এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে (দ্বিতীয় খন্ড) - ৪ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১০০ বার পঠিত
  • ( ৪ )

    ওমপ্রকাশের বড় ছেলে পারস অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করল পুলিশের কাছে গিয়ে কাজ নেই। কাউকে কিছু বিশ্বাস নেই। খবর লিক হলে বিপদ আসতে পারে। পারস ভাবল, তার চেয়ে বরং অন্য একজনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
    ওমপ্রকাশ বলল, ' কৌন হ্যায় উও ... '
    ---- ' উও আপ পয়চানোগে নেহি। সাগর মন্ডল কহা যাতা হ্যায় উনকো ... আপন বহুত মানতে হ্যায় উনকো ... '
    ---- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... '
    ওমপ্রকাশ সাগরকে চেনেন না। কিন্তু তিনি আপাতত কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। তার ছেলের ওপর তার ভরসা আছে। সহজে ঘাবড়ায় না। তিনি ব্যাপারটা পারসের ওপর ছেড়ে দিয়ে খানিকটা নিশ্চিন্ত হলেন। যদিও দুশ্চিন্তা পুরোপুরি গেল না।

    সাগর নিখিল ব্যানার্জীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিটি কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে ঠনঠনে কালিবাড়ির সামনে গিয়ে পৌঁছল। তারপর ডানদিক ঘুরে বিডন স্ট্রিটের মুখে পটলের দোকানের দিকে যেতে লাগল। পটল এখন বড় হয়ে গেছে। পঁচিশ ছাব্বিশ বছর বয়স হল। সে এখনও একইভাবে তার সাইকেল সারাইয়ের দোকান চালিয়ে যাচ্ছে। তার এক এবং একমেবাদ্বিতীয়াম গুরু এখনও সাগর মন্ডল। তার সাগরদার ওপরে কেউ থাকতে পারে সেটা সে বিশ্বাসই করে না। তার হাসি পায় এখনকার এইসব ফুটো মাস্তানদের দেখে। যাদের একা খালি হাতে দুটো লোকের সঙ্গে টক্কর নেবার ক্ষমতা নেই। আর এখনকার এই বিপ্লবীদের ব্যাপারে সে বিশেষ কিছু জানে না। খবর পাচ্ছে এখানে ওখানে লাশ পড়ছে। হয়ত ওরাই ফেলছে। কিন্তু যাদের খালাস করা হচ্ছে তাদের দোষটা কি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। ওদের মধ্যে নাকি অনেক খুব লেখাপড়া জানা ছেলে আছে। সাগরদা তো এরকমভাবে কাউকে মারত না। সকলেই জানত তাদের কেন মারা হচ্ছে বা টাইট দেওয়া হচ্ছে। লোকে খুশি হত সাগরের কাজে। তাকে সাপোর্ট করত।

    পটল চাকায় মোবাইল লাগাতে লাগাতে এসব কথা ভাবতে থাকে। ভাবে আশপাশ কেমন বদলে যাচ্ছে। সাগরদার মতো এখন আর কেউ নেই। যারা আছে তারা কোন না কোন পার্টির খাতায় নাম লিখিয়েছে। মাথাটা বিক্রি করে দিয়েছে।

    সামনের দিকে তাকিয়ে একমনে নানা কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটছিল সাগর। নিখিল স্যারের কথাগুলো মনে পড়ছিল। আরও কিছু কথা হত হয়ত। ওই কাবেরীটা বরকে সঙ্গে করে এসে হাজির হওয়ায় কোন কিছু বলা গেল না। আজকাল সাগরের কেমন বিষণ্ণ লাগে। তার কেমন মনে হয় সে যেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। আগের জায়গাগুলো আর সেরকম নেই। এই খোল নলচে বদলে বদলে যাচ্ছে। হাওয়া কেমন অন্যরকম লাগে যেন। কোন বাগানের গাছপালাগুলো বদলে দিলে যেমন হয় আর কি। এই নতুন কিসিমের বাগানে সে যেন এক আনাড়ি বেমানান মালি। সেই দাপুটে মালি হয়ে ওঠা আর বোধহয় হবে না কোনদিনও। সামনের রাস্তা বড় ধোঁয়াটে। সে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারে এই সাগর সেই সাগর নয়। বদলে যাওয়া পরিমন্ডলে পুরণো সাগরের এক নিষ্প্রভ ছায়া মাত্র। নিতান্তই বেমানান এবং অপ্রয়োজনীয়।

    সরযূদেবী পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার পরে তার বিমর্ষতা আরও গাঢ় হয়েছে নিঃসন্দেহে। রাত্রিকে সে কবে ঘরে আনতে পারবে কে জানে। আদৌ কোনদিন আনতে পারবে কিনা কে জানে।
    ভাবতে ভাবতে সে হেঁটে যাচ্ছে পটলের দোকানের দিকে। রামদুলালের মোড়ে যথারীতি দাঁড়িয়ে আছে বৈকুন্ঠ বুক হাউস। বেচাকেনা চলছে।
    মোড়টা পার হয়ে বেথুন কলেজের দিকে যাবে সাগর, একটা মহিলা কন্ঠের মৃদু শব্দ কানে এসে লাগল ... ' দাদা .... '
    সাগর এদিক ওদিক ঘাড় ঘোরাতে লাগল।
    একদিক থেকে আবার আওয়াজ এল, ' এই যে দাদা .... এখানে .... '
    সাগর এবার দেখল বৈকুন্ঠ বুক হাউসের ঠিক পাশে এক ভদ্রমহিলা আর ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে মুখে নম্র হাসি মাখিয়ে।
    তারা দুজনেই সাগরের দিকে এগিয়ে এল।
    রানু, মানে কানুর বৌদি রানু ঘোষ বলল, ' দাদা ... চিনতে পারছেন ? '
    প্রীতিময় দাঁত বার করে দাঁড়িয়ে আছে।
    রানু বলল, ' আপনাকে কত খুঁজেছি, খোঁজ পাইনি। কতদিন পর দেখা হল। খুব দরকার ছিল ... '
    প্রীতিময়ও বলল, ' খুব দরকার ... '
    কানুর আপন দাদা এবং বৌদি। কানু যে তার কতখানি ছিল তা সে ছাড়া আর কেউ জানে না। এদের দরকার মেটানোর দায় তো সাগরের আছেই।
    ---- ' হ্যাঁ বলুন ... '
    প্রীতিময় বলল, ' এখন তো কানু নেই। ক'জন খুব ঝামেলা করছে ... '
    ---- ' কারা ? '
    ---- ' চিনি না ঠিক ... মনে হয় চোরবাগানের মাল ... কানুর সঙ্গে খারাখারি ছিল হয়ত ... এখন হয়ত ঝাল মেটাবার চেষ্টা করছে। তখন তো ভয়ে কিছু করতে পারত না ... '
    ---- ' কি চাইছে ওরা ? '
    এবার রানু বলল, ' বলছে ওদের দু তিন জনকে মাঝে মাঝে থাকতে দিতে হবে। কলকাতার বাইরে থেকে মাঝে মাঝে ওদের লোক আসে ... '
    ' বুঝেছি ... '।
    পুরণো সাগরের ঝলকানি দেখা দিল সাগরের ভঙ্গীতে।
    রানু বলতে থাকল, ' ওদের মধ্যে একজন বলল দুচারটে চেম্বার রেখে যাব ... পাড়াটা বেশ সুনসান আছে ... কাউকে কিছু বলতে যাবেন না যেন ... একদম খালাস হয়ে যাবেন ফ্যামিলি শুদ্ধ ... কি হজ্জুতি বলুন দিকিনি ... ওদিকে যদি পুলিশে জানতে পারে আমরাই তো কেস খেয়ে যাব... আর পুলিশে জানালে তো ... ওই যে বললাম ফ্যামিলি শুদ্ধু ... '
    সাগর আবার সেই পুরণো ভঙ্গীমায় বলল, ' হমম্ ... পুলিশকে কিছু জানাননি তা'লে ... আচ্ছা ঠিক আছে ... '
    কি ঠিক আছে ঠিক পরিষ্কার হল না প্রীতিময়দের কাছে।
    রানু আবার বলল, ' দাদা আপনি যদি একটু সাহায্য করেন ... আপনাকে ছাড়া আর কাকেই বা বলব ... '
    সাগর বলল, ' এটা আবার বলার কি আছে। কানু আমার নিজের ভাইয়ের মতো ছিল। ওরা আবার কবে আসবে বলে মনে হয় ? '
    ---- ' পরশুদিন রাত্তিরে আসবে বলে গেছে। সেদিন দুজন নাকি রাত্তিরে থাকবে। কোথাও অপারেশন সেরে রাত্তিরে মনে হয় আমাদের ঘরে গা ঢাকা দিয়ে থাকবে। পরদিন ভোরবেলায় বেরিয়ে যাবে। কি ঝামেলায় পড়লাম বলুন তো .... ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকি। মেয়ে বড় হয়েছে ... '
    রানু বলল।
    ---- ' হ্যাঁ, সে তো বটেই ... ঠিক আছে দেখা যাক ... চিন্তা করবেন না। আমি পরশুদিন ঠিক সময়ে চলে যাব ওখানে ... '
    প্রীতিময় গদগদ হয়ে বলল, ' আপনাকে আর কিই বা বলব ... দেখবেন যাতে তেমন ইয়ে না হয় ... '
    ---- ' না না ... আপনাদের যদি ইয়েই হল, তা'লে আর কিছু করে লাভ কি ... ঠিক আছে চলি এখন, কাজ আছে। ঠিক সময়ে চলে যাব ... '
    সাগর বুঝতে পারল এটা কাদের কাজ। পলিটিক্যাল ব্যাপার। সে এ ধরণের কাজের মুখোমুখি হয়নি কোনদিন। শুনেছে ওদের দলে নাকি নিখিল স্যারের মতো অনেক লেখাপড়া জানা ছেলে আছে। কিভাবে ব্যাপারটার মোকাবিলা করবে সেটা নিয়ে আজ রাত্রে খুব ভাববে। এটা নতুন যুগের নতুন সমস্যা। কিন্তু এখনও কেউ কেউ তার ওপর ভরসা করছে এটা ভেবে সাগরের মনে ভরা জোয়ারের জল বইতে লাগল।

    জোয়ারের জল উচ্ছ্বসিত থাকতে থাকতে সে আর এক বাঁকে গিয়ে পৌঁছল প্রায় আধঘন্টা পরে।

    পটলের দোকানে মিনিট কুড়ি বসে সাগর বলল, ' ঠিক আছে পটলা উঠি এখন। কোন খবর হলে দোকানে বলে আসিস ... সন্তোষের দোকানে খবর দিলেও হবে। আবার ঘাড়ে দায়িত্ব এসে পড়ছে মনে হচ্ছে ... আসি রে ... '
    পটল ঘাড় ঘুরিয়ে বলতে যাচ্ছিল ' তাই নাকি ... কিরকম ? '
    সাগর ততক্ষণে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে হাতিবাগানের দিকে।

    রূপবাণীর উল্টোদিকে পেট্রোল পাম্পের সামনে সুমনা আর প্রতিবিম্বর সামনাসামনি পড়ে গেল।
    প্রতিবিম্ব বলে উঠল, ' স্যার আপনি ! কোথায় ছিলেন এতদিন ? '
    ---- ' এ...ই তো ... কোথায় আর যাব ? এখানেই তো ... '
    ---- ' কতদিন পরে আপনার সঙ্গে দেখা হল। আমরা সবসময়ে আপনার কথা বলি। রঙমহলের সামনে সেই ঘটনার কথাটা আমরা ভুলিনি .... '
    ---- ' ভাগ্যিস আপনি ছিলেন ... না হলে কি যে হত ... ' সুমনা বলল।
    বলে হঠাৎ নীচু হয়ে সাগরের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল সুমনা। তার দেখাদেখি প্রতিবিম্বও করল।
    ---- ' আরে আরে ... একি ! এ কী করছ ... '
    সাগর সংকোচে কুঁকড়ে যায়।
    সে বিবশ হয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগল এ পৃথিবীতে তার পায়ের ধুলোর যে কারো প্রয়োজন থাকতে পারে এটা সে এই প্রথম জানল। চোখটা অকারণেই কেমন জ্বালা করতে লাগল। সে পকেট থেকে রুমাল বার করে চোখে চাপা দিল।
    সুমনা বলল, ' কি হল কাকু ? '
    সাগর একটা বোকা বোকা মিথ্যে কথা বলতে বাধ্য হল ---- ' চোখটা কদিন ধরে খুব ডিসটার্ব করছে। ডাক্তার দেখাতে হবে ... '
    ---- ' আমাদের বাড়িতে একদিন সন্ধেবেলা আসুন না ... আমাদের বাড়ির পাশেই ভাল আই স্পেশালিস্ট আছে ... ডক্টর অম্বিকেশ ভৌমিক। সব ব্যবস্থা করে দেব। বাবার সঙ্গেও দেখা হয়ে যাবে। বাবা প্রায়ই আপনার কথা বলে ... '

    সাগর রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়ল ওদের কথা শুনে। তার মনে হল, কোন এক সময়ের বোনা বীজের আজ বোধহয় ফসল তোলার দিন। মানুষের জীবনে এক একটা দিনে এমন একরাশ সোনালী রোদ এসে পড়ে বারেবারে কোথা থেকে যেন।
    ---- ' যাক, আমাকে মনে আছে তা'লে ... আমি আর কি করতে পারি একা একা ... ' সাগর ধরা গলায় বলল।
    ---- ' না স্যার ... একা কেন হবেন, আমরা আপনাকে ছাড়িনি। দেখা হোক আর না হোক আপনার সঙ্গেই আছি ... আর কি যে বলেন আপনাকে মনে থাকবে না ! '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' হ্যাঁ স্যার ... একদম একদম ... '
    সুমনা আবার বলল, ' কবে আসছেন তা'লে ? '
    ---- ' সেটা তো এক্ষুণি বলা মুশ্কিল ... চলে যাব একদিন সন্ধের দিকে ... '
    ---- ' না ... বলছি যে চোখের ব্যাপার তো ... ফেলে রাখা ঠিক না ... '
    ---- ' হ্যাঁ, সে তো বটেই ... আজকাল যখন তখন চোখে জল আসে ... এটা মোটেই ভাল জিনিস না ... '
    ---- ' কোন চিন্তা করবেন না। আমি সব ব্যবস্থা করব। দেখবেন ... একদম সেরে যাবেন ... '
    ---- ' না না ... কিছু চিন্তা করছি না। ভাবছি, জীবনে কখনও হয়ত কিছু সঞ্চয় করেছিলাম ... তাই আজ কিছু পাওনা হয়েছে ... '
    সুমনা কি বুঝল কে জানে। সে অকৃত্রিম স্নেহে বলল, ' একদম একদম ... '

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন