এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড) - ২১

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১২৯ বার পঠিত
  • ( ২১ )

    না, শেষ পর্যন্ত পরমানন্দবাবুকে ধরে রাখা গেল না। তিনি চলেই গেলেন শনিবার বিকেলবেলায়। ফুসফুস জবাব দিল। শেষ দু দিন ভেন্টিলেশানে ছিলেন। তার প্রাণাধিক প্রিয় ভাগ্নের সঙ্গে আর দেখা হল না। ছিন্ন হয়ে গেল এত দিনের বন্ধন।
    বাসন্তীদেবী চোখে আঁচল চাপা দিয়ে বললেন, ' বড্ড ভালমানুষ ছিলেন গো ... '।
    অলোকেন্দুবাবু অনেক চেষ্টার পর প্রতিবিম্বকে ট্রাঙ্ককলে ধরেছেন। সুমনার সঙ্গে তার কথা বলিয়ে দিলেন।
    সুমনা স্থিতধি কন্ঠে বলল, ' যা হবার তো হয়ে গেছে ... আটকানো গেল না অনেক চেষ্টা করেও। আমরা চেষ্টার কোন কসুর করিনি। তাই বলছি যে ... তুমি এখন আর এসে কি করবে ? ছ মাস বাদেই তো কোর্স শেষ হয়ে যাচ্ছে ... একেবারে তখনই না হয় ... যাওয়া আসার খরচ তো কম নয় ... '
    প্রতিবিম্ব চুপ করে রইল। সুমনার যুক্তিটা বোধহয় মেনে নিল।

    সুমনা একমাস হল বাবা মায়ের সঙ্গেই আছে। ও বাড়িতে একা থাকার অনেক অসুবিধে। তেমন সাহায্য করার তো কেউ নেই। ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে হবে। কাছেই একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করবে ঠিক করেছে। ও বাড়িতে সুমনা সবসময়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকত। এখানে কাজকর্ম কিছু নেই। শুয়ে বসে আর রেডিও শুনে আর কতটা সময় কাটে। প্রতিবিম্বর ফেরার অপেক্ষায় দিন কাটতে লাগল তার। অলস দুপুরে বসে বসে রাস্তায় ট্রামের ঘন্টা শুনতে পায় টং টং টং ...

    বাড়ির সামনের গলি দিয়ে যাওয়া বাসনওয়ালা সুরেলা হাঁক পাড়তে পাড়তে যাচ্ছে। আইসক্রিমওয়ালার ডাক কানে আসছে। জানলা দিয়ে দেখতে পায় আকাশে দুটো ঘুড়ি উড়ছে উদাস নির্ভাবনায়। মন বিবশ হয়ে আসে। বেথুনের সেই দিনগুলোর কথা নিদ্রালু মধ্যাহ্নে ছোটবেলায় দেখা কোন বিজন পুকুর পাড়ের মৌমাছির মতো মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে করে ওঠে। সেই ভর দুপুরে হেদোয় চক্কর মারা কাবেরীর সঙ্গে, সেই প্রতিবিম্বের হেদোর বেঞ্চে বসে লেখাপড়া ... তারপর লুকিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়া ... আরও কত কি ... মনের মধ্যে ঝিরঝির করে স্মৃতিমেদুর হাওয়া বইতে থাকে এই হেমন্তের রোদ মাখা অলস দ্বিপ্রহরে। সুমনার বুক থেকে স্মৃতিকাতরতার একটা গভীর শ্বাস বেরিয়ে এল তার অজান্তেই। ভাবল, জীবনটা কত দ্রুত বদলে গেল। ওই দিনগুলো যেন গত জন্মের কথা ব'লে মনে হয়। আকাশের চত্বরে দুটো ঘুড়ি কাটাকুটি খেলছে আপনমনে। পাশে তার মা বাসন্তীদেবীর ঘর থেকে রেডিওয় বিবিধ ভারতীর গান ভেসে আসছে। সুমনার মা হয়ত রেডিও চালিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন। একটা কাক পাশের বাড়ির তিনতলার কার্নিসে বসে সমানে ডেকে যাচ্ছে। নিঝুম দুপুর, বেলা আড়াইটে। ছেলে ঘুমোচ্ছে পিছনের খাটে শুয়ে। সুমনার মনে হল কাবেরীর সঙ্গে কতদিন দেখা হয় না। দস্যি মেয়ে ছিল সত্যি। অমিতাভ, পার্থপ্রতিম ... আরও কত সব সঙ্গী জুটেছে ওর। মনে হয় আগে প্রতিবিম্বর ওপরও একটা দুর্বলতা ছিল কাবেরীর, যদিও কোনদিন সেভাবে প্রকাশ করেনি। নিখিল স্যারকে নিয়েও কাবেরীর কি চিন্তা ভাবনা ছিল বলা মুশ্কিল। নির্জন আকাশে একটা ঘুড়ি কাটা পড়ল। বৈরাগী বাতাসে ভাসতে ভাসতে নীচের দিকে নেমে আসছে। মনে হচ্ছে পাশের বাড়ির ছাদে এসে পড়বে। এই ঝিম ধরা দুপুরে কোন দূর দিগন্ত থেকে ভেসে আসা স্মৃতির উন্মদ গন্ধে অবশ হতে হতে সুমনার দুচোখের পাতা জুড়ে ঘুম নেমে আসতে লাগল। চেয়ারে বসে বসেই সে ঘুমিয়ে পড়ল।

    হেমন্তের ছোট্ট দুপুর। গড়িয়ে গেল কোন ফাঁকে। বিকেল তো পালিয়ে যায় চোখের নিমেষে। সুমনার যখন ঘুম ভাঙল তখন আলো মরে এসেছে। সে কি সব তালগোল পাকানো স্বপ্ন দেখছিল, যার কোন মানে হয় না। তার মধ্যে কাবেরী ঘুরে ফিরে আসছিল। কাবেরী বলল, ' চল হেদোয় গিয়ে ঘুরি আমরা দুজনে। প্রতিবিম্বকে ডাকার দরকার নেই ... শুধু আমরা দুজনে ঘুরি। এসব আমার একদম ভাল লাগে না ... সত্যি বলছি ... '
    সুমনা বলল, ' কি ভাল লাগে না ? '
    কাবেরী বলল, ' আমার সঙ্গে আয় ... বলছি সব ... ', বলে কাবেরী দৌড়তে লাগল কর্ণওয়ালিস স্ট্রিটের ট্রামলাইনের ওপর দিয়ে। সুমনাও ছুটতে লাগল ওর পিছন পিছন। সামনে কোথা থেকে একটা পাঁচিল উঠে গেল। কাবেরী উড়ে গিয়ে পাঁচিলের ওদিকে অদৃশ্য হয়ে গেল। সুমনা পাঁচিলের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। হঠাৎ ঘোর অন্ধকার নেমে আসতে লাগল। টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। এইসময়ে পরমানন্দবাবু একটা ছাতা মাথায় দিয়ে তার কাছে এসে বললেন, ' ফুচা ... এস এস ... ছাতার তলায় এস ... বাজারে যাব ... ট্যাংরা মাছ কিনব ... '
    সুমনা ছাতাটার তলায় গেল। কিন্তু পরমানন্দবাবুকে দেখতে পেল না। সে, মামা মামা করে ডাকতে লাগল ... কিন্তু পরমানন্দবাবুকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি বেশ জোরে নামল। চারদিক অন্ধকার। রাস্তায় কোন আলো জ্বলছে না। একটাও লোক দেখা যাচ্ছে না। সুমনা উল্টোদিক ফিরে ছুটতে আরম্ভ করল। ট্রাম ডিপো থেকে একটা ট্রাম বেরোচ্ছে। সুমনা ছুটে গিয়ে সেটায় উঠতে গেল। কিন্তু ট্রামটা থামছে না। দুলে দুলে চলেই যাচ্ছে। সুমনা দেখল, ট্রামের জানলা দিয়ে পরমানন্দবাবু একটা হাত বাড়িয়ে বলেছেন, ' এই যে ... হাত ধর ... হাত ধর ... জানলা দিয়ে তোমাকে তুলে নিচ্ছি ... '। ট্রামটা কিছুতেই থামছে না। সুমনা প্রাণপণে ছুটতে লাগল তার মামাশ্বশুরের হাতটা ধরার জন্য, কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারছে না। ছুটতে ছুটতে ছুটতে ছুটতে সে উপুড় হয়ে পড়ে গেল। ট্রামটা প্রচন্ড গতিতে বেরিয়ে গেল। তার হাঁটুতে ভীষণ লাগল ....

    কমলা এসে ডাকতে লাগল, ' ছোড়দি ... ছোড়দি ... তোমাকে কে একজন ডাকছে ... '
    আচমকা ঘুম ভেঙে গিয়ে সুমনা ঘোরমাখা দৃষ্টিতে কমলার দিকে তাকিয়ে রইল।
    কমলা বলল, ' একজন ডাকছে ... '
    সুমনা এবার ধড়মড় করে উঠে বসল। তার ছেলে বারান্দায় তিন চাকার সাইকেল চালাচ্ছে। কমলা ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিল।
    সুমনা বলল, ' কে ? '
    ---- ' ওই তো ... আগে একদিন এসেছিল ... নামটা জানি না ... দাঁড়িয়ে আছে ... '
    ---- ' ছেলে না মেয়ে ? '
    ---- ' মেয়ে ... মেয়ে ... '
    সুমনা একটা হাই তুলে বলল, ' হুঁ ... দেখছি ... '

    বিভূতিবাবু খোস মেজাজে আছেন। পুজোর আগে সবাই মিলে দিল্লী আগরা মথুরা বৃন্দাবন বেড়াতে যাওয়া ঠিক হয়েছে। সুভাষ অতীশরাও,যাবে। দুর্বার যাবে কিনা ঠিক নেই। পরে জানাবে। রমাদেবী বললেন, ' মিতাও যাবে বলেছে ... '
    ---- ' তাই নাকি ? ' বিভূতিবাবু বললেন।
    ---- ' হ্যাঁ গো ... বেড়াতে যাওয়ার নাম শুনে ও একেবারে এক পায়ে খাড়া ... '
    বিভূতিবাবু বললেন, ' ওর মা রাজি আছে তো ? '
    ---- ' সে আর কি বলবে ... মেয়েকে আটকানোর ক্ষমতা বা ইচ্ছে কোনটাই ওদের নেই ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... তা অবিশ্যি ঠিক ... তা ভাল ... '
    ---- ' হুঁ ... বেশি বাড়াবাড়ি কিন্তু ঠিক না ... এক জায়গায় মোটামুটি বিয়ের ঠিক হয়ে আছে ...বিয়েটা শেষ পর্যন্ত হলে হয় ... '
    বিভূতিবাবু কিছু না বুঝেই বললেন, ' অ ... '
    তারপর বললেন, ' তাহলে ... তাহলে ওকে কি নিয়ে যাওয়া ঠিক না ? '
    ---- ' না, তা কেন ? আমাদের সঙ্গে গেলে ঠিক আছে কিন্তু মেয়েটার মতি গতি যেন কেমন কেমন ... অনেক কথাই কানে আসে ... '
    এসব জটিল কিস্যা বিভূতিবাবুর সরল মনোজগতের সম্পূর্ণ বাইরে ... এটা থিয়েটার বায়োস্কোপের ব্যাপার নয়। বাস্তবের গোলকধাঁধার পৃথিবী যেখানে কোন কিছুই সরলরৈখিক নয়।
    তিনি এসব জটিল ঘূর্ণি আবর্তে ঢুকতে অপারগ।
    বাসনা নেই।
    তিনি শুধু তার স্ত্রীর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থেকে তারপর বললেন, ' অ ...'

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন