এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ২৮ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২৭ বার পঠিত
  • ( ২৮ )

    ইউনিভার্সিটি ফেরতা মধুমিতা আবার একদিন এসে হাজির হল মাসির বাড়ি বেলা আড়াইটে নাগাদ।
    বিভূতিবাবু ঘুমোচ্ছেন। রমাদেবী এই সবে খাওয়াদাওয়ার পরে হাত ধুয়ে আঁচলে হাত মুছছেন। একটু গড়িয়ে নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই সময়ে মধুমিতা হঠাৎ এসে হাজির।
    ---- ' কিরে ... তুই ! আর ক্লাস নেই ? '
    ---- ' আছে, কিন্তু হবে না ... ওই একটা গন্ডগোল হয়েছে ... দু দল ছেলে মারামারি শুরু করল ... ওঃ কি ঝামেলা রোজ রোজ ... পালিয়ে এলাম ... কলেজ স্কোয়্যারের সামনের গেটে বিদ্যাসাগরের হাফ বাস্ট স্ট্যাচুটা আছে না, কাল রাত্রে কারা যেন তার মাথাটা কেটে ফেলেছে ... '
    গন্ডগোলের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার সম্পর্ক আছে কিনা তিনি ঠিক বুঝতে পারলেন না। রমাদেবী ভাবলেন তার বোনঝির এই পালিয়ে
    আসাটা একটু ঘন ঘন হচ্ছে যেন। এই মাসে এই নিয়ে তিনদিন হল। রোজ রোজ কি মারামারি গন্ডগোল হয় ইউনিভার্সিটিতে ... কি জানি বাবা...লেখাপড়া ডকে উঠেছে একেবারে, রমাদেবী ভাবলেন।
    তিনি বললেন, ' কি করবি ... '
    ---- ' না না ... কিছু খাব না ... খেয়ে এসেছি ... খাওয়া টাওয়া নিয়ে অত ভেব না তো ... '
    বলে কাঁধের ঝোলা নামিয়ে বিছানায় শরীর ফেলে দিল।
    রমা দেবী ভাবলেন, পাকা পাকা কথা ... তিনি 'খাওয়া টাওয়া' নিয়ে ভাববেন নাতো কে ভাববে। সেদিনের ছুঁড়ি, এখনও গাল টিপলে দুধ বেরোয় ... এচড়ে পাকা মেয়ে ... মেয়েটা ভালয় ভালয় পাত্রস্থ হলে বাঁচা যায়।
    কথাবার্তার শব্দে বিভূতিবাবুর ঘুম ভেঙে গেল। তিনি উঠে বসে চশমাটা খুঁজতে লাগলেন বালিশের আশেপাশে।
    রমাদেবী বললেন, ' ওঃহো ... তুমি আবার উঠলে কেন ? কাঁচা ঘুম ভেঙে গেল ... ইশশ্ ... শুয়ে পড় শুয়ে পড় ... পরে উঠ ... '
    মধুমিতা বলল, ' মেসোমশাই... আপনি ঘুমোন এখন, ভেরি সরি ... ভেরি সরি ... '
    রমাদেবী মিতাকে বললেন, ' ওদিকে একটু
    সরে শো তো ... দেখি একটু গড়িয়ে নিই ... '

    সন্ধে সাতটা বেজে গেল। চায়ের পর্ব চুকে গেছে অনেকক্ষণ। মধুমিতা নড়বার নাম করে না।
    রমা ভাবলেন, ' এ তো ভাল জ্বালা হল ... হঠাৎ এত পীরিত জেগে উঠল ... ওঃ ... '
    সাড়ে সাতটা নাগাদ মধুমিতা বলল, ' এতক্ষণে সব এসে গেছে নিশ্চয়ই ... '
    ---- ' কারা ? '
    ---- ' কেউ না ... মানে, এমনি বললাম ... হেঃ ... অফিসের তো ছুটি হয়ে গেছে অনেকক্ষণ ... '
    রমাদেবী বললেন, ' সে আবার কি ? '
    ---- ' না ... কিছু না, আমি এখন যাই মাসি ... '
    ---- ' কোথায় যাবি ? '
    ---- ' বাড়ি যাব ... '
    ---- ' সাবধানে যাস ... কি আর বলব ... বাড়িতে বলে এলে আজ থেকে যেতে পারতিস ... '
    ---- ' না না ... আজ না। আর একদিন আসব ... আসছি ... '
    মধুমিতা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত পায়ে সিঁড়ির দিকে পা বাড়াল।
    রমাদেবী বললেন, ' দুগ্গা দুগ্গা ... '

    মধুমিতা নীচে নেমে আচমকা সুভাষ, বিনয়দের ঘরের দরজায় দাঁড়াল। দরজাটা ভেজানো আছে। একবার হাল্কা গলা খাঁকারি দিল। তারপর নীচু স্বরে বলল, ' আসতে পারি ? '
    ভিতর থেকে কে যেন বলল, ' দেখ তো কে ... '
    অতীশ দরজা খুলে মুখ বাড়াল। হাতে একটা বাংলা খবরের কাগজ। বোধহয় খবরের কাগজ পড়ছিল।
    বলল, ' আরে তুমি ... কি খবর ? '
    ভিতরে আসতে বলবে কি বলবে না ভেবে পেল না।
    বিনয়ের গলা শোনা গেল, ' কে রে ? '
    অতীশ বলল, ' ওই ইয়ে ... এসেছে ... '
    ---- ' ইয়ে মানে ? কে দেখি ... '
    বলে দরজার মুখে এল বিনয়।
    ---- ' ও তুমি ... এস এস ... ', স্বাভাবিক ভঙ্গীতে বলল।
    মধুমিতা ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল। বলল, ' না ... এখন আর ভিতরে যাব না। বাড়ি চলে যাচ্ছি। মাসির কাছে এসেছিলাম দুপুরে। হঠাৎ ক্লাস অফ হয়ে গেল তাই ... ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে একবার দেখা করে যাই। আপনারা ভাল আছেন তো ? শিমূলতলায় আমরা কি সুন্দর বেড়িয়েছিলাম ... না ? '
    বিনয় একটু নীরস এবং রক্ষণশীল প্রকৃতির লোক। মনে মনে ভাবল, আ খেলে যা ... এতদিন বাদে আবার শিমূলতলা চাগিয়ে উঠল কেন ... আচ্ছা গায়ে পড়া স্বভাব তো ... '
    মুখে বলল, ' হ্যাঁ তা ঠিক ... '
    মধুমিতা বলল, ' আবার কোথাও গেলে হয় না ... শুনলাম নাকি দিল্লীর টিল্লি যাওয়ার ঠিক হচ্ছে ... '
    বিনয় বলল, ' হ্যাঁ সেরকমই বোধহয় ... '
    এই সময়ে সুভাষ বেরিয়ে এল।
    ---- ' ও তুমি ? কি খবর ... '
    কিন্তু ভিতরে যেতে বলার ভরসা পেল না। সে বিচক্ষণ বুদ্ধির মানুষ। চিন্তা ভাবনা না করে কোন কাজ করে না। চারটে ব্যাচেলর যুবকের আস্তানায় একটা মেয়েকে আসতে বলায় একটু বাধ বাধ ঠেকতে লাগল। আবার এও ভাবল, মেয়েটা হয়ত খুব সরল, মনে কোন পাপ তাপ নেই, তারই মন বোধহয় পাঁকে ভরা তাই এসব চিন্তা আসছে।
    মধুমিতা সেখানেই দাঁড়িয়ে রইল।
    বলল, ' দেখতে এলাম আপনারা কেমন আছেন ...'
    সুভাষ কি বলবে ভেবে না পেয়ে বলল, 'কেমন দেখছ ? '
    ---- ' ভালই আছেন মনে হচ্ছে। খারাপ কেন থাকবেন ? আর একজনকে দেখছি না যে ... '
    ---- ' কে দুর্বার ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... এখনও বোধহয় ফেরেনি ? '
    ---- ' না ... ওর ফিরতে একটু দেরি হয়। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে যাও। দেখা হয়ে যাবে ... '
    ---- ' এক ঘন্টা ! ওরে বাবা ... ইমপসিবল, পরে আর একদিন নয় দেখা হবে। বলবেন আমি ওর খবর নিতে এসেছিলাম। এখন পালাই আমি ... আর একদিন আসব। আর, নেক্সট ট্যুরের প্রোগ্রামটা ঠিক করে ফেলুন খুব তাড়াতাড়ি ... টাটা ... '
    মধুমিতা চঞ্চলা হরিণীর মতো চঞ্চল ভঙ্গীতে বেরিয়ে গেল।
    সুভাষ মোটেই বিনয়ের মতো রসহীন এবং অতীশের মতো ঘুমকাতুরে সরলমনা নয়। সে বিচক্ষণ বুদ্ধিসম্পন্ন। সে স্বগতোক্তি করল, ' দুর্বারকে নিয়ে তুমি ভাল খেলা শুরু করেছ। একজনের বাগদত্তা, দুদিন বাদে তার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছ, আর এদিকে দুর্বারের মনে নরম জমির খোঁজ পেয়ে সেখানে হাল চালাতে লেগেছ। বেশ মজাদার খেলা। আমেরিকা থেকে সোনামনি ফিরে আসার আগে একটু সময় কাটানোর খেলা খেলে নেওয়া আর কি ...। এরকম চিজ আগেও দুটো দেখা আছে আমার ... দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা। ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি ... অপেক্ষা কর ... '

    নিখিল ব্যানার্জীর কোচিং ক্লাস প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ আছে। তার শরীরটা মোটেই ভাল যাচ্ছে না।
    ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত খবর নিচ্ছে। কাল রাত্রে রাত্রি আর সাগর এসেছিল। নীলাঞ্জনও এসেছিল। ওরা দোতলায় স্যারের ঘরে গেল। নিখিলবাবু শুয়ে আছেন। চোখে কেমন একটা ঘোলাটে ভাব। বুকে ব্যথা হয়েছিল ক'দিন আগে। মাথা মাঝে মাঝে টলে যাচ্ছে। হঠাৎ কি করে এমন হল কে জানে। হয়ত হঠাৎ হয়নি, অনেকদিন ধরে গোপনে নানা চাপ জমা হচ্ছিল মস্তিষ্কের কোষগুলোতে।
    নিখিল স্যারের মতো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক নতুন সমাজের স্বপ্নসন্ধানী অনমনীয় মানুষকে কেমন যেন ভেঙে পড়তে দেখল তারা। কথাও কেমন জড়িয়ে যাচ্ছে। বাড়ির লোকের যত্নে বিন্দুমাত্র গাফিলতি নেই। দুবেলা ডাক্তার আসছে তাকে দেখতে। কলেজের সহকর্মী কয়েকজন অধ্যাপক এর মধ্যে একদিন এসে তাকে দেখে গেলেন। তারা তাকে হাসপাতালে পাঠাবার পরামর্শ দিলেন। দরকার হলে তারা সাহায্যে প্রস্তুত।

    সাগরকে কাছে পেয়ে তার হাতটা ধরে তার চোখের দিকে ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন নিখিল ব্যানার্জী। তার চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল বালিশের ওপর।
    সাগর বলল, ' একি স্যার ! কি হল আপনার ... আপনি এত ভেঙে পড়ছেন কেন ? অসুখ তো সবারই হয় ... আপনি এমন করলে আমরা তা'লে কোথায় যাব ... আপনিই তো আমাদের শিক্ষক ... আপনি ছাড়া আমাদের শেখাবে কে ? '
    নিখিলবাবু স্যার জড়িত এবং মৃদু স্বরে যেন গভীর ঘুমের ভিতর থেকে বললেন, ' সা ...গর ... কাজটা আমার বোধহয় আর শেষ করে যা ...ওয়া হ ...ল না ... স্বপ্নটা স্বপ্নই থে ...কে গে...ল ... '।
    শিশুর মতো সাগরের হাতটা আঁকড়ে ধরে নিখিলবাবু চোখ বুঝলেন। ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ঘুমিয়ে পড়লেন বোধহয়।
    সাগরের বুকের ভিতর এক দুর্মর জলপ্রপাত জেগে উঠতে লাগল।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন