সরকার না চাইলে যেমন দাঙ্গা হয়না, তেমনি রাষ্ট্র না চাইলে অপরাধী বা নিরপরাধী কেউ এনকাউন্টারে মরে না। এনকাউন্টারকে বাহবা দেয় যারা, তারা মব লিঞ্চারের সমগোত্রীয়। নিজের হাতে আইন তুলে নিতে চায়। তুচ্ছ করে দেশের সংবিধানকে, যেখানে একরকম আইনানুগ সুবিধে সবারই পাওনা একথা স্পষ্টাক্ষরে লেখা আছে। ... ...
শুনছি খবরের কাগজ করোনা ভাইরাস ঘরে এনে দিতে পারে। কিন্তু যিনি আছেন তার রোজ সকালে চা এবং পাঁচটি খবরের কাগজ নিয়ে না বসলে জীবন অপূর্ণ থাকে। আমার কথায় অনেক কিছু ছেড়েছেন, এটা ছাড়লে ওঁর চলবে না। ... ...
প্রথমটি বেশ রমরমিয়ে হানা দিয়েছে আমার দেশে। প্রথম দুদিনেই দুজন করে মৃত। এদেরই ধরা পড়েছিল, ফলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট ফেটাল। মারা যাবার আগে আরো কতোজন যে সংক্রামিত হয়েছে কে জানে ! ঘিঞ্জি শহর, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, সচেতনতা ও পরিকাঠামোর অভাবে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে বিপুল সংখ্যায় এই মহামারীর শিকার হব আমরা। দ্বিতীয়টি, মানে দাঙ্গা এই উপমহাদেশেরই অন্যতম বৈশিষ্ট্য , একেবারে হাতে গরম হালে দেখিয়ে দিয়েছে আমার দেশবাসী। মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন ছাড়িয়েছে, তবু এখনো দিল্লির নালানর্দমা থেকে এমন গলিত শব উদ্ধার হচ্ছে যে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া তাদের পরিচয় বোঝা যাবে না, হিন্দু মুসলমান তো পরের কথা। ... ...
না না ঝগড়াঝাঁটির কোনো দরকার নেই। একটু মন দিয়ে কথাক'টি শুনে, ভদ্রভাবে যা বলার বলে দিলেই হলো। তা নয়, ধুমকেতুর মতো ছুটে এসে ভাঁটার মতো চোখ ঘুরিয়ে, 'নিজের হয়নি তো, তাই এতো বড় বড় কথা', এসব বলার দরকার নেই। আমারও নিজের হয়নি, আপনারও না। নিজের হলে তখন যুক্তিবুদ্ধি খাটে না, মানুষ হয় পাগল নয় পাথর হয়ে যায়। সে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগে। অনেকের আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো খুনের নেশা চড়ে ; তবে কেউ কেউ পারে অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে। আমাদের দেশেই আছে এমন উদাহরণ। ... ...
মিছিল শুরুর তাড়া ছিল, কিন্তু কাজ সারতে বেলা গেল দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম যাদবপুরে গিয়ে মিছিল ধরব।
চায়ের দোকানে প্রায় একঘন্টা উসখুস করার পর দূর থেকে দেখি শীত এলে বসন্ত কী কাছে না এসে পারে, এই কবিবাক্য মনে করিয়ে দিয়ে, এগিয়ে আসছে কলকাতা পুলিশের গাড়ি আর পুলিশ। পেছনে ম্যাটাডোরে মুহুর্মুহু শ্লোগান, গান।
দুরন্ত ঝড়ের মতো রাজপথের দখল নিয়ে নিলো এনার্সি বিরোধী, সিএএ বিরোধী মিছিল। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সামিল অজস্র মুখ। মাথার ওপর আন্দোলিত জাতীয় পতাকা।
থেকে থেকে তরুণরা ছুটে যাচ্ছে ... ...
বয়স পঁচাত্তর। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক। উত্তরপ্রদেশে অনেক মানুষ এক ডাকে চেনে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিও আছে। সেই তিনিই থানা থেকে বেরিয়ে এলেন কাঁপতে কাঁপতে, মুখ দু হাতে ঢেকে, যেন তাকে নিতে আসা আত্মীয়স্বজন দেখতে না পায় কান্না রক্ত অপমান মাখামাখি সর্বস্ব হারানো মানুষটির লাঞ্ছিত মুখমণ্ডল। তাদের কাছেই তো ফোন গিয়েছিল ছাড়াতে আসবার সময় যেন মৌলানার জামাকাপড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। তাহলে যে পোশাকে শিক্ষককে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো কোথায় ! বন্ধুরা, যারা আমাকে নতুন বছরের শুভ ... ...
ট্রান্সজন্ডার কমিউনিটি মোদী আমলে পাশ করা বিল নিয়ে এমনিতেই মহা খাপ্পা হয়ে আছে। কারণ নালসা জাজমেন্ট যা একজন রূপান্তরকামীর নিজের শরীর সম্বন্ধে শেষ কথা বলার অধিকার রূপান্তরকামীকেই দেয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলে এই বিল, যাকে দ্রুত পাশ ক'রে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এক তো বিল পাশ করার সময় এই কমিউনিটির মানুষজনকে ডাকা হয়নি, এক্ট হবার পর জানা গেল তাদের জেন্ডার কী সেটা ঠিক করে দেবে নাকি সরকারি স্ক্রিনিং কমিটি। পিংকি প্রামাণিকের কেসটা আমরা কি ভুলে গেছি ? তার হেনস্থা, পুলিশ হেফাজতে তার 'অন্যরকম' শরীরের ... ...