এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ৩৭ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১০০ বার পঠিত
  • ( ৩৭ )

    ফাল্গুন মাস পড়ে গেছে। সদানন্দবাবুর আনন্দের সীমা নেই। না, বসন্তের হিল্লোল উন্মাদনায় নয়। ওসব অশরীরি উচাটন তিনি তেমন বোঝেন না। ব্যাপার হল, তিনি আবার একটা নেমন্তন্ন পেয়েছেন। সীতেশ সাহার নাতির অন্নপ্রাশন। সীতেশবাবুর বাড়ি অবশ্য রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে নয়। বেথুন রোয়ে। সদানন্দ আগে একসময়ে সাহাবাবুর বই বাঁধাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। তার সাদা সিধে স্বভাবের জন্য সীতেশবাবু তাকে খুব পছন্দ করতেন। তাই তিনি সীতেশ সাহার নেমন্তন্নের লিস্টে রইলেন এবং সস্ত্রীক। এ ব্যাপারটা অবশ্য সদানন্দের ঠিক পছন্দ হল না। গিন্নীর উপস্থিতিতে তার ভোজ্যগ্রহণের স্বাধীনতা যে অবাধ থাকবে না এ ব্যাপারে তার কোন সন্দেহ নেই। খাওয়ার প্রতিযোগিতায় এ তল্লাটে অবশ্য তার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। ভবানীপ্রসাদ সমাদ্দার, মদন মিত্র লেনে থাকেন। এক কেজি পাঁঠার মাংস অনায়াসে টানতে পারে এখনও। প্রায় ষাট বছর বয়স। ভোজন প্রতিভায় এতটুকু টোল খায়নি একটুও। জানা গেল তিনিও অন্নপ্রাশনে নিমন্ত্রিত হয়েছেন। রোমাঞ্চকর খেলা হবে দুই অভিজ্ঞ খাওয়ার ওস্তাদ সদানন্দ আর ভবানীপ্রসাদে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সীতেশ সাহা বোধহয় একটা জমাটি ডুয়েল লড়াবার উদ্দেশ্যেই দুজনকে একত্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সে যাই হোক দুই নিমন্ত্রিতই পরম আহ্লাদিত।

    কাবেরী আর তার বর দার্জিলিং বেড়াতে গেল। বিয়ের পর এক পুরী ছাড়া আর কোথাও যাওয়া হয়নি নানা ঝামেলায়। শীতটা কাটার জন্য অপেক্ষা করছিল। আত্মীয় স্বজনেরা ঠারেঠোরে বলাবলি করে, ' মেঘে মেঘে বেলা তো কম হল না ... আর কবে কোলে বাচ্চা আসবে ? '
    কাবেরীর কানে আসে সবই। ঠিক করেছে, যেদিন সামনা সামনি শুনবে ঝেড়ে কাপড় পরিয়ে ছেড়ে দেবে একেবারে ... তেল নিজেদের চরকায় দিক গিয়ে। চেনে না তো ... '
    একদিন বরের সঙ্গে বাসে করে বালীগঞ্জে যাচ্ছিল মামাশ্বশুরের বাড়ি। বাসে পার্থপ্রতিমকে দেখতে পেল। পার্থ অবশ্য তাকে দেখতে পায়নি। কলেজ স্ট্রিটে নেমে গেল। কাবেরীকে দেখতে পায়নি। ওকে দেখে বিন্দুমাত্র কোন অনুভূতি হয়নি কাবেরীর। এসব আপদ বালাইয়ের খপ্পরে আর কখনও পড়বে না সে, ঠিক করে নিয়েছে।

    এ কাবেরী সে কাবেরী নয়, একটা ইরেজার দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে ফেলেছে সবকিছু। শুধু একটা মুখ মুছতে পারল না কিছুতেই.... নিখিল ব্যানার্জী স্যার। সব কি আর মোছা যায়। তবে মুছতে পারলে ভাল। মায়া মোটে ভাল জিনিস নয়, কাবেরী হাড়ে হাড়ে বুঝে গেছে। তবে মনের দাগ একেবারে মিলিয়ে না গেলেও ক্রমশ আবছা হয়ে যায়। তবে মন কখনও কারও বাগে থাকার পাত্র নয়। তাকে শিশুর মতো ইচ্ছেমতো ঘুম পাড়িয়ে রাখা যায় না। কখন যে সে এক লাফে উঠে এক দৌড়ে নাগালের বাইরে চলে যাবে কেউ জানে না।

    এ বছরের মাঝামাঝি বিধানসভা নির্বাচন আছে। কংগ্রেস পার্টি যে ক্ষমতায় আসছে সে ব্যাপারে মোটামুটি সবাই নিশ্চিত। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের নাতি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়কে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখা যাবে বলে অনেকের ধারণা। বিভূতিবাবু যদিও রাজনীতি নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না, তবু লোকের মুখে শুনে শুনে তারও সেই রকমই ধারণা হয়েছে। নিতাইবাবু এর মধ্যে আর একদিন এসেছিলেন রামদুলাল সরকার স্ট্রিটে। অনেকক্ষণ ছিলেন বিভূতিবাবুদের সঙ্গে। শ্রীলেখা নাকি সন্তানসম্ভবা হয়েছে।
    শুনে রমাদেবী বললেন, ' তা ভাল ... কম বয়সেই হওয়াই ভাল। বয়স বেড়ে গেলে নানা গন্ডগোল দেখা দেয় ... '
    বিভূতিবাবু ভাবলেন, সেই বাচ্চা মেয়ে শ্রীলেখা মা হতে চলেছে। তার নিজেকে একটা বুড়ো আমগাছের মতো মনে হতে লাগল। শুধু পোড় খাওয়া ডালপালাগুলো আছে, কোন ফল ধরে না আর। অসিত এখন কোথায় কি করছে কে জানে। অসিত এবং তার সেই নাটক নিয়ে ব্যস্ততা এবং তদারকির কথা মনে পড়তে লাগল। দিনগুলো কিভাবে কোথায় ভেসে গেল। কিছুই ধরে রাখা যায় না। তিনি কেমন আনমনা উদাস হয়ে বসে রইলেন।
    নিতাইবাবু চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে কাপ প্লেট নামিয়ে রেখে বললেন, ' দত্তদা ... '
    ---- ' অ্যাঁ... হ্যাঁ হ্যাঁ ... নিতাইবাবু বলুন বলুন ... '
    ---- ' আপনারা একদিন আসুন না। এখন তো কোন গন্ডগোল নেই ওদিকে। আমরা দুজনেই তো থাকি ... অঞ্জলি সবসময়ে বলে আপনাদের কথা ... ওঃ, সেসব দিন কি ভোলা যায়। এতদিন হয়ে গেল, এখনও মনে হয় যেন সেই হেদুয়ার ধারেই আছি ... কত আনন্দে থাকতাম আমরা চিন্তা করা যায় না ... '
    ---- ' হ্যাঁ, তাই তো ... তাই তো ... কি আর করা যাবে। মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো আর কতটুকু কি করতে পারে ... সবই মানিয়ে নিতে হয় আর কি ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... দত্তদা ... সেটাই হল কথা। সবই মানিয়ে নিতে হয় আমাদের। আজ উঠি আমি ... যাবেন কিন্তু ... '

    বেথুন কলেজের সামনের গাছগুলো কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার লাল হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। নতুন যুগের নতুন ছাত্রীর দল কলেজের ভিতরে বাইরে ছড়িয়ে আছে নানা রঙের কুসুমের মতো। সুমনা, কাবেরীদের সময়টা যেন সুদূর অতীতকাল মনে হচ্ছে। স্কটিশ চার্চ কলেজেও এক অন্য বাতাবরণ। পাইপ গান, ওয়ান শর্টারের গা ছমছমে গল্প বুঝি শেষ হয়ে গেল। আবার কখনও ফিরে আসে কিনা কে জানে। আমহার্স্ট স্ট্রিটের কালিপুজোয় এ বছরে আবার বোধহয় উত্তমকুমারকে দেখা যাবে।

    গত বছরে কোন কারণে আসতে পারেননি। 'সিস্টেমে' পরিবর্তনের কোন গন্ধ নেই। নিখিলবাবু থাকলে কি বলতেন কে জানে। কালিপুজোর অবশ্য অনেক দেরি। এখন সবে ফাল্গুন।

    পটলের দোকান আদি ও অকৃত্রিম একইভাবে চলছে। দুটো পুরণো টুল আর কালিঝুলি মাখা যন্ত্রপাতি ছাড়া দোকানে আর কিছু নেই। তবে পটল আর সে পটল নেই। এক কিশোর বালক স্বাস্থ্যবান যুবকে পরিণত হয়েছে। আগের জামা প্যান্ট সব ছোট হয়ে গেছে। সাগরের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এখন অবশ্য পটলের কাজ অনেক কমে গেছে। সাগরকে এ যুগের লোকেরা তেমন চেনে না। তার ওপর চাপ আর নেই বললেই চলে। সময় বদলে যাচ্ছে। শুধু পটল আগের মতোই সাইকেল সারাই করে চলেছে তার ঝুল মাখা দোকানে।
    সেদিন হঠাৎ সাগর আর রাত্রি বিকেলের দিকে এসে হাজির হল পটলের দোকানে।
    ---- ' কিরে পটল কেমন আছিস ? '
    রাত্রি মুখ ঘুরিয়ে দেখে তার লক্ষ্মী নারায়ণ দাঁড়িয়ে আছে যুগলে।
    ---- ' আরে ... তোমরা ! বস বস ... '
    পুরণো কালচে টুল দুটো ঝেড়েঝুড়ে এগিয়ে দিল।
    ---- তারপর বল কি খবর ... তুই তো বড় হয়ে গেলি রে ... ' সাগর বলল।
    পটল হেসে ফেলল।
    ---- ' কি যে বল ... চিরকাল কেউ ছোট থাকে নাকি ? '
    রাত্রি বলল, ' হ্যাঁ সেটা অবশ্য ঠিক। চিরকাল কেউ ছোট থাকে না ... এবার তো আমাদের ওপর একটা দায়িত্ব এসে গেল ... '
    ---- ' কি ? ' পটল তাকিয়ে থাকে।
    ---- ' পাত্রী দেখব নাকি এবার... বল ... '
    পটল অম্লানবদনে বলল, ' দেখ না দেখ ... কে বারণ করেছে ? '
    রাত্রি ভ্রু কপালে তুলে বলল, ' শোন শোন ... ছেলের কথা শোন ... হাঃ হাঃ হাঃ '

    বাসন্তীদেবীর আজকাল কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। ছোট মেয়েটা, নাতিটা কাছে ছিল। প্রতিবিম্ব ফেরার পর চলে গেল। অন্য দুই মেয়ে কালে ভদ্রে আসে। অলোকেন্দুবাবু বাড়ি থাকেন না। তার কাজ নিয়ে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। বাসন্তীদেবীর সময় আর কাটে না। লোকজনও আজকাল তেমন আসে না। কানাইয়েরও অনেকদিন পাত্তা নেই। কি করতেই বা আসবে। দিবাকর মাঝে মাঝেই দেশে যায় জমিজমার কাজ দেখাশোনা করতে। থাকবার মধ্যে শুধু কমলা আর লক্ষ্মী। জমজমাট বাড়িটা একেবারে শুনশান হয়ে গেছে। বারান্দার কার্নিশ থেকে বংশ পরম্পরায় এ বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা গোলা পায়রাগুলোর বকুম বকুম আদুরে আলাপ দুপুরবেলার নিভৃতি ও স্তব্ধতা আরও গাঢ় করে তুলছে। রেডিওটাও খুলে গান শুনলে হয়। ইচ্ছে করছে না বাসন্তীর। আজকাল দুপুরবেলায় বড় ঘুম পায়। বাসন্তীদেবী বিছানায় শরীর ফেলে দিলেন। বহুযুগ ধরে সংসারের নৌকো সামলানো কান্ডারীর চোখে নেমে আসতে লাগল অলস শ্রান্তির ঘুম। পায়রা দুটো বকুম বকুম করে যাচ্ছে সমানে।

    ধূমধাম করে সীতেশবাবুর নাতির অন্নপ্রাশন হচ্ছে। শয়ে শয়ে লোক আসছে যাচ্ছে। মহা সমারোহে সদানন্দ আর ভবানীপ্রসাদের খাওয়ার লড়াই চলতে লাগল। মাংস আর রসগোল্লার পাহাড় জমতে লাগল দুজনের পাতে। উপস্থিত জনগন মহানন্দে দুজনকেই প্রবলভাবে উৎসাহিত করতে লাগল জয়ী হবার জন্য। সে এক চমকপ্রদ দৃশ্য। প্রতিযোগী দুজন নিপাট গাম্ভীর্য বজায় রেখে
    প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে লাগলেন। কিছু লোক সদানন্দের গিন্নীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে প্রতিযোগিতা স্থল থেকে অন্যত্র রাখার চেষ্টা করতে লাগল পাছে তার উপস্থিতিতে প্রতিযোগীর মনসংযোগ ব্যহত হয়। কিন্তু তিনি প্রচুর পোড় খাওয়া মহিলা। কৌশলটা বুঝতে তার বেশি সময় লাগল না। খানিকক্ষণের মধ্যে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নানাজনের অনুরোধ উপরোধ উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে অনুষ্ঠান গৃহ ত্যাগ করলেন। বাড়ি ফেরার পর সদানন্দবাবুর কপালে কি আছে সহজেই অনুমেয়। কিন্তু হৃদয় দুর্বল করলে যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না, এই কথা স্মরণে রেখে সদানন্দবাবু লড়াই চালিয়ে যেতে লাগলেন। বেলা তিনটে বাজতে চলল।

    সাগর বলল, ' হ্যারে পটল, এর মধ্যে কেউ আমার খোঁজ করেছিল নাকি ? '
    ---- ' না ... সেরকম তো কেউ ... ও হ্যাঁ ওই ও রাস্তার দত্তবাবু এসেছিল ... তোমার খোঁজ করছিল ... '
    ---- ' বিভূতি দত্ত ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... সঙ্গে আর একজন ছিল, সে নাকি পাহাড়ে চড়ে ... এক্সপো না কি একটা ক্লাবে আছে ... '
    রাত্রি বলল, ' এক্সপ্লোরার্স ক্লাবের মাউন্টেনিয়ার ? '
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... একদম একদম ... ওটাই বলল ... '
    সাগর একটু অবাক হয়ে বলল, ' ওদের আবার আমার সঙ্গে কি দরকার ? '
    ---- ' মনে হল, তোমাকে বোধহয় ওদের ক্লাবের মেম্বার করতে চায়। কথা শুনে তো সেরকমই মনে হল। আবার আসবে বলেছে সামনের শনিবার ... ' পটল জানায়।
    ---- ' কখন ? '
    ---- ' বিকেল পাঁচটা নাগাদ ... '
    রাত্রির মুখ বেশ উৎসাহ উদ্ভাসিত দেখাল।
    সাগরের দিকে তাকিয়ে বলল, ' ওরা মনে হয় তোমাকে পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড় করাবে। এটা তো তোমার প্রাপ্য। নীচতা, ক্লেদ, ধূর্ততা সবকিছু থেকে অনেক উঁচুতে। পর্বত শৃঙ্গে উঠে তুমি জল, স্থল, অরণ্য,মানুষ সবই দেখতে পাবে। উঁচুতে দাঁড়িয়ে ... অনেক উঁচুতে ... আমি অপেক্ষা করে থাকব তোমার জন্য বাড়ির দরজায় ... '
    ---- ' কি সব বলছ আবোল তাবোল ... ব্যাপারটা কি তাই জানা গেল না, তুমি এখনই এসব ... '
    ---- ' না গো ... আমি বুঝতে পারছি ... পরিষ্কার সব দেখতে পাচ্ছি ... ' রাত্রি বলে।
    পটল বলল, ' আমারও তাই মনে হয় ... '

    কার কি মনে হল তাতে কি আসে যায়। সবই কি আর পরিষ্কার দেখা যায়। সময় বয়ে যায় খরস্রোতে কর্কশ এবড়ো খেবড়ো পাথুরে জীবনের ওপর দিয়ে।

    ( সমাপ্ত )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন