এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে (দ্বিতীয় খন্ড) - ১০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮৩ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯
    ( ১০ )

    সাগরকে তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীমায় দেখা গেল। গঙ্গাকে আদেশের সুরে বলল, ' ওর বাড়িতে খবর দাও। আর আপনারা এখানে দাঁড়িয়ে গুলতুনি না পাকিয়ে একটা ট্যাক্সি ডেকে আনুন। একে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আর জি করেই যাওয়া ভাল। তাছাড়া আর কোন জায়গার বা আছে কাছাকাছির মধ্যে ? '
    ভিড়ের মধ্যে উসখুস শুরু হল। যা হয় আর কি ... বেশির ভাগই কেটে পড়ার ফাঁক খুঁজছে। কিন্তু সাগর সরাসরি তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এখানে চল্লিশের ওপর যাদের বয়স তারা সকলেই সাগরকে হাড়ে হাড়ে চেনে। কামিনীবল্লভ বা বিদ্যানন্দ বা সুধাংশু সান্যাল তো চেনেনই।
    এরপর সাগর আবার বলল, ' বেশি দেরি করা যাবে না। কেস হাতের বাইরে চলে যাবে। ট্যাক্সিটা ধরে আনুন চটপট ... '
    এবার একইরকম নির্দেশক ভঙ্গীতে বলল, ' আমার সঙ্গে দুজনকে যেতে হবে ... দেখুন কারা যাবেন ... শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখলে তো হবে না ... এখানে কাচ্চা বাচ্চা কেউ নেই ... যান যান ... কুইক... দেরি করবেন না ... '
    সাগরের এসব কথাবার্তা শুনে উপস্থিত জনতা মহা আতান্তরে পড়ে গেল। সুধাংশুবাবু বলে বসলেন, ' বলছি কি ... মানে ... আমার বাবা খুব অসুস্থ ... ডাক্তার আসবে ... '
    ---- ' তাই নাকি ? আর আপনি এখানে দাঁড়িয়ে টাইম পাস করছেন ... দারুণ ....'
    বলে সাগর শ্লেষাত্মক হাততালি দিল।
    ---- ' না ... মানে ... বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলাম ... দোকানের সামনে ভিড় দেখে ... '
    আরও একজন ওই ধরণের কি একটা বলতে যাচ্ছিল, অতীশ তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ' ঠিক আছে ... ঠিক আছে ... কারও দরকার হবে না দাদা। আমি যাব। এছাড়া আমাদের ল্যান্ডলর্ড বিভূতি দত্ত আছেন ... নিশ্চয়ই যাবেন ... দেখছি গিয়ে ... দুমিনিট দাঁড়ান ... '
    ওখানে জটলা পাকানো লোকগুলো হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। মুহুর্তের মধ্যে ভিড় পাতলা হয়ে গেল।

    হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানা গেল মল্লিকবাবুর তেমন কিছু হয়নি। তবে গ্যাসট্রিক আলসার আছে ভালরকম। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে অসুখ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানালেন হাসপাতালের ডাক্তারবাবু। তেল মশলা খাওয়াও পুরোপুরি বাদ দিতে হবে এ জীবনের মতো। দীর্ঘকাল ধরে দুষ্প্রাচ্য খাবার খাওয়া এবং মদের নেশা নাকি সুরেশ্বরের এ রোগের কারণ।

    দুদিন পরে আর জি কর থেকে ছুটি দিয়ে দেবার পর সাগর তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এল। অতীশেরও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সাগরই তাকে বারণ করল, ' দরকার নেই ভাই ... কেন মিছিমিছি অফিস কামাই করবেন ... পরে আবার হয়ত দরকার হবে ... আপনি অনেক করেছেন ... '
    ' না না ... কি যে বলেন ... কি আর করলাম আমি ... আপনি না এলে কি হত কে জানে ... '
    বলল বটে, তবে খানিকটা মনক্ষুণ্ণও হল, অফিসে ডুব মারার এরকম একটা জলজ্যান্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল বলে।

    সুরেশ্বরের স্ত্রী বললেন, ' দাদা, আপনি আর একবার বাঁচালেন ওকে। আপনার কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই ... '
    সুরেশ্বরের দুই মেয়ে কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।
    সুরেশ্বর বিছানায় বসে সাগরের হাতটা ধরে করুণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে বলল, ' আমায় ক্ষমা করুন ... আপনার এ উপকার আমি কোনদিন ভুলব না ... দেখে নেবেন ... '
    সাগর সুরেশ্বরের হাতে চাপ দিয়ে বলল, ' আবার এসব কেন ... ছাড়ুন না ... কি আর করেছি আমি ... এটা তো কর্ত্তব্য ... '
    সাগর সুরেশ্বরের পাশে বসল।
    সুরেশ্বর বলল, ' কাল একবার নিখিল স্যারের কাছে যাব ... বুঝলেন। কতদিন যাওয়া হয়নি ... সত্যি বড় অন্যায় হয়ে গেছে। আপনিও আসুন না ... কতদিন যাওয়া হয়নি ... খুব ভুল করেছি ... কথা দিয়েছিলাম ... '
    ---- ' আচ্ছা ঠিক আছে। সন্ধের দিকে আসুন ... আমি থাকব ওখানে ... '
    ---- ' আচ্ছা ... রাত্রি দিদিমনির খবর কি ? '
    ---- ' আমাদের বিয়েটা হয়ে গেছে ... ', সাগর বিন্দুমাত্র ভনিতা না করেই বলল ... '
    ---- ' তাই নাকি ! ওঃ সুখবর সুখবর ... শুনছ ?
    শ্রীমতী মল্লিক একগাল হেসে বললেন, ' বাঃ, খুব ভাল হল ... '
    তার মেয়েরাও হাসি মুখে দাঁড়িয়ে রইল।

    রাত আটটা নাগাদ অতীশ,সুভাষরা চারজনে বসে ব্রিজ খেলছিল। খেলার চেয়ে চেঁচামেচি বেশি। হার্টের কুইন ফেলা নিয়ে তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু হল। দুর্বার নিজের পার্টনার সুভাষকে তীব্র দোষারোপ করতে লাগল।
    তাস খেলার ওই উচ্চকিত শোরগোল তিনতলায় বিভূতিবাবুদের সংসারে পৌঁছতে লাগল।
    রমাদেবী কি একটা সেলাই করতে করতে স্মিতমুখে দুপাশে মাথা নাড়িয়ে স্নেহমিশ্রিত স্বগতোক্তি করলেন, ' পাগল কোথাকার সব ... '

    বিভূতিবাবু 'যাই একবার ঘুরে আসি ... ব্রিজ খেলছে মনে হয় ... '
    ---- ' যাচ্ছ যাও ... সময়মতো চলে এস কিন্তু ... একেবারে জমে যেও না ... ' রমা বললেন।
    ---- ' আরে না না ... জমে যাব কেন ? ' বিভূতিবাবু নীচে এসে দেখলেন ওরা চারজন তাস খেলায় ডুবে আছে।
    ---- ' আসুন জেঠু, বসুন বসুন ... মল্লিকবাবু তো বাড়ি ফিরে এসেছেন ... জানেন তো ... ' অতীশ বলল।
    ---- ' হ্যাঁ জানি ... সাগরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ... '
    ---- ' চা খাবেন নাকি ? '
    ---- ' না না ... এখন আর চা খাব না ... '
    সুভাষ বলল, ' আর খেলব না এখন ... তুলে ফেল ... '
    তারপর বলল, ' সাগর মন্ডলের কথা শুনলাম অতীশের কাছে ... আপনারা অনেকদিন ধরে চেনেন, না ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... তা চিনি ... ওর অনেক ভাল কাজ আছে ... রবিন হুড টাইপের আর কি ... এখন অনেকদিন অবশ্য তেমন অ্যাক্টিভিটি নেই। দিনকালও তো বদলে গেছে ... '
    ---- ' ও ... একদিন ভাল করে আলাপ করতে হবে ... বুঝলেন ... '
    ---- ' তাতে অসুবিধে নেই। ওই সুরেশ্বর মল্লিকের সঙ্গেও খুব দহরম মহরম আছে। বলতে গেলে সাগরই তো মল্লিকের বদ অভ্যাসগুলো ছাড়াল। মানে, ওই ... নেশার দোষ, মেয়েছেলের দোষ ... এইসব ... ওদের খানদান জমিদারির তো ... সব রক্তের দোষ আর কি ... কি আর বলব ... ওদের নেই নেই করেও এখনও যা আছে ... প্রচুর। সুরেশ্বর অবশ্য এখন বদলে গেছে সাগরের পাল্লায় পড়ে, তরে রক্তের দোষ, বলা তো যায় না ... কখন আবার চাগাড় দিয়ে ওঠে ... কত কি দেখলাম এত বচ্ছর ধরে ... এ পাড়াতেই আমার জন্ম। যাকগে ওসব ... বাদ দাও ... তোমাদের কোন অসুবিধে হচ্ছে না তো ... অসুবিধে হলে বোল কিন্তু ... এই তোমাদের নিয়েই তো আছি। আর কি আছে ? আগে নিতাইবাবুরা ছিলেন ... বড় ভাল ছিল ওরা ... বাড়ি করে সিঁথিতে উঠে গেল ... মেয়ের বিয়ে দিল। দোতলায় আগে অনিলবাবুরা থাকত ... অনিল ঘোষ ... উকিল ... ওরাও চলে গেল নিজের বাড়িতে এন্টালিতে ... এখন অখিলরা আছে ... ওর বাবা জন্মেজয়বাবু মারা গেল ... বয়স হয়েছিল ... বড় ভাল লোক ছিল ... একবার সেই গঙ্গার দোকানে বসে ... '
    বিভূতিবাবু একনাগাড়ে বকে যাচ্ছিলেন। বুড়ো বয়সে যা হয় বেশির ভাগের। এদের মধ্যে বিনয়ের ধৈর্য একটু কম। সে একই কাসুন্দি বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারে না। সে বিভূতিবাবুকে থামাতে বাধ্য হল। আর নেওয়া যাচ্ছে না এই একঘেয়ে কড়চা। বুড়োদের এই এক দোষ। পুরণো কাসুন্দি ঘাঁটতে পেলে আর কিছু চায় না।
    সে তাড়াতাড়ি বলল, ' হ্যাঁ, জ্যাঠামশাই ... সেটাই তো ... সেটাই তো ... নতুন বই কিছু দেখলেন নাকি ? '
    ---- ' অ্যাঁ, কি বললে ... বই ? আজকাল আর তেমন দেখা হয় না। থিয়েটার দেখতেও যাই না আর। এখনকার থিয়েটার দেখতে ভাল লাগে না।
    আর লাস্ট সিনেমা দেখেছিলাম বালিকা বধূ। খুব ভাল বই ... সেও প্রায় দুবছর হয়ে গেল ... '
    ---- ' জেঠু চলুন না ... সবাই মিলে একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাই। দোতলার অখিলবাবুরাও যদি যায় ভালই হয়। বেশিদূর না। এই ধরুন দেওঘর বা শিমূলতলা এরকম কোথাও ... ' সুভাষ বলল।
    বিনয় প্রায় লাফিয়ে উঠল, ' পুরী গেলেও হয় ... পুরী ... বেশ লাগে ... '
    অতীশ বলে উঠল, ' হোক না ... হোক না ... লাইফটা একঘেয়ে হয়ে গেছে ... '
    প্রস্তাব শুনে বিভূতিবাবুর মুখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
    বললেন, ' হ্যাঁ, তা মন্দ হয় না বটে। শিমূলতলায় গেলে অবশ্য আমার একটা জানাশোনা জায়গা আছে। শিশির সমাদ্দার আছে না, আমাদের জ্ঞাতি হয় ... শিশির সমাদ্দারদের পৈত্রিক বাড়ি আছে। দু পুরুষ আগে তৈরি হয়েছিল। বিশাল জমি ঘেরা একতলা কোঠা। প্রায় কুড়ি বছর আগে আগে একবার গিয়েছিলাম। কি নিরিবিলি জায়গা। এক পয়সা লাগবে না। কি সহজ সরল ওই সাঁওতাল পরগণার লোকজন ... '
    ---- ' ঠিক আছে ... তা'লে ওই শিমূলতলায়ই যাওয়া হোক না। আমার তো শুনেই যেতে ইচ্ছে করছে ... ' দুর্বার একেবারে এক পায়ে খাড়া।
    বিভূতিবাবু বললেন, ' দেখ ভেবে, কি করবে ... ক'জন যাবে। তবে বেশি লোক না বাড়ানোই ভাল ... অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট ... আর হ্যাঁ ট্রেনের টিকিট ফিকিট কাটার ব্যবস্থা তোমাদেরই করতে হবে। আমার দ্বারা ওসব হবে না। '
    ---- ' ওসব নিয়ে চিন্তা করবেন না মেসোমশাই... ওসব আমার ওপর ছেড়ে দিন। আপনি শুধু বাড়িটা দেখুন ... ' সুভাষ যথারীতি কখনো জ্যাঠামশাই, কখনো মেসোমশাই বলতে লাগল বিভূতিবাবুকে। এটা তার অভ্যাস।
    বিভূতিবাবু আরও বললেন, ' তবে হ্যাঁ ... শিমূলতলায় গেলে শীতের মরসুমে যাওয়া ভাল ... দারুন মনোরম লাগে ওই সময় ... মানে এই কালীপুজোর পরে গেলে ভাল ... '
    অতীশ হিসেব করে দেখল প্রায় তিনমাস দেরি এখনও। তার তো এক্ষুণি যেতে পারলে ভাল হয়।
    সে বলল, ' কা...লী... পু... জো ... সে তো দেরি আছে এখনও ... '
    সুভাষ এদের মধ্যে বিচক্ষণ ব্যক্তি। সে বলল, ' আরে ... ও ঠিক আছে ... যোগাড়যন্ত্র করতেও তো টাইম লাগবে ... জ্যাঠামশাই আপনি বরং ওই ওনাকে বলে রাখুন ... কি যেন নাম ? '
    ---- ' শিশির সমাদ্দার ... ফড়িয়াপুকুরে থাকে ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... ওনাকে বাড়ির ব্যাপারে বলে রাখুন না ... '
    ---- ' আচ্ছা বেশ। কালই গিয়ে কথা কয়ে নিচ্ছি। ফড়িয়াপুকুরে বাড়ি। অসুবিধে হবে না আশা করি। ওখানে কোঠা তো খালিই পড়ে থাকে, বরং লোকজন গেলে একটু ঝাড়পোঁছ হবে ... একটা মালি কাম কেয়ার টেকার আছে ওখানে। '
    ---- ' ঠিক আছে, দেখুন কি বলেন ... '

    এদিকে সাগর বাড়িতে ঢুকে দেখল রাত্রি একটা লোকের সঙ্গে কি সব কথাবার্তা বলছে।
    সাগর ঢুকতেই রাত্রি বলল, ' এ অনেকক্ষণ ধরে তোমার জন্য ওয়েট করছে। খুব টেনসড হয়ে আছে। আমি এতক্ষণ কথা বলছিলাম যাতে একটু রিলিভড ফিল করে। নাও কথা বল ... '
    বলে রাত্রি পাশের ঘরে গেল।
    পারস আগরওয়াল করুণ চোখে সাগরের দিকে তাকাল। সাগর এগিয়ে এসে পারসের কাঁধে হাত রাখল।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন