কে ভাল, ইংরিজি ছাড়া প্রায় সব বিষয়েই ভাল নম্বর পায়। তবে গত কয়েকমাস ধরে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে। একবার গার্জেন কলও হয়ে গেছে। লাভ হয়নি বিশেষ, অরূপের বাবা তাঁর মনিহারি দোকান বন্ধ রেখে আসতে পারেননি। মা এসেছিলেন বটে, ‘'আপনারা খুব মারবেন ওকে স্যার”- ছাড়া আর কিছুই বলেননি তিনিও। ছেলে সম্ভবত মাকে একেবারেই পাত্তা দেয় না।

    দুদিন পরে অরূপকে ক্লাসে দেখে ছুটির পরে কমনরুমে আসতে বলল পলাশ। সেদিনের কথা বা এই কদিন স্কুলে না আসার জন্য কোন বকাবকি না করে সেদিনের পড়াটুকু বুঝিয়ে গরমের ছুটির আগে একটা ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা করা যায় কিনা জিজ্ঞেস করে ক্লাসকে। ক্লাস সেভেন এইট যেমন লাফিয়ে উঠেছিল, নাইনে তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। টিম বানাতে বানাতেই ছুটির ঘণ্টা পড়ে। পলাশ একেবারে অরূপকে সঙ্গে করেই কমনরুমে আসে। মৃন্ময়দের বেরিয়ে যেতে বলে হাতের জিনিষগুলো রেখে বাইরের বেসিনে হাত ধুতে যায়। ফিরে এসে অরূপের দিকে তাকিয়েই এক ঝটকায় মাথায় রক্ত উঠে যায় ওর।

    ৪)
    থমথমে কমনরুমে শ্রীলা আস্তে করে গলা খাঁকারি দেয়। কৌশিকবাবু তাকালে আস্তে আস্তে বলে ‘আমি আর তাহমিনা তাহলে বেরোই এবারে। সন্ধ্যে হয়ে আসছে।’ ঘাড় নাড়েন কৌশিকবাবু, একটু থেমে বলেন মৃন্ময় তুমিও যাও দিদিমণিদের সঙ্গে। কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে ব্যাগটা টেনে নিয়ে উঠে পড়ে মৃন্ময়। ওরা বেরিয়ে গেলে কম্পিউটারের দীপঙ্কর বলে ‘'আচ্ছা আমি তাহলে আমার বন্ধু সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে কথা বলে দেখি সপ্তাহে একদিন করে এখানে আসতে পারে নাকি।’’ পলাশ বলে “হ্যাঁ আমরা চাঁদা তুলে কয়েকটা সেশনের ব্যবস্থা করব নাহয়।” সবাই সায় দেয়। স্কুল বন্ধ করে যে যার বাড়িমুখো রওনা দেয়।

    ট্রেনে বসে পলাশ চোখ বন্ধ করে ভাবছিল গত কদিনের ঘটনা। আদর্শনগরে মেয়েদের স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাবার পর টিচারদের কিছু নতুনপাড়ার গার্লস স্কুলে, কিছু বাইরে নানা জায়গায় পাঠায় সরকার থেকে। শুধু শ্রীলা আর তাহমিনাকে পলাশদের স্কুলেই নিয়োগ করে। সেদিন হাত ধুয়ে ফিরে পলাশ দেখেছিল তাহমিনা পেছন ফিরে নিচু হয়ে আলমারিতে কিছু রাখছে আর অরূপ অদ্ভুত লোলুপ চোখে তাহমিনাকে দেখছে। সাথে হাতের আঙুলে অশ্লীল মুদ্রা। প্রথম ইচ্ছে হয়েছিল সপাটে চড় লাগায় একটা। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে অরূপকে ডেকে নিয়ে মাঠে এসে ঘাসের ওপরে বসে। সেদিন প্রায় একঘণ্টা কথা বলেছিল ওরা।

    অরূপ আর পড়াশোনা করতে চায় না, বরং মুম্বাই বা চেন্নাই গিয়ে ‘মাল্লু কামাতে চায়।’ অরূপ একা নয়, প্রবীর, তনুময়, অনুজও তাই চায়। বলে পড়াশোনা করে কী হবে? মাল্লু থাকলে সবাই পায়ে এসে পড়বে। খানিকটা ইতস্তত করেই পলাশ জিজ্ঞেস করে ওদের কারো মেয়েবন্ধু আছে কিনা? কোচিনে বা পাড়ায়? তাতেই মুখ খুলে যায় অরূপের। মেয়েরা যে কত খারাপ, ওদেরকে স্রেফ মারের ওপরে রাখতে হয়, ওরা টাকা দেখলেই গলায় এসে পড়বে, পড়াশোনার নামে সেজেগুজে স্কুলে যায় আর সরকার থেকে টাকা পায় তাই টাকা ছাড়া কারো দিকে তাকায় না এইরকম অনেক কিছু টানা বলে যায়। প্রতি বাক্যের সাথে মুখের বিকৃতি বুঝিয়ে দেয় মেয়েদের প্রতি ওর অপরিসীম ঘেন্না।

    ৫)
    চৈত্রমাস শেষ হয়ে আসছে, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, জারুল শিরীষ গাছগুলো ফুলে ছেয়ে গেছে। তবে আমগাছে এবারে তেমন মুকুল ধরেনি। দোকানে দোকানে সেলের হাতছানি। আদর্শনগর হাইস্কুলের ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। ক্লাস ফাইভ থেকে এইট একটা গ্রুপ আর নাইন থেকে টুয়েলভ আরেকটা। প্রথম গ্রুপের ছেলেদের ভীষণ উৎসাহ কিন্তু দ্বিতীয় গ্রুপে মাঝে মাঝে এক একটা টিমে এগারোজন পাওয়াই মুশকিল হয়। পলাশরা তবু জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে যায় ম্যাচ। সাইকিয়াট্রিস্ট ভদ্রলোক এখনো সময় করে আসতে পারেন নি। তবে বলেছেন ওঁর পরিচয় না জানাতে। ‘'মনোবিদ’ শুনলে ছাত্রদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

    মৃন্ময় কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ঘুরে ঘুরে অরূপ প্রবীরদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছে। ছেলেরা পড়া ছেড়ে বাইরে কাজে যেতে চায় শুনে কেউই তেমন অবাক হননি। বরং কিছুটা খুশীই, সংসারের দায়িত্ব নেবে সে তো ভাল কথা। তনুময়ের মা বললেন ট্যাব পেয়ে ছেলেদের খুব উপকার হয়েছে, এইসব খবরাখবর আমরা আর কোত্থেকে পাবো?
    অনুজের দাদা মনোজ বেশ রেগে রেগে বলল স্কুলে ওই ‘ওদের’ টিচার নেওয়া ঠিক হয়নি, ‘ওরা’ তাল খুঁজছে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের লাভ জিহাদে ফাঁসাতে। মৃন্ময় ঠান্ডা মাথায় বোঝাতে চেষ্টা করায় মনোজ আরো রেগে ওঠে।

    এই কাটুয়া মোল্লারা কেমন ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকে আসছে পাশের দেশ থেকে তা কি মাস্টারমশাই চোখে দেখেন না? তার চড়া গলার আওয়াজে আশপাশ থেকে কজনা জড়ো হয়ে যায়। সকলেই সায় দেয়, মনোজ আদর্শনগরে বেশ নামকরা ইলেকট্রিকাল মিস্ত্রি। প্রায় সব পাড়ায় নিত্য যাওয়া আসা আছে তার। সে কি আর আন্দাজে বলছে? জেনেই বলছে। স্কুলে এসে সাবধানে তাহমিনার কান বাঁচিয়ে মৃন্ময় কমনরুমে কথাগুলো বলে। দীপঙ্কর আর শ্রীলা একটু কিন্তু কিন্তু করে বলে মনোজের কথা খুব একটা ভুল নয়। পলাশ মৃন্ময় উত্তেজিত হয়ে ওঠে, শ্রীলারাও গলা চড়ায়। তাহমিনা কোথা থেকে যেন দৌড়ে এসে ঢোকে, হাতে মোবাইল, মুখ ফ্যাকাসে - ‘'সর্বনাশ হয়ে গেল স্যার, সব শেষ হয়ে গেল।”

    দশ দিন পর

    কমনরুমে জনা ছয়েক চুপচাপ বসে আছে। কিছুক্ষণ পরে কৌশিকবাবু গলা খাঁকারি দিলেন, ‘'তাহলে কী করা যায়? ডিআই অফিস থেকে তো কিছুই বলতে পারছে না।” এ ওর মুখের দিকে তাকায়, পলাশ আস্তে বলে আমরাই নাহয় মাসে মাসে কিছু করে দিয়ে মৃন্ময়দের আসতে বলি। কৌশিকবাবু চিন্তিত মুখে বলেন তাতে আবার আদালত অবমাননার দায়ে পড়ব না তো…। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মৃন্ময় শ্রীলা তাহমিনাসহ ছয়জনের চাকরি গেছে এই স্কুল থেকে। নতুনপাড়া সিদ্ধেশ্বরীমাতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকেও জনা সাতেকের গেছে। সেদিন তাহমিনা প্রথম খবরটা আনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা স্কুলে ছড়িয়ে গিয়েছিল খবর।

    প্রথম দু'একদিন ওরা কয়েকজন স্কুলে এসেছে। রাস্তায় এদিক ওদিক থেকে ‘চোর মাস্টার’, ‘কত দিয়ে পেইছিলে?’ এইসব উড়ে আসায় আর চাকরি গেছেই, এ আর পাওয়া যাবে না এই ধারণা চারিয়ে যাওয়ায় আর কেউ আসছে না। এ মাসটায় অনেক ছুটিছাটা, ছাত্রও অনেক কম আসছে তবু সব ক্লাস সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তবু যাই হোক পরীক্ষার খাতাগুলো সকলেই দেখে দেবে বলেছে এই যা বাঁচোয়া। ক্লাস নাইনের অমিতেশ এসে জানিয়েছে অরূপরা চারজন আর ইলেভেনের তিনজন সাউথে চলে গেছে কাজ পেয়ে। আর পড়বে না। কী কাজ? কোথায়? এসব জানে না অমিতেশ।

    বেরোতে বেরোতে সন্ধ্যে হয়ে এলো প্রায়। ক্লাস নেওয়া, মিড ডে মিলসহ আরো পাঁচরকম সরকারি প্রকল্পের কাজ কীভাবে সামলানো যাবে সে নিয়ে কিছুই ঠিক করা যায় নি। পলাশ বলে দেখুন যারা টাকাগুলো নিয়েছিল তাদেরকে কেউ তেমন কিছু বলছে না অথচ শ্রীলাদের না জেনেই কেমন দাগি বানিয়ে দিচ্ছে মানুষজন। কৌশিকবাবু মলিন হাসেন। তাইই তো হয়। তালা লাগিয়ে রাস্তায় ওঠার মুখেই পলাশের ফোন বাজল, মৃন্ময়। বাকীদের এগোতে বলে পলাশ দাঁড়ায়। মৃন্ময় কলকাতায় যাচ্ছে কদিন, আন্দোলন বিক্ষোভে যোগ দিতে।
    আগে কোনোদিন এসব বিক্ষোভ টিক্ষোভে যোগ দেয়নি ওরা কেউই। এমনকি সেই ডাক্তার মেয়েটা যখন হাসপাতালেই খুন হয়ে গেল তখনো না।

    কিছু হল কিনা জিগ্যেস করার আগেই মৃন্ময় তড়বড়িয়ে জিজ্ঞেস করে ‘'আচ্ছা মনোজ যে বলছিল ‘ওরা’ আসছে সব জায়গা ভরে ফেলছে, অনেক বড় ছক কষে আসছে সব দখল করতে, এইসব খবর গোপন সূত্র থেকে পাওয়া যায়। আমি শুনেছিলাম লোকের মধ্যে খবরগুলো ছড়িয়ে দিলে নাকি টাকা পাওয়া যায়। তুমি জানো কোথায় কার কাছে নাম লেখালে এটা পাবো?” পলাশও শুনেছিল বৈকি! কিন্তু এ তো অন্যায়! মারাত্মক ভুল গুজব সব। ওর থেকে উত্তর না পেয়ে কেমন মরীয়া গলায় মৃন্ময় বলে যায় ‘'কী করব পলাশদা আমার বাড়িতে ছটা পেট, সেভিংস যা আছে তাতে মাস দুই চলবে।
    বাবার অপারেশনে পার্সোনাল লোন নিয়েছিলাম তার কিস্তি আছে… কী করে কী হবে পলাশদা? তুমি একটু মনোজের সাথে কথা বলে জানাবে গো আমাকে।’’

    কেউ যেন গলা টিপে ধরেছে, একটাও শব্দ বেরোয় না পলাশের গলা দিয়ে। মৃন্ময় বলে চলে ‘হ্যালো হ্যালো পলাশদা, শুনতে পাচ্ছ? হ্যালোও…’ পলাশ সামনে তাকিয়ে দেখে ‘আদর্শনগর’ শব্দটা আর পড়া যাচ্ছে না। অন্ধকার গাঢ় হয়ে এসেছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইদবোশেখি | ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৬৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 2001:4490:4051:77f0:29f4:4d46:28be:***:*** | ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৪542571
  • মারাত্মক। 
  • মারাত্মক তো বটেই | 116.206.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০০:১৪542573
  • মারাত্মক ভুল গুজব‌ই বটে.....
  • kk | 172.56.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৫৪542576
  • মনটা খারাপ হয়ে গেলো এই লেখা পড়ে। গল্প নয়, সত্যিই পড়ছি বোঝা যায় পড়ার সময়। এত হতাশা!
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০২:০২542577
  • "মেয়েরা যে কত খারাপ, ওদেরকে স্রেফ মারের ওপরে রাখতে হয়, ওরা টাকা দেখলেই গলায় এসে পড়বে, পড়াশোনার নামে সেজেগুজে স্কুলে যায় আর সরকার থেকে টাকা পায় তাই টাকা ছাড়া কারো দিকে তাকায় না এইরকম অনেক কিছু টানা বলে যায়।" ধারালো পর্যবেক্ষণ yes নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় এই রকম মতে বিশ্বাসী ছেলেদের সংখ্যা ক্রমে বাড়ার সম্ভাবনা।
  • স্বাতী রায় | 2001:4490:4051:77f0:4934:f579:b715:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫২542598
  • @পাপাঙ্গুল নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় কেন এইরকম মতে বিশ্বাসী বাড়ার সম্ভাবনা? কৌতূহল হচ্ছে জানার।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৫542602
  • অসাধারণ । তবু আশা থাকে । মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ 
  • প্রতিভা | 2401:4900:1c65:4660:4153:2065:eb7f:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৪542606
  • মেয়েরা যে দাবাইয়া রাখিবার বস্তু, এই ধারণা পুরুষ ছাত্রদের মধ্যে খুব ব্যাপক দেখেছি। উত্তরাধিকারই বলব একে। তবে দিন যে পাল্টাচ্ছে বা পাল্টানোর চেষ্টা আছে, তেমন আভাস দিয়েছ বলে ধন্যবাদ। 
    এই গল্পের টেকনিকটা দারুণ লাগল। জাম্পকাট খুব ভালো কাজে লাগিয়েছ।
  • Nirmalya Nag | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২৬542610
  • ভাল লাগল 
  • Kishore Ghosal | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৫৭542617
  • ভারি ভারি তত্ত্বকথা নয়, সহজ কথায় বাস্তব চিত্র - আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার। ধ্বংসই হয়ে গেল বলা যায় ...। ভালো লাগল ঠিকই কিন্তু মনটা খারাপ হয়ে গেল ভীষণ।
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪৮542632
  • @স্বাতীদি, এডোলেসেন্স সিরিজ দেখেও সেরকম মনে হল। দুনিয়াজুড়ে ম্যানোস্ফিয়ার। জেন জি এবং তার থেকেও অল্পবয়সীরা রক্ষণশীলতা ও ডানপন্থার দিকে ঝুঁকছে। অনেকেই মেয়েদের সমানাধিকার, স্টেমের জন্য এগিয়ে আসা মানতে পারছে না। পবতে অল্পবয়সী ছেলেরা স্কুলছুট সস্তার পরিযায়ী শ্রমিক হচ্ছে কিন্তু দেখছে মেয়েরা বিয়ের আগে ও পরে বিনা শ্রমে সরকারি সাহায্য পাচ্ছে। এই ধারণা থেকেই নারী বিদ্বেষ।
  • | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১১542634
  • স্বাতী কেকে, পাপাঙ্গুল,  হীরেনদা, প্রতিভা, নির্মাল্য,  কিশোর। 
    ধন্যবাদ।
     মূলত মেয়েরা কন্যাশ্রীর জন্য উচ্চমাধ্যমিক অবধি পড়ছে আর ছেলেরা স্কুল ড্রপ আউট হচ্ছে ব্যপকহারে, যার ফলে আমরা দেখছি  মাধ্যমিকে মেয়েদের সং্খ্যা ছেলেদের তুলনায় অনেক বাড়ছে প্রতিবছর। এইটে যৌন অপরাধ ও মেয়েদের প্রতি হিংস্রতা বাড়াচ্ছে। এই নিয়ে পরিচিত এক মাস্যারমশাইয়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে যা জানতে পারি তা খুবই উদ্বেগের। 
    গল্পটা গল্প হিসেবে খুব একটা সুবিধের হয় নি আমার মতে। 
     
    প্রতিভাকে বলার ছিল যে না আমার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। আমাদের সময়ে বা পরেও অনেকদিন পর্যন্ত সহপাঠিনীদের প্রতি তাচ্ছিল্য ছিল কিন্তু বিদ্বেষ দেখি নি। এখন ছাত্রদের মধ্যে সহপাঠিনীদের প্রতি একটা বিদ্বেষ, একটা হিংস্র আক্রোশ দেখা যাচ্ছে। তাচ্ছিল্য খুব ভাল কিছু না হলেও বিদ্বেষ বা আক্রোশের চেয়ে ডেল্টা পরিমাণ ভাল আর কি। 
     
  • Ranjan Roy | ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:১২542677
  • গল্পটা  পড়ার পর ভাবতে শুরু করেছি। 
     
    ছোটবেলার স্মৃতি প্রতিভা ম্যামের দিকে সাক্ষ্য দিচ্ছে। কিন্তু সেটা ছেলেদের ফ্যান্টাসি বিশ্বে। ক্লাসে সিক্সে বরানগর মিশন স্কুলের পায়খানায় গ্রাফিতিতে ছেলেদের কল্পনায় মেয়েরা শিকার, ছেলেরা শিকারী। যৌনতার সঙ্গে হিংস্র বলপ্রয়োগের মিশ্রণ যেন স্বাভাবিক। 
    কিন্তু সেই সময়েও পাড়ায়  দৈনন্দিন ব্যবহারে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, সমব্যথী হওয়া--এটাই বেশি দেখেছি, যেমন দময়ন্তী বলেছে।
     
    আমার অভিজ্ঞতা বলছে মেয়েদের আলাদা করে রাখা, অপরিচয়ের সমস্যা এবং কৌতুহল--এগুলো ছেলেদের বেশি বর্বর করে। যেমন, আমার সময়ে (১৯৬৭-৬৮)  মৌলানা আজাদ ছিল বয়েজ  ওনলি । তখন ছেলেদের দেখেছি কমনরুম থেকে পাশের বাড়ির ব্যালকনিতে একটি মেয়ের দর্শন পাওয়া গেলে ভীড় করে তার দিকে অভব্য ইঙ্গিত করে উল্লাসে মেতে উঠতে।
     
    অথচ একই সময়ে প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর এবং গড়িয়া কলেজে  মেয়েদের নিয়ে ফ্যান্টাসি সত্ত্বেও ছেলেরা বন্ধুত্বে সহজ এবং খুশি। 
     
    কিন্তু এখন কন্যাশ্রী ইত্যাদির ফলে নিজেদের বঞ্চিত ভেবে  মেয়েদের প্রতি ঘৃণার তীব্রতা বৃদ্ধি নিয়ে দময়ন্তীর বক্তব্য ভাববার মত। কেননা, চাকরি এবং শিক্ষায় রিজার্ভেশনের ফলে দলিতদের প্রতি ঘৃণার ( যা ছোটবেলা থেকে শেখানো) তীব্রতা বৃদ্ধি এখন  সবাই দেখতে পাচ্ছেন।
  • sangeeta das | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৮542699
  • আমার ছোটবেলার এক সহপাঠী এবং বান্ধবীর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে লেখাপড়ায় তেমন রেজাল্ট করে উঠতে পারে না, ছোটোমেয়ে তার চাইতে ভালো। ভবিষ্যতে কী হবে এই নিয়ে একদা আড্ডার সময়ে বড় মেয়ে স্পষ্টত‌ই বলে, সে এম বি এ করে ব্যবসা করবে বা কর্পোরেট জয়েন করবে। প্রসঙ্গত জানাই, এই বান্ধবীদের প্রপার্টির একটা অংশ সোদপুর রোডের পাশেই এবং সেখানে তাদের নিজস্ব বিবিধ ব্যবসা রয়েছে। তা, সেইদিন বান্ধবী খেঁকিয়ে উঠে বলল, "মেয়েছেলে হয়ে দোকানে গিয়ে দাঁড়াবে, বাবা কেটে ফেলবে একদম শুনলে!" আমি বললাম, "কাজের আবার ছেলে মেয়ে কী?" বান্ধবী বললে, "তুই চুপ কর, তোর যতো বাউন্ডুলে বুদ্ধি!" অত‌এব চেপে গেলাম। 
     
    অধুনা এক বাঙালি মহিলা ইংরাজিতে আমায় খুব বকা দিলেন এই জেনে যে, আমি মেয়েকে 'ইতি তোমার মা', 'মানুষের মতো মানুষ' বা লীলা মজুমদার বা সুকুমার রায় পড়াই শুনে। ওনার মতে ওগুলো ডিপ্রেশন বাড়ায়, ট্র্যাশ। 
     
    এইবার জানাই, আমার ঐ বান্ধবী হাইস্কুলের শিক্ষিকা, আর পরের ভদ্রমহিলা ব্যাঙ্গালোরের একটি অত্যন্ত নামী স্কুলের প্রিন্সিপাল। 
     
     
    মেয়েদের যে শুধু মারের উপর রাখতে নেই,কারো রাখা না রাখার উপর যে মেয়েদের ব্যক্তিগত জীবন নির্ভর করে না, মানুষ বলতে যে ছেলে মেয়ে উভয়কেই বোঝাবে- কে শেখাবে, জানিনা দময়ন্তীদি। 
    লেখাটা পড়ে চোখে জল এলো। ভলোবাসা নিও। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন