এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • মায়াবী অনাবিল কথকতা

    দময়ন্তী
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ১৭ এপ্রিল ২০২২ | ২৮৪২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)

  • 'পিরবতীর নাকছাবি ও অন্যান্য' আর '৪৬ হরিগঙ্গা বসাক রোড' - উত্তর পূর্বের শহর মফস্বল গ্রাম পাহাড়ের পটভূমিকায় লেখা গল্প সঙ্কলন ও স্মৃতির কোলাজ দুটি বই - পড়েছেন দময়ন্তী। তাঁর কথায়, শক্তি দত্তরায়ের লেখার জোর স্মিত স্বরে বলা জীবনের অম্ল মধুর গল্প, যা জীবনের কোলাহলের মাঝে অমলিন ঝোরাটির শান্ত স্রোতের মত।


    শক্তি দত্তরায় লিখছেন আকৈশোর, কবিতা গল্প। ত্রিপুরার বিভিন্ন পত্রিকায় সেসব প্রকাশিত হয়ে চলেছে সেই সময় থেকেই। পশ্চিমবঙ্গের এক ছোট্ট মফস্বলের আনাড়ি পাঠিকা আমি সে খবর জানতাম না, সেসব হাতে পাবার কোনও সম্ভাবনাও খুব একটা ছিল না এমনিতে। তাঁর লেখার সাথে আমার পরিচয় নেট মাধ্যমেই। জগৎ জোড়া জালে না আটকালে স্বাধীনতা পরবর্তী ত্রিপুরার জীবনের টুকরো মায়াবী ছবিগুলো না দেখাই থাকত আমার। তা নেটে তাঁর লেখা যখন যেমন যেটুকু পেয়েছি টপ করে পড়ে নিয়েছি। লিখলাম বটে ‘টপ করে’ কিন্তু আসলে তাঁর লেখায় কোনো অতিরিক্ত উত্তেজনা, দারুণ হইচই বাধিয়ে দেবার মত কিছু থাকে না, থাকে শান্ত স্নিগ্ধ বয়ে চলা জীবনের টুকরো। চারিদিকে অনবরত ঘটে চলা হইহই রইরই সব কান্ডের মধ্যে যেন তিরতির করে বয়ে চলা ঝোরাখানি, তার উপর দিয়ে বয়ে আসা জোলো হাওয়া আরামের স্পর্শ বুলিয়ে যায় মুখেচোখে।

    লক ডাউন ও বইমেলা মিলিয়ে শক্তি দত্তরায়ের দুইখানা বই প্রকাশিত হয়েছে খবর পেয়ে একটু চেষ্টা করে দুটিই সংগ্রহ করা গেল। বইদুটি হল ‘পিরবতীর নাকছাবি ও অন্যান্য’, প্রকাশক নান্দীমুখ প্রকাশনী এবং ‘৪৬ হরিগঙ্গা বসাক রোড’, প্রকাশক গুরুচন্ডা৯। প্রথম বইটি হার্ড বাউন্ড, চোদ্দটি ছোট গল্প নিয়ে। অধিকাংশ দুই কি তিন পাতার ক্ষীণতনু গল্প, দুই একটি সাত কি আট পাতার। গল্পগুলি একবসায় পড়ে ফেলা যায় বটে, কিন্তু তারপর এক একটি গল্পের গুরুভার চেপে বসে মনের উপরে, হাঁসফাঁস লাগে যেন। রয়েসয়ে পড়লেই ভাল হতো মনে হয়।

    দ্বিতীয় বইটি লেখিকার জীবনের নানা পর্যায়ের টুকরো স্মৃতিচারণ, উত্তর প্রজন্মকে শোনানো গল্পগুলি একত্র করে বাঁধা। এই বইয়ে মূল অধ্যায় পাঁচখানা, প্রতিটি অধ্যায়ের মধ্যে আছে ছোট ছোট টুকরো কাহিনী। ঝোরার স্রোতের তিরতিরে এক একটি ঢেউয়ের মাঝে ঝুঁকে পড়া গাছপালা, ঝোরার পাশের বাড়িটির বারান্দা কি একটা জানলা, একটা নাচুনে ফিঙের ছবি যেন বা।

    পিরবতীর নাকছাবি ও অন্যান্য’ বইয়ের সেরা গল্প আমার মতে পাত্থর। কোথাকার মন্দির ভেঙে বন্যায় ভেসে আসা পাথর কলাকুচি নদীর একপাশে আঘাটায় আটকে চাবাগানের শ্রমিক বস্তির কাছে পাত্থরঠাকুর হয়ে থেকে গেছে কতকাল। চাবাগান বাঙালি মালিকের থেকে হাতবদল হতে না হতেই শহর থেকে কারাসব এসে দেখে বলে পাত্থরঠাকুর আসলে বিষ্ণু। ‘ছোটলোকের ছোঁয়া লাগা’ শুদ্ধ করতে লম্বা ফর্সা পুরুত আসে। চাবাগানের শ্রমিক মালিক দ্বন্দ্ব আর উচ্চবর্ণের লোকায়ত দেবতাকে আত্মসাৎ করতে চাওয়া মিলেমিশে যায়। সিরাজুলি, বেলসিরি, টিউলিপ চাবাগানের শ্রমিক বস্তি দেখে দাউদাউ আগুনের আভায় লাল আকাশ আর কলাকুচি নদীর রক্ত মেশা লালজল বয়ে চলে অন্য ঘাটের দিকে। একই কাহিনী বোনা হয়ে চলেছে কতকাল ধরে, স্বাধীনতার পরে, শ্রমিক ইউনিয়ন তৈরি হয়েও যার খুব একটা বদল হয় না।

    পিরবতী, লেখিকার পিরদিদি এক আশ্চর্য চরিত্র। তিন সন্তানের মা পিরদিদির বড়মেয়ের জন্য কন্যাপণ দিয়েছিল ধীরজুদাদা। সে মেয়ে কোথায় হারিয়ে যায়, কন্যাপণ উসুল করতে গাঁওবুড়োরা বিধান দেয় পিরবতীকে ধীরজুর সংসার সামলাতে হবে, গতরে খেটে সে টাকা শোধ করলে তবেই পিরবতী ফিরতে পারবে তার স্বামীর কাছে। পিরবতী ধীরজুর সংসার সামলায় আর প্রথম স্বামীর জন্য দুঃখ করে কায়রুবুড়োর কাছে। সন্তানধারণের পাপে, সংসার গোছাতে পারার পাপে পিরবতীকেই চলে আসতে হয়, ঘর করতে হয় তার সম্ভাব্য জামাইয়ের সাথে। আমার আপনার মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ আঁতকে উঠলেও ভারতে মেয়েদের গতর এইভাবেই মূল্য চুকিয়ে যায় দেনাপাওনার, অপরের কাজের। এই গত সপ্তাহেই খবর বেরিয়েছে ঋণশোধ করতে না পেরে বাবা তার মেয়েকে তুলে দিয়েছে বা দিতে বাধ্য হয়েছে ঋণদাতার হাতে। শাসকদলের প্রশ্রয়ে ঋণদাতা সদর্পে নিজের কাজের সাফাই গায়। ধীরজু অন্তত পিরবতীকে অসম্মান করে নি কখনো বরং ভালইবেসেছে। বিকিয়ে যাওয়া সব মেয়েদের এমন ভাগ্য হয় না অবশ্য।

    আরেকটি মারাত্মক গল্প ‘বড়দিনের কেক’। নিজের স্বার্থটুকু দেখতে গিয়ে কি অবলীলায় একটা গোটা পরিবারকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া যায় তার নির্লিপ্ত বিবরণ পড়তে পড়তে অসাড় লাগে। দেশভাগ, ছিন্নমূল মানুষ, রাতের অন্ধকারে দেখা দূরের আকাশ আগুনে লাল, পরিযায়ী মানুষের বাড়ি ফেরার ইচ্ছা এই সবই ছায়া ফেলে যায় গল্পে গল্পে। গরীব জুমিয়ার মেয়ের স্কুলে পড়ার, শিক্ষিকা হবার আগ্রহের পাশাপাশিই ফুটে ওঠে মাস্টারমশাইয়ের জনজাতি জীবনযাপন, খাদ্য নিয়ে বিদ্রূপ, জনজাতি মেয়ের উচ্চারণ নিয়ে বিদ্রূপ। এইসব বিদ্রূপে কত জনজাতি ছেলেমেয়ে পড়া ছেড়ে দেয় তা নিয়ে স্বাধীন দেশের কোনও শাসক পক্ষের কিছুই আসে যায় না। লেখিকা বলেছেন ‘মানুষের সাধারণ জীবন চর্যার অন্তরালের বাসনা, আসক্তি, উল্লাস আর বিষাদ সব কিছু জড়িয়েই এক একটা গল্প’। বইটির প্রতিটি গল্পই লেখকের বক্তব্যের সার্থক উদাহরণ, ফিরে পড়ার মত, একবার নয় একাধিক বার।

    কিন্তু যে কথাটা না বললেই নয়, এমন চমৎকার গল্পগুলি ছাপা হয়েছে বড় অযত্নে। সম্পাদনার ন্যূনতম চিহ্ন নেই গোটা বইটির কোথাও। বেশ কিছু মুদ্রণপ্রমাদ রয়েছে, ওদিকে গল্পগুলি প্রথম কবে কোথায় প্রকাশিত সেই উল্লেখ অনুপস্থিত।

    ৪৬ হরিগঙ্গা বসাক রোড শুরু হয় একটি অত্যন্ত সুলিখিত প্রস্তাবনা দিয়ে, ‘জলের আরশির পাশে’ লিখেছেন ইন্দ্রাণী। ‘শান্তস্বরে ভণিতা সাঙ্গ করে কথক জলে ভাসাবেন প্রাণের পদ্মটি – অজানা নির্জন শহর সব ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাবে, কত মানুষ, তারপর একটি মেয়ের কথা হবে, আর একটি সময়ের আখ্যান –’ এইটুকু পড়েই মনের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয় এইবারে পড়তে পাব সেইসব সাধারণ মানুষজনের কথা, নদী পাহাড়ের কথা, প্রাণের সেইসব মাধুর্য যা সহজ ভাষায় সরল ছন্দে প্রকাশের চেষ্টা করে গেছেন আদ্দিকালের কবিরা, কথকঠাকুররা। আমরা গুরুচন্ডা৯র পাঠকরা জানি ইন্দ্রাণী ম্যাজিক জানেন, ম্যাজিক জানেন বলেই টুপির পালক থেকে, কানের ঝুলমুলি দুলের পাথরের চিকমিকি থেকে তুলে এনে দেখান জিয়াভরলি নদীর কথা, গাজীর পট, ঠুনকি-মানকি ব্রত কিম্বা সূর্যভাজা খাওয়ার আখ্যান। ‘জলের পাশে সিঁড়ির ধাপ। সেখানে কথকতা শুরু হবে।’ প্রস্তাবক আমাদের পথ চিনিয়ে সেইখানটিতে পৌঁছে দেন।

    প্রথম পর্ব ৪৬ হরিগঙ্গা বসাক রোড, আগরতলার এই ঠিকানায় শক্তি দত্তরায়ের জন্ম। মা, মিঠুমাসি, দাদু, মে মাসে আগরতলা শহর জুড়ে মেফ্লাওয়ার ফুলের ঝালর, লাল সবুজ কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ রূপ, মণিপুরি, নাগা, লুসাই পড়শিদের যাপন, মংলা সিঙের দিঘি নিয়ে গড়ে ওঠা এক ক্যালাইডোস্কোপ এই পর্ব। এর সাথেই বিনুনির একটি গুছির মত মিলেমিশে আছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ। লেখিকা বলেন “বইয়ে পড়ি ভারত আমার স্বদেশ। স্বাধীনতা নূতন। তাকে নিয়ে আদিখ্যেতাও অনেক। এদিকে স্বাধীনতা মানে পার্টিশান, দাঙ্গা। ভারতের ম্যাপের বাইরে অনেকটা সবুজ অংশ সেখানে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা। কেউ জিজ্ঞেস করে, দেশ কই? উত্তরে বলতে হয় ওইসব নামের একটা। বড়োরা সর্বদা অতীত আঁকড়ে থাকেন, আমরাও তাই খানিকটা নস্টালজিক, দুঃখবিলাসী।’’ এ যেন অবিকল নিজের পরিবার ও আশেপাশের পরিবারের আগের প্রজন্মের কথা শুনি।

    দ্বিতীয় পর্ব ‘ধানসিরি সুবণসিরি ডিহং ডিবং গাবরু’ – নদীর পাশে পাশে বয়ে চলা মানুষের জীবন, মৃত্যু। পড়তে থাকি সিলেট ভারতের হবে কি পাকিস্তানে ঢুকবে তাই নিয়ে জনমত যাচাইয়ে হাজার হাজার চা শ্রমিককে ভোট দিতে দেওয়া হয় না বহিরাগত বলে, নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়। এক আঁচড়ে বিদেশী হয়ে যাওয়া অসহায় বাঙালি রাস্তায় নেমে আসে। রুজিরুটিতে ভাগ বসানোর আশঙ্কায় অসমিয়ারা ক্ষেপে ওঠে এই অসহায় মানুষগুলির উপরেই। নিঃশব্দ নীরব ব্রহ্মপুত্রের তীরে যাদের মৃতদেহ পড়ে থাকে, পোড়া ঘরের ছাউনি উড়ে যায়, গোয়ালে বাঁধা অসহায় গাভী ছটফট করে পুড়ে মরে তাদের কাহিনী খুব একটা কোথাও লেখা থাকে না, কখনো কখনো হয়ত সরকারি পরিসংখ্যানে একটা সংখ্যা হয়ে থেকে যায় মাত্র। এইসব বিশ্বাসহীনতার গল্পের পাশেই আছে ঝোপঝাড় ভরা পথে জামগাছের তলায় আনাড়ি হাতে বানানো গাছের ডালে তৈরি হাতল দেওয়া বেঞ্চ, বিত্তহীন সন্তানদের পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি। মানুষের উপর বিশ্বাস মরতে মরতেও মরে না।

    তৃতীয় পর্ব অনেকটাই আগরতলার বাইরের অঞ্চলের গল্পসল্প। ছবিমুড়া, কৈলাশহর, ঊনকোটি। উত্তরভারতে হিমালয়ের বিভিন্ন তীর্থে এবং দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণার্থীদের যাতায়াতের কাহিনী বহু প্রাচীনকাল থেকেই লিপিবদ্ধ আছে, ইংরাজিতে তো বটেই বাংলাতেও যথেষ্ট সংখ্যক পাওয়া যায়। অসমের কথাও পড়তে পাওয়া যায়। ঊনকোটি আর ছবিমুড়া সম্পর্কে অষ্টাদশ, ঊনবিংশ দূরের কথা বিংশ শতকেও কোনও ভ্রমণার্থীর বিবরণ আমার অন্তত চোখে পড়ে নি। যা বিবরণ পাই, ছবিটবি দেখি সবই গত পনেরো বিশ বছরের। সেইদিক দিয়ে শক্তি দত্তরায়ের বিবরণ সম্ভবত ষাট সত্তর দশকের কথা, ভ্রমণ সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠকের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। চতুর্থ পর্বে লেখিকার কৈলাশহরে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, আবছাপ্রেম ও বিবাহের সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধ, ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ, শরণার্থী শিবিরে শরণার্থীর ঢল, কলেরার গল্প পাশাপাশি চলে। সেই একাত্তরে তিনদিকে স্থলবন্দী গরীব ত্রিপুরা শরণার্থীদের সাহায্যে নিজেকে যেভাবে উজাড় করে দিয়েছিল তার বিবরণ এই সময়ে দাঁড়িয়ে আশা যোগায়।

    পঞ্চম পর্বে মিশ্র স্মৃতি সম্ভারের মধ্যে মন্ত্রী শ্রাবণধারা দেববর্মা তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ও পিতৃতন্ত্রের ছোবলে ক্ষমতার বৃত্ত থেকে নির্বাসন নিয়ে মনের মধ্যে স্থায়ী জায়গা করে নেন। হায় রে বুদ্ধিমতী কন্যা! জনজাতি মেয়ের বুদ্ধি দেশের উপকারে লাগল না, লাগতে দেওয়া হল না। এই পর্বে সেকালের ভোটের বিবরণে একটু হতাশ হই। লেখিকার নিজের, তাঁর স্বামীর ও সমসাময়িক অন্যান্য শিক্ষিকাদের ভোট করানোর অভিজ্ঞতা আরো একটু বিস্তারে পেলে ভাল লাগত। অপ্রিয় প্রসঙ্গগুলি নথিভুক্ত থাকা দরকার ছিল। একই কথা লেখিকার শ্বশুরবাড়িতে সেই একাত্তরে শেখ মুজিবের আসা প্রসঙ্গেও। এই প্রসঙ্গে সামরিক বা কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি তাঁর শ্বশুরের মৃত্যুর পরে আর বলবত থাকে না সম্ভবত। সেক্ষেত্রে শ্বশুরের পুত্ররা যদি একটু লিখে রাখতেন, অন্তত সাঙ্কেতিক ভাষাতেও, তাহলে আমরা ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হতাম। তবে এ সবই নিতান্ত ‘আরেকটু গল্প হলে ভাল লাগত’ গোছের ব্যাপার।

    বইটির আসল জোর লেখিকার ‘অনেক দিয়েছ নাথ’ মনোভাব। কোথাও কোন তিক্ততা নেই মালিন্য নেই তেমন কোন অপ্রাপ্তির হাহাকার নেই, স্মিত মুখে এক কথক-ঠাকরুন বয়ান করছেন জীবনের অম্ল মধুর গল্পগুলি, নিরবধিকালের তুলনায় যাঁর ক্ষুদ্র জীবনের সঞ্চয় ধুলামুঠি সবই সোনামুঠি হয়ে গেছে, পাঠক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে সেই সোনামুঠির শান্ত স্নিগ্ধ ঔজ্জ্বল্য।


    ৪৬ হরিগঙ্গা বসাক রোড
    লেখক – শক্তি দত্তরায়
    প্রকাশক – গুরুচন্ডা৯
    মূল্য – ১৪০/-

    প্রাপ্তিস্থান — কলেজস্ট্রীটের দে'জ পাবলিশিং, দে বুক স্টোর(দীপুদা), ধ্যানবিন্দু, আগরতলায় অক্ষরের বইঘর।

    পিরবতীর নাকছাবি ও অন্যান্য
    লেখক – শক্তি দত্তরায়
    প্রকাশক – নান্দীমুখ প্রকাশনী (ত্রিপুরা)
    মূল্য – ২৩০/-


    বইগুলি অনলাইন কেনা যেতে পারে এখানে
    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১৭ এপ্রিল ২০২২ | ২৮৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১২:০২506499
  • যেমন চমৎকার বই, তেমনি আলোচনা। হরিগঙ্গা শেষ হল। এবার নাকছাবির খোঁজ! 
  • স্বাতী রায় | ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৩506511
  • পিরবতী পড়া হয়নি। তবে শক্তি মাসিমার যে দুয়েকটা গল্প গুরুর পাতায় পড়েছি,তাতে লোভ হচ্ছে পড়ার।  হরিগঙ্গা বসাক রোড কদিন আগেই শেষ করেছি।  শান্ত ভাবটি ভাল লেগেছে, যদিও আরও একটু অ-বাছাই টপিক শোনার লোভ যায়নি। আসলে গল্পের মাধ্যমে লেখিকার যে গভীর দেখার ধরণের কথা জানি, তাতে লেখিকার চোখ দিয়ে আরও অনেক বেশি দেখার আশা ছিল।  তবে এই বই এর যেটা আমাকে প্রবল প্রবল রকমের আকর্ষণ করেছে, তা হল এর প্রচ্ছদ আর  এর শৈল্পিক গেট-আপ। মুগ্ধ হয়েছি বললেও কম বলা হয়। আর এই মানের একটা বই গুরুচণ্ডালি ১৪০ টাকায় পাঠকের কাছে হাজির করতে পেরেছেন এটা দেখে যে বা যারা বাংলা বই এর দাম তিনশ, পাঁচশ টাকার কম দাম কল্পনাও করতে পারেন না তাঁদের আর কী বলব ভেবে পাইনা। 
  • | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২১:১৫506663
  • প্রতিভা, হ্যাঁ টাইপোগুলো উপেক্ষা করলে পুরবতীও চমৎকার বই। 
     
    স্বাতী, আরো কিছু গল্প থাককে বইয়ের কলেবর বাড়ত।  এইটা আর রুহানি দুটোরই প্রচ্ছদ খুব পছন্দ হয়েছে আমার।
  • ইন্দ্রাণী | ১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৮506691
  • এই বইয়ের তুচ্ছ প্রস্তাবনাটুকু সমালোচকের চোখ এড়ায় নি, বই য়ের আলোচনায় তিনি তার উল্লেখ করলেন- ভালো লাগল।
    ধন্যবাদ জানাই।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০২:৩৮506874
  • মায়াবী বই দু'টি পড়ার জন্য সাগ্রহ অপেক্ষা রইল। একটি গল্প পড়েছি মনে পড়ছে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন