মেঘনাদ সাহা যখন গণিতে অনার্স নিয়ে কলকাতায় প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হলেন, তখন প্রথম দুই বছর তাঁর ঠাঁই ছিল ইডেন ছাত্রাবাস। তবে এখানে থাকা মেঘনাদ সাহার পক্ষে মোটেও সুখকর হয় নি। জাতপাতের ধুয়ো তুলে ইডেন ছাত্রাবাসের উচ্চবর্ণের হিন্দু ছেলে পুলেরা নমঃশুদ্র মেঘনাদ সাহার সাথে এক আসনে বসে খেতে অস্বীকার করে। মেঘনাদ নিজে কাজ নিয়ে খুবই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন – পদে পদে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন সেই সময়, কিন্তু নিজের কাজ থেকে মন সরান নি। একার পক্ষে সব কিছুর প্রতিবাদ করা তাঁর পক্ষে সেই সময় সম্ভব ছিল না, তাই কাজের মধ্যে দিয়েই সব অবমাননার জবার দেবেন তিনি ঠিক করেছিলেন।
তবে প্রেসিডেন্সি কলেজে সহপাঠিও পেয়েছিলেন সব জম্পেশ। সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, নিখিলরঞ্জন সেন প্রমূখ তার সহপাঠী ছিলেন। ওদিকে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ এক বছরের এবং রসায়নবিদ নীলরতন ধর দুই বছরের সিনিয়র। এদের মধ্যে জ্ঞান ঘোষ একদিন প্রতিবাদ করলেন সেই অবিচারের যে, মেঘু আমাদের সাথে ইডেন হোষ্টেলে বসে খাবে না কেন? কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ জ্ঞান ঘোষ যখন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করে কিছু পাল্টাতে পারলেন না হোষ্টেলে, তখন তাঁর নেতৃত্বে কিছু ছাত্র ইডেন হোষ্টেল ছেড়ে দিয়ে একটা মেস-বাড়ি বানালেন কলেজ স্ট্রীটের একপাশে।
সেই মেস বাড়িতেই আলাপ হয়ে যায় মেঘনাদ সাহার সাথে বাঘা যতীন, পুলীন দাশ সহ আরো অনেক বিপ্লবীর। ঢাকায় থাকা কালীন ইংরাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে এর আগে স্কলারশিপ হারিয়েছেন মেঘনাদ সাহা। বাঘা যতীন এমনি খুব ঠান্ডা মাথার লোক ছিলেন – তিনি মেঘনাদ সাহার লেভেল বুঝতে পেরেছিলেন কিছুদিন কথা বলেই। টের পেয়েছিলেন এ ছেলে অনেক দূর যাবে। তাই তিনি পরামর্শ দিলেন, “দ্যাখো মেঘু, আমরা এই দিকটা সামলাচ্ছি বোমা টোমা বানিয়ে। কিন্তু দেশের উন্নতি করতে হলে শুধু ইংরাজদের তাড়ালেই তো হবে না! দেশের হাল ধরার লোকও তো চাই। তোমরা হবে সেই নতুন যুগের কান্ডারী – মন দিয়ে পড়াশুনা করো। আমাদের কাজ আমাদের করতে দাও”। মেঘনাদ সাহা আর কি বলেন! মন না চাইলেও মেনে নিলেন বাঘা যতীনের কথা – মনে মনে বড়ই শ্রদ্ধা করতেন যাঁকে।
বাঘা যতীনের সাথে মেঘনাদ সাহার বেশ জমে গিয়েছিল। বয়সের দিক থেকে বাঘা যতীন প্রায় চোদ্দ বছরের বড় ছিলেন মেঘনাদ সাহার সাথে। এটা তো আমরা সবাই জানি যে বাঘা যতীন খুব রসিক লোক ছিলেন। মেঘনাদ তাঁকে একদিন জিজ্ঞেস করলেন,
- আচ্ছা বাঘা-দা তোমার এত ঠান্ডা মাথা, তো তুমি কি বলে শুধু ছুরি নিয়ে বাঘের সাথে মারামারি করতে গেলে এটা আমার ভাবনায় আসে না!
- ওরে পাগলা, আমারই কি ভাবনায় এসেছিল রে!
- তার মানে?
- সবাইকে তো আর বলা যায় না, তুই জিজ্ঞেস করলি বলেই বলছি। সেদিন গিয়েছিলাম জঙ্গলে আম পাড়তে। বেশ জমিয়ে আম হয়েছে, দারুণ মিঠা আম। ছোট্ট একটা ছুরি নিয়েছিলাম শুধু সাথে। ভেবেছিলাম গাছের ডালে বসে বসে আম ছাড়িয়ে খাব পড়ন্ত বিকেলে। কিন্তু দুটো জিনিস খেয়াল করা হয় নি – আমারই ভুল ছিল সেটা
- কি ভুল, কি ভুল দাদা?
- সেই আম গাছটার পাশেই ছিল ফলসা গাছ
- তা ফলসা গাছ থাকলে সমস্যাটা কোথায়?
- তুই জানিস ফলসা কি ফল?
- কেন জানব না? ও তো বেশ টুবো টুবো টক মিষ্টি টাইপের
- সেটা তো স্বাদের দিক থেকে। ফলসার আরো একটা উপকারীতা আছে – ওই ফলের যে রস বেরোয় তাতে নাকি চুলকানি ভালো হয়ে যায়
- কিন্তু কানেকশনটা তো বুঝতে পারছি না!
- ব্যাপার হল ফলসার এর চমড়ার রোগ ভালো করার ব্যাপারটা শুধু আমাদেরই জানা ছিল তাই নয়। বাঘ সহ কিছু জন্তুও এটা আবিষ্কার করে ফেলেছিল। গাছ থেকে পাকা যে ফলসা গুলো মাটিতে পড়ে বিছিয়ে থাকে তার উপরে এসে তেনারা গড়াগড়ি খান! এবার বাঘ এলে আর আসেপাশে অন্য কে আসবে!
মেঘনাদ সাহা চমৎকৃত বাঘাদার কথা শুনে। এই ফলসার রঙ এবং বাঘের গড়াগড়ি খাওয়া তাঁর পরবর্তী গবেষণা জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে। রঙ এবং তাদের স্পেকট্রাম নিয়ে তাঁর ভলোবাসার শুরু সেই বাঘাদার গল্পের হাত ধরেই বলতে গেলে। এর অনেক পরে নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুৎ রশ্মি নিয়ে যে যুগান্তকারী গবেষণা করবেন – কি স্পেকট্রা থেকে কি রঙ জুড়ে আছে সেই সব তিনি ডিকোড করবেন ধীরে ধীরে। এই নিয়ে পরে লিখছি, তবে এটা বলে নিই, সেদিন ফলসার রঙ, ওই যে বেগুনী, বাদামী, হালকা নীল – এই সব মিশে থাকা – এটা তাঁকে এর আকৃষ্ট করেছিল যে রশ্মির মুগ্ধতা থেকে আর বেরুতে পারেন নি।
শুধু চুলকানী সারাবার ব্যাপারই নয় – বাঘা যতীন মেঘনাদ সাহার সাথে সেই অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছিলেন যেখানে তাঁদের গ্রামের লোকেরা দেখেছিল যে তাদের বাড়ির সাদা ছাগল (যেগুলো বাঘের হাত থেকে বেঁচে ফিরত আর কি) গুলো ফলসা ফলে গড়াগড়ি খেয়ে বেশ রঙচঙে হয়ে উঠেছে। কুষ্টিয়া জেলাতেই কেবল অমন রঙের ছাগল দেখা যেত – সী-গ্রীণ এবং বাদামী মেশানো কেমন অদ্ভূত!
ও হ্যাঁ, এটা তো বলা হয় নি যে মেঘনাদ সাহা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১৩ সালে গণিতে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯১৫ সালে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রথম হন। আর প্রেসিডেন্সিতে রসায়নে প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং পদার্থবিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুকে পেয়েছিলেন শিক্ষক হিসেবে।
স্বভাবতঃই এমন রঙের রহস্য জানতে মেঘনাদ সাহা ছুটলেন প্রফুল্ল রায়ের কাছে। বাঘা যতীনের ক্লেম শুনে প্রফুল্ল রায় বললেন যে, “কুষ্টিয়া তো আমার অচেনা জায়গা নয়! কিন্তু ফলসা রঙের ছাগল তো আমি সেখানে কোনদিন দেখি নি! বাঘা তোমার সাথে ইয়ার্কি করে নি তো! ও বেশ রসিক ছেলে তুমি আশা করি সেটা জানো”!
প্রফুল্ল রায় ফলসা ফলের রঙের ছাগলের কিনারা করতে পারলেন না। কিন্তু এটা তো পরের কথা। সেদিনের কথায় আবার ফিরে আসা যাক। বাঘা যতীন দুটো সমস্যার মধ্যে একটা বললেন, দ্বিতীয় সমস্যা কি সেটা জানার জন্য মেধনাদ সাহা জিজ্ঞেস করলেন,
- বাঘা-দা, বাঘের প্রবলেম তো একটা বুঝলাম। দ্বিতীয় সমস্যাটা কি?
- আরে গাছে আম খেতে উঠে গেছি, এদিকে খেয়াল করি নি যে সেই ডালে বেশ কিছু পাখি বাসা করে আছে
- পাখির বাসা থাকলে সমস্যাটা কি?
- মনে হচ্ছে তুই কলকেত্তিয়া বনে গেছিস পুরোপুরি, ঢাকার গ্রাম ভুলে গিয়ে। পাখির বাসায় ডিম এবং বাচ্ছা খেতে কত সাপ আসে খেয়াল আছে?
- বল কি!
- তবে আর বলছি কি? গাছ থেকে আম পাড়তে গিয়ে দেখি একটা বিরাট গোখরো পাখির বাসার পাশে ফনা তুলেছে আমার সারা পেয়ে! ব্যাস আমার হয়ে গেছে! আমি মাঝে মাঝেই বলতাম বন্ধুদের যে বাঘের সাথে লড়াই-য়ে আমি আছি, কিন্তু সাপের সাথে নয়! হাতের ছুরি আমার হাতেই শক্ত হয়ে রয়ে গেল, প্রাণের ভয়ে দিলাম ঝাঁপ গাছ থেকে। ওদিকে লক্ষ্য করি নি যে পাশের ফলসা গাছের তলায় গড়াগড়ি কমপ্লিট করে একটা বাঘ সেই আম গাছের তলা দিয়ে ফিরছিল। আমার আআআআ শব্দ করে গাছ থেকে পড়া শুনে সে বেচারা অবাক চোখে উপরের দিকে মুখটা তুলেছে –
- তারপর?
- তারপর আর কি! ছোরাটা ছিল আমার স্টিফ হয়ে যাওয়া হাতের মুঠোয়। ব্যাস – একদম আমি গিয়ে পড়লাম বাঘের উপরে, আর ছোরাটা গিয়ে ঢুকলো উপরে তাকানো বাঘের ঠিক কপালের পাশে। ব্রহ্মতালু ছিল মনে হয় – ছোড়া ঢোকার পরে টুঁ শব্দ করল না সেই বাঘ!
- তাহলে যে লোকে বলে তুমি নাকি বাঘের সাথে প্রবল লড়াই করেছিলে
- লোকে তো কত কিছুই বলে আর করে! এ যেমন তোর সাথে একসাথে খেত না তোর সহপাঠিরা! লোকে লোকের মত বলবে, সেই নিয়ে মাথা ঘামালে হবে! সত্যিটা খুব বেশী লোক জানে না, বারীণ-কে বলেছিলাম মনে হয়। আর এই তুই জানলি দেশের ছেলে বলে
এমন ভাবেই সেই অসম বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হয় বাঘা যতীন আর মেঘনাদ সাহার সাথে। মেঘনাদ সাহারা যে মেস বাড়িতে থাকতেন তার নীচেই তখন সবে গঙ্গুরাম সিঙ্গারার দোকান দিয়েছে। সমোসা নাম দিয়ে দেদার বিকোচ্ছে। এমনিতেই বাঘা যতীন-কে প্রচুর খেতে হত ওই শরীর এবং শক্তি ধরে রাখতে গিয়ে। এবং তিনি খেতে ভালোবাসতেনও – সমোসা ক্রমশঃ প্রিয় হয়ে উঠছে। ইংরাজ দের বোম্বিং করার পরিকল্পনা না থাকলে গুটি গুটি পায়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজির হতেন বাঘা যতীন সেই সমোসা খাবার জন্য কলেজ স্ট্রীটে।
তেমনই একদিন সমোসা খেতে খেতে বাঘা যতীন মেঘনাদ সাহাকে বললেন একবার প্রফুল্ল স্যারের কাছে গিয়ে একটা ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে। মেঘনাদ সাহা জানতে চাইলেন কি ব্যাপারে – তখন ভাগা যতীন একটু খুলে বললেন। সেই যে ১৯০৬ সালে দেওঘরে একটা বোমা কারখানা প্রতিষ্ঠা করে তিনি আর বারীন ঘোষ ছিলেন কিছুদিন, তার পর তাঁরা ফিরে এলেন কলকাতায় দেওঘরের এক্সপিরিয়েন্স নিয়ে এবং মানিকতলায় একটা কারখানার প্রতিষ্ঠা করলেন। তো সেই কারখানায় বোমের ব্যাপার কিছু কেমিক্যাল নিয়ে প্রফুল্ল রায়ের পরামর্শ চাই। বোমায় এখনো প্রচুর ধোঁয়া হচ্ছে – বোমা মেরে ঠিক রাস্তা চিনে পালাতে প্রবলেম হচ্ছে। এই সেদিনও তো এক ছোকরা বোমা মেরে ধোঁয়ার চোটে ভুল করে অন্য গলিতে ঢুকে পরে – আর একটু হলেই ধরা পরে যাচ্ছিল।
সেই সব শুনে মেঘনাদ বললেন –
- কিন্তু বাঘাদা তুমি আমাকে বলছ কেন? তুমি তো স্যার-কে ভালোই চেন। উনি এই সব ব্যাপারে খুব হেল্পফুল, নিজে গিয়ে একবার জিজ্ঞেস করলেই তো পার
- যেতাম রে, কিন্তু স্যার আমার উপরে খুব রেগে আছেন
- কেন?
- তখন দেওঘরে সবে বোমার কারখানাটা খুলেছি। সারা দিন বারুদ ঘাঁটাঘাটি করে গা দিয়ে গন্ধ বেরুচ্ছে। বাইরে বেরুলে চট করে শুঁকে লোক বলে দেবে কি করছিলাম। তখন বারীন পরামর্শ দিল যে প্রফুল্ল স্যারের কাছে যেতে। আমি একদিন গিয়ে স্যার-কে বললাম যে এমন একটা কিছু মেশানোর ক্যেমিক্যাল সাজেষ্ট করুন যে বারুদ গন্ধ না থাকে। পুরো ব্যাপারটা শুনে স্যার বললেন দেখি কি করা যায় –
- তাহলে? রাগলেন কোথায়?
- দাঁড়া পুরোটা শোন আগে। আমি স্যার-কে আরো বললাম যে, বোমা ফাটার পর ধোঁয়ায় যদি কিছু ধূপকাঠির মত গন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হয়। চন্দনের গন্ধ হলে তো আরো ভালো। স্যার অবাক – বললেন, চন্দনের গন্ধ কি হবে? আমি বললাম, ব্যাটা ইংরেজরা স্বর্গে যাবার পথে আমাদের গঙ্গা প্রাপ্তির ফ্লেভারটা একটু নিয়ে যেতে পারে যদি! সেই কথা শুনে স্যার বিশাল রেগে গেলেন – “আমার সাথে ফাজলামো হচ্ছে? আর এই সব রিকোয়েষ্ট নিয়ে আমার কাছে একদম আসবে না”।
তা বাঘা যতীনের কথা ফেলতে না পেরে মেঘনাদ সাহা গিয়েছিলেন প্রফুল্ল রায়ের কাছে উন্নত বোমার ফর্মুলার সন্ধানে। ১৯১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সেই বিখ্যাত বুড়িবালামের তীরে যে যুদ্ধ হয়েছিল যেখানে প্রফুল্ল রায়ের ফর্মুলেশনের বোমাই ব্যবহার করা হয়েছিল।
মেঘনাদ সাহা জানতেন সেই বিস্ফোরকের স্পেশাল ফর্মুলা। অনেকেই জানেন না যে সেই ফর্মুলেশন না থাকলে অনেক পরের ‘দামোদর ভ্যালি প্রোজেক্ট” যেটার মাথা ছিলেন মেঘনাদ সাহা, সেই প্রোজেক্ট হয়ত সফল হত না। ভারত তখন এক নতুন জন্ম নেওয়া দেশ। পাথর ফাটিয়ে সেই পাথর দিয়ে নদীর বাঁধ বানানোর মত অত বিদেশী বিস্ফোরক আমাদের গরীব দেশের কেনার ক্ষমতা ছিল না। আর সেই খানেই ছিল মেঘনাদ সাহার কৃতিত্ব – তাঁর স্যারের বানানো স্পেশাল বোমার ফর্মুলা দিয়েই সফল হল দামোদর ভ্যালি প্রোজেক্ট।
সেই গল্প পরের পর্বে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।