এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • জনসংযোগ এবং সাংবাদিকতায় বিশ্বাস ও নৈতিকতা

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত
  • সংবাদবার্তা পরিবহনের সে প্রায় পুরানো প্রস্তরযুগের ঘটনা – ১৮৬৫ সালের কথা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন থিয়েটার দেখতে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটনের এক জায়গায়। সেই থিয়েটার চলাকালীন এক আততায়ী তাঁর মাথাতে গুলি চালায়।  পরের দিন মারা যান লিঙ্কন।  এবার তা হলে সেই খবর সারা পৃথিবীতে পরিবেশিত হবে কিভাবে? তখনো টেলিফোনের চলও হয় নি।  আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের মূল ভূখন্ডে খবর পাঠাতে হলে সেই জাহাজ যাত্রাই একমাত্র অবলম্বন।  এদিকে কিছুক্ষণ আগে লিভারপুলের উদ্দেশ্যে এক স্টিম ইঞ্জিন এর জাহাজ রওয়ানা দিয়েছে।  পরের জাহাজ ছাড়তে প্রায় আট ঘন্টা দেরী। তখন সংবাদ পরিবেশন সংস্থা রয়টার্স করল কি, তা একটা ছোট জোরে চলে এমন একটা নৌকা করে খবরটা পাঠালো যে নৌকা সেই লিভারপুলগামী জাহাজটি খানিকটা গিয়ে ধরে ফেলল। এই ভাবেই তখনকার দিনে রয়টার্স তার প্রতিযোগী সংবাদ সংস্থাগুলির থেকে প্রায় আট ঘন্টা আগে আব্রাহাম লিঙ্কনের হত্যার খবর ইউরোপে পৌঁছে দিয়েছিল।  

    আর আজ? কিছুদিন আগে যখন সেই আমেরিকাতেই একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের উপর গুলি চলল – সেই খবর কয়েক মিনিটের মধ্যে সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি লোকের কাছে ছড়িয়ে পরে আজকের যুগের ইন্টারনেটের মাধ্যমে।  তো এই খবর তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে যাবার সাথে খবরের সত্যতার কোন সম্পর্ক আছে? এ এক জটিল প্রশ্ন।  একদম সাদামাটা দিক থেকে দেখতে গেলে, খবর এখন এত বেশী পরিমাণে লব্ধ যে – সেই খবর-কে কন্ট্রোল করা খুব চাপের, মানে প্রায় অসম্ভব।  যদি ধরুন আগে প্রধান কিছু সংবাদবিতরণ সংস্থা ভাবত আমরা পাবলিক-কে এই খবর খাওয়াবো, তাহলে তার পরিবর্ত তেমন কিছু ছিল না। পাবলিক-কে সেই খবরই পড়তে হত।  কিন্তু এখন এত দ্রুত সংবাদ ছড়িয়ে পরে যে কোন এক ব্যক্তি বা সংস্থা তার সবটা কন্ট্রোল করবে সেটা হয় না।  তাহলে তো মনে হতেই পারে – এতো ভালো জিনিস, এতে অসুবিধা কোথায়।  সবাই খুল্লাম-খুল্লা পড়তে এবং জানাতে পারছে মতামত – দারুণ ব্যাবার তো!

    আর সেইখানেই জিনিস জটিল হয়ে যায়।  ‘সত্য’ জিনিসটা যতটা জটিল, তার থেকেই বেশী জটিল হল, সেই সত্য পরিবেশন।  যাকে শোনাতে চাইছেন, সে কি আদৌ জানতে চাইছে! আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, না জানতে চাইবার কি আছে? অবশ্যই জানতে চাই! কিন্তু হয়ত জানলে অবাক হবেন, এই নিয়েও অনেক গবেষণা হয়েছে।  তো তাতে দেখা গ্যাছে, ব্যাপার অত সোজা নয়! আম-জনতা অধিকাংশ সময়েই ‘জানতে চায় না’।  অবাক লাগছে শুনে যে এ কি অসৈরন কথা?  

    তো মাঝে মাঝেই দেখি পাবলিক বাচ্ছা ছেলেদের মতন অবাক বিষ্ময়ে চোখ বড় বড় করে বলছে, ‘মিডিয়া এমনটা লিখতে পারল’, বা মিডিয়া কিভাবে মিথ্যে, অর্ধসত্য, ঢপবাজি এই সব চালিয়ে যাচ্ছে।  কেউ কেউ বলছে মিডিয়া থেকে সাবধানে থেকো, কারণ ওরা তোমাকে ম্যানুপুলেট করবে।  ওদিকে আমরা প্রায়শঃই বলাবলি করি, ‘মিডিয়াতে যা পড়বে, সব যেন আবার সত্যি বলে ভেবে নিও না’! 

    তাহলে কেসটা কি দাঁড়ালো? আমরা যখন কাগজ খুলি পড়ার জন্য, আমাদের মধ্যে একটা প্রত্যাশা থাকেই যে সাংবাদিক সত্যি জিনিস লিখছে।  আবার তারা কিছু লিখলেও আমরা বলছি, ওরে বাবা, এদের পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় নাকি! এমনটা হয় কেন? এর উত্তর জানা সোজা নয় – মনে হয় না কেউ এর সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে পেরেছে বলে। কারণ একটা তো নয় – কারণ অনেক।  তবে আমজনতা এবং মিডিয়া-র এই খিচুড়ি সম্পর্কের জন্য একটা প্রধান একটা কারণ হল – “জনতা জানতে চায়” – এই লাখ টাকার প্রশ্ন।  জনতা কি সত্যি সত্যিই জানতে চায়? আর জানতে চাইলেও ‘সত্য’-ই জানতে চায় কি? ‘সত্য’ কি সে আবার এক জটিল জটিল জিনিস।  প্রথমে একটু দেখা যাক তলিয়ে, জনতা সত্যি জানতে চায় কিনা?
    আমরা দাবী করতেই থাকি যে আমরা, এই আমজনতা জানতে চাই।  কিন্তু ঘটনা হল – আমরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই জানতে চাই না।  কারণ আমরা বেশীর ভাগই নিজেদের তৈরী বুদবুদের মধ্যে বসবাস করতে ভালোবাসি।  সেই বুদবুদের মধ্যে থেকে আমরা গড়ে নিই নিজেদের ভালো থাকার প্রকরণ, বেছে নিই এমন এমন বিশ্বাস যা আমাদের ভালো ভাবে থাকতে সাহায্য করবে।  আমাদের এই যে আপাত সুখী জীবন, তার মূলে অনেক ক্ষেত্রেই থাকে আমাদের অজ্ঞতা, আমাদের না জানার ইচ্ছে। বেশী জানলেই, অনেক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা সেই ভঙ্গুর বুদবুদ গুলি ফেটে যাবার সম্ভাবনা।  তাই আমরা কায়দা করে এড়িয়ে যাই আরো গভীরে জানা।  অবশ্য এই জানার ব্যাপারটা আপেক্ষিক – এবং পাল্টায় মানুষ থেকে মানুষে।  কেউ একটু বেশী জানার চেষ্টা করে নিজের কমফর্ট জোন থেকে বেরিয়ে।  কিন্তু সেই জানার পরিসর বাড়াবার ব্যাপারটাও প্রচন্ড ক্যালকুলেটেড - আমাদের সুখী জীবন, আমাদের আপাত খুশীতে বিঘ্ন না ঘটা।  

    আগেকার দিনে, এমনকি এই এখনো আমরা অনেকেই ধরে নিই যে সাংবাদিক-দের এক সামাজিক কর্তব্য হচ্ছে ‘সত্যি’ পরিবেশন করা।  ইন্টারনেটের প্রসার সেই ধারণাকে ধরে টান দিয়ে দিয়েছে – তৈরী করেছে এক জটিল পরিস্থিতি।  আমরা সংবাদপত্রে পরিবেশিত খবর-কে বিশ্বাস করতে চাই – আবার ওদিকে জানি যে বেশী বেশী লাইক, ফলো, ফুটেজ, স্ক্রীণ – টাইম, টি আর পি-র চক্করে কিভাবে সব কিছু ঘেঁটে দিয়েছে।  এত বেশী খবর চারিদিকে যে কি সত্যি আর কি মিথ্যে তার বিচার করা হয়ে যাচ্ছে প্রায় অসম্ভব।  নিরপেক্ষ জিনিসটাই লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ – কারণ সমস্ত জিনিসটাই হয়ে যাচ্ছে অ্যাজেন্ডা ধর্মী – আমরা হয়ে যাচ্ছি পক্ষপাতদুষ্ট।  পক্ষপাত শুধু পরিবেশিত সংবাদের ক্ষেত্রেই নয় – পক্ষপাত আমি কি পড়তে চাইছি সেই নিয়েও।

    এই সবের মাঝে কিছু সাংবাদিক যাঁরা এখনো সত্য খবর পরিবেশনে বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা পড়েন দোটানায়।  সাংবাদিক-দেরও অসামজ্ঞস্যপূর্ণ জিনিস সেখানো হয়। তাঁদের সেখানো হয় যে, “বক্তব্য সোজাসুজি লিখবে, জিনিস ঘোলা না করে” বা “দুই-দিকের কথাই ভেবে লিখবে” বা “নিজের ন্যারেটিভ ঢোকাবে না”। খুব ভালো শিক্ষা এগুলো, কিন্তু সাংবাদিকদের একই সাথে সেখানো হয় যে, “পাঠকদের এনগেজ করতে হবে”, “লেখা যে ‘মানুষ’ সত্ত্বাকে স্পর্শ করে” – ইত্যাদি।  এবার এই ফ্যাক্টরগুলি যদি বিবেচনায় রাখতে হয়, তাহলে হয় কি পরিবেশিত খবর বাঁকা ভাবে পরিবেশিত হতে থাকে।  কিছু লেখার আগেই নিজের ভিউ পয়েন্ট ঠিক করা হয় যায় – এমন সেই ভিউ পয়েন্ট-কে সাপোর্ট করে এমন তথ্যই লেখায় চলে আসতে থাকে, নিজের মতামত পরিবেশিত হয় পরীক্ষিত সত্য বলে।  “পাঠকদের এনগেজ করতে হবে” – এ এক বড় ফাঁদ, গ্রাস করতে থাকে আমাদের চারপাশের প্রকৃত পৃথিবী এবং সত্য।  

    এত কথা লিখলাম কেন? সাংবাদিকতা নিয়ে আগ্রহ থাকার জন্য এই নিয়ে একটা আধটু পড়াশুনা করি।  সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বা বিদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাতে মিডিয়ার ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করে একটা পুরানো বইয়ের কথা মনে পড়ে গেল।  সেই আসলে একটি প্রবন্ধ সংকলন, সাংবাদিকতা এবং পাবলিক রিলেশন জগতের কিছু বিখ্যাত লোকজন প্রবন্ধগুলি লিখেছেন। বইটির নাম “Where the Truth Lies: Trust and Morality in PR and Journalism” জবরদস্ত বই। এই বিষয়ে কারো আগ্রহ থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাঠক | 165.225.***.*** | ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:২৭735281
  • এই সত্যিটা যে আর অজানা থাকছে তা নয়, বিজ্ঞান, টেকনোলজি - সব ধরণের মিডিয়াই এই ব্যাপারগুলো ধরিয়ে দিতে চাইছে। 
    সেই পরিস্থিতিতে এই আলোচনাটা টই করে বইয়ের প্রেক্ষিতে উপস্থাপিত করার জন্যে ধন্যবাদ। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন