১১
অন্ধ হয়ে যাই, হেরে যাই
হাওয়ার কাছে বিনম্র হয়ে বসি
মন, মোহনার মতো বধির, বিরহ জড়িয়ে বসে
পরম অব্দি যেতে যেতে যে বিশ্বভার, যে জড়তা
তোলপাড় করে ভেঙে যায় সব
সমস্ত বন্ধন খুলে দুবাহু মেলেছেন
আদি ও অন্তের মাঝামাঝি
আমি এক দর্পন
তিনি শৃঙ্গার করেন, জটা ঝেড়ে ফেলে দেন
যত জরা বাকি
আমার বুকের ভেতর আর বিস্তৃত জ্যোৎস্নার বাঁকে।
১২
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য
আমি নিজেকে দেখেছি
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থেকেছি কিছুক্ষণ
বনের কাছে
ছাই পড়ে আছে,যত গহীন হয়েছে পথ
ভস্মের গন্ধে নেশা ধরেছে
হা করে ত্রিভুবন ফাঁক করে বসেছেন
পদ্মাসনে বিগলিত জ্বলন্ত দাউদাউ
উন্মাদপ্রায় নিজেকে বহ্নিশিখা ভেবে
প্রবেশ করেছি, জেনেছি
গুহা এমন মুক্ত হতে পারে, সাঁতার হতে পারে
ভেতরের বিস্তার না জানায় আগুনের ভয় কাটেনি অতদিন
১৩
সর্পিলাকারে যেভাবে পেঁচিয়ে ফেলে নীলকন্ঠ
এযাবৎ স্বয়ং জড়িয়ে রেখেছে যা-কিছু
আকার না নিরাকার বুঝি না
একহাত দূরত্বের মাঝে শব্দের শিঙা
ফুঁ দিলে
যে ওঁ অনুরণিত হয়
অন্তরে অহং অন্তরতরে বেদনা অন্তরতমে প্রেম নিয়ে
আলোর দিকে যাই
ঈশানের বিপরীতে বসি
মুখোমুখি হতে একাত্ম হতে
ক্রমশ কাল-রূপ ও নগ্নতা ধারণ করছি আমি