এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইদবোশেখি  ইদবোশেখি

  • পুচকে গাছের কথা

    সুস্মিতা কুণ্ডু
    ইদবোশেখি | ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৯৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • এক ছিল বাগান আর সেই বাগানে ছিল একটা পুচকে ফুলগাছ। ফুলের গাছ বললুম বটে তবে সে গাছে আজও একটা ফুল ধরেনি। গাছ বেচারার তাই ভারি মন খারাপ। রোজ সকালে পূব আকাশে লাল রঙ ধরলেই গাছ শুধোয়,
    -“আলোদিদি! আমার ডালে কবে ফুল ধরবে বলতে পারো?”
    আলোদিদি গাছের পাতায় চুমো দিয়ে চুপিচুপি চলে যায় মাটির ওপর বিছনো সবজে ঘাসের গালচেয়।

    গাছ ফোঁস করে দম ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আর করবেটাই বা কি? হেঁটে চলে যাওয়ার তো আর পথ নেই। না পথ তো আছে বটেই, পাতায় ঢাকা একফালি পথ ধরে বনের কোথায় যাবে যাও না, কেউ বাধা দেবেনাকো। মুশকিল হলো গাছ তো আর চলে ফিরে বেড়াতে পারে না। তাদের আঁকুনিবাঁকুনি শিকড়গুলো যে মাটির গভীরে চলে যায় জলের খোঁজ করতে। জল ছাড়া কি আর বাঁচা যায়? তোমরা যেমন বাড়িতে গেলাসে জল ধরে ঢকঢকিয়ে খেতে পারে গাছ তো আর অমন করে খেতে পারে না। তাই গাছেরা তাদের শিকড়গুলো দিয়েই পাইপের মতো করে চোঁ চোঁ করে জল খায়, ঠিক যেমন তোমরা কাচের বোতলে পাইপ দিয়ে সরবত খাও তেমনটি। সেই আঁকুনিবাঁকুনি শিকড়গুলোই তো এক জায়গায় ধরে রাখে গাছগুলোকে।

    যাই হোক, চলে ফিরে বেড়ানো নিয়ে গাছের বিশেষ মন খারাপ নেইকো। গাছকে তো আর বাজারে চাল ডাল আলু পটল কিনতে যেতে হয় না! এই তো মাটি থেকে জল পেল, আলোদিদি আলো দিল আর বাতাস ভায়া দুবেলাই এসে এত এত বাতাস দিয়ে যায়। এই তিনটি পেলেই গাছ তার পাতার হেঁশেলে ঝপাঝপ খাবার বানিয়ে গপাগপ খেয়ে ফেলে। ঠিকমত খাওয়াদাওয়া করলে তবে না গাছে ফুল ধরবে, ফল আসবে!



    এদিকে আমাদের পুচকে ফুলগাছ সবকিছুই নিয়ম মেনে করে তবুও গাছে ফুল আসে না। গাছের মন খারাপ সারে না তাই। বাতাসভায়া আলতো করে শীতল হাত বুলিয়ে দিয়ে যায় গাছের মাথায়। গাছের গা জুড়ায় তবে মনের দুঃখু তো মনেই থাকে। কবে রঙিন ফুল ধরবে ডালে, ডালে। লাল, গোলাপি, হলুদ, কমলা, নীল, বেগনে, রঙবেরঙের।

    দিন যায়, রাত যায়, গাছ তো আশা ছেড়েই দিয়েছে ফুল ধরার এমন সময় হঠাৎই একদিন গাছের বড় বড় সবজে পাতায় লাল হলুদ ছোপ ছোপ দেখা দিল। পুচকে গাছ তো ঘাবড়ে একশা! এ কী আজব কথা! সবুজ পাতায় এমনধারা ছোপ কেন? একবার বুড়ো বটগাছের মুখে শুনেছিল বটে যে দূর শীতের দেশে যেখানে বছরে তিনমাস সব বরফে ঢেকে যায় সেখানে নাকি শীত পড়ার আগেই সব গাছের পাতা হলুদ, কমলা তারপর লাল আর সবশেষে শুকিয়ে বাদামী হয়ে নাকি ডাল থেকে খসে পড়ে মাটিতে। তারপর ফাঁকা ডালে বরফ মেখে গাছ দাঁড়িয়ে থাকে যতদিন না ফের গরমের মরশুম আসছে। গরম পড়লে বরফ গললে নতুন সবুজ পাতা গজিয়ে আবার ভরে ওঠে গাছ।

    তবে এমনটা তো আমাদের পুচকে ফুলগাছ যে বনের পাড়ায় বাস করে সেখানে হয় না। এখানে সারা বছরই বলতে গেলে গরম, আর মাঝেমাঝেই আকাশে কালো মেঘ জমে জল ঝরে। তাই বড় ছোট সব গাছের ডাল সবসময়ই সবুজ পাতায় ভরা থাকে। ফুলের সময় ফুল ধরে, ফলের সময় ফল ধরে। শুধু আমাদের পুচকে ফুলগাছের কপালেই এমনটি ঘটল। ফুল তো ধরলই না তার বদলে পাতায় আবার এমনতরো দাগছোপ। কোনও অসুখবিসুখ করল না তো ফুলগাছের? ভয়ে থরথর কাঁপে! তবে সেরকম কিছু অসুবিধে তো বোধ করছে না। বরং পাতাগুলো রঙচঙে হয়ে আলোদিদির ছোঁয়ায় বেশ ঝলমল করছে। বাতাসভাইয়ের দোলায় বেশ মাথা নাড়িয়ে খুশি খুশি নাচতে লেগেছে।

    এ তো আজব কথা! পাশের নিমগাছকে শুধোয় পুচকে ফুলগাছ। নিমগাছ ডাল নেড়ে বলে,
    -“কিজানি বাপু! সেই কোন ছোটো থেকে এত বয়স অবদি এই বনে রইলুম তোমার মতো এমনধারা গাছ এই বনে দেখিনি। ও তোমার কিছু অসুখই করেছে। এমনিতেই তুমি এত পুচকে গাছ, না আছে মোটা গুঁড়ি না বড়সড় শরীর। এ তো মোটেই সুবিধের কথা নয়!”
    নিমগাছের মুখের কথা বেজায় তেতো। মিঠে করে কিছুই বলতে পারে না। কোথায় পুচকে গাছকে একটু সাহস দেবে তা না!

    ওদের আলোচনা শুনে
    ওপাশের বাবলা গাছ কান বাড়ায়, নাক গলায়। সে তো আবার আরেক কাঠি বাড়া। নিমগাছের যেমন তেঁতো কথা কওয়ার রোগ, বাবলার তেমনি খোঁচা মেরে কথা কওয়ার ধাত। সে বললে,
    -“আর তুমি বেশি দিন বাঁচবে না পুচকে গাছ। ফুলগাছ না কচু! তুমি হলে গিয়ে আগাছা। তুমি থাকার চেয়ে বরং না থাকাই ভালো। আগাছা আবার কোনদিন কার কাজে এসেছে শুনি?”

    নিমগাছ আর বাবলাগাছের কথা শুনে তো পুচকে গাছ ঝরঝরিয়ে কাঁদতে শুরু করল। এত সব আওয়াজে বটগাছ ঘুম থেকে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠে ঝুরি নেড়ে বললে,
    -“কী হলোটা কী শুনি? ওই এক পুচকে গাছটাকে তোরা ধেড়ে গাছগুলো অমন করে অকথা কুকথা বলছিস যে বড়? বলি এই বনে কি বড়দের কোনও মান নেই? আমি আশুথ আম জাম আমাদের সামনে তোরা এমন বাজে কাজ করছিস, সাহস তো কম নয়!”

    বটের কথায় একটু ভরসা পায় পুচকে গাছ। বট নরম সুরে তাকে বলে,
    -“তোমার কোনও ভাবনা নেই পুচকে গাছ। তোমার অসুখও হয়নি বিসুখও হয়নি। এই বনে আগে তোমার মতো গাছ হয়নি কিনা তাই সকলে তোমায় চেনে না। কোনও পাখি হয়ত দূর কোনও দেশ থেকে তোমায় এখানে এনে ফেলেছে। তোমার পাতা যতদিন ছোটো ছোটো ছিল, কচি সবুজ ছিল। এবার যত বড় হবে পাতা তত লাল হলুদ বুটিদার হবে। তুমি কোনও আগাছা নও, তুমি হলে পাতাবাহার বুঝলে?
    আর আগাছা হলেই বা খারাপটা কী? সব গাছই কোনও না কোনও কাজে লাগে।”

    বনের সব গাছই মন দিয়ে বুড়ো বটের কথা শুনল এমনকি নিম আর বাবলাও। আর কেউ ভুল করেও পাতাবাহারকে রাগালো না একটুও। ফুল না ফুটুক এমন বুটিদার পাতা আর কোন গাছের আছে বলো দেখি এই বনে? এদিকে পুচকে পাতাবাহার তো বেজায় খুশি। গুণগুণিয়ে নামতা পড়ে আর এক দুই তিন চার করে গুণে রাখে কোন পাতায় ক’টা লাল বুটি, হলুদ বুটি হলো।







    যত দিন যায়, পাঠক তত দুনিয়াকে দেখতে থাকে, এই বিশ্বের নানা জটিল গল্পের সাথে পরিচয় ঘটতে থাকে তার। মাঝে মাঝে হাঁফ ধরে যায়। কিন্তু অ্যাালিসের মতন সেও জানে যে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করার কোন মানে হয়না। তাই তার মন খুঁজে ফেরে সহজ গলপদের, যেখানে কাহিনির চরিত্রদের সাথে সে নিজেও ঘুরে বেড়ায়, অনায়াসে।

    আচ্ছা, এমন কোন গল্প হয় কি যেখানে পড়া হবে এতই সহজ যে কোন যুক্তাক্ষর পড়তে হবে না? হয়, হয়, যদি সুস্মিতা কুণ্ডু গল্প লেখেন। তখন সে গল্পরা হয় সহজ গলপ। জলের মত, হাওয়ার মত, আকাশের মত – সহজ। তা বলে তারা সরল নয়, সেখানে বাঁক আছে, মোচড় আছে, খুশি আছে, মন-খারাপ আছে, হার আছে, জিতে যাওয়া আছে। কিন্তু তাদের ঝরঝর করে পড়ে যাওয়া যায়, সেখানে অক্ষরদের নিজেদের জটিলতায় শিশুর মনকে থমকে যেতে হয় না। এই গোটা বইটিতে একটিও যুক্তাক্ষর নেই। এ বড় সহজ কথা নয়।

    পাঠক, এমন ইচ্ছে যদি আপনার মনকে নাড়া দিয়ে থাকে, আপনি একেবারে ঠিক জায়গায় এসে গেছেন, সহজ গলপর পাতায় পাতায়। বাস্তব জগতের মালমসলা দিয়েই সুস্মিতা এই গলপগুলি বানিয়েছেন, সাথে মিশিয়েছেন সেই অতিরিক্ত কিছু যা দিলে তৈরি হয় আশ্চর্য রূপকথারা।

    সুস্মিতার বইয়ে এই বেড়ানোয় আমাদের সাথে থাকবে ছোটো মাকড়সা আর ঘুণপোকা, নীল টুপি খরগোশ আর বিলাই আর উলাই, কাঠবিড়ালি, আর সেই লজেনপরী, আর ঐ যে, সেই ঘুমোই আর ঝিমোই … তাদের কারো কারো ত ছবিও দেখতে পাবো, খুব সুন্দর এঁকেছেন সুকান্ত মণ্ডল, আমাদের জন্য বসে আছে তারা, কত্তো জায়গায় যেতে হবে, পুবদিকের জানালার পাশ দিয়ে, বানি বাহাদুরের দেশে, তারপর সেই একটা বিরাট শহরের ঠিক মাঝের দোকানটিতে, তারপর সেই যে, আলোদিদির বাগানে, আর আকাশে ভেসে থাকা জাদুবাড়িতে।

    আর কিছুদিনের মধ্যেই এসে যাচ্ছে, পাতায় পাতায় সহজ গলপ, আর ছড়া নিয়ে গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনের সেই আশ্চর্য বই - সুস্মিতা কুণ্ডুর লেখা 'সহজ গলপ'


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইদবোশেখি | ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন