এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ৩২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩৭৫ বার পঠিত
  • ( ৩২ )

    সাগর আর রাত্রি পরদিন সকাল নটা নাগাদ নিখিল ব্যানার্জীর বাড়ি গিয়ে খবরটা পেল। একজন গৃহ পরিচারিকা কোচিং ঘরের বাইরের বারান্দাটা ঝাট দিচ্ছিল।
    ' স্যার আছেন ? ' শুনে সে বলল, ' ওমা ! এত কান্ড হয়ে গেল ... আপনারা কিছু জানেন না ? '
    সরস্বতী মাসি তো আকাশ থেকে পড়ল। রাত্রি আর সাগরের হৃদপিন্ডে দ্রুতগতিতে ঘা পড়তে লাগল। নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল সরস্বতীর মুখের দিকে। সৌভাগ্যবশত সে ঘটনা পরম্পরা অসংলগ্নভাবে বর্ণনা করলেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হদিশটা ঠিকঠাক দিতে পারল।

    রুদ্ধশ্বাস অবস্থায় প্রায় ছুটতে ছুটতে সেখানে পৌঁছে ওরা দেখল কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের নীচে বাইরের চত্বরে একটা থামের পাশে এক জায়গায় একজন রোগামতো বুড়ো লোক মাথা নীচু করে কি যেন ভাবছে। কাছাকাছি গিয়ে ভালভাবে নজর করে সাগর আর রাত্রি স্তম্ভিত হয়ে গেল যে ইনি হলেন বটতলা থানার প্রাক্তন ও সি কালীকিঙ্কর ভট্টাচার্য। সেই স্থূলবপু প্রসন্নমুখ কালীবাবুর চেহারাটা এক ঝলক স্বপ্নের মতো ফুটে উঠল ওদের মনে।
    সাগর ওনার কাছে গিয়ে মুখোমুখি দাঁড়াল।
    অস্ফুটে বলল, ' কালীদা ... '
    কালীবাবু সাগরের দিকে মুখ তুলে তাকালেন মেঘলা চোখে।
    ' কে ? ও ... সাগর ... কখন আইলে ? '
    ---- ' এই এলাম। কিছু জানতাম না তো ... এই একটু আগে স্যারের বাড়ি গিয়ে ... ওখানেই ... '
    কালীবাবুর মুখে বিকেলবেলার পড়ন্ত রোদ্দুরের মতো একটা করুণ হাসি লেপে গেল। তিনি বললেন, ' হ ... তা ভাল। তবে বড় দেরি কইরা ফালাইস। আমরা সকলেই বড় দেরি কইরা ফালাইসি ... দামী জিনিস অবহেলা সইঝ্য করতে পারে না। কাউকে বিরক্ত না কইরাই বিদায় নেয়। তারে আর কখনও ফেরানো যায় না, বোঝলা ? '
    রাত্রি এসে দাঁড়াল সাগরের পাশে। দুজনে স্তব্ধবাক হয়ে নিষ্পলক জিজ্ঞাসু দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে রইল কালীবাবুর মুখের দিকে। কোন কথা জিজ্ঞাসা করার সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারল না।
    ওদিক থেকে হন্তদন্ত হয়ে কে একজন, বোধহয় নিখিল স্যারের কোন আত্মীয় হবে, এসে বলল, ' ও ... এই যে আপনারা এখানে ? চলুন ক্যান্টিনে গিয়ে একটু চা টা ... মানে, এখন তো অনেকটা টাইম ... চার ঘন্টার আগে তো বডি রিলিজ করবে না ... '
    ওনার পিছনে একটু দূরে দেখা গেল একদল সদ্য শোকাহত লোক এদিকে আসছে ধীর গতিতে। তার মধ্যে সন্ধ্যাবেলায় রোদজ্বলা শুকনো সূর্যমুখী ফুলের মতো অবনতমুখ বিস্রস্ত চেহারার কাবেরীকেও দেখা গেল।

    ********* ********* ******** *********

    এরপর আরও প্রায় চার মাস কেটে গেছে। শীতকাল এসে পড়ল। নানা কারণে সুভাষ, দুর্বারদের সঙ্গে বিভূতিবাবুদের দিল্লী আগ্রা ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেছে। বছর শেষ হতে চলল। একাত্তর সাল আসছে। মধুমিতা মাসির বাড়ি আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। আসলেও কখন আসে কখন যায় কিছু জানা যায় না। অন্তত দুর্বাররা জানতে পারে না। ইউনিভার্সিটিতে বোধহয় এখন আর গন্ডগোলের কারণে ক্লাস বন্ধ হয় না। দুর্বারের উন্মাদনাতেও মরচে পড়ে গেছে। ইচ্ছে আর কতকাল জেগে থাকতে পারে। ঘুমিয়ে পড়ে একসময়ে। দিব্যি অফিসে যাচ্ছে আসছে। বাজার করছে, রান্না করছে, মাসে একবার দুবার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে, পুকুরে ছিপ ফেলে ট্যাংরা মাছ ধরছে, অনিমা বৌদির আদিরসাত্মক বাণী শুনছে। তাছাড়া, খবরের কাগজে রাজনীতির ডামাডোলের খবর পড়ছে, রাত আটটার পরে চারজনে মিলে তাস খেলতে বসছে ...এইভাবে দিন কেটে চলেছে।
    আর আছে খবরের কাগজ আর রেডিওর নানাবিধ খবরাখবর।

    চিন্টুর আর তার দিদি স্বাতীর স্কুলের অ্যানুয়াল পরীক্ষা হয়ে গেছে। এখন স্কুল বন্ধ। এক্সমাসের ছুটি চলছে। চিন্টু শুকতারার টারজান,বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদাভোঁদা শেষ করে শিবরাম চক্রবর্তীর যত হাসি তত মজা ধরেছে। ছুটির পর পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোবে। বাবা বলছিল তারা বেনারস বেড়াতে যাবে সামনের বুধবার। মা বলছিল, এখন তো ওখানে খুব ঠান্ডা। বাবা বলল, তাতে কি হয়েছে। ঠান্ডাতেই তো বেড়িয়ে মজা।

    নিবেদিতা লেনের মুখে বসে থাকা সেই ছেলেটাকে আর দেখা যায় না। হয়ত কোথাও কোন কাজ পেয়ে কলকাতা ছেড়ে চলে গেছে। স্বাতী ভাবে হয়ত সাগরকাকু তাকে কিছু বলেছে। কি জানি কি হয়েছে। সব কথা কি আর জানা যায়। এ পৃথিবীর কত ছোট ছোট সুগন্ধী কথা ধূপের ধোঁয়ার মতো মিশে যায় সময়ের বাতাসে। তার আর খোঁজ পাওয়া যায় না কোনদিন। স্বাতী আস্তে আস্তে ভুলে গেছে তাকে। মাটিতে বীজ ফেললেই হয় না, তাতে নিয়মিত জল না ঢাললে তা মাটির তলাতেই শুকিয়ে মাটিতে মিশে যায়। তার খোঁজ মেলে না।

    ওদের একান্ত প্রিয়জন জুলি এ ক' মাসে বেশ বড় হয়ে গেছে। সে এখন সবসময়ে বাড়ির মধ্যে থাকে না। এখানে ওখানে আপনমনে ঘুরে বেড়ায়। খাওয়ার সময়ে ঠিক ফিরে আসে বাড়িতে। ওদের পেটঘড়ির সময় একেবারে বাঁধা। বিশেষ নড়চড় হয় না। খাওয়ার পরে, চিন্টু বা স্বাতী বাড়ি থাকলে, ওদের কোলে গিয়ে ওঠে। বারান্দার রোদ্দুরে গিয়ে চোখ বুজে গুটিসুটি মেরে বসে থাকে বেশ খানিকক্ষণ। তারপর গুটিগুটি বেরিয়ে যায়। লাফ দিয়ে ওঠে গিয়ে পাশের বাড়ির কার্নিশে।

    সময় এগোতে থাকে নিঃসাড়ে।

    আজ সকাল থেকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। আকাশে মোটে আলো নেই। শীতকালে টিপটিপে বৃষ্টি বড় বিরক্তিকর। কেমন মন খারাপ লাগে। সুমনা খাটে বসে জানলা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। আকাশের মুখ ভারী। কাল থেকেই এরকম চলছে। ক'দিন চলবে কে জানে।

    সামনের মাসে প্রতিবিম্ব ফিরে আসছে। সুমনা ভাবল, ও ফিরে আসলে সে একটা চাকরির চেষ্টা করবে। না হলে, লেখা পড়া শিখে কি লাভ হল। এও ভাবল, সেখানে অবশ্য একটা সমস্যা আছে।

    দুজনেই চাকরি করলে ছেলে মানুষ করবে কে। প্রতিবিম্ব নিশ্চয়ই সময় দিতে পারবে না। ছেলে ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে। একটা ভাল স্কুল দেখতে হবে এই বছরেই। প্রতিবিম্ব ফিরুক আগে তারপর নতুন করে সংসার সাজাতে হবে। অনেক কিছু নতুন করে ভাবতে হবে। একটা নতুন বাড়ির স্বপ্নও ভেসে বেড়ায় সুমনার মনে। ও বাড়িতে থাকতে তার ভাল লাগে না। সে কি আর এত তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে ? বাড়ি করা কি সহজ কথা। বাবার সাহায্য সে নেবে না, এটা ঠিক করে নিয়েছে। প্রতিবিম্বর যখন পায়ের জমি শক্ত হবে, তখনই হবে। সময় তো লাগবেই, এটা সে ভালই বোঝে।

    আমেরিকা ঘুরে আসলেই তো হল না ... এদেশে মোটা মাইনের চাকরি জোগাড় করা খুব সোজা ব্যাপার না। সে হোক, তার ধৈর্যের অভাব নেই। সে অপেক্ষা করবে। এখন প্রতিবিম্ব তো ভালয় ভালয় দেশে ফিরে আসুক। তারপর তারা দুজনে মিলে একদিন নিখিল স্যারের বাড়ি যাবে। ওখানে নিশ্চয়ই সাগর স্যারের দেখাও পাবে। কতদিন দেখা হয়নি ওনাদের সঙ্গে। সব যোগাযোগ কেটে গেছে কেমনভাবে যেন। কাবেরীটাও যদি আসত। ওরও কতদিন পাত্তা নেই। কেমন আছে কে জানে।
    আশ্চর্যের ব্যাপার ঠিক এই সময় দরজার কাছে কে বলে উঠল, ' কি রে সুমনা ... '
    সুমনা মুখ ঘুরিয়ে দেখল, কাবেরী ঘরে ঢুকছে। একেই বোধহয় বলে টেলিপ্যাথি।
    ---- ' কি রে কাবেরী ... এতদিন কোথায় ছিলি ? কেমন আছিস ?
    ---- ' একদম ভাল নেই রে সুমনা ... '
    সুমনা চমকে উঠে বলল, ' কেন রে, কি হয়েছে ? হঠাৎ এ কথা বলছিস ? '
    ---- ' আমার চোখের সামনের আলোটা আর নেই যে ... বড় ফাঁকা ফাঁকা অন্ধকার লাগে ... '
    কাবেরীর মুখ বিষাদে ভরা।
    সুমনার বুকে একটা ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে আচমকা।
    সে নির্বাক দৃষ্টিতে কাবেরীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছু জিজ্ঞেস করতে সাহসে কুলোয় না।
    কয়েক সেকেন্ড পরে কাবেরী বলে, ' তুই কি খবর পেয়েছিস ? '
    ---- ' কি ... কি ? '
    ---- ' নিখিল স্যার আর নেই। আজ চার মাস হয়ে গেল ... '
    ---- ' কি ... কি বলছিস ! কি করে ? '
    ---- ' সেরিব্রাল অ্যাটাক ... মেডিক্যাল কলেজে ...'
    ---- ' ও মাই গড ... কি বলছিস রে ... আমি তো এইমাত্র ওনার কথাই ভাবছিলাম ... হায় ভগবান ... কি বলব রে ... কতদিন ধরে ভাবছি দেখা করব দেখা করব ... দেখা আর হল না ... উঃ মা গো ... একটা পথ দেখানো আলো নিভে গেল ... আর সাগর ... সাগর স্যার ? '
    ---- ' উনি ভাল আছেন। যদিও ভীষণ ভেঙে পড়েছেন। কালও দেখা হয়েছিল আমার সঙ্গে সাগরবাবু আর রাত্রি ম্যাডামের সঙ্গে ...'
    ---- ' আমার সঙ্গে কোথায় দেখা হতে পারে ? '
    ---- ' কেন, সেটা কি তোর জানা নেই ? '
    ---- ' কোথায় ... কোথায় ? '
    ---- ' কেন পটলের দোকানে ... '

    বরানগরের দিকে রাজনৈতিক গন্ডগোল, মারামারি কাটাকাটি লেগেই আছে। এর মাঝে একদিন নিতাইবাবু এসেছিলেন বিভূতিবাবুর বাড়ি। একাই এসেছিলেন। নিতাইবাবু বললেন, বেলঘরিয়ার দিক থেকে একদল চলে আসছে সিঁথির দিকে রাত বিরেতে। নতুন তৈরি হচ্ছে এমন ফাঁকা বাড়িতে, জিনিসপত্তর রেখে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে বন্দুক টন্দুকও আছে। সময় নেই অসময় নেই গলি গালায় রাস্তার ওপর ওই সাধারণ কমিউনিস্ট ছেলেগুলোর সঙ্গে স্ট্রিট ফাইট হচ্ছে ... ওঃ কি বলব দত্তবাবু ... সেদিন চোখের সামনে গুলি খেতে দেখলাম দুটোকে ... অবশ্য পায়ে লেগেছিল এই রক্ষে। কি বলব, সে অশান্তির একশেষ। আমরা দরজা জানলা এঁটে চুপ করে ঘরে বসে থাকি ... আর পারা যায় না ... '
    বিভূতিবাবু সব শুনে টুনে গম্ভীরমুখে বললেন, ' পড়ত সবকটা সাগরের মন্ডলের পাল্লায়, দিত একেবারে ঠান্ডা করে ... '
    সাগর মন্ডল কোন পক্ষকে ঠান্ডা করত সেটা অবশ্য বোঝা গেল না।
    নিতাইবাবু বললেন, ' আরে না না ... এসব সাগর টাগরের কম্ম না, এসব অন্য ব্যাপার ... দুনিয়া বদলে গেছে আগাগোড়া ... '
    বিভূতিবাবু তর্কাতর্কিতে অভ্যস্ত নয়। ওসব তার আসে না। তিনি চুপ করে রইলেন। হয়ত মেনে নিলেন নিতাইবাবুর কথা। দুনিয়া হয়ত সত্যিই বদলে গেছে আগাগোড়া।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd82:e50b:4977:900d:69fd:***:*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:০১540482
  • প্রতিবিম্ব তো ইতালি গেসলো। আমেরিকা থেকে ফেরার কোনও সম্ভবনা তো আগে কোনও পর্বে দেখিনি। সাগরের মায়ের মতো এই ট্রানসিশনটাও অজানা থেকে গেলো। হায়!   
  • Anjan Banerjee | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১১540501
  • ওগুলো দেখে নিয়ে বলছি 
  • Anjan Banerjee | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৮540502
  • ৭ নং -এ দেখুন --- ' প্রতিবিম্ব আমেরিকার সিয়াটলে গেল একবছরের জন্য .... ' 
    আর , সাগরের মায়ের ব্যাপারটা জানাচ্ছি । 
  • Anjan Banerjee | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৫540505
  • ৪ নং-এ  দেখুন সরযূদেবীর চলে যাওয়ার ইঙ্গিত আছে । মৃত্যুটা বিশদে বর্ণনা করা হয়নি কোথাও কারণ তার প্রয়োজন হয়নি । 
  • :|: | 2607:fb90:bd82:e50b:4977:900d:69fd:***:*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২১540509
  • ধন্যবাদ। খেই ধরিয়ে দেবার জন্য।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন