এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ৩৫ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮৭ বার পঠিত
  • ( ৩৫ )

    জন্মেজয়বাবুর ছেলে অখিলদের অনেক স্বজন পূর্ব পাকিস্তানে আছে এখনও। হয়ত ভালই আছে। কিন্তু অখিলের পিসতুতো ভাই চন্ডীদাস ইন্ডিয়ায় এসেছে চিকিৎসার জন্য। সে বলল ... বড় গন্ডগোল বাধসে ঢাকার দিকে। এহনে আমাগো ওদিকেও ছড়িয়ে পড়তাসে ... '
    আরও অনেক খবর দিল। ইয়াহিয়া খান নাকি ওদিক থেকে প্রচুর মিলিটারি পাঠাচ্ছে।
    ' হালায় অনেক অত্যাচার শুরু করসে। আওয়ামী লীগের নেতা মুজিবর রহমান লড়াইয়ের ডাক দিসে। সে জবরদস্ত নেতা ... শুনলাম ঢাকায় রমনা ময়দানে একদিন মিটিং করসে ... হিন্দু মুসলমান সবাই আইসিল ... হ্যার অনেক সাহস ...কিন্তু মুশ্কিল হইল আমি এই অবস্থায় দ্যাশে ফিরুম কি কইরা .... '
    অখিলের বউ বলল, ' এখন থাকেন না ... যাবেন কেন ? অবস্থা ঠান্ডা হইলে ওখানে গিয়া নয় পুরা ফেমিলি নিয়া আইসা পড়েন এখানে। যা হোক একটা ব্যবস্থা হইব ... '
    অখিল মাথা নেড়ে বলল, ' হ্যাঁ ... ঠিক ঠিক ... '
    চন্ডীদাস চিন্তিত মুখে বলল, ' সে না হয় হইল ... কিন্তু এখন যে ভীষণ সিন্তায় পড়সি ... কি বলব ... '
    অখিলের বউ আবার বলল, ' আরে অত সিন্তা কইরেন না ... দ্যাখেন কিসুদিন... সব থাইমা যাইব ... '
    কিন্তু থেমে যাবার কোন লক্ষণ দেখা গেল না। উড়াল পাথাল গৃহযুদ্ধের ঘূর্ণিঝড় বয়ে যেতে লাগল পূর্ব পাকিস্তানে। মুজিবর রহমান নিয়ে আবেগের ঢেউ খেলতে লেগেছে এপার ওপার দুপারেই। অংশুমান রায় নামে এক গায়কের গান আকাশে বাতাসে চক্কর কাটছে এ বাংলায় ----
    ' শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে উঠে রণি ... বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ ... '
    চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণিলাল চ্যাটার্জীর বড়মামা বললেন, ' সিভিল ওয়ার ... সিভিল ওয়ার ... জানাই ছিল হবে একদিন ... আগেই বলেছিলাম ... তেলে জলে মিশ খায় না বুঝলে ... ওসব হয় না ... ওসব তোমরা বুঝবে না ... '
    তারপর তার অকৃত্রিম কংগ্রেসী সত্ত্বা থেকে নিসৃত হল, ' চিন্তা নেই... জওহরলাল নেহেরুর মেয়ে ইন্দিরা আছে না ... ঠিক সময়ে অ্যাকশান নেবে ...'
    বাড়ির লোকেরা কোন মত প্রকাশ করল না এ ব্যাপারে। এ সব কথা তাদের গা সওয়া।
    রাতদিন রেডিও খুলে বসে আছে কলকাতার লোকে। দেদদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেগী কন্ঠ ঘুরে ঘুরে বাজতে লাগল এবেলা ওবেলা।
    চন্ডীদাসের উৎকন্ঠা ক্রমশ বাড়তে লাগল। খবরে শুনছে খান সেনারা নাকি ভয়ানক বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। গেরস্থর মেয়েদের নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে ... আস্পদ্দা এত বেড়ে গেছে ! সে বলল, ' কি করতে যে মরতে এই সময়ে ইন্ডিয়ায় আসলাম ... কি দুশ্চিন্তায় যে পড়লাম ... খুব ভুল করসি ... ওঃ ... '
    অখিল বলতে লাগল, ' সিন্তা কইর না ... সিন্তা কইর না ... সব ঠিক থাকব ... আর কয়দিন যেতে দাও না ... '

    বছর তিনেক ধরে দুটো নাম খুব শুনতে পাচ্ছিল সবাই, চারু মজুমদার আর কানু সান্যাল। নাম দুটোর মধ্যে গোপন রহস্য, বৈপ্লবিক রোমাঞ্চ আছে। একটা দুর্বোধ্য বার্তার তপ্ত প্রবাহও ছিল। নাম দুটোর তীক্ষ্ণতায় একটু মরচে পড়ল যেন। সাগরের মনে হল ওরা হয়ত কোথাও গোপন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে না ফিলহাল। আন্ডারগ্রাউন্ড কথাটা মনে পড়ল সাগরের। বেশ জুতসই শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে নিখিল স্যারের মুখটা আবার ভেসে উঠল। স্যারের মুখে একটা কথা শোনা যেত --- সিস্টেমসংগ্রাম। প্রতিক্রিয়াশীল, শ্রেণীসংগ্রাম এসব কথা কখনও শোনা যায়নি তার মুখে। তিনি বলতেন, সিস্টেমের মধ্যেই আসল গলদ। পচাগলা সিস্টেমটাকে গোড়াসুদ্ধু উপড়ে ফেলতে হবে। সাগর ভাবে, কিন্তু দেশ চালাতে গেলে একটা সরকার তো চাই। সেই সরকারের লোকজন তো এখান থেকেই আসবে। নিখিলবাবু স্যার হঠাৎ চলে যাওয়ার ফলে এসব প্রশ্নের সমাধান দেবার আর কেউ রইল না। সাগরের মন ঘোর শূন্যতার মধ্যে উত্তর হাতড়ে বেড়াতে লাগল।

    বিভূতিবাবু বিকেলবেলায় বৈকুন্ঠ বুকহাউসের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। ওখান দিয়ে ঋষি যাচ্ছিল। ঋষি হল রান্নার ঠাকুর। খাওয়ান দাওয়ানের ব্যাপার থাকলে লোকের বাড়ি ডাক পড়ে তার। গিরীশ পার্কের কাছে থাকে ভদ্রকের দেশওয়ালি ভাইয়েদের সঙ্গে। বিভূতিবাবুকে দেখে বলল, ' আরে ... দত্তদা ... কতদিন পরে দেখা হল ...'
    বিভূতিবাবুর পায়ে হাত দিয়ে ঢিপ করে একটা প্রণাম করল।
    ---- ' তারপর বলুন বাবু ... কেমন আছেন ? অনেকদিন তো ডাকেননি আমায় ... সামনে কোন কাজটাজ আছে আছে নাকি ? '
    ---- ' ওই কেটে যাচ্ছে। সময় তো ফুরিয়ে আসছে ... আর তো কটা দিন ... নাঃ এখন আর কিসের কাজ ... '
    ---- ' বৌদি কেমন আছেন ? '
    ---- ' আছে একরকম ... সকলেরই তো বয়েস বাড়ছে ... তোরও তো বয়েস হয়ে গেল। সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি তোকে, বাবার সঙ্গে আসতিস ... '
    ---- ' হ্যাঁ, তা ঠিক বাবু ... ' ঋষি হেসে মাথা নীচু করে।
    ---- ' তোদের কথা খুব মনে পড়ে আমার। মনটা খারাপ হয়ে যায়। খালি মনে হয় তোদের সবাইকে আবার নতুন করে ভালবাসি ... '
    শুনে ঋষি সৎপতির মুখে একটা বিষণ্ণতামাখা হাসি ফুটে উঠল।
    সে বিভূতিবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল একটুখানি। তারপর একটা মহামূল্যবান কথা বলল, ' ভালবাসা একেবারেই ভাল নয় বাবু ... মায়া বড় খারাপ জিনিস। মায়ায় জড়ালে বড় কষ্ট পেতে হয় ... '
    ঋষির গলা ধরে এল। চোখ নীচু করে মাটির দিকে তাকিয়ে রইল। বিভূতিবাবু হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন বহুকালের পরিচিত রাঁধুনি বামুন ঠাকুর ঋষির দিকে। তার মাথায় ঘুরতে লাগল, ' ভালবাসা একেবারেই ভাল নয় বাবু ... '
    ঋষি আবার বলল, ' ছ মাস আগে আমার বড় ছেলেটা মারা গেল। পেটে ব্যথা হচ্ছিল। কি হয়েছিল হাসপাতালের ডাক্তারে ধরতে পারল না। ছেলেটা আমার বড় ভাল ছিল। খুব যত্ন নিত আমার ... বাঁচাতে পারলাম না ... ' ঋষি আনমনে বেথুনের গীর্জার দিকে তাকিয়ে রইল। বিভূতিবাবু ভাবতে লাগলেন তার কি বলা উচিত।
    ---- ' ঠিক আছে বাবু ... আমি আসি এখন, হরি ঘোষ স্ট্রিটে যাব একটু ... পৈতের কাজ আছে সামনের সপ্তাহে ... কাজ না করলে তো চলবে না আমার ... '
    ---- ' অ্যাঁ ... যাবি ? তা তো বটেই ... কাজ থাকলে তো যেতে হবেই ... আসিস কিন্তু একদিন, বুঝলি তো ... আসিস কিন্তু খুব শিগ্গীর ... '
    ঋষি চলে যেতে যেতে পিছন ফিরে হাত তুলে বলল, ' হ্যাঁ বাবু ... আসব আসব ... '
    বিভূতিবাবুর মনে হল, তিনি আবার একই ভুল করছেন। কেন যে বোঝেন না মায়ায় জড়ালে বড় কষ্ট পেতে হয়। কে কখন বুক খালি করে দিয়ে চলে যাবে তার ঠিক আছে। নিজের ইচ্ছেমতো কিছু কি ধরে রাখা যায় ? যা যাবার তা চলেই যায়।

    বর্ষাকাল এসে গেল। বেশির ভাগ দিনে ভিজে ভিজে বাদুলে আকাশ, ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আবার মাঝে মাঝে মেঘের ফাঁকে রোদ্দুর উঁকি দিচ্ছে। কেমন যেন হেলাফেলায় সারাদিন কাটছে। ভ্যাপসা গরম দিনে রাতে।
    রাত্রি গিরিবালা সরকার বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছে। যাতায়াতের শারীরিক ধকল থেকে রেহাই পেয়েছে সে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। সাগর অনেক নিশ্চিন্ত।
    রাত্তিরবেলা রাত্রিকে বলল, ' ক'মাস হল যেন ? '
    ---- ' এই ... পাঁচ মাসের মতো ... '
    ---- ' একবার তো ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত ...'
    ---- ' এখন দরকার নেই ... ছ মাস কমপ্লিট হলে গেলে চলবে ... ' রাত্রি বলল।
    ---- ' দেখি একবার ... ', সাগর ঘেঁসে আসে রাত্রির দিকে।
    ---- ' কি দেখবে ? '
    সাগর রাত্রির পেটের ওপর কান পেতে শুল।
    ---- ' দেখি কিছু শোনা যায় কিনা ? ' সাগর চোখ বুজে কান পাতল রাত্রির পেটের ওপর।
    ---- ' শোন শোন ... কি শোনা যায় দেখ ... ভবিষ্যতের পাহাড় পর্বত, না সমুদ্র বা বনানীর ধ্বনি প্রতিধ্বনি ... শোন শোন ... শুনে বল আমায় ... '
    ---- ' শুনছি শুনছি ... অপেক্ষা কর ... শুনছি ... '

    ( আর একটুখানি বাকি )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন