এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে (দ্বিতীয় খন্ড) - ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৩ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫
    ( ৩ )

    নিখিল স্যার বললেন, ' তা ভাল। কিছু জিনিস জানতে না পারলেই জীবন ভাল কাটে। জানা হয়ে গেলে আর কোন আকর্ষণ থাকে না, বরং অস্বস্তি বাড়ে। কি ... বুঝলি কিছু ? '
    কাবেরী একটা চেয়ারে বসে পড়ল। গৌতমও ওদিকের একটা চেয়ারে বসল। তার মুখে নরম প্রসন্নতা মাখানো। না হাসলেও মনে হয় মিটিমিটি হাসছে।
    কাবেরী বলল, ' মোটামুটি বুঝতে পেরেছি। আপনার কোন কথাই তো আমি পুরোটা বুঝতে পারি না ... '
    ---- ' সেই জন্যই তো আমার কাছে আসিস। সব বোঝা হয়ে গেলে হয়ত আর আসতিস না ... '
    ---- ' না স্যার ... মোটেই তা না। তখনও আসতাম।কোথায় আর যাব ? '

    সাগর চুপচাপ বসে ছিল। তার এইসব হেঁয়ালিভরা কথাবার্তা একদম ভাল লাগছিল না।
    স্যার যে কেন এই মেয়েটাকে এত পাত্তা দেয় কে জানে। এক্ষুণি হয়ত কবিতা বের করে পড়তে আরম্ভ করবে। অসহ্য লাগে তার। হাজার দুশ্চিন্তা মাথায়। তার মধ্যে এইসব বোকা বোকা কথাবার্তা নেওয়া যায় না।
    সাগর বলল, ' আমি তা'লে এখন আসি স্যার। দোকান খুলতে হবে। হাতিবাগানে একটা দোকান নিয়েছি জানেন তো ... লোকেশানটা ভাল ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... বললে তো সেদিন ... এখানে তোমার বিজনেস দাঁড়িয়ে যাবে শিওর ... '
    ---- ' দেখা যাক কি দাঁড়ায় ... দাঁড়ানো তো দরকার। রাত্রি আর কতদিন অপেক্ষা করবে ... '
    ---- ' তাই তো ... এবার একটা সেটলমেন্টে আসার দরকার ... হবে হবে এবার হবে ... আমার সিক্সথ সেন্স বলছে ... '
    ---- ' দেখি ...। মা চলে যাবার পর ভীষণ একা হয়ে পড়েছি। হু হু করে বয়েস বেড়ে যাচ্ছে। দিনকাল সব পাল্টে যাচ্ছে ... '
    নিখিলবাবু মাথা নীচু করে বললেন, ' হমম্, তাই তো ... '
    ---- ' আচ্ছা...ঠিক আছে, আমি আসছি স্যার ...', বলে সাগর বেরিয়ে গেল।

    গৌতম এবার বিচক্ষণ ভঙ্গীতে বলল, ' আমরা এসে বোধহয় ডিসটার্ব করলাম। আমাদের জন্যই বোধহয় ... '
    নিখিলবাবু বলে উঠলেন, ' আরে না না ... ও ওরকমই। নেভার মাইন্ড ... ওর মতো মানুষ দেশে কটা আছে ? '
    ---- ' হ্যাঁ জানি স্যার ... আমি ওনাকে ছোটবেলা থেকে চিনি। গোয়াবাগানে ক'টা মাস্তানকে টাইট দিতে দেখেছিলাম একবার। স্কুলের মেয়েদের বিরক্ত করত। তার মধ্যে আমার বোনও ছিল। তার পর থেকে ওই শয়তানগুলোকে আর এলাকায় দেখা যায়নি ... '
    ---- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... তোমার তো তা'লে ভালরকম জানা আছে ... '
    এই সময় কাবেরীর স্বামী গৌতম তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল।
    সে বেশ পরিপাটি ভঙ্গীতে বলল, ' যদি কিছু মনে না করেন, আমি ওনার সেটলমেন্টের ব্যাপারে সামান্য সাহায্য করতে পারি। মানে, এটা টোকন অফ গ্র্যাটিচিউড বলতে পারেন ... আর কিছু না। আমি সামান্য মানুষ। কিন্তু আমারও তো কিছু কর্ত্তব্য থেকে যায় ... তখন তো আমি খুব ছোট ছিলাম, কিছু করতে পারিনি ... আপনার এখানে ওনার দেখা পাব সেটা ভাবিনি ... '

    নিখিলবাবু গৌতমের কথা মন দিয়ে শুনছিলেন।
    তিনি বললেন, ' ও ... আচ্ছা আচ্ছা ... বুঝতে পেরেছি। সেটা হলে তো খুবই ভাল হয়। তা, কি ধরণের সাপোর্ট দিতে পারবে ওকে কিছু ভেবেছ নাকি ? '
    ---- ' আমাদের পারিবারিক বিজনেসে ওনাকে যুক্ত করা যেতে পারে। আমার নিজের থার্টিফাইভ পার্সেন্ট শেয়ার আছে ওখানে ... ওনার নিজের ব্যবসাও উনি চালিয়ে যেতে পারবেন ... অসুবিধে হবে না ... '
    এই অভাবনীয় প্রস্তাবের কথা শুনে কাবেরী তার স্বামীর দিকে সপ্রশংস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। ভাবল, কিছু কিছু মানুষকে বাইরে থেকে দেখে কত কম চেনা যায় !
    নিখিলবাবু বললেন, ' এ তো খুবই ভাল কথা .....আমি সাগরকে বলব। রাত্রিরও মতামতের ব্যাপার আছে ... '
    ---- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই ... বলে দেখুন, যদি রাজি হন ওনারা ... '
    ---- ' তা তোমাদের কিসের ব্যবসা গৌতম ? '
    ---- ' ফার্মাসিউটিক্যাল ... মানে, ওষুধের ব্যবসা ... ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ডিস্ট্রিবিউটর... '
    ---- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... এ তো বেশ বড় ব্যাপার ... আমি বলব ... ওদের বলব ... দু একদিনের মধ্যেই কথা বলব ... '
    নিখিলবাবু এবার প্রসঙ্গ পরিবর্তন করলেন। কাবেরীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ' হ্যাঁরে ... সুমনার কি খবর জানিস নাকি ... দেখা হয় ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... গত মাসে একদিন দেখা হয়েছিল। ওর ছেলের তিন বছর বয়স হল। প্রতিবিম্ব আমেরিকা যাচ্ছে সামনের মাসে। এক বছরের জন্য ... কি একটা কোর্স করতে ... '
    ---- ' তাই নাকি ? বাহ্ ... ভেরি গুড। ব্রাইট বয় ... '
    ---- ' ওরা আপনার কাছে আর আসেনি, না ? '
    ---- ' নাঃ ... এ পৃথিবীতে সব কিছু তো সবার জন্য নয় ... প্রত্যেকেরই নিজস্ব অরবিট, মানে কক্ষপথ আছে। এই অরবিট ধরেই তাকে ঘুরতে হয় গোটা লাইফ স্প্যানে। এর টান ছিঁড়ে কেউ বাইরে বেরোতে পারে না। সে যাক, সুমনাও কি সঙ্গে যাচ্ছে ?'
    ---- ' তা জানি না। অত কথা জিজ্ঞেস করিনি। ও তো কিছু বলল না ... আমার কি দরকার ... হয়ত শ্বশুরের টাকায় যাচ্ছে ... বড়লোক শ্বশুর ... অসুবিধে কি ? যাকগে বাদ দিন ... '
    ---- ' না না ... কিছু না জেনে ওরকম বলা ঠিক না।ওরকম বলতে নেই। প্রতিবিম্ব যে কত ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিল সেটা তো আমি জানি। '
    কাবেরী একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল।
    বলল, ' হ্যাঁ ... সে তো বটেই ... সে তো বটেই ... প্রতিবিম্বকে সেই কবে থেকে চিনি। প্রতিবিম্বর কোন তুলনা হয় না ... '
    নিখিলবাবু প্রসঙ্গটা ঘোরাবার জন্য বললেন, ' যাকগে ওসব বাদ দে। আর কবিতা টবিতা লিখেছিস নাকি ? '
    ---- ' অ্যাঁ কি বললেন ... কবিতা ? ও হ্যাঁ, একটা ছোট কবিতা লিখেছিলাম। নিয়ে আসিনি। মোটামুটি মনে আছে ... বলব ? '
    ---- ' বল বল ... জিজ্ঞেস করার কি আছে ? '

    কাবেরী বলতে লাগল .....

    য্যায়সা করনি ত্যায়সা ভরনি
    নিয়ম ছড়ানো আছে,
    চৈত্র বাতাসে ঝুরো পাতা ওড়ে
    কে জানে কোন বিকেলবেলার কাছে।
    শিমূল ফুটেছে নববধূ লাজে
    তবু কেজো লোক ধায় গম্ভীর কাজে
    আকাশে একটা রসিক আড্ডা চলছে দিনভর—
    অর্ক অস্তগামী,
    স্থায়ী ছুটি বুঝি পেল কেউ কেউ— বর্ণিল এক খেলোয়াড় বা চারটে ফাঁসির আসামী।

    নিখিলবাবু বললেন, ' হমম্ .... সবটা বুঝলাম না, কিন্তু মনে একটা দোলা দিল ...'
    তারপর গৌতমের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ' এর সঙ্গে সংসার করতে অসুবিধে হচ্ছে নাতো ? '
    কাবেরীর স্বামী বলল, ' হাঃ হাঃ হাঃ ... একেবারেই না ... আমি ব্যালান্সিংটা ভাল জানি ... '

    সুরেশ্বর মল্লিকের সঙ্গে সাগরের দেখা হয়ে গেল মানিকতলা বাজারের কাছে।
    সাগর বলল, ' কেমন আছেন মল্লিকবাবু ? '
    ----' আরে ... সাগরবাবু যে ... কি খবর ? '
    মল্লিকবাবু সাগরের সামনে দাঁড়িয়ে যান।
    সাগর বলল, ' আপনাকে তো অনেকদিন ওখানে দেখি না ... '
    ---- ' কোথায় বলুন তো ? '
    ---- ' কোথায় আবার ? নিখিল স্যারের বাড়িতে ... '
    ---- ' ও ... তাই বলুন। না, ওখানে অনেকদিন যাওয়া হয়নি। আর ওখানে গিয়েই বা কি করব ... আমার কি ক্ষমতাই বা আছে ? সামান্য মানুষ ... আর তাছাড়া এখন দিনকাল বদলে গেছে ... দেখছেন তো চারদিকে ... ওসব করে আর কি হবে ? তা বলে আমি কিন্তু নিখিল স্যারকে একটুও অশ্রদ্ধা করছি না ... ওনাকে আমি আগের মতোই শ্রদ্ধা করি ... কিন্তু ওসব এখন করা মুশ্কিল আছে ... খোঁচড়ে একবার ধরে নিলে হাতে হারিকেন হয়ে যাবে ... বুঝলেন তো ... '
    সাগর সুরেশ্বরের এরকম অভাবনীয় পরিবর্তন দেখে হতবাক হয়ে গেল। তার মনে হল, কেউ নিশ্চয়ই সুরেশ্বরের মগজ ধোলাই করেছে, নাহলে মল্লিকবাবু তো এরকম পাল্টি খাবার লোক না। এ তো উল্টোপাল্টা কথা বলছে।
    সাগর বলল, ' আপনার হঠাৎ এসব কথা মনে হতে শুরু করল কেন ? আপনি তো ভীষণ উৎসাহী ছিলেন স্যারের মিশনে ... '
    ----' ছিলাম তো ... অস্বীকার করছি না ... কিন্তু এখন ওসব করতে গেলে লাইফ রিস্ক আছে ... হাওয়া অন্যরকম ... অনেকেই বলছে ... '
    ---- ' যেমন ... '
    ---- ' এই তো ধরুন না, নন্দই তো একদিন বলল ... '
    ---- ' নন্দ ! ওর সঙ্গে আপনার দেখা হয় ? '
    ---- ' না, মানে ... দেখা ঠিক হয় না ... একদিন হয়েছিল ... ওই শোভাবাজার রাজবাড়ির ওখানে ... '
    ---- ' দেখা হতেই জলের মতো বুঝিয়ে দিল সব ... তাই না ? '
    ---- ' হ্যাঁ, ওই ... কি বলব ... ভুল তো কিছু বলেনি। এসব করে কিচ্ছু হবে না ... এখন অন্য কিছু করার দরকার ... জমানা বদলে গেছে একদম ... '
    সাগর ঠোঁট বেঁকিয়ে হেসে বলল, ' সেটাই সে করছে, তাই তো ? সেই জন্যই আমার সঙ্গে আর দেখা করে না ... এখন বুঝতে পারলাম। কিন্তু এত বোঝে আর এটা বোঝে না যে খোঁচড়ে ধরে নিলে কি হবে ? '
    সুরেশ্বর বিব্রত মুখে বলল, ' হ্যাঁ, সে তো বটেই ... সে তো বটেই ... অত কিছু তো আমি বলতে পারব না ... '
    ---- ' তাই তো ... আপনিই বা বলবেন কি করে। ঠিক আছে চলি এখন। আপনি বাজার করুন ... '
    সাগর বাজার থেকে বেরিয়ে যায়।
    নানা কথা ভাবতে থাকে সাগর। ভাবে, নন্দর সঙ্গে একবার দেখা করা খুব দরকার। স্বরূপ খাঁড়ার প্রাক্তন সহকারি মনোরঞ্জন মজুমদার এবং কালীকিঙ্কর ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করাটা খুব দরকার।
    কিন্তু এক্ষুণি যার সঙ্গে দেখা করার দরকার সে হল ... রাত্রি।

    কিছু বলা যায় না। সবকিছু বদলে যাচ্ছে অতি দ্রুত।

    তৃণা সেই কখন থেকে লেবুতলার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে। সাড়ে পাঁচটা বেজে গেল, এখনও অমলের দেখা নেই। সাড়ে পাঁচটা বেজে গেল। তৃণা রাগে গজগজ করতে লাগল মনে মনে।
    অমল প্রায় ছুটতে ছুটতে এসে হাজির হল আরও মিনিট দশেক বাদে।
    ---- ' ওঃ ... তোমার কি কোন কান্ডজ্ঞান নেই ! আমি একটা মেয়ে একা একা এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি ... কোন মানে হয় ! ' তৃণা তেতো স্বরে বলল।
    ---- ' আরে ... কি মুশ্কিল ! আমি কি পিকচার দেখতে গিয়েছিলাম নাকি ? বোর্ডের মিটিং ডাকল হঠাৎ। থাকতেই হবে... কোন উপায় নেই। আমার কি করার আছে ? নাও চল চল ... '
    ---- ' দূ...র ... মুডটাই অফ হয়ে গেল। তোমাকে নিয়ে আমি আর পারি না ... '
    ---- ' তাই তো ... আমি বড্ড খারাপ। আসল কথাটা কি জান, বিরাট ভুল করে ফেলেছি ....'
    ---- ' তার মানে ? '
    ---- ' মানে বুঝে আর কি হবে এখন ? চল চল ...'

    তৃণা ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে স্থির ভাবে বলল, ' ভুল তোমার নয়, ভুল আমারই ... কি আর বলব ... '
    সময় বদলে যায়, সম্পর্কগুলোও বদলে বদলে যেতে থাকে অনবরত।
    ওরা বউবাজারে গেছে তৃণার খুড়তুতো বোনের বিয়েতে দেবার জন্য গয়না কিনতে। এখন গয়নাটা শেষ পর্যন্ত কেনা হয় কিনা সেটাই দেখার।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন