এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ২০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ৪০ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০
    (২০)

    পরমানন্দবাবু হঠাৎ অসুস্থ পড়লেন। বোধহয় ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া ধরণের কিছু হয়েছে। বয়স্ক লোকের যা হয় আর কি। তার নিজের ছেলেরা উদাসীন ধরনের। শুধু নিজের বৌ বাচ্চা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। প্রতিবিম্ব তো বিদেশে। সুমনা পুরো দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিল। মিত্র বাড়ির নিজেদের ডাক্তারবাবুকে নিয়ে আসল মামাশ্বশুরকে দেখাতে। তার দেওয়া ওষুধও খাওয়ানো হতে লাগল কিন্তু সপ্তাহখানেক পরেও তেমন উন্নতি কিছু দেখা গেল না। অলোকেন্দুবাবু আর সময় নষ্ট না করে পরমানন্দবাবুকে দক্ষিণ কলকাতার একটা নার্সিং হোমে ভর্তি করে দিলেন। ঠিক হল এখনই প্রতিবিম্বকে কিছু জানান হবে না। অত দূর থেকে সে কিছু করতেও পারবে না, আসতেও পারবে না। মিছিমিছি উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠায় জর্জরিত হবে।
    বাসন্তীদেবী কড়া নির্দেশ দিলেন, ' বেয়াই মশাই সুস্থ হলে যেন এ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ... ওখানে আর থাকার দরকার নেই ... '

    সুমনা তার ছেলে স্বর্নেন্দুকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসে উঠল। ওখানে কার ভরসায় থাকবে। সুমনার ঝক্কি খুব বেড়ে গেল। প্রত্যেকদিন দুবেলা হাসপাতালে যাতায়াত করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল। অলোকেন্দুবাবুও অবশ্য বিকেলের দিকে গিয়ে দেখে আসতে লাগলেন পরমানন্দবাবুকে।
    এগুলো নিয়ে তাদের কোন বিড়ম্বনাবোধ ছিল না।
    কিন্তু সমস্যা হল যে, হাসপাতালে ভর্তি হবার পর প্রথম দু দিন পরমানন্দবাবুর কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছিল তারপর আবার অবনতি হতে আরম্ভ করেছে। বাসন্তীদেবী বললেন, ' হায় ভগবান ... অমন ভাল মানুষটা ... জামাইকে খবর দাও গো ... নইলে আমরা তো দায়িক হয়ে থাকব, কি রে সুমনা ... লক্ষণ তো ভাল ঠেকছে না রে ... '
    সুমনা চিন্তিত মুখে বলল, ' সে তো ঠিকই ... কিন্তু ও কি করে অত দূর থেকে ... উঃ আমি কিছু চিন্তা করতে পারছি না ... '
    এর মধ্যে কানাই সিকদার একদিন মিত্র বাড়িতে এসেছিল। সে বাসন্তীদেবীর মুখে সব শুনে টুনে বলল, ' কিছু চিন্তা করবেন না মেজদি ... হাসপাতালে দুবেলা আমিই যাতায়াত করব। আচ্ছা... ওনার ছেলে মেয়ে কেউ নেই ? '
    ---- ' সে না থাকারই সমান। মানুষটি বড় ভাল ... ভাল লোকেরই দেখছি মন্দ কপাল হয় ... '
    কানাই বলল, ' তা কেন বলছেন মেজদি ... কপাল মন্দ হলে কি আর এরকম সোনার টুকরো ভাগ্নে পেত ? '
    বাসন্তীদেবী অবশ্য কানাই সিকদারের কথাটা ফেলতে পারলেন না।
    বললেন, ' সেটা অবিশ্যি ঠিক ... আমার জামাইয়ের মতো সোনার টুকরো ছেলে আর হয় না। কিন্তু এখন কি দুর্ভোগের মধ্যে পড়লাম বলতো ... '
    কানাই আর কি করে। স্তোকবাক্য দিয়ে বলল, ' তারা মায়ের ওপর ভরসা রাখুন মেজদি ... সবই ঠিক হয়ে যাবে ... '
    ---- ' হমম্ ... '

    আজ বিকেলে রোভার্স কাপে মোহনবাগানের খেলা আছে জেসিটি-র সঙ্গে। সাগর দুপুরে খবর পেল নন্দ গুলি খেয়ে মারা গেছে, নিমতার কাছে মাঝেরহাটিতে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে। সাগর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ভাবল, গাছের একটা ফল খসে গেল পুষ্ট হবার আগেই। ওদের সঙ্গে ভেড়বার আগে তার সঙ্গে না হোক নিখিল স্যারের সঙ্গে একবার কথা বলে নিতে পারত। মিছিমিছি প্রাণটা দিয়ে কার কি উপকার হল ? কানুর পর নন্দ সাগরের বুকের মাঝখানে একটা গভীর আঁচড় কেটে দিয়ে গেল।
    কানুর দাদা প্রীতিময় আর রানুর ঘোষের সঙ্গে আর একদিন দেখা হয়েছিল। রানু পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল।
    সাগর অস্বস্তি এবং সংকোচবশতঃ বলল, ' আরে আরে, কি করছ ! রাস্তার মাঝখানে ... কত লোকজন ... '
    রানু অম্লানবদনে বলল, ' লোকজন দেখার জন্যই তো করছি ... যার যা প্রাপ্য সেটা তাকে না দিলে ওপরওয়ালা ছাড়বে না ... '
    ---- ' অ্যা ... অই ... অই ... ওটাই হল কথা ... ' প্রীতিময় তার বৌয়ের কথায় সায় দিল।
    সাগরের এসব ন্যাকা ন্যাকা কথা একদম ভাল লাগছিল না। এ দুজনকেই আজকাল কেন জানি না খুব সুবিধের মনে হচ্ছে না। যেভাবে তাকে নক্শালদের জবরদস্তির কথা বলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হয়রাণ করাল তাতে ওদের ওপর একটা সন্দেহ দানা বেঁধেছে সাগরের মনে। প্রথমে কাঁদুনি গাইল, তারপর এমন ভাব করল যেন কোন ব্যাপারই ছিল না, কিংবা থাকলেও তা মিটে গেছে। সাগর মোটেই খুশি নয় ব্যাপারটা নিয়ে। কানুর দাদা বৌদি মোটেই কানুর মতো নয়। দুজনকেই বেশ মতলববাজ মনে হয় সাগরের। সাগরের মনে হচ্ছে, এক্সট্রিমিস্টদের এবং তাকে একইভাবে হাতে রাখতে চাইছে এরা।
    সে যাক, সাগর শান্তভাবে কথাবার্তা চালাল ওদের সঙ্গে।
    ---- ' তারপর কি খবর ... আর কোন প্রবলেম হয়নি তো ? '
    ---- ' এখন পর্যন্ত তো হয়নি ... তবে কিছুই বলা যায় না ... তবে কিছু চিন্তা করি না, তুমি তো আছ ... ' প্রীতিময় বলল।
    ---- ' না না ... এটা কোন কথা হল না, আমার ভরসায় মোটেই থেক না। নিজেদের প্রোটেকশান নিজেদের তৈরি করে নিতে হবে ... নন্দকে চেন কি ? ' সাগর বলল।
    ---- ' হ্যাঁ, ওই ... সোনাগাছির ছেলেটা তো ? '
    ---- ' পুলিশ এনকাউন্টারে মারা গেছে ... '
    প্রীতিময় অবাক হয়ে বলল, ' তাই নাকি ! কোন মানে হয় ... বুঝে সুঝে চলবি তো ... '
    সাগরের মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ' যেমন তোমরা চলছ আর কি ... '
    রানে বলল, ' মানে ? ঠিক বুঝলাম না দাদা ... '
    সাগর বলল, ' না, তেমন কিছু না ... এমনি বললাম আর কি ... '
    তারপর প্রীতিময়ের দিকে তাকিয়ে বলল, ' তুমি নন্দকে চিনলে কি করে ? '
    ---- ' আমার এক বন্ধু বলেছিল ... আগে নাকি তোমার সঙ্গে কাজ করত ... ' প্রীতিময় জবাব দিল।
    ---- ' ও বাবা ! তুমি তো অনেক খবর রাখ ... তা এত খবর পেলে কোথায় ? '
    ---- ' বললাম তো ... আমার ওই বন্ধুর কাছ থেকে ... ও সারা দুনিয়ার খবর রাখে। তোমাকে ভালরকম চেনে ... অবশ্য তোমাকে কে না চেনে ... '
    সাগর চুপ করে রইল। এমনিতেই মনটা ভাল ছিল না। নন্দর কথা, কানুর কথা খুব মনে হচ্ছিল। বেলেঘাটা লেকের ধারে সেই সোনার মতো জানোয়ারকে খতম করার কথা মনে পড়ল। সবকিছু কিরকম বদলে গেল। যা হওয়ার ঠিক হয়ে চলেছে। কোন কিছুই আটকে রাখা যায় না। কালস্রোত প্রবাহে সব কিছু ভেসে যায়। কত চেনা মুখ একের পর এক হারিয়ে যাচ্ছে। জীবনস্রোত গিয়ে পৌঁছচ্ছে নতুন নতুন বাঁকে। এটা সাগর সাগর আবার একবার উপলব্ধি করল।

    এই সময়ে রানু হঠাৎ একটা অদ্ভূত কথা বলল। বলল, ' দাদা, একদিন বাড়িতে আসুন না। আর বলছি যে ... দয়া করে আমাদের অবিশ্বাস করবেন না। আমরা খুব সামান্য অসহায় মানুষ ... আমরা যে আপনার সঙ্গেই আছি তার প্রমাণ আমরা একদিন ঠিক দিতে পারব, দেখবেন ... '
    সাগর খুব বিস্মিত হয়ে গেল কথাগুলো শুনে। ভাবল, রানু ঘোষ তার মনের কথা জানল কি করে।
    সে অপ্রস্তুত ভঙ্গীতে বলল, ' না না ... অবিশ্বাসের কথা আসছে কেন ... অবিশ্বাসের কথা উঠছে কেন ... ওসব কিছু না ... দরকার হলে নিশ্চয়ই যোগাযোগ কোর ... পটলের দোকানে ... '
    বলে সাগর হঠাৎ হাঁটতে শুরু করল। রানুর ক'টা কথা তার মনে বাজতে লাগল, ' আমরা আপনার সঙ্গেই যে আছি তার প্রমাণ একদিন আমরা ঠিক দিতে পারব, দেখবেন ... '

    দুর্বার সন্ধেবেলায় বাড়ি থেকে বেরল সিগারেট কেনার জন্য। মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল মধুমিতার সঙ্গে। উল্টোদিক থেকে
    আসছিল। আর কিছু পাওয়ার নেই ওর থেকে, তবু দুর্বারের মনে একবার বিদ্যুৎ চমকাল অকারণেই।
    মধুমিতা ভদ্রতাবশতঃ দাঁড়িয়ে গেল। দুর্বারও তাই, তবে মনে একটা ঝুমঝুমি নিয়ে। শুধু সে আর মধুমিতা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আলাপ হওয়ার পর এই প্রথম।
    বলল, ' কি খবর ... এখানে ... '
    মধুমিতা এক গাল হেসে বলল, ' এই এলাম ... শ্যামবাজারে এসেছিলাম এক ক্লাসমেটের বাড়ি কয়েকটা নোটস নেবার জন্য। ভাবলাম আজ রাতটা মাসির কাছে কাটিয়ে যাই। আপনাদের সঙ্গেও দেখা হবে। শিমূলতলায় খুব এনজয় করেছি আমরা ... বলুন ... সুভাষদা, অতীশদারা ভাল আছে তো ? '
    ---- ' হ্যাঁ ওরা ভাল আছে। তবে আমি তেমন ভাল নেই ... '
    ---- ' কেন, কি হয়েছে ? এই সময়টা সকলেরই শরীর খারাপ হচ্ছে ... সিজন চেঞ্জের সময় তো ... সাবধানে থাকবেন ... '
    এটা কলকাতার লোকেদের বাঁধা গৎ। বারোমাসই একই রেকর্ড বাজায়, সাবধানে থাকবেন ... সিজন চেঞ্জের সময় তো ... শরীর খারাপ হচ্ছে ... '। মানে, সবসময়ই সিজন চেঞ্জ হচ্ছে।
    দুর্বার বলল, ' না, ঠিক সেরকম কিছু না ... '
    ---- ' তবে ? '
    ---- ' ও কিছু না ... বাদ দাও... বাদ দাও... তবে মুশ্কিল হচ্ছে এ রোগটা কোন ডাক্তার সারাতে পারে না ... নিজেই নিজের ট্রিটমেন্ট করতে হয় ...'
    ---- ' ও বাবা ... এ তো দেখছি খুব কমপ্লিকেটেড প্রবলেম ... '
    ---- ' হ্যাঁ তা বলা যেতে পারে ... '
    ---- ' ওরে বাবা ... আমি ওসব একদম বুঝতে পারি না ... একেবারে আনাড়ি ... আমি সোজা জিনিসই বেশির ভাগ সময়ে গুলিয়ে ফেলি। আমার বাবা বলে, পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেলে কি হবে, তুই আসলে একটা বুদ্ধু .... '
    দুর্বার বলল, ' আমিও ঠিক তাই ... মার্কামারা বুদ্ধু। হ্রস্বি দীর্ঘী জ্ঞান নেই ... সেটাই আমার আসল রোগ ...'
    ---- ' ও গড ... সত্যি ! মজার ব্যাপার তো ... কিরকম শুনি শুনি ... '
    দুর্বার মনে মনে ভাবল, ' তুমি আর শুনে কি করবে ? তোমার বাবা যে তোমাকে সঠিক চিনেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ... '
    মুখে বলল, ' এখন কিন্তু বেশ ভাল লাগছে। মানে শরীর থেকে জ্বর নেমে গেলে যেমন স্বস্তি হয় তেমনি আর কি ... '
    মধুমিতা বিস্ময় মাখা চোখে আবার বলল, ' ওমা ... তাই নাকি ? '
    দুর্বার দৃঢ় কন্ঠে বলল, ' হ্যাঁ তাই। পৃথিবীটা অনেক বড় ... এখানে কেউ কিছু নয় ... এটাই আমরা মনে রাখতে পারি না ... '
    মধুমিতা সারল্যমাখা অবাক দৃষ্টিতে দুর্বারের মুখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করতে লাগল।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন