এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( দ্বিতীয় খন্ড ) - ১৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ নভেম্বর ২০২৪ | ৮৭ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯
    (১৪)

    মোনাবাবু একটা সিগারেট ধরালেন। চুপচাপ ধোঁয়া ছাড়তে লাগলেন যেখানে নিত্যানন্দ বসেছিল সেই চেয়ারটায় বসে।
    দোকানে আরও দুজন খরিদ্দার ঢুকেছে। সাগর তাদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
    বেলা একটা বেজে গেছে। সাগরের দোকান ফাঁকা হয়েছে। সাগর দোকান বন্ধ করে খেতে যাবে। সে বলল, ' বল মোনাদা ... কি বলবে বলছিলে ... খেতে যাব ... '
    ---- ' না সেরকম কিছু না ... বলছি যে কিছু চিন্তা ভাবনা করলি ? '
    ---- ' কি ব্যাপারে বল তো ... '
    ---- ' না ... এখন তো আর সে জমানা নেই। একটা নৌকোয় না উঠলে টিকতে পারবি না ... মানে, টিকতে দেবে না ... তোর তো বুঝতে অসুবিধে হবার কথা না ... '
    ---- ' এসব কথা তো দশ বারো বছর আগে পতিতপাবন বলত। তুমি তো সেই রেকর্ডই বাজাচ্ছ। আমাকে নিয়ে তোমাদের এত চিন্তা কিসের বল তো ? আমার গাড়ি আমার রাস্তায় চালাতে দাও। তোমরা তোমাদের রাস্তায় চল ... আমি তো আটকাতে যাচ্ছি না ... '
    ---- ' তোর কোন ক্ষতি চাই না বলেই ... '
    ---- ' ওসব কথা বাদ দাও ... আমি কোন জার্সি পরতে চাই না এটা তো তোমরা ভালভাবে জান। যাকগে চল উঠি ... ক্ষিদে পেয়ে গেছে ... ' সাগর উঠে দাঁড়াল।

    সাগর এই ঘটনাটা রাত্রে রাত্রিকে বলল। ঘটনাটা শুনে রাত্রির উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাগর লক্ষ করল সে বেশ বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে তাকে।
    সাগর খোঁচা দিল তাকে, ' কি গো ? কি হল ... কি এত ভাবতে বসলে ? '
    ---- ' ন্না ... কিছু না। জান ... আমার আজকাল ভীষণ ভয় করে। আমিই এই কিছুদিন আগে তোমাকে কত এনকারেজ করেছি। কিন্তু ক'দিন ধরে আমি কেমন যেন মনের জোর হারিয়ে ফেলছি ... '
    ---- ' সে কি কথা ! কেন ? '
    ---- ' না ... স্পষ্ট বুঝতে পারছি সময় বদলে গেছে ... তুমি হয়ত আর আগের ধরণে কাজ করতে পারবে না। তখনও তোমার অনেক শত্রু ছিল। কিন্তু এখনকার শত্রুদের সঙ্গে তাদের কোন তুলনা হয় না। এখনকার এরা অনেক বেশি চতুর, প্রতিহিংসাপ্রবণ এবং হিংস্র। এরা ইন্ডিভিজুয়ালি মোটেই স্ট্রং নয়, কিন্তু অত্যন্ত যূথবদ্ধ। সবচেয়ে বড় কথা হল, তুমি বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়ানোর লোক পাবে না। এখন কেউ আর অত বোকা নেই যে তোমার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখবে ... '
    ---- ' কিন্তু আমারও তো লোক আছে ... '
    ---- ' আছে। কিন্তু ওরা আর বেশিদিন ওভাবে কাজ করতে পারবে না। কিছুদিন পরে দেখবে মাণিক, বাদলরাও কোন দলে নাম লিখিয়েছে ... স্রেফ বাঁচার জন্য। নইলে, ওদের বাঁচতে দেবে না। ওদের তো তেমন কিছু ক্ষমতা বা যোগ্যতা নেই যে
    ওরা লাইন ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু করবে। সারা জীবন এই সবই করে এসেছে। সুতরাং ওদের ফাঁসানো সহজ ... '
    ---- ' আমাকে তা'লে কি করতে বলছ ? '
    ---- ' বলছি যে ... এটা অন্যভাবে নিও না। তুমি শুধু তোমার বিজনেস নিয়ে থাক। আর কোন কিছু নিয়ে মাথা ঘামাবার দরকার নেই ... ইউ ক্যান নট চেঞ্জ দা ওয়ার্ল্ড ... পৃথিবী যেমন চলছে তেমনি চলবে। একচুল পরিবর্তন কোথাও কোনদিন আসেনি, আসবেও না। তাহলে মিছিমিছি নিজের জীবন বরবাদ করে লাভ কি ? '
    রাত্রির কথাগুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে বসে রইল সাগর। তার অবিশ্বাস্য মনে হতে লাগল রাত্রির কথাগুলো। মনে হল, সত্যি কি রাত্রিই কথাগুলো বলছে, না অন্য কেউ ... '
    অথচ যুক্তিগুলো অকাট্য।
    রাত্রি আবার বলল, ' আসলে, আমার আজকাল ভীষণ ভয় করে জান ... তোমার কিছু হয়ে গেলে অন্য লোকের আর কি ... আমারই তো ... '
    সাগর বলল, ' তাহলে, আমি কি আর সাগর মন্ডল থাকব না...সাগর কি শেষ হয়ে গেল এ পৃথিবীতে ?'
    ---- ' একেবারেই তা না। সাগর নিশ্চয়ই দেখা দেবে নতুন ভাবে, নতুন রূপে ... সাগর কি কখনও শুকোতে পারে ? ' রাত্রি বলল সাগরের মুখের গভীর প্রত্যয় ভরা দৃষ্টি মেলে রেখে।
    সাগর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, ' কি জানি ... কিছুই জানি না ...কোন অজানা দিশায় ভেসে চলেছি ...'

    বিভূতিবাবুরা যেদিন বিকেলবেলায় লাট্টু পাহাড়ে গেলেন। ঝগড়ুও ওদের সঙ্গে গেল। ওখানে অবশ্য সৌভাগ্যবশত সেদিন উৎপাত সৃষ্টি করার মতো কোন ট্যুরিস্ট গ্রুপ ছিল না। বিভূতিবাবুর মন রম্য আবেশে ছেয়ে গেল। সকলে মিলে টিলাটার ওপর উঠল। নীচে চারদিকে কেমন একটা ধূসর বিষণ্ণতা উবু হয়ে হাঁটতে মুখ গুঁজে বসে আছে। মধুমিতার ' ধূসর জীবনের গোধূলিতে ... ক্লান্ত ছায়া ম্লান ছবি ' - র মতো মনে হতে লাগল নীচে আবছা মানুষজনের অস্পষ্ট চলাফেরা। ঝগড়ু বলল, ওই দিকটায় আমাদের দেহাত বসতি আছে। এছাড়া ইধার উধার ফাঁকা। জঙ্গল আর পাথর আছে। ওখানে একদিন নিয়ে যাব আপনাদের। সাঁওতালরা থাকে ওখানে। দেখবেন ওরা আপনাদের কেমন যত্ন করবে ... '
    রমাদেবী বললেন, ' তা..ই ? '
    ---- ' হাঁ ... মা ... '
    ---- ' কবে ... তা'লে ? '
    ---- ' কালই চলুন ... '
    কেমন ঝির ঝির করে হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সারাক্ষণ।
    মধুমিতা অনেক দূরের একদিকে আনমনা হয়ে তাকিয়ে ছিল। ঝিরি ঝিরি বাতাস লেগে চুলগুলো কপালে এসে পড়ছিল। আর সে বারবার আলতো আঙুলে কপালের চুল সরিয়ে দিচ্ছিল। সুভাষ, অতীশ, বিনয় আলাদা আলাদা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাট্টু পাহাড়ের ওপর। যে যার মতো করে হিমেল হাওয়ায় দাঁড়িয়ে টিলার চারপাশ দেখছে। দুর্বারের চোখে পড়ল মধুমিতার চুলে বাতাসের আঁকিবুকি।
    সে একটু তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল। মধুমিতা বারংবার আঙুল দিয়ে অগোছাল চুল সরিয়ে দিচ্ছে। দুর্বার আবার একবার সেদিকে তাকাল এবং চুরি করে। আরও একবার তাকাবার ইচ্ছে হতে লাগল। পশ্চিম দিকে আকাশ লাল হয়ে উঠেছে।

    বিভূতিবাবু বললেন, ' চল এবার যাওয়া যাক। এক্ষুণি সন্ধে নেমে যাবে। বেশ শীত লাগছে। '
    ঝগড়ু বলল, ' হাঁ ... ঘরে গিয়ে খানা পাকাতে হবে
    ... '
    সে তার চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে নিল গায়ে।
    দুর্বার বলল, ' আর একটু থাকলেও হত। বেশ লাগছে কিন্তু ... '
    বিনয় বলল, ' চল চল ... বেশি বাড়াবাড়ি কোর না
    ... এখানে ডাক্তার টাক্তার আছে কিনা জানি না ...'
    দুর্বার বলল, ' হমম্ ... চল যাওয়া যাক ... এরপর আর কোন জায়গা আছে নাকি ? '
    ---- ' হাঁ ... ওদিকে একটা জঙ্গল আছে। কাল নিয়ে যাব। দুপুরবেলা যেতে হবে কিন্তু। জঙ্গলে হাতি আছে। আমি অনেকবার দেখেছি। সাবধানে ঘুসতে হবে ... '
    ঝগড়ুর কথা শুনে মধুমিতা বাচ্চা মেয়ের মতো হাততালি দিয়ে লাফিয়ে উঠল ... ' কি মজা ! '
    হাসি উছলে উঠল তার মুখে।
    দুর্বার তাকিয়ে রইল ওর দিকে। না না ... লুকিয়ে চুরিয়ে না, অপলকে। লাট্টু পাহাড়ের নীচে দেহাত গাঁওয়ে কারা যেন একসাথে হয়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে কি যেন গাইছে। সেই সমবেত গীতের প্রায় অশ্রুত বিক্ষিপ্ত কম্পন ভেসে ভেসে আসছে টিলার ওপরে। এই নির্জন, অনাবিল নিঃশব্দ শীতল বায়ুতরঙ্গ মাঝে দাঁড়িয়ে বিভূতিবাবুর মনে হল হেদুয়ার ধার কি মহাকাশের অন্য কোন গ্রহ। এখানে দাঁড়িয়ে মনেই হচ্ছে না কলকাতা, সদা চঞ্চল কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট এবং গুঞ্জনময় হেদুয়া পার্ক বলে কিছু আছে।
    তিনি রমাদেবীর একহাত ধরে বললেন ' এস, সাবধানে এগোও ... '
    পিছন দিকে ঘাড় না ঘুরিয়ে তিনি বললেন, ' মিতা ... সাবধানে পা ফেলিস মা ... নুড়ি পাথর আছে আছে কিছু ... ওগুলো খুব স্লিপারি ... '
    পিছন থেকে জবাব এল, ' হ্যাঁ মেসোমশাই... আমাকে নিয়ে ভেব না। সঙ্গে তো আরও সাথী আছে ... '
    দুর্বারের কিছু বলতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু কি বলবে ঠিক করতে করতে দেখল মধুমিতা তার থেকে অনেকটা তফাতে চলে গেছে।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন