এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২৭ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ মে ২০২৫ | ১৭১ বার পঠিত
  • ( ২৭ )

    বছর শেষ হয়ে ছিয়াত্তর সাল এসে গেল। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এখন। দুদিন ধরে ঠান্ডার কামড়টা কম মনে হচ্ছে। বিভূতিবাবু অনেকদিন নাটক দেখেননি। সিনেমাও দেখেননি বছর দুয়েক। সিনেমা থিয়েটার নিয়ে মেতে থাকার সেই দিনগুলো খুব মনে পড়ে আজকাল। নিতাইবাবুর শালা দীনবন্ধুকে নিয়ে কত থিয়েটার দেখতে গেছেন তিনি। মিনার্ভা থিয়েটারে অঙ্গার দেখেছিলেন। কিছু সিনেমাও দেখেছেন। খুব ভাল কাটত দিনগুলো। সেই দীনবন্ধু এখন কোথায় কে জানে। এখন আর কোন কিছু ভাল লাগে না। রেডিওয় খবরটা শোনেন, ব্যস। কোন কিছু নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না। জন্মেজয়বাবুর ছেলে অখিলরা এখান থেকে চলে গেছে গার্ডেন রিচের ওদিকে। ওখানে থাকলেই নাকি ওদের সুবিধে। কি সুবিধে পরিষ্কার করে কিছু বলল না। আর, ওসব জেনেই বা কি হবে, বিভূতিবাবু ভাবেন। কাউকে কি আর ধরে রাখা যায়। কেউ আসেনি এখনও ওদের জায়গায়। দোতলাটা তালাবন্ধ হয়ে পড়ে আছে। থমথমে সিঁড়ি খাঁ খাঁ করছে। আবার কবে কারা আসবে কে জানে। আর কি কোনদিন প্রাণ ফিরে আসবে এ বাড়িতে। একতলার ঘরে দুর্বার সুভাষরা মাঝে মাঝে হৈ হল্লা তর্কাতর্কি করে, মাঝে মাঝে শুনশান। ওরাই বা আর ক'দিন থাকবে কে জানে। যে কোনদিন যে যার আলাদা আস্তানা খুঁজে নেবে নিজস্ব সংসার পাতার জন্য। 

    গায়ে চাদর আর গলায় মামলার জড়িয়ে সন্ধেবেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গঙ্গার দোকানের দিকে যেতে লাগলেন বিভূতিবাবু। গঙ্গাপ্রসাদের দোকানে একটু বসবেন। তিন যুগ ধরে গঙ্গার দোকানে বসে চা খেতে খেতে গল্পগাছা করার অভ্যাস। আগে গঙ্গার বাবা ষষ্ঠীপদ দোকান চালাত। সে চলে গেল গলায় ক্যানসার হয়ে। অথচ কোনদিন কোন নেশা করেনি। আসলে ওসব নেশা টেশা কোন ব্যাপার না, কোন না কোন একটা গাড়িতে উঠে মানুষকে রওয়ানা দিতে হবে ভিন দেশের দিকে, কেউ আগে কেউ পরে, ভাবেন বিভূতিবাবু। চারপাশে পাড়া প্রতিবেশী, দোকানপাট, রাস্তাঘাটে বয়সের জল বাতাস লেগেছে কালের নিয়মে। সব কিছু কেমন বদলে বদলে যাচ্ছে। বিবাগী যাত্রীর মতো দিনগুলো একে একে কোথায় উধাও হয়ে যাচ্ছে। পুঁটলি ভরে বেঁধে রাখলেও পুঁটলি খুলে সাঁঝবেলার নরম উদাসী আলোর মতো নিঃসাড়ে পালিয়ে যায় হাওয়ার পাখায় চেপে। মিলিয়ে যায় কোন নিঃসীম দিগন্তে। আর কখনো ফিরে আসে না। যা যায় তা আর ফেরে না।
    এই গঙ্গারই কম বয়স হল। মাথার সিকিভাগ চুল সাদা হয়ে গেছে। একটানা তিরিশ বত্রিশ বছর ধরে দোকানদারি করে চলেছে। ওর বাবা দোকানটা করেছিল। ভারত তখন স্বাধীন হয়নি।

    গঙ্গা বলল, ' জ্যাঠামশাই, আসুন আসুন ... অনেকদিন পর এলেন। শরীর ঠিক আছে তো ? '
    ---- 'ওই... আছে একরকম। এই বয়সে কি আর কলকব্জা ঠিক থাকে ? এতদিন তো সার্ভিস দিল। ওই, চালিয়ে যাচ্ছি আর কি ... মেশিন জবাব দিলেই চলে যাব ... '
    ---- ' হাঃ হাঃ, দারুণ বললেন তো ... মেশিন জবাব দিলেই চলে যাব ... আমারও মেশিন মাঝেমাঝে গড়বড় করছে ... আগের মতো আর নেই।'
    ---- ' তুই থাম তো ... তুই আমার হাঁটুর বয়সী। ওসব ভাবার বয়েস তোর এখনও হয়নি। নে, চা বল ... গৌরকে একটু আদা দিতে বলিস চায়ে। ঠান্ডায় আদা চা টা ভালই লাগে ... '
    ---- ' ঠিক আছে ... ', বলে বাঁদিকে মুখ বাড়িয়ে গলা তুলে বলল, ' অ্যাই গৌর ... দুটো আদা চা ... কড়া করে ... '
    গঙ্গা বলল, ' এখন আর থিয়েটার দেখতে যান না জ্যাঠামশাই ? '
    ---- ' নারে ... সে মন আর নেই... কোন কিছুতেই তেমন জুত পাই না ... '
    ---- ' চলুন না, আপনি আর আমি একদিন যাই ... আমি কোনদিন থিয়েটার দেখিনি ... সিনেমা অবিশ্যি অনেক দেখেছি... '
    ---- ' তাই নাকি ? থিয়েটার কোনদিন দেখিসনি ? '
    ---- ' হ্যাঁ, ওই মানে ... '
    ---- ' চল, তা'লে চল একদিন রঙ্গনায় ... কবে যাবি বল। এই বৃহস্পতিবার কি আছে জেনে নিচ্ছি ... মঞ্জরী আমের মঞ্জরী আছে বোধহয় ... নাকি নাট্যকার সন্ধানে ছটি চরিত্র, দেখে নিচ্ছি দেখে নিচ্ছি ... '
    ---- ' ঠিক আছে দেখুন ... বলবেন ... '
    একসঙ্গে তিন চারজন খরিদ্দার এসে গেল। গঙ্গা তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
    বিভূতিবাবু হঠাৎ যেন আগেকার সেই দিনগুলোর সজীব উৎসাহ ফিরে গেলেন। গৌরের দোকানের আদা মেশানো চা এসে গেল। বিভূতিবাবু গ্লাসে একটা চুমুক দিলেন মৌজ করে ... '
    হাত ফাঁকা হতে গঙ্গা হঠাৎ বলল, ' স্টারের নাটক দেখলে হয় না জ্যাঠামশাই ? কোনদিন দেখিনি ...'
    বিভূতিবাবু আর একটা চুমুক দিলেন চায়ের গ্লাসে।
    ---- ' অ্যাঁ, কি বললি ... স্টারে ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... স্টারে কোনদিন ঢুকিনি ... '
    ---- ' ও আচ্ছা ... সম্রাট ও সুন্দরী চলছে। এক কাজ কর, তার চেয়ে বরং বিশ্বরূপায় চল। বেগম মেরী বিশ্বাস চলছে। দারুন হয়েছে শুনলাম। একবছরের ওপর চলছে। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে নেপেন বলল ...'
    ---- ' তাই চলুন তা'লে। ওসব রঙ্গনার নাটক টাটক দেখার আমার তেমন ইচ্ছে নেই ... ওসব কি আর আমরা বুঝি ? '
    ----' ' হুঁ হুঁ ... তা ঠিক। চা টা কিন্তু দারুন করেছে গৌর ...আ ... আঃ ...'
    গঙ্গা বলল, ' আচ্ছা সাগর মন্ডলের কোন খবর জানেন নাকি ? '
    ---- ' অ্যাঁ, কে ... সাগর ? না ... অনেকদিন কোন খবর পাইনি ... হাতিবাগানে নাকি দোকান দিয়েছে ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... সেটা জানি। আগের মতোই আছে কিনা সেটা ... এখন তো দিনকাল বদলে গেছে ... '
    ---- ' হুঁ, সেটা একটা কথা। তবে সাগর মনে হয় বদলায়নি ... ও আলাদা ধাতুতে তৈরি ... ওই ওখানে পটলের দোকানে গেলেই ওর খবর পাওয়া যাবে। দরকার না পড়লে কেই বা যায় খবর নিতে।
    আমরা সকলেই এক গোয়ালের গরু ... '
    ---- ' যা বলেছেন ... ', বোতলে ফানেল ঢুকিয়ে সর্ষের তেল ঢালতে ঢালতে বলল গঙ্গাপ্রসাদ।
    হঠাৎ বলল, ' ও হ্যাঁ, সুরেশ্বর মল্লিকের খুব শরীর খারাপ। লিভারে কি যেন হয়েছে। বাঁচে কিনা সন্দেহ। ওনার স্ত্রী এসেছিলেন কাল আটা কিনতে। ওনার কাছেই শুনলাম। শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। এতদিনের চেনা ... '
    বিভূতিবাবু আকাশ থেকে পড়লেন।
    ---- ' সে কি রে, কিছু জানি না তো ! আহা, বড় জমাটি লোক ছিল ... এ পাড়ার কত পুরনো লোক ওরা ... '
    ----' ছিল কেন বলছেন ? এখনও তো আছে ... '
    ---- ' হ্যাঁ, ওই আর কি ... মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেল। বয়স হয়েছে তো অঢেল, মনটা বড় কু ডাকে। আরও কত কি দেখতে হবে। আচ্ছা সাগরকে একবার খবর দিলে হয় না। সাগরই তো ওকে বেপথ থেকে ফিরিয়ে এনেছিল ... '
    ---- ' হ্যাঁ, সেটা ঠিক ... দেখুন ... '
    ---- ' আচ্ছা গঙ্গা, উঠি এখন ... যাই ওদিকে একটু ... কি যে সব হচ্ছে ... '

    বিভূতিবাবু হাঁটতে হাঁটতে সুরেশ্বরবাবুর বাড়ির দিকে যেতে লাগলেন।
    আশ্চর্যের ব্যাপার সুরেশ্বরের বাড়ির সামনে পৌঁছে উনি দেখলেন সাগর দাঁড়িয়ে দু তিনটে লোকের সঙ্গে কথা বলছে। বিভূতিবাবুকে আসতে দেখে সাগর ওনার দিকে তাকিয়ে রইল।
    বিভূতিবাবু কাছে এসে পড়লেন।
    সাগর বলল, ' দাদা, আপনি কার কাছে শুনলেন ? '
    বিভূতিবাবু বিব্রত ভঙ্গীতে বললেন, ' এই একটু আগে গঙ্গার দোকানে গিয়েছিলাম। ওখানেই ... গঙ্গাই বলল। ভাবছিলাম তোমাকে খবর দেব, তা তুমি তো দেখছি এখানে। সে যাক, মল্লিক এখন আছে কেমন ... কি ব্যবস্থা করবে ভাবছ ? '
    ---- ' এখান থেকে নিমতলা ঘাটেই সুবিধে হবে। বৈতরণী সমিতির গাড়ি খবর দেওয়া হয়েছে। আত্মীয় স্বজন যারা আসবার এসে পড়লেই ... বেশি দেরি করলে ওদিকে অনেক রাত হয়ে যাবে।
    এমনিতেই সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে সাতটা, মানে তিন ঘন্টা হয়ে গেল। বডি অলরেডি শক্ত হতে শুরু করেছে ... '
    সাগর মন্ডল মাথা নীচু করে কি ভাবতে লাগল।

    বিভূতিবাবু নির্বাক ও নিস্পন্দ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। ভাবতে লাগলেন, মল্লিক এইভাবে না বলে না কয়ে হুটহাট রামদুলাল সরকার স্ট্রিট ছেড়ে চলে যেতে পারল। আর কত কি দেখতে হবে তাকে। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে জীবন, অনবরত ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

    ( চলবে )

    *************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd01:8ef5:59af:cb99:85a3:***:*** | ৩০ মে ২০২৫ ১০:১৯731762
  • "একতলার ঘরে দুর্বার সুভাষরা মাঝে মাঝে হৈ হল্লা তর্কাতর্কি করে , মাঝে মাঝে শুনশান । ওরাই বা আর ক'দিন থাকবে কে জানে । বিয়ে থা হয়ে গেলেই তো যে যার আলাদা আস্তানা খুঁজে নেবে সংসার পাতার জন্য ।"
    ওদের তো অলরেডি বিয়ে হয়ে গেছে। আগের কোন একটি পর্বে পড়লাম যেন ওদের বিয়েটিয়ে হয়ে গেছে। গ্রামের বাড়িতে বউ থাকে। তবু মধুমিতাকে দেখে পেরেম জেগে ওঠায় ঝগড়ায় মেতে উঠলো ইত্যাদি! 
  • Anjan Banerjee | ০১ জুন ২০২৫ ১৫:২৮731828
  • না না , সবার হয়নি । যেমন দুর্বার । 
  • syandi | 2401:4900:882a:87b3:cd8a:326e:37f4:***:*** | ০২ জুন ২০২৫ ০০:০১731832
  • আপনি তৃতীয় খন্ডের ৪থ পর্ব দেখুন কি লিখেছেন। :|: একদম ঠিক  ধরেছেন। অবশ্য এত বড় সিরিজ লিখতে গেলে এই সব ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি হয়।  
     
     
     
    --- ' দেখ ... দুর্বার... তুই কিন্তু এখন বিবাহিত। খোঁটায় বাঁধা। সেই তখনকার মতো ছাড়া বলদ নোস... '
    এসব খরখরে গ্রাম্য কথা শুনে মধুমিতা বিস্মিত চোখে একবার এর মুখের দিকে আর একবার ওর মুখের দিকে তাকাতে লাগল।
    সেটা দেখে দুর্বার অত্যন্ত বিব্রত বোধ করতে লাগল। তার মাথা গরম হয়ে গেল। এটা সিপিএম এম, কংগ্রেসের সমর্থনজনিত উচ্চৈস্বর নৈর্ব্যক্তিক তর্কাতর্কির ব্যাপার না। একেবারে ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপার।
  • :|: | 2607:fb90:bd01:8ef5:f534:ee02:e1f2:***:*** | ০২ জুন ২০২৫ ০৪:২৮731836
  • অনেক ধন্যবাদ ০০:০১ মিনিটে কোটটা খুঁজে দেবার জন্য। 
  • Anjan Banerjee | ০৩ জুন ২০২৫ ১৬:৩৪731860
  • পিছলে বেরিয়ে গেছে । ঠিক ঠিক । খুব শীঘ্র এডিট করব । 
  • Anjan Banerjee | ০৩ জুন ২০২৫ ১৯:৪২731868
  • Edited 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন