এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে (দ্বিতীয় খন্ড) - ৩৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১০০ বার পঠিত
  • ( ৩৩ )

    স্নেহাংশু মিত্র, অমিতাভ সেন, সুনির্মল বরাট।
    অমিতাভদের লিটল ম্যাগাজিনটা বন্ধ হয়ে গেল। নৈঋত অনেকদিন চালিয়েছিল ওরা। পরের দিকে আর টানতে পারছিল না। ওদের মধ্যে সুনির্মল কবি হিসেবে বেশ নাম করেছে। দেশ পত্রিকায় তার কবিতা মাঝে মাঝেই বেরোয়। চার পাঁচটা বইও বেরিয়ে গেছে। লাইনের নিন্দুকেরা অনেকে বলে সুনির্মল কবিতা কেমন লেখে তা সবাই জানি, তবে সে যে ধামা ধরার শৈলিতে এক্সপার্ট হয়ে উঠেছে সেটা একেবারে পাক্কা।

    অমিতাভ লেখালেখি পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছে। সে এখন সেল ট্যাক্স অফিসে চাকরি করে। গত বছরে বিয়ে করেছে। স্নেহাংশু লেখালেখি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা ধরেছে বেকারির বিস্কুট, পাঁউরুটির। তার ব্যবসা ভালই চলছে। কাঁচা পয়সা আসছে পকেটে। সে যে একসময়ে কবিতার মতো বায়বীয় কোন বিষয় নিয়ে মগ্ন ছিল দিন নেই রাত নেই এটা তার ভাবলে এখন অবাক লাগে। বেকারিবাণিজ্য কারিগরির নাড়িনক্ষত্র তার নখদর্পনে এখন।

    নিখিল স্যার যে আর নেই সে খবরটা অমিতাভ কাবেরীর মুখেই পেয়েছে। কাবেরীর সঙ্গে কলেজ স্ট্রিটে দেখা হয়েছিল একদিন। শুনে, অমিতাভ অকৃত্রিম বিমর্ষতায় ভরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
    বিশেষ কিছু বলতে পারল না। শুধু বলল, ' কি আর বলব ... বলার কিছু নেই ... খুব কষ্ট পেলাম ... '
    কাবেরী বলল, ' আমিও ... খুব কষ্ট পেয়েছি ... কি আর করা যাবে ... সহ্য করে নিয়েছি ... '
    ---- ' তাই তো ... সবই সহ্য করে নিতে হয় আমাদের। উপায় কি ? '
    দুজনেই একটু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল কয়েক মুহূর্ত । কয়েক বছর আগে হলে অমিতাভ হয়ত একটা এপিট্যাফের জন্ম দিত ওখানে দাঁড়িয়ে। এখন সে প্রসঙ্গ অবান্তর। কবিতা টবিতার কথা মনেই এল না তার।
    সে জিজ্ঞাসা করল, ' পার্থর কোন খবর জানিস নাকি ? '
    ---- ' পার্থ মানে, পার্থপ্রতিম ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... তাছাড়া আর কে হবে ? '
    ---- ' না না ... আমার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। ওসব দিন চলে গেছে লাইফ থেকে। আর মনে করতে চাইও না ... '
    ---- ' হমম্ ... ছেলেটা চিরকাল বাউন্ডুলেই থেকে গেল ... '
    ---- ' তা হবে হয়ত ... '
    কাবেরী আর বেশি কথা বাড়াল না।
    বলল, ' আমাকে যেতে হবে এখন। আমার বর আজ তাড়াতাড়ি ফিরবে। বাড়িতে অনেক কাজ আছে। আসি এখন অমিতাভদা ... পরে আবার কোথাও দেখা হবে হয়ত ... আসি ... '

    কাবেরী চলে গেল ব্যস্ত ভঙ্গীতে। অমিতাভ ভাবল, সেই কাবেরী আর এই কাবেরী। তবে, পরিবর্তন তো জীবনের ধর্ম । বস্তু স্থাবর বা জঙ্গম, সবই পরিবর্তনীয়। অমিতাভ ভাবল, তার নিজেরই কি কম পরিবর্তন হয়েছে। কফি হাউসের সেই দিনগুলো ক'বছর আগেরই বা কথা। কিন্তু মনে হয় যেন কোন সুদূর অতীতের স্মৃতি। অমিতাভ একটা গভীর শ্বাস ফেলল। তবে কোন আফশোস নেই তার মনে। ভাবে, যা হয়েছে ভালই হয়েছে। কি বা হত ওসব করে। ক'জন আর প্রতিষ্ঠা পায় লেখালেখি করে। বেশির ভাগই তো কোথায় তলিয়ে যায় কেউ খোঁজও রাখে না। অমিতাভ আনমনে নানা কথা চিন্তা করতে করতে হাঁটতে লাগল কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট ধরে।

    সাগরের সঙ্গে অনেকদিন পরে সুধীর চক্রবর্তীর দেখা হল। সুধীরবাবু আগে হাতিবাগানে থাকতেন ভাড়া বাড়িতে। সুধীর বাবুর কথায়, বাড়িওয়ালা 'হুড়কো' দিচ্ছিল। এখন বরানগরে ব্যানার্জীপাড়ার ওদিকে উঠে গেছেন। এটাও ভাড়াবাড়ি। তবে ভাড়া নামমাত্র। সুধীর চক্কোত্তিকে রাজনীতির পোকা বলা যায়। তিনি আসলে কোন পার্টির সমর্থক ঠিক বোঝা যায় না। সব পার্টিকেই তুলোধোনা করেন। আবার মাঝে মাঝে কারও প্রশংসাও করেন। নক্শালদের সম্পর্কে তার মনোভাব বোঝা খুব শক্ত। কখনও বলেন, সমাজের বিষ এরা। আবার কোনদিন হয়ত বললেন, দেশের যা অবস্থা ... এদেরই দরকার।

    তবে তিনি, কি করে কে জানে, ভিতরের খবর রাখেন প্রচুর। ভিতরে ভিতরে মনে হয়, চেনাজানা লোক আছে অনেক। আসলে খবর রাখার ইচ্ছে থাকলেই খবর রাখা যায়। সব লোকের তো আর ঠেকা পড়েনি অত কিস্যা জানার বোঝার। নেহাত তাদের কানে আসে তাই কিছু কিছু জিনিস জানা হয়ে যায় এই আর কি। সকলে সুধীর চক্কোত্তির মতো নয়। তিনি এ পার্টি, ও পার্টি, সে পার্টি, এমনকি নক্শাল পার্টির ছেলেদের সঙ্গে বসে আড্ডা মারেন অবলীলায়। কোন হেলদোল নেই । খবরও ঢুকে পড়ে তার বুক পকেটে অনায়াসে। বরানগরের নির্মল চ্যাটার্জি নামটা তার মুখেই প্রথম শুনেছিল সাগর।

    এই তো নির্মলের সঙ্গে সেদিন দেখা হল ... নির্মলের সঙ্গে কথা হল ... এই রকম আর কি।

    নির্মল কোন দলের লোক বলেছিল বোধহয় সুধীর চক্রবর্তী। ঠিক খেয়াল নেই সাগরের। কম্যুনিস্ট পার্টির মনে হয়। দেখা হলে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে, ভাবল সাগর। আসলে নিখিল স্যার চলে যাওয়ার পর থেকে তার মনের মধ্যে কেমন একটা ধূসরতা তৈরি হয়েছে। কোন কিছুতেই ঠিক মন বসে না। বহু ব্যবহারে জীর্ণ একটা প্রবাদ মাথায় ঘুরে বেড়ায় ---- মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না।

    অন্যদের কথা আর কি বলবে, সাগরকে বারবার খোঁচা দেয় নিখিলবাবু জীবিত থাকাকালীন তার নিজেরই গা ছাড়া মানসিকতা। আতরের সুগন্ধ আর কতদিন বেঁচে থাকে। হাওয়ায় মিলিয়ে গেলে সব ফাঁকা ... এক দিক দিশাহীন নির্জন কুয়াশা ঢাকা চরাচর। পাড়ে বাঁধা নিঃসঙ্গ একটা নৌকো দোল খাচ্ছে নদীর বিষণ্ণ জলে। মাঝিও নেই, সওয়ারিও নেই।

    দুটো সুখবর হল অবশ্য দুদিন পরে। রাত্রি গিরিবালা সরকার বিদ্যালয়ে চাকরি পাবার চেষ্টা করছিল। শেষ পর্যন্ত সেটা সফল হল। বাড়িতে চিঠি এসেছে। চাকরিটা হয়েছে। গিরিবালা হল শৈলেন্দ্র সরকারের সকালের মেয়েদের বিভাগ। খুশি ছড়িয়ে পড়ল সাগর আর রাত্রির সংসারে। অত দূরে যাতায়াত করাটা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল রাত্রির পক্ষে। আর দ্বিতীয় খবরটা হল, সেদিন সন্ধেবেলা ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানা গেল তাদের সংসারে সদস্য সংখ্যা বাড়তে চলেছে। অবশ্য ডাক্তারি পরীক্ষার পর ব্যাপারটায় নিশ্চিত হওয়া যাবে। দায়িত্ব বাড়তে চলেছে মুক্ত বিহঙ্গদের। জোড়া খুশির খবর। রাত্রি বলল, ' কাল সকালেই বাবাকে খবরটা দিতে হবে ... '
    সাগর বলল, ' হ্যাঁ, সে তো বটেই ... ছেলে হলে কি নাম রাখবে, মেয়ে হলেই বা কি নাম রাখবে ঠিক করেছ ? '
    ---- ' আরে দাঁড়াও ... আগে টেস্টের রিপোর্ট আসুক ... অত তাড়াহুড়ো করছ কেন ? '
    ---- ' আরে ... টেস্টের রিপোর্ট ঠিক এসে যাবে। ওটা নিয়ে আমি ভাবছিই না। শোন ছেলে হলে নাম হবে পর্বত। '
    ---- ' তা বেশ ... সাগরের ছেলে পর্বত। অভিনব নাম বটে। এরকম নাম আর কারও আছে বলে আমার জানা নেই। আর মেয়ে হলে ? ' রাত্রি সাগরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
    ---- ' রাত্রির মেয়ে অরুন্ধতি ... '
    ---- ' ঠিকই আছে, তবে একটু পুরণো ধরণের হয়ে গেল না ? আর কিছু ? '
    ---- ' রেবতী, পুষ্যা পূর্বাষাড়া বা কৃত্তিকা... '
    ---- ' খালি যত নক্ষত্রের নাম বলছ ... ওসব এখন আর চলে না। যদি আকাশের সঙ্গে যোগ রাখতে চাও তা'লে নীহারিকা বা অর্কদীপা রাখতে পার। অর্ক মানে সূর্য অবশ্য পুংলিঙ্গ। তবে পিছনে দীপা বসিয়ে দিলে কাজ হতে পারে .... '
    সাগর মুখ বেঁকিয়ে বলল, ' দূ...র ... এগুলো কোনটাই ভাল লাগছে না। আর কিছু আছে ? '
    ---- ' ঠিক আছে ভেবে দেখব। পরে বলব অখন ...'
    অনেক কাটা ছেঁড়ার পরও সম্ভাব্য কন্যাসন্তানের নামটা এক্ষুণি চূড়ান্ত করা গেল না। পরবর্তী কোন সময়ের জন্য আপাতত মুলতুবি রইল ।

    সুরেশ্বর মল্লিকের বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল গতমাসে। পাত্রও তারই মতো পড়তি জমিদার বংশের ছেলে। ট্রাম কোম্পানিতে চাকরি করে। ম্যানেজার পদে আছে। তেমন লোকজন বলেনি সুরেশ্বর। তবে খাইয়েছে বনেদী কেতায়। বিশাল সাইজের গলদা চিংড়ি হয়েছিল। খাসির মাংস আর পোলাও ছিল। এছাড়া কাতলা মাছের কালিয়া আর মাছের চপ ছিল। বংশের প্রথা মেনে মেনুতে রাবড়ি আর পান্তুয়া রেখেছিল সুরেশ্বর। মোল্লার চকের দই হয়েছিল। আত্মীয়স্বজনদের বেছে বেছে বললেও পাড়ার সকলকে ঝেঁটিয়ে নেমন্তন্ন করেছিল সুরেশ্বর মল্লিক। সোনাগাছির কয়েকজনকে বলার খুব ইচ্ছে ছিল। হাজার হোক কতদিনের সম্পর্ক। মনটা খুব টানছিল। মায়ার টান। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ইচ্ছেটা গুটিয়ে নিল সুরেশ্বর। ভাবল, কাজ কি ঝকমারি বাড়িয়ে। কি থেকে কি হবে। চুকলি কাটার লোকের তো অভাব নেই ।

    সদানন্দবাবু তো নেমন্তন্ন পেয়ে আহ্লাদে আটখানা। তিনি তার সহজাত ভোজন পারঙ্গমতা প্রদর্শন করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করলেন না। অনায়াস ওস্তাদি ঢঙে সকলকে তাক লাগিয়ে তিনি এক ডজন গলদা চিংড়ি আর কুড়িটা পান্তুয়া উদরস্থ করলেন। তার খাওয়া দেখতে একপাশে ছোটখাট ভিড় জমে গেল। কে একজন চাপাস্বরে বলল, ' বকরাক্ষসের মাসতুতো ভাই দেখছি ... ওইটুকু খোলে অত মাল ঢোকাচ্ছে কোথায় ... হ্যাঃ হ্যাঃ ...'

    সুরেশ্বর বোধহয় তার পড়শি সদানন্দের পারদর্শিতায় রীতিমতো গর্ব অনুভব করছিলেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে সদানন্দের কেরামতি দেখতে লাগলেন এবং এর ওর মুখের দিকে তাকিয়ে প্রসন্নমুখে তাদের অনুকূল প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করতে লাগলেন।

    সাগরকেও সস্ত্রিক বলেছিল সুরেশ্বর। সাগর অবশ্য একা গেল। রাত্রি যেতে চাইল না শরীরটা তেমন ভাল নেই বলে। ওখানে বিভূতিবাবু আর গঙ্গাপ্রসাদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল সাগরের। আর কেউই তাকে তেমন চিনতে পারল বলে মনে হল না। গঙ্গা একগাল হেসে সাগরের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। সাগর বলল, ' ভাল আছ তো ? '
    ---- ' এই চলে যাচ্ছে আর কি। বয়েস বেড়ে যাচ্ছে ... সময় তো আর বসে নেই সাগরদা। আপনাকে তো আর দেখতে পাইনা আজকাল ... '
    সাগরের একটা শ্বাস পড়ল বুকের ভিতর থেকে।
    বলল, ' হুঁ ... তাই তো ... এটা তো আটকানো যায় না। সময়কে তো আর বেঁধে রাখা যায় না। কি আর করা যাবে ... মেনে নিতেই হবে ... '
    বিভূতিবাবু এখন বেশ বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তিনি কেমন ভ্যাবলা মুখে সাগরের মুখের দিকে জলকাটা চোখে তাকিয়ে রইলেন।
    সাগর বলল, ' কেমন আছেন দত্তদা ? '
    বিভূতিবাবু বললেন, ' তোমায় কতদিন পরে দেখলাম সাগর ... আমার বাড়িতে তো কোনদিন গেলে না ... এস না একদিন। আর ক'দিনই বা আছি ? '
    সাগর বিভূতিবাবুর একটা হাত নিজের দু হাতের মধ্যে নিয়ে উষ্ণ আন্তরিকতায় চেপে ধরল।
    বলল, ' যেদিন বলবেন সেদিনই যাব দত্তদা। আমি তো আপনাদেরই লোক। আগেও ছিলাম, এখনও আছি ... '
    বিভূতিবাবু সময় নিতে লাগলেন। হয়ত ভাবতে লাগলেন কি বলা যায়। ভ্যাবলা জলকাটা চোখে শিশুর মতো তাকিয়ে রইলেন সাগরের শান্ত অটল চোখের দিকে।
    এই সময় হঠাৎ শোরগোল উঠল। কে যেন বলল, -
    'আরে ... মল্লিকদা কোথায় গেল ? বরযাত্রী এসে গেছে বরযাত্রী এসে গেছে ... '
    মল্লিকবাবু ধুতির কোঁচা সামলে তাড়াতাড়ি দৌড় দিলেন সিঁড়ির দিকে।

    সুরেশ্বরের মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল ভালয় ভালয়। পরদিন সকাল এগারোটা নাগাদ কনে সপতি রওয়ানা দিল শ্বশুরালয়ের উদ্দেশ্যে।

    এরপর আস্তে আস্তে ফুরিয়ে গেল সত্তর সাল। এসে গেল একাত্তর।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন