এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • পবিত্র ভূমি ৪

    হীরেন সিংহরায়
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৯৮১ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)
  • হেবরন ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের দেওয়ালে দেখা ছবি

    ঘরে ফেরার অধিকার/ রাইট টু রিটার্ন


    গত সপ্তাহে রোমানিয়া থেকে ফিরছি। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেক ইন কাউনটার খোলার অপেক্ষায় বুখারেস্ট এয়ারপোর্টের কফি শপে বসে আছি মায়া আর আমি। সে স্বচ্ছন্দ রোমানিয়ানে অর্ডার দিয়ে আমার সঙ্গে মলডোভায় রাশিয়ানদের আবির্ভাবের সম্ভাবনা, তার সদ্য লদ্ধ রোমানিয়ান পাসপোর্টের বিবিধ সুবিধা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। আমার বাঁ পাশে একজন বসে ছিলেন, লক্ষ করি নি। তিনি হঠাৎ ইংরেজিতে বললেন, ‘দুঃখিত, আমি গায়ে পড়ে আলাপ শুরু করছি। আপনাদের আলোচনা খুব আগ্রহ নিয়ে শুনছিলাম - কারণ আমি এই গত কাল রোমানিয়ান পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি’। সরাসরি মায়াকে রোমানিয়ানে জিজ্ঞেস করলেন ‘তুমি চমৎকার ইংরেজি রোমানিয়ান দুইই বলো, বাড়ি কোথায়?’ মায়া এ প্রশ্ন তার এই অল্প বয়েসে অজস্র বার শুনেছে। তার উত্তরটাও একই গতে বাঁধা - আমার মা রোমানিয়ান বাবা ভারতীয় আমরা ইংল্যান্ডে থাকি। এবার তিনি আপন পরিচয় দিলেন ইংরেজিতে, নাম ইউরি। ইসরায়েলি, বাস করেন লিথুয়ানিয়াতে। এখন তেল আভিভ যাচ্ছেন ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোরসের রিজার্ভ বাহিনীতে যোগ দিতে।

    রোমানিয়াতে কেন?

    ইউরি ইসরায়েলি নাগরিক, এসেছিলেন রোমানিয়ান পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে।

    ‘ভাবছেন হঠাৎ রোমানিয়ান পাসপোর্ট কেন?’

    আমার কথা:
    দুপা পিছিয়ে একটু ইতিহাস ঝালিয়ে নিলে জানব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইউরোপে এক কোটির বেশি ইহুদির বাস ছিল, মূলত পোল্যান্ড ইউক্রেন লিথুয়ানিয়া হাঙ্গেরি রোমানিয়াতে। হলোকষ্টে ষাট লক্ষ প্রাণ দিয়েছিলেন। প্রাণে যারা বাঁচলেন তাঁরা গেলেন ইসরায়েল এবং আমেরিকায়। আজ ইসরায়েলে বাস করেন সত্তর লক্ষ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ষাট লক্ষ। ফ্রান্স বাদ দিলে বাকি ইউরোপে বাস করেন অত্যন্ত স্বল্প সংখ্যক ইহদি, খুব বেশি হলে লাখ দুয়েক। নাৎসি আমলে খুন খারাবি শুরু হওয়ার আগে অবধি ইহুদিরা অনেক লাঠি ঝাঁটা খেয়েও ইউরোপে বাস করেছেন দেড় হাজার বছরের বেশি, বাসজমির খোঁজে অন্য মহাদেশের উদ্দেশ্যে নৌকো বা জাহাজে চড়েন নি। ইউরোপ তাঁদের সর্বদা দূরে রেখেছে, কখনো শরণাপন্ন প্রতিবেশী হিসেবে নয়।
    ১২৯০ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম এডওয়ার্ড ঝাড়ে বংশে ইহুদি উৎপাটন এবং বহিষ্কারের প্রথাটি বলবত করেন- সোজা রেড কার্ড! চ্যানেল পেরিয়ে ইহুদি গেলেন ফ্রান্সে; বিশ বছর বাদে সেখানকার রাজা ফিলিপ ইহুদিদের ধন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তাদের খ্যাদানোর বিলিতি প্রথাটির অনুসরণ করলেন। ইহুদি আবার বিতাড়িত। রাইন নদী ধরে ধরে তাঁরা গেলেন ক্রমশ উত্তরে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, ইউক্রেন শেষ অবধি পেল অফ সেটলমেনটে (মৎ প্রণীত ইহুদি রসিকতা দ্রষ্টব্য)। অন্যদিকে স্পেনের তরুণ রাজা রানি ফারদিনান্দ ইসাবেলা শুরু করলেন সভ্য জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ স্থায়ী সন্ত্রাস- স্প্যানিশ ইনকুইজিশন। সাড়ে তিনশ বছরের নির্মম নিধন যজ্ঞ। স্পেন পর্তুগালে সকল ইহুদিদের (এবং মুসলিম) ওপরে আদেশ হলো হয় ধর্ম পরিবর্তন করো নয় দেশ ত্যাগ করো। দুটোর কোনটায় রাজি না হলে প্রাণটা ত্যাগ করো। সংক্ষেপে বলতে গেলে খ্রিস্ট ধর্ম প্রচলিত হবার অনেক আগেই ইহুদি সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বাস করেছে ইউরোপে। ১৯৩৬ সালের হিসেব ধরলে শুধু পোল্যান্ডে তিরিশ লক্ষ। সেখানে ক্রোনেনবেরগ এমন ব্যাঙ্ক স্থাপন করলেন (বাঙ্ক হান্দলোভে, যেটি সিটি ব্যাঙ্ক কেনে ১৯৯৯ সালে, দেওয়ালে টাঙ্গানো ছবি দেখেছি ওয়ারশ অফিসে) যার ব্যাল্যান্স শিটে রুবলের পরিমাণ রাশিয়ান সাম্রাজ্যের সামগ্রিক রাজস্বের চেয়ে বেশি। ওয়ারশ শহরের বিশ শতাংশ মানুষ ইহুদি। জার্মান ইহুদি রোটশিল্ড সকল ইউরোপীয় রাজন্য বর্গের ব্যাঙ্কার। বাইবেলের প্রতিশ্রুত দেশ তাঁরা ত্যাগ করেছেন কিন্তু ক্রিস্টিয়ান ইউরোপের গালমন্দ অবজ্ঞা অবহেলা পোপের শাপ শাপান্ত সয়েও বাসা বেঁধেছেন ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিজ্ঞান শিল্প চিকিৎসা আইন বিষয়ে অর্জন করেছেন অসাধারণ সাফল্য – সম্প্রদায় হিসেবে ইহুদিরা পেয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নোবেল পুরস্কার।

    ইউরোপ তাঁদের বাসভূমি। জীনা য়হাঁ মরনা য়হাঁ।

    অন্যদিকে স্প্যানিশ ইনকুইজিশন শুরু হলে (১৪৭৮) স্পেন ছেড়ে কিছু ইহুদি জিব্রালটারের খাঁড়ি পেরিয়ে মরক্কোর পথ ধরেন। সেখানকার মুসলিম রাজারা তাঁদের মাথা না কেটে তাঁদের মস্তিষ্কের উপযুক্ত প্রয়োগ করলেন। ইহুদি পুনরায় আপন স্থান খুঁজে পেল সমাজে (টিউনিসিয়ার বর্তমান টুরিজম মন্ত্রী রেনে ট্রাবেলসি ইহুদি), অটোমান রাজত্বে ইহুদির সম্মানের স্থান। ১৫১৬ সালে তুরস্কের সুলতানের নির্দেশে ইব্রাহিম পাশা প্যালেস্টাইন অধিকার করেন। পরের চারশ বছর ইহুদিদের পবিত্র ভূমিতে তুর্কি শাসন। অটোমান সুলতান যেমন কাইরো বা কনসটানটিনোপেলে তেমনি জেরুসালেমেও ইহুদিদের বসবাস বা ধর্মাচরণের পথে কোন বাগড়া দেন নি। ইউরোপের ইহুদি ওই বালি পাথরে ভরা রুক্ষু দেশের দিকে গেলেন না।

    ইউরোপ তাঁদের বাসভূমি। জীনা য়হাঁ মরনা য়হাঁ।

    প্রসঙ্গটা উঠল ইউরির সঙ্গে বাক্যালাপের কালে। তাঁর মা হাঙ্গেরিয়ান, বাবা রোমানিয়ান ইহুদি। রোমানিয়ার ক্লুজ নাপোকাতে তাঁদের রেকর্ডেড বাস অন্তত চারশ বছরের। ১৯৪৪ সালে থেরেসিয়েনস্টাড (আজকের টেরেজিন, চেক রিপাবলিক) কনসেনট্রেশান ক্যাম্পে তাঁর বাবা মা নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন, কিন্তু বেঁচে ফিরেছেন - হলোকষ্ট সারভাইভার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ এই সারভাইভার ও তাঁদের সন্তান সন্ততিদের পাসপোর্ট তথা নাগরিকত্ব প্রদান করেন, ঠিক এক পদ্ধতিতে অবশ্য নয়। ইউরি বললেন তাঁর ছিল দুটো চয়েস, মাতার সূত্রে হাঙ্গেরিয়ান, পিতার সূত্রে রোমানিয়ান নাগরিকত্ব পাবার অধিকার। ইসরায়েলি পাসপোর্ট বজায় রেখে আরেকটি পাসপোর্ট পেতে পারেন, তবে দুটোর মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে।

    - রোমানিয়ান কেন?
    - তবে শুনুন এই যে হলোকষ্ট সারভাইভারদের পাসপোর্ট দেবার সিস্টেম চালু আছে সেটা মুফতে নয়, খরচা আছে। হাঙ্গেরিয়ানরা চায় দুশো ইউরো, রোমানিয়ান পাসপোর্টের দাম চার হাজার।
    - তাহলে হাঙ্গেরিয়ান পাসপোর্ট নিলেন না কেন?
    - ঠ্যালায় পড়ে। হাঙ্গেরিয়ান পাসপোর্ট সস্তা পড়ে কিন্তু শর্ত কঠিন। দরখাস্ত করলে হাঙ্গেরিয়ান ভাষার অন্তত মিড লেভেল দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। আমার মায়ের আত্মার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, কে না জানে তাদের ভাষাটা ইউরোপের সবচেয়ে বদখত, কঠিন, দুর্বোধ্য? রোমানিয়ান পাসপোর্ট পেতে গেলে সে ভাষা জানার প্রয়োজন নেই। যদিও বাবা মাকে রোমানিয়ান বলতে শুনেছি, হিব্রুর পাশাপাশি সে ভাষাটা শিখেছি খানিক।

    এই সুযোগে আমার ইদিশ ভাষার জ্ঞান দেখানোর লোভ সংবরণ করা গেলো না। ইউরি লিথুয়ানিয়ার কাউনাসে থাকেন জেনে নিতান্ত আলগা ভাবে বললাম, ও, মানে কোভনো ! ভীষণ অবাক হয়ে ইউরি বললেন, আপনার উচ্চারণ দেখি পারফেক্ট, আপনি ইদিশ জানেন? অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী হতে পারে তাই কথা বাড়ার আগেই বলে রাখলাম, লিখতে পড়তে পারি না তবে জার্মান জানি বলে অনেকটা বুঝি। ইউরি আমাদের চমকে দিয়ে বললেন তিনি নটা ভাষায় কাজ চালাতে পারেন, প্রথম স্ত্রী ছিলেন রাশিয়ান। মায়া সিরিলিক জানে, গ্রিক সারবিয়ান বোঝে। সেও একটু বাহাদুরি দেখাতে ছাড়ল না

    ইউরি একটি ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিলেন, সেটি নিয়মিত দেখলে শুনলে নাকি সাত দিনে যে কোন ভাষায় সরগড় হওয়া যায়।



    আমাদের আড্ডা দারুণ জমে গেল। নানান গল্প। কোথায় কার জন্ম, কে কোথায় এসে ঠেকে, আমরা তিনজন বসে গল্প করছি বুখারেস্টে বসে, কতগুলো দেশ আমাদের স্মৃতিতে গেঁথে আছে।। ইউরি বললেন, এই তো ক্লুজ নাপোকা গেলাম। মা বাবার কাছে গল্প শুনেছি, ইয়েশিভা স্কুল, দোকান, পেসাখের উৎসব - আমাদের পরিবারের চারশ বছরের পুরনো বাসভূমি। আমাদের পূর্বপুরুষদের বাড়ির রাস্তার নাম অবধি বদলায় নি। আপনি তো জানেন এই সব অঞ্চলের বহু গ্রাম শহরে ইহুদি পাড়া ছিল কিন্তু আমি কি আমি ক্লুজ নাপোকায় ফিরে আসতে পারি? আমার পিতৃ পুরুষের বেদখল বাড়িতে আমার অধিকার প্রমাণ করতে পারি? ঘর কোথায় যে ফিরব?

    পাসপোর্ট তো পেলাম। কিন্তু আমার কি ইউরোপে, এই রোমানিয়াতে পৈত্রিক বাড়িতে ফেরার অধিকার আছে?

    ***

    পুঃ

    এক
    বিচার মন্ত্রী কাতারিনা সারমেনতো পর্তুগিজ পারলামেনটে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে ১৫শ শতাব্দীতে পর্তুগাল হতে বিতাড়িত সেফারদিক ইহুদিদের বংশধরবর্গকে ইহুদি জন্মের প্রমাণ সাপেক্ষে পর্তুগিজ নাগরিকতা দেওয়া হবে। এর জন্য তাদের পর্তুগালে বসবাস করা আবশ্যিক নয়। তিনি আরও বলেন হয়তো প্রতীকী কিন্তু এটি একটি ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণ (historical reparation)।
    ১৯শে অক্টোবর, ২০২৩ - হায়ারেতস দৈনিক পত্রিকা, জেরুসালেম
    (আমি এই পত্রিকার ইংরেজি এডিশনের নিয়মিত পাঠক)

    দুই
    ইনকুইজিশনে বিতাড়িত সেফারদিক ইহুদিদের প্রমাণ সাপেক্ষে স্প্যানিশ নাগরিকত্ব দেওয়া অনুমোদিত স্প্যানিশ পার্লামেন্টে অনুমোদিত হয় ১১ জুন, ২০১৫। পর্তুগালের আরও আট বছর লাগল এই ঐতিহাসিক ভ্রম সংশোধনে।
    পৃথিবীর ইতিহাসে পাঁচশ বছর ব্রহ্মার পলকপাত মাত্র।
    দের আয়ে পর দুরুস্ত আয়ে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ১৯৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৪৭525198
  • ইহুদীরাই বোধহয় একমাত্র জনগোষ্ঠী যারা নিজেরা জেনোসাইডের শিকার হয়েও পরবর্তীতে জেনোসাইডার হয়ে উঠেছে।
  • জেনোসাইডার | 173.49.***.*** | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৫525199
  • TuTasiraa?!
  • জেনোসাইডার | 173.49.***.*** | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৬525200
  • ঝাঃ! 
     
    টুটসিরা?! 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪২525203
  • আরো কিছু - যেমন নামিবিয়াতে হেরেরো জেনোসাইড, তুরস্কে আর্মেনিয়ান, সার্বনিয়ান দ্বারা বসনিয়াক, ইউক্রেনে ষ্টালিনিক হলদোমোর (ভুখা মারো), পলপট।
  • যোষিতা | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:২১525211
  • য়িহুদি পিতার সন্তান কি য়িহুদি হয়? য়িহুদি মাতার সন্তানই শুধু য়িহুদি হয় বলে জানতাম। ভুল জানতাম মনে হচ্ছে। এই ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া যায় না বলে জানতাম। জন্মসূত্রে য়িহুদি মায়ের গর্ভজাত হলেই য়িহুদি হওয়া যায় বলে জানতাম। সব ভুল জানতাম।
  • যোষিতা | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:২৩525212
  • আমার চেনা এক ভদ্রলোকের অনেক পাসপোর্ট। ইজ্রায়েল, ফ্রান্স, সাউথ আফ্রিকা, সুইটজারল্যান্ড, আরও গোটাকতক দেশের। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:২৬525233
  • যোষিতা 
     
    আপনি ঠিকই জানতেন । ইহুদি ধর্ম মাতৃ তান্ত্রিক । ইউরির ইহুদিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় মায়ের সূত্রে, পিতৃ পরিচয়ে নয় । হাঙ্গেরিয়ান অথবা রোমানিয়ান পাসপোর্ট পাবার অধিকার তাদের আদি বাড়ির ঠিকানার কারণে।  ক্লুজ নাপোকা কয়েকশো বছর হাঙ্গেরির, পরে অস্ট্রো- হাঙ্গেরিয়ান রাজত্বের অংশ ছিল, এখন রোমানিয়ান । সেই কারণে  দুটি দেশ তাকে পাসপোর্ট দিতে পারে , তবে দুটোই নয়, যে কোন একটা।  তবে তাদের কোন রাইট টু রিটার্ন নেই- যেমন পশ্চিম বাংলার কেউ  আজকের বাংলাদেশের মাদারীপুরে ফিরে জমি জিরেত ফিরে পাবেন না , যেমন সাতশো বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস করলেও জার্মানরা ফিরতে পারেন না এস্টোনিয়া বা লাটভিয়ায়। ইহুদিরা অবশ্য পারেন  দু হাজার বছরের পুরনো ঠিকানায় ফিরতে।  
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৬525234
  • বহু  নাগরিকত্ব সব ইউরোপীয় দেশ অনুমোদন করে না । যেমন বছর বিশ আগে অবধি জার্মানি তাদের নিজেদের অতিরিক্ত একটি ই ইউ পাসপোর্ট রাখতে দিতো ( অস্ট্রিয়া অবশ্যই ব্যতিক্রম ) এখন জার্মানরা সেটা ক্রমশ শিথিল করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সেই আপারথাইদের রেজিম থেকেই এ বিষয়ে অত্যন্ত উদার , যত খুশি পকেটে রাখুন ! আমাদের ব্যাঙ্কের সাউথ আফ্রিকান কলিগদের ঠাট্টা করে বলতাম কবে কোথায় পালাতে হবে তার ঠিক নেই তার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছো ! আরেকটা মজার কথা এই যে তাদের প্রায় সকলকেই স্টেশন ওয়াগন ( আজকের এস ইউ ভি ) চালাতে দেখেছি - সেটাও ওই পলায়নের প্রস্তুতি তবে আজ সাউথ আফ্রিকান পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া / বা অন অ্যারাইভাল একশ  দেশে  যাওয়া যায় , আইরিশ পাসপোর্টের মতন। 
  • | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:০৯525235
  • হেরেরো, আর্মেনিয়ানরা কি পরে নিজেরা অন্যদের জেনোসাইড করেছে? 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৯525236
  • জার্মান সেনাপতি লোথার ফন ত্রথা ৭৫% হেরেরো জনসংখ্যা নির্মূল করতে  সক্ষম হন ( তাঁর নামে রাস্তা আছে ফ্রাঙ্কফুর্টের পাশের শহরে এবং মূল হত্যাকাণ্ডের অকুস্থল ওয়াটারবেরগের নামে মিউনিকে ) -  যারা প্রাণে বেঁচেছিলেন তাঁরা আর কাউকে মারতে সক্ষম হয়েছেন  বলে জানা যায় না।  জেনোসাইডের শেষে লাখ তিনেক আর্মেনিয়ান বাঁচেন – তুর্কিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সক্ষমতা তাদের ছিল না। 
  • | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৫525239
  • হুঁ আমিও সেরকমই জানতাম।  আমার প্রথম মন্তব্যে সেটাই বলছিলাম যে ইহুদীরাই সম্ভবত একমাত্র জনগোষ্ঠী যারা হিটলার এন্ড কো এর হাতে জেনোসাইডের শিকার হঅওয়া সত্ত্বেও নিজেরা জেনোসাইডার হয়ে উঠেছে।  প্যালেস্টিনিয়দের জেনোসাইড করে চলেছে একেবারে লেমকিনের সংজ্ঞা ধরে।
  • হীরেন সিংহরায় | ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০৭525246
  • ঠিক। রোল বদলের পালা।

    শত্রুপক্ষের উপস্থিতির আশঙ্কায় দাখাউয়ের নিধন মঞ্চ থেকে অনেক কয়েদিকে দক্ষিণ দিকে পাঠানোর যে প্রক্রিয়া শুরু হয় সে এক মৃত্যু মিছিল (টোডেসমারশ) খুব কম মানুষ প্রাণে বাঁচেন।

    ২৮শে এপ্রিল ১৯৪৫  

    লিদ্দে ও রাম্লে থেকে ষাট হাজার নাগরিককে বন্দুকের ডগায় আদেশ দেওয়া হয় শহর শূন্য করে অনেক দূরের গ্রামে চলে যেতে। সেই মৃত্যু যাত্রায় মারা যান অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধা, শিশু, মহিলা। লুণ্ঠিত টাকা পয়সা গয়না বয়ে নিয়ে যেতে ১৮০০ ট্রাকের ব্যবহার হয়।

    ৭ই জুলাই ১৯৪৮
  • s | 100.36.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৩৬525251
  • যথারীতি, হীরেনবাবুর লেখা অনবদ্য।

    অন্যদিকে, জেনোসাইড টার্মটা যত্রতত্র ব্যবহার করার প্রবলেম হচ্ছে এতে ব্যাপারটার গুরূত্ব থাকে না। জেনোসাইডের একটা লিগাল ইমপ্লিকেশান আছে। অনেক কাটাছেঁড়া, বাদ অনুবাদ, আইনি কচকচির পর ঠিক হয় কোনটা জেনোসাইড আর কোনটা জেনোসাইড নয়। জেনোসাইড প্রমাণ করার প্রধান অন্তরায় হল ইন্টেন্ট প্রমাণ করতে হয়। ইজরায়েল এখন যা করছে সেটা মোটামুটি সবাই মানছে যে সেটা রেট্রিবিউশন, রিভেঞ্জ। দুনিয়ার কোনো কোর্টেই এটা জেনোসাইড হিসাবে প্রমাণ করা মুশকিল। ইজরায়েলের অ্যাকশনকে অ্যাপার্থাইড, কালেক্টিভ পানিশমেন্ট, সিজ অফ হিউম্যানেটেরিয়ান সাপ্লাইজ এমনকি ওয়ার ক্রাইম বলা চলে এবং এর প্রতিটি ইন্টারন্যাশনাল আইন বিরোধি। কিন্তু এটাকে জেনোসাইড বললে জেনোসাইডের গুরূত্ব কমে যায়, যেটা হওয়া উচিৎ নয়।

    ইউ এন এর জেনোসাইড প্রিভেনশান ওয়েবসাইট থেকেঃ
    The intent is the most difficult element to determine. To constitute genocide, there must be a proven intent on the part of perpetrators to physically destroy a national, ethnical, racial or religious group. Cultural destruction does not suffice, nor does an intention to simply disperse a group. It is this special intent, or dolus specialis, that makes the crime of genocide so unique. In addition, case law has associated intent with the existence of a State or organizational plan or policy, even if the definition of genocide in international law does not include that element.
  • s | 100.36.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:০৮525255
  • জেনোসাইডের সংজ্ঞায় পড়লেও সেটা জেনোসাইড বলা যায় না। আইসিসি বা ঐরকম কোনো ইন্টারন্যাশনাল বডি তে বহু বছর ধরে কেস চলবে, তারপর যদি রায় বের হয় যে এটা জেনোসাইড একমাত্র তখনই তাকে জেনোসাইড বলা চলে, অফিসিয়ালি। অবশ্য বাঙালীরা চায়ের আড্ডায় কি অন্য কোনো আড্ডায় জেনোসাইড বলতেই পারে, কে আর আটকাচ্ছে। তবে তাতে কি আর এসে যায়! 
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১৮525256
  • আচ্ছা যারা জেনোসাইড নিয়ে অস্থির হচ্ছেন, তাদের মতে হামাসের এই স্কেলে টেরোরিস্ট এট্যাক এর পরে ইজরায়েল এর ঠিক কি করা উচিত ছিল?
  • যোষিতা | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৩৮525270
  • ভাববাচ্যের উত্তর দিই। 
    স্বাধীনতা সংগ্রাম সবসময় অহিংস অসহযোগ হয় না।
  • dc | 2401:4900:1f2b:1f27:6d6a:3142:1c44:***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২২525272
  • s এর সাথে একমত। জেনোসাইড কথাটার খুবই গভীর অর্থ আছে, যেখানে সেখানে ব্যবহার করা ঠিক না। বরং এটা বলাই যায় যে ইজরায়েল আর রাশিয়া, যখাক্রমে গাজা আর ইউক্রেনে, ওয়ার ক্রাইম করছে কারন সিভিলিয়ানদের টার্গেট করে মারছে। আর হামাসের ইজরায়েলে গিয়ে আক্র্রমন করাটা টেরোরিজম। ইরান যেটা করছে সেটা প্রক্সি ওয়ার বলা যায়। সবই ডেফিনিশান এর ব্যাপার।  
  • dc | 2401:4900:1f2b:1f27:6d6a:3142:1c44:***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৩১525273
  • প্রক্সি ওয়ার এইজন্য লিখলাম কারন ইরানের সাহায্য ছাড়া হামাস এই ম্যাসিভ অ্যাটাক করতে পারতো না। প্ল্যানিং, লজিসটিক্স, আর্মস, ফিন্যান্স ইত্যাদি সব কিছু দিয়ে সাহায্য করেছে, তাই প্রক্সি ওয়ার বলা চলে। 
  • | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:০৭525274
  • হ্যাঁ হীরেনদা, ইহুদীদের এই জেনোসাইডার হয়ে ওঠাটা খুব ইন্টারেস্টিং। মোটামুটি জেনোসাইডের হিকার যারাই হয় অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই প্রায় লুপ্ত হবার মুখেই গিয়ে দাঁড়ায়। ইহুদীরা এত কিছু এত বছর ধরে সহ্য করার পরেও জনগোষ্ঠী হিসেবে লুপ্ত হবার মুখে যায় নি, সেইজন্যই হয়ত ইজরায়েল ধারাবাহিকভাবে জেনোসাইড চালিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ একেবারে জেনোসাইডের সংজ্ঞা মেনেই করছে।  আমি ফলো করছি মোটামুটি ২০০২-০৩ থেকে।  রবার্ট ফিস্কের কলামের জন্য দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফলো করতাম। 'পিটি দ্য নেশান'  পড়ে বেশ ক'রাত ঘুমোতে পারি নি, মনে আছে। ডালরিম্পোলের কোনও একটা বইতেই ফিস্কের সাথে ঐ অঞ্চলে দেখা হবার কথা আছে। সৈকতের লেখায় ​​​​​​​দিয়েছিলাম, ​​​​​​​আপনার ​​​​​​​এখানেও ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​যাই।  এই ​​​​​​​জিনিষ ​​​​​​​নির্বিকার ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​পড়ার ​​​​​​​মত ​​​​​​​ স্থৈর্য্য ​​​​​​​আমি ​​​​​​​এখনও ​​​​​​​রপ্ত ​​​​​​​করতে ​​​​​​​পারি ​​​​​​​নি। 
     
    "Robert Fisk, the reputed British journalist, who covered the war said in his book Pity The Nation that most of the victims were Muslims and on the edge of Sabra, the Muslim cemetery was so crowded with dead bodies from the Israeli raids that corpses were being buried thirty feet deep in mass graves, one on top of the other. The bodies in decay were disgusting. The smell of human remains in 100 degrees of heat was nauseating and it contradicted our most deeply held values – love, beauty, gentleness, health, cleanliness, hygiene and life. Both physically and mentally that stench was the manifestation of our fear and revulsion.When we first walked down the stairs of the Sidon elementary school, where refugees from Tire found shelter and were bombed by the Israelis, we faced the smell of those men, women and children killed. Why did they die here? How could such an abomination have taken place?
    He added "as if the carnage by air raids were not enough the Jews began using the US supplied destructive cluster bombs against West Beirut where the mournful exodus of citizens continued. No food was allowed in and the Israeli troops even grabbed baskets of food from Muslim women and threw them into the ditch.
     
    Describing the Israeli cruelty even in hospitals Dr. Amal Shamma of the Beirut Hospital said "after the Zionists fired phosphorus shells in West Beirut on 29 July, I had to take the babies and put them in buckets of water to put out the flames. When I took them out half an hour later, they were still burning. Even in the mortuary, they smouldered for hours".
     
    -West Beirut, 29 July ১৯৮২ 
  • | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১০525275
  • *জেনোসাইডের  শিকার
    ** ডালরিম্পলের কোন একটা বইতেও। 
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:b9c1:89a5:e47f:***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩৫525278
  •  
    রবার্ট ফিসক ( উচচারনে ফিশ) পডতে গেলে লোহার কলজে লাগে। পারলে এটা দেখুন। ইহুদি লেখক 
     
     
     
     
     
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:b9c1:89a5:e47f:***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪০525279
  •  
    লিদ্দে ও রাম্লে থেকে ষাট হাজার নাগরিককে বন্দুকের ডগায় আদেশ দেওয়া হয় শহর শূন্য করে অনেক দূরের গ্রামে চলে যেতে। সেই মৃত্যু যাত্রায় মারা যান অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধা, শিশু, মহিলা। লুণ্ঠিত টাকা পয়সা গয়না বয়ে নিয়ে যেতে ১৮০০ ট্রাকের ব্যবহার হয়।

    ৭ই জুলাই ১৯৪৮
     
    এই এথনিক ক্লিনসিংএর নেতৃত্ব করেছিলেন  ইয়াতঝিক রাবিন। পরে দেশের প্রধান মন্ত্রী (সন্ত্রাস বাদী নন) 
  • | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১৭525283
  • হ্যাঁ দাদা নামিয়ে ইপাব নিলাম। পড়ে ফেলব। 
  • Nabhajit | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২২525284
  • নতুন কিছু তথ্য জানলাম। ঘটনাক্রম এখনো ফলো করতে পারিনি। চেস্টার আছি। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৫৮525286
  • ঘটনাক্রমের কোন ব্যাপার নেই !  ইসরায়েলকে চোখে রেখে যেখানে যখন যেমন দেখেছি তেমনি লিখি । তাই মাঝে সাঝে অসংলগ্ন হয়ে পড়ে! তার জন্য মার্জনা চাই  
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3898:36bc:7677:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০১:৩৬525324
  • জেনোসাইড বলা উচিত কিনা, সেটা টেকনিকাল ব্যাপার।  তবে গাজায় যেটা ঘটছে, ৭০০০ এর ওপর সিভিলিয়ান মারা গেছে, যার মধ্যে ৩০০০ শিশু - ভয়াবহ একটা নিধনযজ্ঞ চলছে, বলা যেতে পারে। নাম যাই হোক, এটা বন্ধ হওয়া দরকার 
  • হীরেন সিংহরায় | 2a00:23c7:672e:2001:653e:4a47:1889:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০২:১৪525328
  •  
    আমার আফ্রিকা বইতে হয়তো পড়েছেন গুলি  চালানো শেষ হলে নামিবিয়াতে জারমানরা হেরেরোদের পানীয় জল পাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল , এই গাজার মতন । 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন