এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অসীম নন্দনের গল্প: হেলেন, আমার জাহান্নাম 

    asim nondon লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ মে ২০২৫ | ১৮ বার পঠিত
  • [ সতর্কবার্তা: এই গল্পের উদ্দেশ্য, ধর্মীয় রাজনীতির মেরুকরণ প্রক্রিয়াকে কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন করা। ধর্ম, ঈশ্বর, খোদা, সংস্কৃতি, দেশ ইত্যাদির মাঝে বৈচিত্র্য থাকলেও মানুষের আদি ও অকৃত্রিম বৈশিষ্ট্য মানবতা। লেখক মানুষের মানবিক গুণাবলি'র উপরই আস্থা রাখেন। আর সেই গুণাবলি হওয়া উচিত কল্যাণকর। মানবসভ্যতার জন্য এবং পৃথিবীর জন্য মানুষের গুণাবলি হওয়া উচিত মঙ্গলজনক। গল্পের চরিত্র, কাহিনী সকল কিছুই কাল্পনিক। কেউ যদি ভেবে থাকেন, লেখক কেবল ১টি বিশেষ ধর্মীয় মনস্তত্ত্বকে প্রশ্ন করতে চেয়েছেন, তবে ভুল ভাবছেন। ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির সর্বৈব মনস্তত্ত্বের কাছেই এই সামান্য প্রশ্ন। মানুষের জন্য ধর্ম নাকি ধর্মের জন্য মানুষ? লেখক আশা  রাখেন, এইরকম কোনো ঘটনাই যেন পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কোনো মনুষ্য সমাজে না ঘটে। ধন্যবাদ।] 
    ****
     ব্যাপারটা এইরকম ঘটতে পারে, তা আমি আন্দাজ করি নাই। তবে আমরা যা আন্দাজ করি না, তা-ই আমাদের জীবনে চইলা আসে কালবৈশাখীর মতো। এইজন্যই হয়তো আল্লার দুনিয়াটা এতটা অসম্ভব আনপ্রেডিক্টেবল। 

    ব্যাপারটা এইরকম, গত সপ্তাহে আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের বউরে উঠায়া নিয়ে আসছি। নাহ। উঠায়া নিয়ে আসছি কথাটা ঠিক হইলো না। বলা যায়, ভাবীর সম্মতিতেই আমি তারে বিবাহ করে আমার বাগানবাড়িতে নিয়ে আসছি। বাগানবাড়িতে উঠছি কারণ মূল বাড়িতে আমার প্রথম পক্ষের মেয়েরা তাদের সৎমাকে ডিজকোয়ালিফাই করছে। 

    বাপ্পীর সাথে আমার বন্ধুত্ব ৪৫ বছরের। এখন আমার বয়স ৫০। গত বছরই আমি হজ্জব্রত পালন করে আসছি। বাপ্পীও ছিল আমার সাথে।  গত দশ বছর যাবত অত্র ইদুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমি। দশ বছর আগে যখন নির্বাচন করছিলাম, বাপ্পী আমারে অনেক হেল্প করছে। বাপ্পীর বাবা একসময় এই ইদুলপুরেরই প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ছিল। যুদ্ধের সময় বাপ্পীর বাপরে খান-সেনারা মাইরা ফালাইছে। তাই পাবলিক বাপ্পীরে সবসময় শ্রদ্ধার চোখে দেখে। এই শ্রদ্ধার ফায়দাই আমি নিছিলাম। আমার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে বাপ্পী ছিল আমার ডান হাত। ট্রাম্প কার্ড। মানুষও বহুত ভালোবাসা দিছে। মানুষগুলা খুবই ভালো। দুইবেলা বিরিয়ানি খাওয়াইয়া আর নির্বাচনের আগের রাতে ৫০০ টেকা বকশিস দিলেই তারা খুশি হয়া সিল মারে। অবশ্য দ্বিতীয় টার্মে বকশিসও দেয়া লাগে নাই। খালি বিরিয়ানি খাওয়াইছি। গ্রামের সবগুলা মানুষ আমার বিরিয়ানি খাইছে তিনবেলা করে। পুরা এক মাস মানুষগুলা খাইছেই। ২০০ গরু ৫০টা খাসি আর ১০০০০ মুরগী। গ্রামের মানুষরে খাওয়াইতেই আমার আনন্দ। বিরিয়ানি খায়া ভোটের দিন গ্রামের মানুষগুলা আর ভোটকেন্দ্রে তেমন আসে নাই। বাড়িতে দরজা লাগায়া ঘুমাইছে। মানুষগুলা আমারে এতই ভালোবাসে। এখন ভোটকেন্দ্রে ভোট না হইলে তো আবার নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তাই আমার আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবরাই ভোটকেন্দ্রে আইসা ভোট দিয়া গেছে। নিজের ভোট তো তারা দিছেই আবার নিজের পরিবার-পরিজন-পাড়া-প্রতিবেশীদের ভোটও তারা অতি উৎসাহে আমারে ভালোবেসে দিয়া গেছে। মানুষ আমারে প্রচুর ভালোবাসে। এই ভালোবাসার জোরেই তো টিকা আছি। 

    বাপ্পী আসলে ধ্বজভঙ্গ একটা লোক। ওর নাকি দাঁড়ায় না। ওর বউই আমারে এগুলা বলছে। আমি তো আর নিজের চোখে দেখি নাই। বাপ্পীর জন্য অবশ্য আমার কষ্ট হইতাছে। বেচারা প্রেম কইরা বিয়ে করছিল। এই বউটারে পাওয়ার জন্যই বাপ্পী হিন্দু থেকে মুসলিম হইছে। আমিই বাপ্পীরে মাওলানা ডাইকা মুসলিম বানায়া দিছি। বিয়ার সাক্ষীও দিছি। আমি জানি দুনিয়াতে আমি সবচেয়ে পবিত্র এই একটা কাজই করছি। এই কাজটার জন্যই বেহেশতে যাইতে পারবো আমি। সেইখানে আমার জন্য রেডি হয়া আছে অনন্ত সুখ । এখন আমার সাথে বাপ্পী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ে। বাপ্পীর মেয়ে আর আমার মেয়ে একই সাথে কলেজে পড়ে। আমাদের মেয়েরাও খুব ভালো ফ্রেন্ড। কিন্তু আল্লার কাজকারবার তো আর আমাদের মতো মামুলি ইনসানের পক্ষে বোঝার উপায় নাই। তাঁর ইশারা ছাড়া তো গাছের পাতাও নড়ে না।  

    বাপ্পীর বাড়িতে আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যায় যাইতাম। চা খাইতাম। আড্ডা দিতাম। চা ছাড়া আমার কোনো বাজে অভ্যাস নাই। আমি নেশাভাঙ খাই না। মাঝেমধ্যে একটু সুপারি আর পান খাওয়া চলে। তো গল্প করতে গেলে প্রায়ই দেখতাম বাপ্পী বাড়িতে নাই। বাপ্পীর তো অনেক কাজ। সে এলাকার হাইস্কুলের হেডমাস্টার। তার ছাত্রছাত্রীদের খোঁজ নিতে টিউশনি পড়াইতে যাইতে হইতো। আর এই জন্য সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে বইসা থাকা বাপ্পীর পক্ষে প্রায়ই সম্ভব হইতো না। কিন্তু বাপ্পী আমারে যাইতে বলতো। বাড়িতে না থাকলেও গিয়ে চা খাওয়ার দাওয়াত দিতো। বলতো, তোর ভাবী একলা থাকে; তারে গিয়া সময় দিবি, গল্প করবি, চা খাবি; আমি তো সময় দিতে পারি না। তাই আমি বাপ্পীর কথা রাখতেই যাইতাম। 

    বাপ্পীর বউ বয়সকালে হুর-পরীর মতো দেখতে ছিল। এখনও অবশ্য রূপের ছটা কমে নাই। চা খাওয়ার পর যখন ভাবী-সাহেবা নিজ হাতে সুপারি কেটে চুন আর খয়ের দিয়া পান বানায়া দিতো তখন তারে অদ্ভুত সুন্দর লাগতো। সুপারি কাটতে কাটতে কুটুর কুটুর গল্প করতো। গল্পের বস্তা নিয়া বসতো। যেন সব গল্প আমার জন্যই জমা হইয়া থাকতো। বলতো তার শৈশবের কথা। নানাবাড়ির কথা। ছোট সময়ে সবাই কেমনে তাকে নানীর সতীন বইলা খেপাইত! সাত বছর বয়সে নানার সাথে কেমনে তার মিছামিছি মালাবদল হইছিল! পুতুলের বিয়েতে নানাবাড়িতে কেমনে মুরগী জবেহ দিত! এইসব নানান গল্প। তারপর বলতো, ছোটসময়ে তাদের বাড়িতে থাকা লজিং মাস্টার পড়ানোর ছুতায় কেমনে তার হাত ছুঁয়ে দিত পায়ে পা দিয়া গুতা দিত! কেমনে সেই মাস্টার একদিন নির্জন ঘরে জাপটে ধরতে চাইছিল! এইরকম হাজার হাজার গল্প শুনতে শুনতে আমিও একদিন ভাবীর হাত ছুঁয়ে দিছিলাম! তারপর সব ইতিহাস হয়া গেছে!

    এক হেলেন'র জন্য এত বড় ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়া গেছিল। আসলে নারীচরিত্র এমনই। একেবারে জাহান্নামের দরজা। শয়তানের প্রিয় সাগরেদ। বাপ্পী ঘণ্টাখানেক আগে ফোন করছিল। সে আল্টিমেটাম দিছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বউরে যদি আমি ফিরায়া না দেই তাহলে  ৩ মাস পরের আসন্ন ইলেকশনে আমি নাকি কোনো হিন্দু ভোট পাবো না। সে অবশ্য ঠিক তুরুপের তাসটাই বের করছে। এলাকার হিন্দুদের ভোটগুলা সব বাপ্পীর ইশারাতেই চলে। হিন্দু থিকা মুসলিম হবার পরেও হিন্দুরা তারে রেসপেক্ট করে। আসলে রেসপেক্ট করার মতই মানুষ সে। একে তো গণ্যমান্য হেডমাস্টার। তার উপরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আর এলাকার সমাজ সংস্কারে তার কোনো কমতি নাই। সে বন্যার সময় শীতের সময় ত্রাণ দিয়া বেড়ায়। ঈদ-পূজায় দান-খয়রাতও করে। এলাকায় শিল্প সাহিত্য চর্চা করার জন্য ক্লাব করছে। বই পড়ায় পোলাপাইনদের উৎসাহ দিতে লাইব্রেরি করছে। বই পড়ার কম্পিটিশনের আয়োজনও করে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতি সে করে না। আবার প্রেমের জন্য সে নিজের মাজহাবও চেঞ্জ করছে। মানে প্রেমের দুনিয়ায় প্রমিত পুরুষ। আমার মতো রাবণ তো সে না। কিন্তু একটা হিসাবে তার ভুল হয়া গেছে। সে ভুইলা গেছে আমি রাবণ। আর রাবণের দশমাথা। রাবণ মায়াবী। রাবণের প্রচুর ক্ষমতা।

    আমার তুরুপের তাস আমি এখনো দেখাই নাই। তবে দেখাবো খুব তাড়াতাড়ি। খুব জোর ৩/৪ ঘণ্টা লাগবে। আমি আমার লোকগুলারে আসতে বলছি। আমার পোষা কুত্তাগুলা এক ঘণ্টার মধ্যেই চইলা আসবে। ওদের জন্য আজকে আমি অনন্ত হাড্ডির ব্যবস্থা করছি। সুন্দর চাঁদ উঠছে আকাশে। ওরা ঐ চাঁদটারে আগুনে ঝলসায়া রুটি বানায়া খাবে। ওদের অনন্ত খিদা মিটাবে। ওরা আমার নির্দেশে হিন্দু মহল্লাগুলাতে শান্তির বার্তা পৌছায়া দিবে। এইসব মগজহীন তৌহিদি মব'রে তো তেমন কিছু দেয়া লাগে না। খালি কুত্তগুলারে ২/৩ হাজার পিছ বিচি মানে ইয়াবা দিয়া দিবো। নবী-রাসুল মদ খাইতে মানা করছে, কিন্তু ইয়াবা তো তার সময়ে ছিল না। এইটা কাজের জিনিস। এই ড্রাগ পুলাপানগুলারে ক্র্যাক করে ফেলে। আর সাথে দিবো আল্লা'র বাণী। পবিত্র কোরানের শান্তির বার্তা। কয়েকটা ভুল ইন্টারপ্রেটেনশন। কয়েকটা আয়াত। আর দেশলাই কাঠি। তাইলেই ওরা রাবণের জন্য রামরাজত্ব কায়েম কইরা ফেলবে! আর এই সবকিছু করার আগে যা করতে হবে তা হইলো, একটা চালাক চতুর পোলারে দিয়া বাপ্পীর নামে ফেসবুক আইডি খুলতে হবে। ফেসবুক খুবই  উপকারী জিনিস আজকের জামানায়। ব্রা পেন্টি বেচাকিনা থিকা শুরু কইরা নির্বাচন সবই ফেসবুকে করা যায়। তাই শান্তির বার্তাও ছড়ায়া দেয়া যাবে ফেসবুকে। শুধু বাপ্পীর নামে ফেইক আইডি খুলে, স্ট্যাটাস দেয়া লাগবে। স্ট্যাটাসে মহানবীরে ২/৪টা মিছামিছি গালি দিলেই আমার তুরুপের তাস স্ট্রং হয়া যাবে। সবকিছু ঠান্ডা হয়া গেলে পরে তওবা করে নিলেই হবে। আল্লা তো অন্তর্যামী। তিনি সবই জানেন। আমি তো আর মন থিকা মহানবীরে নিয়া কুকথা বলতেছি না আর বলাইতেছিও না। সিচুয়েশনটাই এমন। কথায় আছে না? এভ্রিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার। আর এই সিচুয়েশনটা তো লাভ এবং ওয়ার দুইটার জন্যই ক্রিয়েট হইছে।

    অই তো শোনা যাইতেছে আমার কুত্তাগুলা ঘেউ ঘেউ করতে করতে আসতেছে। আমার প্রিয় কুত্তাটা মানে যেই ছেলেটা ফেসবুকে আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালায়, সে মনে হয় স্ট্যাটাস অলরেডি দিয়া ফালাইছে। এইজন্যই কুত্তাগুলা বেশি ঘেউ ঘেউ করতেছে। বাপ্পীরে জাহান্নামে পাঠানোর শ্লোগান দিতেছে। জবাই করার হুমকি দিতেছে। ফাঁসি চাইতেছে। কাফের নাস্তিক বলে স্লোগান দিতেছে। বলতেছে, ১টা ১টা নাস্তিক ধর ; ধইরা ধইরা জবাই কর। এগুলা আমার খুবই ভালো লাগে। শান্তির বার্তা ছড়ায়া দিতে পারলে তো দো-জাহানের কামিয়াবি হাসিল হয়। যাই আমি বাইরে গিয়া উঠানে দাঁড়ায়া ওদের উদ্দেশ্যে কিছু বইলা আসি।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন