এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • চেনা মানুষ অজানা কথা - ১ 

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৭৯৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৯ (৮ জন)
  • আকিরা কুরোসাওয়া আর সত্যজিৎ রায়ের পারস্পরিক সম্মান, মুগ্ধতাবোধ এই সব নিয়ে তো আমরা সবাই কম বেশী জানি। শোনা যায় কুরোসাওয়া যখন বললেন “সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা না দেখা আর পৃথিবীতে জন্মে কোনদিন সূর্য না দেখা প্রায় একই পরিমাপের ভুল” - এই শুনে মানিকবাবুর ভক্তকুল কেউ কেউ কালীঘাটে পুজো দিতে ছুটেছিল। সেই খবর শুনে সমসাময়িক আরেক পরিচালক বলেন, “আমি শিওর এই পুজো-টুজো দেওয়া দিয়ে ঢ্যাঙা মাথা ঘামায় না – কিন্তু ওর ভক্তকুলকেও বলিহারি। দেশ ভাগ হল, ওপাশের বাঙালিরা যুদ্ধ করছে – কোলকাতা ভরে উঠছে উদ্বাস্তু-তে। সেই সব গৃহহীন দের মঙ্গল কামনায় কাউকে কালিঘাটে পুজো দিতে যেতে দেখলাম না! আর ঢ্যাঙার খ্যাতি নিয়ে হইচই – এই জন্য বাঙালীর কিছু হল না”। 

    যাই হোক, আপনারা হয়ত যেটা জানেন না, কুরোসাওয়া ক্রমশঃ মানিক বাবুর পারিবারিক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন।  উনি বিজয়া রায়-কে ডাকতেন “জয়া – সান” বলে। ‘সান’ হল জাপানী ভাষায় এক সম্ভ্রম সূচক সম্বোধন – পুরুষ, মহিলা দুই দলকেই বলা যায়।  যেমন প্রথম প্রথম কুরোসাওয়া সত্যজিৎ রায়কে ডাকতেন “মাষ্টার-সান” বলে। কিন্তু মানিক বাবু বেশ অপ্রস্তুত হয়ে একদিন বললেন, “আপনি আমাকে প্লীজ এই ভাবে মাষ্টার বলে ডাকবেন না সবার সামনে – বেশ লজ্জা লাগে”। তারপর থেকে কুরোসাওয়া উনাকে সবার সামনে ‘মিঃ রায়’ আর একান্তে ‘মাষ্টার-সান’ বলে ডাকতেন।    

    সেবারে ভেনিসে দেখা হল – সত্যজিৎ রায় একাই গিয়েছিলেন, বাবুর পড়াশুনার জন্য বিজয়া দেবী যেতে পারেন নি। কুরোসাওয়া জাপান থেকে এনেছিলেন তাঁর ‘জয়া – সান’ এর জন্য উপহার – কয়েকটি মুক্তো।  মুক্তোর সাইজ, আকৃতি, রঙ দেখেই বোঝা যায় একদম এ-ক্লাস ক্যাটাগরীর সেই মুক্তো।  কলকাতা ফিরে সেই মুক্তো বিজয়া দেবী (মঙকু) হাতে নিয়ে তো বিশাল খুশী! ততদিনে বাবুর পরীক্ষাও শেষ।  তাগাদা দিয়ে দিয়ে সত্যজিৎ বাবু-কে প্রায় পাগল করে একদিন বউবাজারের দিকে গেলেন। সেই মুক্তো দিয়ে কানের বানাবেন। সত্যজিৎ রায় শপিং ইত্যাদি ভালোবাসতেন না – দোকানে দোকানে ঘুরে গহনা দেখার তো প্রশ্নই ওঠে না। ট্যাক্সি-তে যেতে যেতে বলে দিলেন, পূর্ণ চন্দ্র বাবুর দোকানেই যাবেন ডাইরেক্ট – সেখান থেকেই যা অর্ডার দিতে।  পূর্ণ চন্দ্র চন্দ্র (যার নামে পি সি চন্দ্র জুয়েলার্স) রায় বাবুদের পারিবারিক বন্ধু। তখনো ওদের বিজনেস ভারত বিখ্যাত হয় নি – তবে বড়বাজারে বেশ নাম করেছে।   

    দোকানে ঢুকতেই পূর্ণ বাবুর ছেলের সাথে দেখা। জলদ্গম্ভীর স্বরে মানিক বাবু প্রশ্ন করলেন

    - কি, বাবা আছে?
    - আরে কাকু, কাকিমা যে, আসুন আসুন। বাবা তো আজকে নেই দোকানে। কি দরকার বলুন, আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
    - দ্যাখো তোমার কাকিমা কি চায়

    পূর্ণ বাবুর ছেলে উনাদের  নিজের অফিসে নিয়ে গিয়ে বসালেন। মঙকু দেবী বুঝিয়ে বললেন যে এই মুক্তো দিয়ে ইউনিক ডিজাইনের কানের দুল বানাতে চান। কেমন বানাবেন তার স্কেচ করে এনেছেন – শুধু ভালো কারিগর দিয়ে সেটা বানিয়ে দিলেই হল। বলাই বাহুল্য খুব সুন্দর ডিজাইন – সব কথা বার্তা হল।  এবার পূর্ণ বাবুর ছেলে বেশ ইতস্তত করে কিছু একটা বলতে চাইছিলেন

    - কাকিমা, যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলতে চাই
    - আরে মনে করব কেন? তোমাদের সাথে আমাদের কি সেই সম্পর্ক নাকি?
    - মানে বলছিলাম কি আপনি তো খুব সুন্দর এঁকে এনেছেন। তো কানের দুলটা তৈরী হলে আপনি কি আমাদের একটা ছবি তুলতে দেবেন দুলটা পরে?
    - আমার ছবি তুলে কি করবে
    - আসলে – আমার একটা নতুন আইডিয়া এসেছে। বেশী করে বিজ্ঞাপন না দিলে বিজনেস বাড়বে না। তাই ভাবছিলাম আপনাকে দিয়েই সেই যাত্রাটা শুরু করি

    মঙকু দেবী সরাসরি আর কিছু বললেন না – শুধু ভেবে দেখি বলে দোকান থেকে বেরিয়ে এলেন। রাস্তায় মানিক বাবু বললেন –

    - একটা যদি ছবি তোলোই মঙকু কানের দুল পরে! তাতে কি আর ক্ষতি হবে? উনাদের সাথে আমাদের এত চেনাশুনা 
    - না, এই সব মডেলিং আমার ভালো লাগে না
    - ঠিক আছে, তুমি না করতে চাও। আমি পূর্ণ বাবুর ছেলেকে একটু হেল্প করতে চাই। বাঙালি ব্যবসায় মন দিয়েছে দেখলেও ভালো লাগে! তাহলে কি আমি রীণা বা রিংকু-কে বলে দেখব যে এই মুক্তোর দুলটা পরে ওরা মডেলিং করতে রাজী কিনা!
    - একদম না! গিফটের মুক্তো দিয়ে একদম আমি এই সব চাই না।

    আর কথা বাড়ালেন না মানিক বাবু। চিদানন্দ বাবুর সাথে পত্রাঘাতে লিপ্ত হওয়াই যায় – কিন্তু বউয়ের সাথে তর্ক! বাপরে!

    এর পর বেশ কিছু বছর কেটে গেছে – কান ফিল্ম ফেষ্টিভ্যাল থেকে ডাক এল যাবার। এবারে আর বাবুর পরীক্ষা নেই – তাই মঙকু সঙ্গী হলেন মানিকের।  সেবারে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল হোটেল মার্টিনেজ এ। কে নেই সেখানে? ইনগ্রীড বার্গম্যান থেকে শুরু করে ফেলেনি, কুরোসাওয়া তো আছেন ই, আরো আছেন অড্রে হেপবার্ণ, হিচকক সবাই। খুব জমিয়ে আড্ডা হল কয়েকদিন।  একদিন বার্গম্যান বললেন, “আমার খুব ইন্ডিয়ান খাবার খেতে ইচ্ছে হচ্ছে আজকে”।  পাশ থেকে হেপবার্ণ আদো আদো স্বরে বললেন, “আমারও – তবে যে কোন ইন্ডিয়ান ডিস নয়। বৌদি, টিপিক্যাল আপনার ক্যুজিনের ডিস্‌”

    বেশ সমস্যা! তখনো ক্যান শহরে ভারতীয় রেষ্টুরান্ট ছিলই না। বহুদূরে একটা থাকলেও সেখানে কি আর বাঙালী ডিস পাওয়া যাবে! ব্যাপারটা “কোলকাতায় এসো, তখন খাওয়াবো” বলে কাটিয়ে দেওয়াই যেত। কিন্তু বিজয়া দেবীর মনে বাঙালী মাতৃসুলভ স্নেহ জেগে উঠল।  বলে উঠলেন, “ঠিক আছে, তাহলে কালকে ডিনারের প্ল্যান করা যাক। আমি খবর নিয়ে দেখি যে তেমন কোন রেষ্টুরান্ট এখানে আছে কিনা”।

    হোটেলের রুমে ঢুকেই বিজয়া দেবী মানিক বাবুকে বললেন -  

    - তাহলে কালকে কি রাঁধা যায় বলতো?
    - মানে, রাঁধা মানে?
    - মানে আবার কি, ইনু আর হেপু খেতে চাইল এত আবদার করে। আর আমি হোটেলের ম্যানেজারকে বলে কিচেনটা একটু অ্যাকসেস করতে পারবো না!
    - তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি মঙকু?
    - আমি ওসব জানি না, কি রাঁধব বলতো? গোলবাড়ির কষা মাংস?
    - ওই তেল দেওয়া খাবার তোমার ইনু আর হেপু খাবে?
    - তাহলে কি করা যায়?
    - দেখো এরা তেল মশলা দেওয়া খাবার খেতে পারবে না। তাছাড়া ডায়েটিং করে। আমার মনে হয় টিপিক্যাল বাঙালী খাবার হিসাবে তুমি শুক্তো বানিয়ে ফেলো ঝোল ঝোল করে। এরা স্যুপ বলে খেয়ে নেবে!
    - তা ভালো বলেছো – কিন্তু বড়ি আর সজনে ডাঁটা ছাড়া শুক্তো হয় নাকি?
    - আরে এরা তো আর কোন দিন খায় নি! যা দেবে তাই অথেন্টিক মনে করবে।

    মানিক বাবু দেখলেন ভবি ভোলবার নয়, মঙকু রেঁধেই ছাড়বেন। বেশ ইতস্তত করে হোটেল ম্যানেজারকে ডেকে পাঠিয়ে ব্যাপারটা খুলে বললেন। ম্যানেজার বলল –

    - আমাদের হোটেলে ব্যাকরুম স্টাফ একজন তো আছে ভারতীয়, মকবুল। ওকে ডেকে পাঠাচ্ছি।  ভারতীয় ইনগ্রেডিয়েন্টস কোথায় পাওয়া যাবে সেই বলতে পারবে।

    রুমে তলব পেয়ে এসে হাজির হল মকবুল। স্বাভাবিক ভাবেই মকবুল- সত্যজিৎ রায়কে চিনত না। সে ঘরে ঢুকলে মানিকবাবু বিজয়া দেবীকে বললেন, “দ্যাখো তুমি হিন্দী বা ইংরাজীতে মকবুলকে শুক্তো বোঝাতে পারো নাকি”। এদের মুখে বাংলা শুনেই মকবুলের মুখে হাজার ওয়াটের হাসি –

    - বৌদি, আপনে বাঙালী? আমি চট্টগ্রাম – মন্টু বলবেন আমায়
    - মন্টু তুমি বাঙালী?

    মঙকু যেন ধরে প্রাণ ফিরে পেলেন। মন্টুকে শুক্তো রাঁধার প্ল্যান জানালেন –

    - ও আপনে চিন্তা করবেন না বৌদি। আমি সব যোগাড় করে দিব
    - কিন্তু বড়ি আনতে পারবে? সজনে ডাঁটা
    - বৌদি সজনে ডাঁটা তো এখানে পাওয়া যাবে না, তবে আপনাকে আমি বড়ি এনে দিতে পারব। মাস তিনেক আগেই আমি দেশ থেকে ঘুরে এলাম। বৌ এনেছে সাথে করে বড়ি

    চট্টগ্রামের সেই বড়ি দিয়ে রাঁধলেন শুক্তো বিজয়া দেবী। রাতের বেলা সেই খাবার খেয়ে কুরোসাওয়া থেকে ফেলিনি – সব ধন্য ধন্য করতে লাগলো। ইনু আর হেপু তো সেই স্টু এর রেসিপি নেবার জন্য বারবার বলতে লাগলো বিজয়া দেবীকে।

    খেতে খেতে হেপবার্ণ এর চোখ বার বার চলে যাচ্ছিল মঙকু কানের দুলের দিকে।  সেদিন স্পেশাল ডিনার ছিল বলে বিজয়া দেবী সেই মুক্তোর দুলটি পরে এসেছিলেন।  হেপবার্ণ বার বার বলতে লাগলেন, “কি সুন্দর দুলটা মঙকু-দি। ইস এমন ডিজাইনের যদি আমার একটা থাকত”।  

    ডিনার করতে অনেক রাত হয়ে গেল। সবাই একে অপর-কে গুডনাইট করে নিজের নিজের রুমের দিকে এগিয়ে গেল। লিফটে শুধু মানিক আর মঙকু। হঠাৎ মানিক বাবুর চোখ গেল মঙকুর কানের দিকে

    - আরে তোমার কানটা খালি কেন মঙকু? দুলটা কি কোথাও খুলে গেল নাকি?
    - বাব্বা! এত নজর আজকে!
    - সিরিয়াসলি বলছি, হারালে নাকি দুলটা
    - না, হারাই নি। হেপবার্ণ-কে দিয়ে দিয়েছি
    - মানে?
    - সেই প্রথম থেকেই কি দারুণ, কি দারুণ বলছিল। শেষে টয়লেটে একসাথে গিয়ে আবার ওর মুখ থেকে শুনে দিয়েই দিলাম ওকে!
    - তুমি দুল একেবারে দিয়ে দিলে? আর সেবারে দুল পরে রীণা বা রিংকু ছবি তুলবে প্রস্তাব দেওয়াতে নাকচ করে দিয়েছিলে!
    - সেই প্রস্তাব তো রীণা বা রিংকু নিজেরা দেয় নি! দিয়েছিলে তুমি!

    আর কথা বাড়ালেন না সত্যজিৎ রায়।

    ফাষ্ট ফরোয়ার্ড বেশ বেশ কয়েক বছর। ১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায়কে অস্কার দেবার জন্য সেই ডাক হল অড্রে হেপবার্ণ-কেই! এ ঘটনা আপনারা সবাই জানেন – ছবিও দেখেছেন।

    কিন্তু হেপবার্ণের কানের দুলটা লক্ষ্য করেছেন কি?

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৭৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৩৮503995
  • উরিত্তারা! সুকান্তবাবু যখন এতটাই করলেন সেই ছবিটা? অড্রে হেপবার্নের কানের দুল সহ? আপনি চাইলে কীনা হয়।
  • kk | 2600:6c40:7b00:1231:7187:97b8:1ef1:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৩৯503996
  • হা হা হা, চমৎকার !!
  • dc | 171.49.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪১504001
  • এই যে, হেপুর সেই মুক্তো বসানো কানের দুল 
     
  • Sharmistha Sen | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:০৮504021
  • অনেক তথ্য আর গল্প বলার ঢং-- দুটোই চমৎকার! শুভেচ্ছা।.. 
  • Ranjan Roy | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:০৩504031
  • বাঃ ডিসি, 
    থেংক্যু। এই ছবিটা বাঁধিয়ে দেয়ালে টাঙানোর মতন।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:২৫504034
  • শেষে পিসি চন্দ্রের দুল, হেপবার্ণের কানে এতো বিশাল ব্যাপার।
     
  • হিজি-বিজ -বিজ  | 149.142.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:০৯504038
  • অসাধারণ। প্রেমের মিত্তিরের পর এমন লেখা পড়েছি বলে মনে পড়েনা। পরের সংখ্যার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
  • হিজি-বিজ -বিজ | 149.142.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:১০504039
  • প্রেমেন মিত্তির *
  • অনিন্দিতা | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১৭504057
  • ইনু যদি তবে অডু  নয় কেন? অথবা হেপু যদি তবে বেগু নয় কেন? 
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 122.177.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪৮504080
  • সুকান্তবাবু 
    ঐ অস্কার প্রদান সমারোহে অড্রে-দিদির কানের দুলটি কিন্তু অন্য ছিলো।
    ভিডিও দেখুন ~
     
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 122.177.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০১504082
  • সুকান্তবাবু 
    আপনার পত্র শৃঙ্খলায় মন্তব্য-তে অবশ্য যে ছবিটি সংলগ্ন হয়েছে সেটি ডিসি মহাশয়ের আপনার নয়।
    হয়তো অস্কার ভিডিও-তে যেটি দেখা যাচ্ছে সেইটিই বিজয়া রায়ের ডিজাইন।
    সন্দেহ নিরসন করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
  • kaktarua | 192.82.***.*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:২০504100
  • লোকজন এই gappo সত্যি বিশ্বাস করছে!! 
  • হিজি-বিজ-বিজ   | 2603:8000:b101:f400:e05c:c32f:e902:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৩504102
  • এখানেই সুকির মুনশিয়ানা। আর অনেকেই  বোধ হয় ঘনাদা  পড়েন নি ছোটবেলায়। 
  • dc | 122.174.***.*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৪504103
  • সত্যেন্দুবাবু, খেয়াল করে দেখুন আপনার ভিডিওতে হেপু যে কানের দুলটা পরেছেন সেটা আমার ছবির দুলটার এক্সটেনশান। আসলে হেপু বলে কথা, কিছুদিন দুলটা পরার পরই ওনার মনে হয় এটা বড্ডো ছোট। তখন উনি কুরোসাওয়ার কাছে যান আর পুরোটা খুলে বলেন, তখন কুরোসাওয়া ওনাকে আরেক জোড়া মুক্তো দেন। সেগুলো নিয়ে হেপু যান জুরিখে, সেখানে পূর্ণ বাবুর ছেলে সদ্য নতুন দোকান দিয়েছে। তা সেই ছেলে করিতকর্মা ছিল বলতে হবে, হেপুর জন্য একটার সাথে আরেকটা জুড়ে দুল বানিয়ে দেন, আর সেই দুল পরেই হেপু অস্কার পুরষ্কার দেন। ভিডোর শেষদিকটায় দেখুন, সতুবাবুর আবছা একটা হাসির ঝলক দেখতে পাবেন। ঐ দুলটা উনি চিনতে পেরেছিলেন। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১০504105
  • 'হেপু রে হেপু রে হেপু রে হে এ এ এ পু'। বলে একটা গানও তৈরী হয়েছিল। ঃ-)
  • dc | 122.164.***.*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:১৭504116
  • নানা, গানটা ছিল 'হায় হেপু হায় হেপু হায় হায়, হায় হেপু হায় হেপু হায় হায়'।  
  • সত্যেন্দু সান্যাল | 27.58.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৩৬504217
  • ডিসি বাবু 
    সত্যজিতের অন্তিম হাসি-র প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা পড়ে উতফুল্ল হ'লাম। 
    যাকে বলে একেবারে মোক্ষম শেষ কথা !!!
    সুকান্ত বাবুর লেখনী স্বর্নমণ্ডিত হউক।
    দ্বিতীয় পেশকশটি ও অনবদ্য হয়েছে।
    এই উতকেন্দ্রিক কল্পনা দিক-বিদিক দৌড়োক আর আমরা গৌড়জন আনন্দে সুধাপান করি।
  • manimoy sengupta | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১৬504277
  • মিসেস সেনকে নিয়ে দুয়েক গাছা লিখুননা ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন