এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ১৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৬২ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫
    ( ১৩ )

    ঝিরিঝিরি ঝর্ণা কলকল করে নামছে পাথরের ওপর থেকে। হলদি ঝর্ণায় অবশ্য তেমন জমছিল না প্রথমে। একগাদা লোক গেছে। জোরে জোরে কথা বলে শান্ত হাওয়া এলোমেলো করছে। একদল নাকি রান্নাবান্না করে খেয়েছে ওখানে দুপুরবেলায়। কথাবার্তা শুনে কলকাতারই লোক মনে হচ্ছে। প্রকৃতির নীরব প্রশান্তিতে আঁচড় কেটে দিচ্ছে।
    বিভূতিবাবু অসন্তোষ প্রকাশ করতে লাগলেন।
    ---- ' ওঃ ... এ আপদগুলো এখানে এসেও জুটেছে। শান্তি নেই কোন জায়গায় ... চল তো আর একটু ওদিকে যাই ... '
    ওই ঝর্ণার জায়গাটা পেরিয়ে আর একটু এগিয়ে গেল ওরা। দুপাশ বুনো জঙ্গলে ভর্তি। এখনও দিনের আলো মোছেনি, কিন্তু ঝিঁঝি ডাকছে। বুনো গন্ধ বাতাসে। নিরালা, ছমছমে পরিবেশ। কেউ কোথাও নেই।
    বিভূতিবাবু বললেন, ' বাহ্ ... বেশ একটা অন্যরকম পরিবেশ ... বেশ ইয়ে হচ্ছে ... মনে হচ্ছে যেন ... '
    মধুমিতা বলল, ' মনে হচ্ছে যেন একটা রহস্যময় জায়গায় এসে পৌঁছেছি ... একটা অদ্ভূত ফিলিং হচ্ছে ... '
    ---- ' মিতা ঠিক বলেছিস ... '
    দুর্বার বলে উঠল, ' বিভূতিভূষণ পড়ার অভ্যেস আছে বোধহয় ... '
    ---- ' ওই একটু আধটু ... তেমন কিছু না ... ' মিতা বলল।
    ---- ' কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে ... '
    সুভাষ অতীশরা এদিক ওদিক ঘুরতে লাগল। দেখে মনে হচ্ছে বেশ আবিষ্ট হয়েছে ওরা।
    বিভূতিবাবু আর রমাদেবী একটা পাথরের ওপর বসে থাকলেন খানিকক্ষণ। মধুমিতাও মাসির পাশে বসল। নির্জন পরিমন্ডল। ছিমছিমে শীত কামড় বসাচ্ছে শরীরে। তাও তো এখনও আঁধার নামেনি।
    একটা চতুষ্পদ প্রাণী এদিকের ঝোপ থেকে বেরিয়ে তড়িঘড়ি ওপাশের জঙ্গলে ঢুকে গেল।
    রমাদেবী বললেন, ' শেয়াল ... '
    দুর্বার ওদিক থেকে এক রাউন্ড ঘুরে এল।
    এসে মধুমিতার দিকে তাকিয়ে বলল, ' ওদিকে আরও শুনশান। ঝগড়ু বলেছিল আঁধেরা নামার আগে এখান থেকে চলে যেতে ... ক'দিন আগে নাকি এখানে বাঘ বেরিয়েছিল বিকেলের দিকে ... '
    শুনে মধুমিতার চোখ আগ্রহে উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
    ---- ' তা..ই নাকি ? ইন্ট্রেসটিং... '
    ---- ' খুব সাহসী দেখছি ... '
    ---- ' হ্যাঁ তা বলতে পারেন ... '
    ওই যে বিনয় অতীশ সুভাষ নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে এদিকে আসছে।
    আর দুর্বার ভাবতে লাগল আর কি বলা যায় এবার।

    সাগর হাতিবাগান পাড়ায় দোকান নিয়েছে। সন্তোষের দোকান বাজারের মধ্যে। সে প্রায়ই সাগরের দোকানে গিয়ে বসে থাকে। স্থান মাহাত্ম্যে হোক আর যাই হোক এখানে কিন্তু সাগরের ব্যবসা বেশ জমে গেছে। মাণিক আর বাদল প্রায়ই সাগরের দোকানে চলে আসে। দোকানের পাশেই একটা চায়ের দোকান। সাগর ওখান থেকে চা আনায়। সে নিজেও খায়। অন্যরাও খায়। রাত্রি প্রায়ই বলে, ' অতবার চা খেও না। অ্যাসিড হবে ... '
    ---- ' আরে দূর ... ছাড় তো। আমার ওসব অ্যাসিড ট্যাসিড হয় না ... বিষ খেয়েও হজম করতে পারি ... '
    ---- ' সে তো জানি ... তুমি তো নীলকন্ঠ... তবু বলছি শরীরের দিকে নজর দিও ... তুমি ছাড়া আমার আর তো কেউ নেই ... বাবা আর ক'দিন ?', রাত্রি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
    সাগর ওর দিকে তাকিয়ে থাকে বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে। গভীর রাত এখন। রাস্তা দিয়ে দুটো ধুমসো ট্রাক গেল। রাতজাগা কুকুরগুলো আচমকা ঝগড়াঝাঁটি করতে আরম্ভ করল নিজেদের মধ্যে।

    পরদিন সাগর দোকানে বসে আছে। বেলা প্রায় বারোটা বাজে। দোকানে দুজন ক্রেতা রয়েছে। কিছু কেনাকাটা করছে। সাগর টাকাপয়সা গুনে নিয়ে রশিদ কাটল। সন্তোষ দাস ভাবে, সাগরদাকে এরকম দোকানদারের চরিত্রে মোটেই মানায় না। কেমন যেন বেমানান লাগে। বনের একটা সিংহকে যদি সার্কাসের রিংয়ে দেখা যায় সেটা অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারে না। মাণিক বাদলদেরও হয়ত সেরকম মনে হয়। সাগর মন্ডলকে কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে এইসব ব্যবসা ট্যাবসায়। ভাবে দাদাকে এখনকার লোকজন প্রায় ভুলেই গেছে। কেউ কেউ মনে রেখেছে অবশ্য। যেমন কাবেরীর বর গৌতম, যেমন পারস আগরওয়াল।
    সে যাই হোক, এই ভুলে যাওয়ার ভুল অনেকে করে ফেলে।
    তিনটে পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের ছেলে এসে টেবিলের সামনে দাঁড়াল। একজন চেয়ারে বসে পড়ল। টেবিলের ওপর রেখে একটা বিলবই খুলে
    কি লিখতে লাগল। ঝটপট লিখে নিয়ে চড়াক করে বিলটা কেটে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলল, ' এই যে ... ধরুন ... '
    সাগর বিলটা হাতে নিয়ে বলল, ' কি এটা ? '
    ----' এ মাসেরটা ... পাঁচশো টাকা ... একটু তাড়াতাড়ি করুন ... '
    ---- ' কিসের টাকা ? '
    ---- ' মাসের চাঁদাটা ... দিয়ে দিন, দিয়ে দিন ... অনেক দোকানে যেতে হবে ... বারোটা বেজে গেল ... ' বিলকাটা ছেলেটা বলল।
    ---- ' আরে ... সবই বুঝতে পারছি। শুধু চাঁদাটা কিসের বুঝতে পারছি না ... '
    ---- ' আরে ... আচ্ছা আতা তো। নতুন নাকি ! সমিতির চাঁদা ... একেবারে আনাড়ি দেখছি। হ্যারে পল্টু... নতুন দোকান নাকি ? '
    পল্টু বলল, ' হ্যাঁ ... নিতুদা, তাই তো মনে হচ্ছে ...'
    নিতু, মানে নিত্যানন্দ বলল, ' যাকগে, বুঝতে পেরেছি ... নতুন বসেছেন। এখন টাকাটা মিটিয়ে দিন ... ফালতু লেট করবেন না ... '
    সাগর চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে একটা বিড়ি ধরাল।
    ফুরফুর করে ধোঁয়া ছেড়ে বলল, ' নতুন, পুরণো অনেক কিছু তো শুনলাম। শুধু চাঁদাটা কোন পুজোর সেটাই বুঝতে পারলাম না ... '
    নিত্যানন্দ নামের লোকটি বলল, ' আরে কালু ... এ তো বহুত কাওতালি করছে ... আর কেউ তো এসব করে না ... '
    ---- ' মাথায় ঠিক ঢুকছে না, মনে হয়। মাথায় ঝাঁকা দিতে হবে মনে হচ্ছে ... ' কালু দোকানে ঢুকে এল।
    সাগর বিড়িতে আর একটা টান দিল। চোখ দুটো ছোট করে আবার ধোঁয়া ছাড়ল নিতুর মুখের ওপর।
    খুব শান্তভাবে বলল, ' তোরা চাঁদা তোলা বন্ধ করে দে ... এসব তো আমার জানা ছিল না ... কবে থেকে চালু করেছিস ? '
    সাগরের রকম সকম দেখে ওরা তিনজন হাঁ করে তাকিয়ে রইল।
    নিত্যানন্দ চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল।
    ---- ' তোর খুব তেল হয়েছে দেখছি ... সব নিংড়ে বার করে দেব শুয়োরের বাচ্চা ... চিনিস না ... তোর বাবাও বাঁচাতে পারবে না ... বা *** '
    সাগর ধীরে সুস্থে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল। টেবিলের ওদিক থেকে ঘুরে এদিকে এল। তার বাঁ হাতের একটা বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় এসে পড়ল নিত্যানন্দের ডান গালে। নিত্যানন্দ কয়েক সেকেন্ডের জন্য হতভম্ব হয়ে গেল। কালু আর পল্টু তেড়ে গেল সাগরের দিকে। সাগর দুহাত দিয়ে একসঙ্গে দুজনের বুকে হাল্কা ধাক্কা মারল। দুজনেই ছিটকে পড়ল রাস্তার রেলিংয়ে গিয়ে।

    এরপর আরও বিপজ্জনক কিছু ঘটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে ঠিক সেই সময়ে ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন মোনা মজুমদার। তিনি এসব কান্ড দেখেশুনে মুহুর্তের মধ্যে ব্যাপারটা আন্দাজ করে তড়িঘড়ি এগিয়ে এলেন। নিতু, কালুদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ' অ্যাই অ্যাই ... কি হচ্ছে কি ? সর সর ... কার সঙ্গে লাগতে যাচ্ছিস ! চিনিস ওকে ? '
    ছেলেগুলো বুঝতে পারল তারা না জেনে কোন অগ্নিকুন্ডে হাত দিয়ে ফেলেছে।
    নিত্যানন্দ হাজরা মিনমিন করে বলল, ' আমি কি জানি ... আমাদের তো প্রত্যেক মাসেই পাঠায় ... '
    মোনাবাবু আর জিজ্ঞেস করলেন না যে কে পাঠায়। পোড় খাওয়া লোক তিনি। বুঝতে পারলেন সেটা সমীচীন হবে না।
    শুধু বললেন, ' ঠিক আছে ... ঠিক আছে, ওসব দেখা যাবে'খন। তোরা এখন যা এখান থেকে ... '

    তিনি বুঝতে পারলেন সাগর মন্ডল এখনও ফুরিয়ে যায়নি।
    বললেন, ' এই ইয়ে ... সাগর ... একটু কথা ছিল ...'
    ---- ' আসুন ভেতরে আসুন ... '

    নিজের দোকান থেকে বেরিয়ে সন্তোষ দাস এসেছিল পাশের দোকানে চা খেতে। চায়ের ভাঁড়টা হাতে নিয়ে মনে প্রবল খুশি নিয়ে সে মুচকি হাসল সাগর মন্ডলের প্রত্যাবর্তনে ডগমগ হয়ে।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন