এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক

  • মহাভারত - দ্বাদশ পর্ব

    শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ০৩ জুলাই ২০১২ | ১২৭২ বার পঠিত
  • মধ্যযামে যখন সূর্য তখনই তার প্রখর তেজ সবচেয়ে কাজে লাগার কথা।কিন্তু লাগেনা। সে তেজ-এ সব শুকিয়ে যায়। মানুষের জীবনও এমন। মধ্যযামেই সে সবচেয়ে বেশী তীক্ষ্ণ আর তীব্র। কিন্তু তার সেই তীব্রতা তাকে ক্রমশ সংঘাতসংকূল করে তোলে। প্রথম জীবনের স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে মরীচিকার মত মিলিয়ে গিয়েছে তখন। যা কিছু একদিন সম্ভব মনে হচ্ছিল তা আজকে বোঝা যাচ্ছে অসম্ভব প্রায়। ভবিষ্যৎ একটি অসার প্রস্তাবনা। তখন ক্রমশ জেগে ওঠে ক্রোধ, আক্ষেপ, ক্ষোভ। আরো কিছু সময় গেলে একদিন সেই সব ক্ষোভ মিলিয়ে যাবে। আপন নশ্বর জীবন এ সকল ক্ষোভ-ক্রোধ-আক্ষেপকে বর্ণহীন করে দেবে। তখন মনে হবে অনর্থক বিবাদ সব। যে যা করছে সে তা করবেই। কাউকেই কিছুই বোঝানো যাবেনা। তাহলে কী ফল? ব্যাস শুনছিলেন সায়নাচার্য্যের কথা। এমন কথা তিনি আগেও শুনেছেন,কিন্তু বক্তা কেউ-ই সায়নাচার্য্যের মত আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গীর অধিকারী ছিল না। গম্ভীর ভরাট গলায় সায়নের কথা খুবই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়। ব্যাসের বাম দিকে বসেছিলেন অশ্বল। সায়নের কথা শেষ হতেই তীব্র হাস্যে ভরিয়ে দিলেন কক্ষ। সকলে তাঁর দিকে উৎসুক হয়ে তাকালো। অশ্বল কোনোক্রমে হাসি সামলালেন। বললেন,


    -সায়ন,এই জন্যই ঋষিপত্নী এবং সাধারণ রমণীদের মধ্যে তোমার ভক্তার সংখ্যা বিপুল। আর রাত্রে এই কারণেই তোমার গৃহের কলহবাদ্য নাগরিকার আবাসকেও ম্লান করে দেয়।



    উপস্থিত সকলের মুখে চাপা হাসির সঞ্চার হল। সায়নের ঘরের বিবাদ সকলেরই জানা। জ্যোতিষাচার্য্য সায়নের পত্নীর সায়নের প্রতি সন্দেহ সকলের রসালো আলোচনার বিষয়ও বটে। সায়নের মুখ নিমেষে বদলে গেল। শ্বেতাভ বর্ণের বিবর্তন ঘটে লাল জায়গা করে নিল প্রথমে নাকের পাশে। তারপরে ছড়িয়ে পড়তে থাকলো সারা মুখে। ক্রোধে কাঁপছে তাঁর ওষ্ঠ। নিতান্ত ব্যাসদেব সামনে না থাকলে বোধ হয় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। অনেক কষ্টে ক্রোধ সংবরণ করে সায়ন বললেন,


    -তোমার মত বৃহস্পতিপ্রেমী এমন কথা বলবে এতে আর আশ্চর্য্য কী! তোমাদের ওই কুক্কুরের মত ভোগবাসনা সমৃদ্ধ জীবনে এ সবের বেশী আর কি থাকতে পারে? তবে জেনে রেখ এ সব আর বেশীদিন নেই। ধর্মের শাসন চালু হতে চলেছে আবার। তোমাদের মত ঈশ্বরবিরোধী নাস্তিকদের প্রকৃত শাস্তির দিন আসছে। মত্ত গজরাজও তোমাদের পদদলিত করতে মুহূর্ত দ্বিধা করবে না।



    এমন কু এবং কঠোর বাক্যে সকলে বেশ অস্বস্তিতে পড়লেন। ব্যাস দেখছিলেন এর কী প্রতিক্রিয়া হয়। তিনি এঁদের মতিগতি বোঝার জন্যই আহ্বান করেছেন এঁদের। আবার প্রবল হাস্যে বেজে উঠলেন বর্ষীয়ান অশ্বল। তারপরে কিঞ্চিত সম্বৃত হয়ে বললেন,


    -এই দেখ! তোমার এই কথোপকথন শুনে কেউ বলবে সায়ন যে তুমি এখন পঞ্চদশ বর্ষ অতিক্রম করেছ? এখন না তোমার ক্ষোভ-ক্রোধ-আক্ষেপ এ সব ভুলে তুচ্ছ নশ্বরতাকে অতিক্রম করার সময়? এই না বললে তুমি কিছুক্ষণ আগে?


    আবার হা হা রবে বেজে উঠলেন অশ্বল। সকলে অপ্রস্তুতভাবে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকলো। সায়ন আচমকা এই প্যাঁচে পড়ে বিমর্ষ। তাঁরই কথাগুলোকে নিমেষে অপ্রমাণ করছে তাঁর এই আচরণ। ক্রোধে কাঁপতে কাঁপতে উঠলেন তিনি। ব্যাসকে সম্ভাষণ করে বললেন,


    -আমাকে অনুমতি করুন মহর্ষি! আমার কিছু কাজ আছে। তাছাড়া এমন অধর্মী সংস্পর্শে আমার প্রাণ হাঁফিয়ে ওঠে বড়। এই চার্বাকরা চতুর এবং বাকপটু জীব। বৃথা বাক্যজালে মানুষকে সন্দিগ্ধ করে তোলাই এদের কাজ। আমাদের এত সময় নেই।


    প্রণাম করে প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করেই চলে যেতে উদ্যত হলেন সায়ন। অশ্বল উঠে দাঁড়ালেন। বললেন,


    -সায়ন, রাগ কমাও হে!শরীর নষ্ট হচ্ছে তোমার এই ক্রোধে। আমার উপরে রাগ করে কী করবে ভাই,আমি তো এমনই। আমার গুরু বৃহস্পতির মতই আমিও প্রমাণ ভিন্ন কিছুকেই মেনে নিতে শিখিনি। তোমার কথাগুলো যাচিয়ে দেখছিলাম। সে যদি তোমার পছন্দ না হয় তাহলে আমিই যাই, তুমি অকারণ কেন যাবে? তাছাড়া তোমার তো এখনো হস্তিনাপুরে আশ্রমের জন্য জমির কথা বলাই হয় নি।


    সায়ন উত্তর দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই অশ্বল উঠে দাঁড়িয়ে বেদব্যাসকে সম্বোধন করতে শুরু করেছেন। অগত্যা সায়নকে অপেক্ষা করতে হল। অশ্বল বললেন,


    -কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ,এই যে হস্তিনাপুরে আপনি এসেছেন,সে হস্তিনাপুর আজ থেকে এক বিপুল বদলের মধ্যে দিয়ে যাবে তা আমি জানি। আপনার সকাশে এসেছিলাম অন্য একটি উদ্দেশ্য নিয়ে। যদি অনুমতি করেন তাহলে তা নিবেদন করি।


    ব্যাস অনুমতি দিলেন। অশ্বল শুরু করলেন।


    -সমগ্র উত্তরখন্ডে আমাদের চার্বাকপন্থীদের নির্মূল করার চেষ্টা চলছে। এই উত্তরাখন্ডে এখনো আমাদের কিছু আশ্রম আছে, কিছু জ্ঞানচর্চার স্থান। কুরু বংশের শাসন কার হাতে যাবে তা আমাদের বিষয় না। কিন্তু আজ যে পরিস্থিত তাতে করে এই বংশের শাসন কার হাতে যাবে তার সঙ্গেই আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি জড়িত। মহারাজ পান্ডুর শাসনকালে আমাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়েছিল মূলত বনবাসীদের অধিকার নিয়ে। আমরা অন্যান্য আশ্রমিকদের মত মেনে নিতে পারিনি যে অরণ্য শুধুমাত্র রাজার অধিকারে থাকা মৃগয়া ক্ষেত্র। তার অনেক দাম আমরা দিয়েছি। আপনি জানেন সব। আপনার ক্ষেত্রজ এই পুত্রটি আমাদের সঙ্ঘচালকদের অনেককে নিগ্রহ করেছেন, বন্দী করেছেন, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে নৈমিষারণ্যের আশ্রমটি পুড়িয়ে দেওয়া কার কাজ সেও আমরা জানি। কিন্তু কেন? জ্ঞানচর্চার অন্য শাখাগুলির যে অধিকার তা আমাদের থাকবেনা কেন? কেন গণের শাসনকে ক্রমাগত কুক্ষিগত করা হচ্ছে রাজশাসনের থাবার ভিতরে। এককালে কথায় বলতো কুরুগণের শাসন। হে ব্যাস, কই সে শাসন? এখন তো শুধু কুরু বংশের কথা? এ কি বিচ্যুতি না?


    খুব মন দিয়ে শুনছিলেন ব্যাস। তিনি জানতেন এমন সময় আসবেই এবারে। বিরোধ ক্রমশ চরমে যায় যখন তখন সময় আসে তার নিষ্পত্তির। আজ এ বিরোধ চরমের দিকে যাচ্ছে। এখনো সত্যি কথা বলতে চরম অবস্থানে পৌঁছয়নি। কিছু হত্যা, কিছু ধ্বংস দিয়ে এর বিচার করার মানে নেই। পান্ডুর অসহিষ্ণুতা তিনি জানতেন।  বনবাসীদের বিক্ষুব্ধ করে সে ঠিক করেছে এমন তিনিও মনে করেন না। কিরাত, শবর, পুলিন্দ, নাগ, রাক্ষস দক্ষিণে বানর, ভল্লুক ইত্যাদিরা বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী, কিন্তু প্রাচীন গোষ্ঠী। তারা তাদের অধিকার কাউকে ছেড়ে দেবেনা সহজে। অরণ্য তাদের প্রাণ। সভ্যতার যে বিকাশ দেবখণ্ডে বা উত্তরাখণ্ডে বয়ে চলেছে তাকে তারা বেশ সন্দেহের চোখে দ্যাখে। এমনকি আজকাল দক্ষিণের অগস্ত্যপন্থীরাও বেদবাদকে খুব সমর্থন করছেনা কোথাও কোথাও। প্রাচীন অগস্ত্য-পন্থা এবং নবীন অগস্ত্য-পন্থা দুটি বিভাগ হয়ে গেছে। এবারে এদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া মানে হল এদের রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করা। কোনো মানে হয় না এর! মহাকবি বাল্মিকীর কাব্যে এই গোষ্ঠীগুলোর বিভেদ কী ভাবে সাহায্য করেছে রামকে, তার পরিষ্কার বিবরণ থাকা সত্ত্বেও না রাজা, না পণ্ডিত, কেউই তার দিকে মন দিচ্ছেন না। উপরন্তু পৃথক পৃথক কারণে এদের সঙ্গে বিবাদ করে এদের আরো সন্দিগ্ধ এবং বিদ্রোহী করে তুলছেন। এখন এর সময় নয়। এখন দরকার শান্তি। পরিপূর্ণ ক্ষমতা হাতে আসার আগে অবধি একযোগে সকলকে বিরোধী করে নেওয়া মনুনীতির বিরোধী।


    -কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ, এই গণের সভা কৌরব রাজবংশ কেন ডেকেছেন তা আমি জানি। এও জানি আপনার দূত গিয়েছে সকল গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের কাছে। কিন্তু তারা যে কথা বলেনি এবং আমি যে কথা জানতে চাই তা হল-


    -আমি আপনাকে একটু থামাতে বাধ্য হলাম অশ্বল! যে কথা আপনি জানতে চান তা আমি পরিষ্কার করে বলি। এর জন্য এত বিশদ ভূমিকার প্রয়োজন নেই।


    -বেশ। বলুন আর্য!


    -অশ্বল,সমাজে যখন অর্থ ছিল না,যখন বিনিময় ছিল মাধ্যম তখন গণের ব্যবস্থা ছিল সুপ্রযুক্ত। কিন্তু অর্থের উদ্ভব আমাদের হাত বেঁধে দিয়েছে। আজ এই অর্থ ব্যবস্থাকে চালিয়ে নিয়ে যাবার জন্য লাগে কর্মী এবং সৈন্যের বাহিনী। সে বাহিনীকে চালাবে কে? গণের ব্যবস্থার কথা বলছেন, তার দুর্নীতি ছিল অন্তহীন। সে কি আপনি ভুলে গেছেন? ভুলে গেছেন সেই ব্যবস্থা ঘিরে কত কত বার বিদ্রোহ হয়েছে, নতুন নগর গড়ে উঠেছে। গ্রামগুলি নিজেদের সুবিধা মত এক রাজত্ব ছেড়ে অন্য রাজত্বের সঙ্গে যোগদান করেছে। এমনকি যে আদিবাসীদের পক্ষ আপনারা নিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেও আলাদা চুক্তি করে একই রাজ্যের একটি গ্রাম, অন্য একটি গ্রামের বিরুদ্ধে তাকে সামরিক আক্রমণের উৎসাহ দিয়েছে। নিশ্চই আপনি এ সব ভুলে জাননি?


    -নাহ্‌,আমি কিছুই ভুলিনি। কিন্তু রাজশাসন এই কারণে মহান আপনি নিশ্চই বলতে চাইছেন না? সেক্ষেত্রে আমাকে বলতে হয় রাজারা তাদের প্রাপ্য অর্থের অতিরিক্ত আদায় করতে করতে কোষাগারকে নিঃস্ব করেছে, যুদ্ধের পর যুদ্ধ বাধিয়েছে, গণের মাথাদের এককালে অর্থের বিনিময়ে কিনেছে, আরেককালে তাদের দমন করেছে। সাধারণ নাগরিকের কোনো অধিকারই আজ নেই রাষ্ট্র পরিচালনে। অপদার্থ অশক্ত রাজা কারোর না কারোর হাত ধরে চলে এবং ক্ষতি করে জনসমূহের। গণের ব্যবস্থায় এর পরিবর্তন সম্ভব ছিল,এই ব্যবস্থায় কী হবে? কেন একে এই দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং আপনার মত মান্য পণ্ডিত একে সমর্থন করছেন?


    এই কথাগুলো আসতই। ব্যাসও জানেন। সময় এত জটিল যে সকলেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আগ্রহীও হবে। এই সমস্যায় তাঁর সবচেয়ে জোর আজ তিনি নিজে না, দেবব্রত। অশ্বলের কথা নিয়ে দেবব্রতকে ভাবাতে হবে। না হলে সম্ভব না শুধুমাত্র সামরিক শক্তিতে এর প্রতিকার। বহিঃশত্রুর আক্রমণ রোধ করা যায়,কিন্তু আভ্যন্তরীণ শত্রুকে সামরিক শক্তিতে দমন করতে যাওয়ার অর্থ নিজের পতনের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলা। গোটা সমাজ দু-ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। এই বিরোধ শুধুমাত্র রক্তক্ষয়েই শেষ হবেনা, এমনকি শেষও হবেনা। শুধু মনে হবে শেষ হল বুঝি, আসলে চলবে প্রজন্মান্তরেও। ব্যাস অশ্বলকে বললেন,


    -ভুল অশ্বল। আমি একে সমর্থন করছিনা। আপনি জানেন আমার বংশ একদিন এই বনবাসীদের সাহায্যেই বিশ্বামিত্র রাজার বিরোধ করেছিল। কি করে ভাবছেন আমি বশিষ্ঠের বংশজ হয়ে এই ঘোর কুশাসনকে সমর্থন করবো?


    -তবে আপনি কী চাইছেন?


    -আমি চাইছি প্রকৃত শাসককূল। একটু অপেক্ষা করুন, আপনিও আমার সঙ্গে একমত হবেন এই বিষয়ে। কালকে গণের সভা হয়ে যাক, আমি এ বিষয়ে বিশদ আলোচনায় বসতে চাই আপনার সঙ্গে। সেই আলোচনায় চেষ্টা করবো গাঙ্গেয় দেবব্রতকেও উপস্থিত করতে। আপনি বা আপনার সঙ্ঘ নিশ্চিত থাকতে পারেন শ্রমণ অশ্বল, আমরা এই কার্যে বিন্দুমাত্র অমনোযোগের অবকাশ রাখবো না।




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৩ জুলাই ২০১২ | ১২৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sujata | ***:*** | ০৩ জুলাই ২০১২ ০১:০৬90427
  • কিচ্ছুটি পড়তে পারলাম না। শুধু চৌকো বাক্স।
  • শুদ্ধ | ***:*** | ০৪ জুলাই ২০১২ ০৫:১৫90428
  • কেন পেলেন না বুঝছি না! তবে আমি তো দেখতে পাচ্ছি।
  • aranya | ***:*** | ০৫ জুলাই ২০১২ ০২:৪৭90429
  • শুদ্ধ দারুণ লিখছেন, খুব ভাল লাগছে পড়তে।
  • শুদ্ধ | ***:*** | ১০ জুলাই ২০১২ ০৫:৪৬90430
  • অসংখ্য ধন্যবাদ অরণ্য। বেশ কদিন পরে এলাম বলে দেখতে দেরী হয়ে গেল। ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন