এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক

  • মহাভারত ষষ্ঠ পর্ব

    শুদ্ধসত্ব ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ০২ জুলাই ২০১১ | ১৪০৫ বার পঠিত


  • ঘুমহীন একটা রাত চলে যাচ্ছে, হয়তো আরো অনেক এমন রাতের পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে এ! বিদুর শুনছিলেন স্তব্ধ হয়ে ওই নারীর কথা। কিছুই যেন হয়নি এমন অনায়াস ভঙ্গীমায় বলে চলেছিলেন পৃথা। মাঝে মাঝে বিদুর ভাবেন নারী কোমল এমন কথা বলে যারা তারা কি উন্মাদ? তারা বোধ হয় এমন একটি নারীকে দেখেনই নি। আজও বিদুর ভোলেন না পৃথার চলে যাওয়ার আগের রাত। মহারাজ পাণ্ডু বনবাসে চলে যাবেন পরের দিন ভোরে। সঙ্গে যাবেন দুই মহারাণী। রাজ্যবাসী জানে ভোগবাসনায় মহারাজের অরুচি হয়েছে। ভোর হতে না হতেই সকলে এসে সমবেত হবে পথের দুধারে। ভয়, ভক্তি বা কৌতুহল নিয়েই আসবে সকলে পাণ্ডুকে বিদায় দিতে। অন্যান্য কুলবৃদ্ধগণ দেবব্রতের সঙ্গেই থাকবেন। থাকবেন ধৃতরাষ্ট্র, যিনি ভাই-এর প্রতিনিধি হিসেবে এ রাজ্য শাসন করবেন। অন্ত:পুরের থেকে বেরিয়ে আসবেন পিতামহী সত্যবতী এবং বড় ভ্রাতৃজায়া গান্ধারি, কুন্তী এবং মাদ্রীকে বিদায় জানাতে।

    রাত্রির প্রথম প্রহর অতিক্রান্ত হতেই পৃথা এসে দাঁড়ালেন বিদুরের সামনে। অন্ত:পুর থেকে ঘোমটা দিয়ে দাসীর ছদ্মবেশে এসেছিলেন বিদুরের কাছে এই মন্দিরেই। পাণ্ডুও যৌন-রোগগ্রস্ত। কোনো উপায় নেই তার উপশমের। কোনো না কোনো বনাঞ্চলে কোনো না কোনো অসতর্ক সঙ্গমে এ রোগ তাঁকে ধরেছে। মুক্তি নেই। রাজ্যে থেকে যদি এই রোগগ্রস্ত হয়ে দেহত্যাগ করেন তাহলে পাণ্ডুর অসন্মানের শেষ থাকবেনা, শেষ থাকবেনা কুরু কূলের অগৌরবের। বারেবারে একই কারণে যদি সিংহাসন রাজশূন্য হয় তাহলে কুরুসভাও তাকে অনুমোদন করবেন না। বিচিত্রবীর্য্যের ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রথার সাহায্য নেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু সে সময় ছিল আলাদা। তাছাড়া তার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন স্বয়ং গাঙ্গেয় এবং পিতা মহাঋষি ব্যাস। এবারে? ব্যাসকে আর আমন্ত্রণ জানানো যাবেনা, পুত্রবধুদের সঙ্গে সঙ্গমের জন্য। অন্য কেই বা হতে পারে? মাতা সত্যবতীর সঙ্গে ব্যাসের রক্তের সম্পর্কের জন্য তবু মেনে নেওয়া গেছে এই ব্যবস্থা। এবারে কে? ওই উচ্চ অবস্থান আছে এবং বংশের সঙ্গে জড়িত এমন কেউই নেই। সেক্ষেত্রে কী হবে? এই দোয়াবের অন্যত্র রাজার শাসন নিয়ে বেশ সমস্যা চলছে। বহু জনপদই চাইছেনা রাজার শাসন। তারা চায় গণের হাতে ক্ষমতা। তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে শ্রমণরা। তারাও মনে করে গণই একমাত্র প্রজাপুঞ্জের স্বার্থরক্ষা করতে সক্ষম। কুরুসভাও যে সেই দাবী তুলবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায়? এই সব ভেবে চিন্তেই গাঙ্গেয় এবং পিতা অনুমোদন করেছেন এই অবস্থান। কিন্তু এই কি সব?

    না, এই সব নয়। এর বাইরেও আছে আরেকটি জটিল কারণ। সেই কারণ ওই নারী। আর বিদুর নিজেও জড়িয়ে আছেন সেই কারণের সঙ্গে। ওই নারীর শরীরে রয়েছে তাঁর বীজ। সদ্য জানা গেছে সেকথা। মহারাজ পাণ্ডু জানেন কি না তা জানা হয়নি বিদুরের! মহারাজ বলেই বিদুর তাঁকে সম্বোধন করেন। একই পিতার সন্তান হলেও পাণ্ডু বা ধৃতরাষ্ট্র কেউই নিজেরাও কখনো ভোলেননি বা তাঁকেও ভুলতে দেন নি যে তিনি দাসীপুত্র। পাণ্ডু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রাজকুমার থেকে যুবরাজ এবং পরে মহারাজই হয়ে থেকে গেছেন তাঁর কাছে। কিন্তু পৃথার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বা তাঁর বীজ পৃথার শরীরে, এ নিয়ে মহারাজের কী বা কতটা জানা তা প্রকট নয়। মহারাজের ব্যবহারের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

    আর পৃথা? তাঁর কাছ থেকে এ কথা জানে কার সাধ্য? বিদুর এবং পৃথা প্রায় সমবয়সী। মহারাজ পাণ্ডুর এই স্ত্রী তাঁর চেয়ে সামান্য কিছু বছরের ছোট। কিন্তু আচারে আচরণে বহু সময়েই মনে হয় বুঝিবা তাঁর চেয়েও বড় এই নারী। সেখানে পাণ্ডুর থেকে একদিন পরে জন্মানো বিদুরের সামনেও ইনি সমকক্ষের মতই আচরণ করবেন এটাই স্বাভাবিক। আসলে অভিজ্ঞতা মানুষকে উচ্চাবস্থায় নিয়ে যায়। পৃথার কুমারী জীবনধারা তাঁকে সেই উচ্চতা দিয়েছে যেখান থেকে তিনি তাঁর স্বাতন্ত্র্য দাবী করতে পারেন। স্বয়ং পাণ্ডুও তাঁর এই স্ত্রী-র সঙ্গে সামলে-সুমলে চলেন। কিছুটা বোধহয় হীনমন্যতাও আছে তাঁর এ নিয়ে। সেই কারণেই আরো মদ্রকন্যাকে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। অদ্ভুত বিচার এই গাঙ্গেয়র। নিজে সংসার করলেন না, তবু সংসারের জটিলতা বোঝেন কম একথা কেউ বলতে পারবেনা। সেদিন তিনিই এই বিবাহের আয়োজক ছিলেন এবং পাণ্ডুকে রাজশাসন থেকে নিবৃত্ত করার পিছনে আসলে উদ্যোগীও তিনিই।

    গণের প্রভাবাদি কারণ দেখিয়ে তাঁকে প্রকৃত প্রস্তাবে আসলেই পাঠানো হচ্ছে নির্বাসনে এ কথা পাণ্ডুও জানেন। কিন্তু রাজা পাণ্ডু আসলে শক্তিহীন। সামরিক শক্তি এখনো ভীষ্মের অধীন। কাজেই মানতে বাধ্য তিনি। সেদিন পাণ্ডুকে নিয়ে বিদুরের তত চিন্তা ছিল না, যতটা ছিল এই রমণী বা তাঁর গর্ভস্থ সন্তান নিয়ে। কিন্তু পৃথা সামান্য কয়েক পলের সাক্ষাতে সে সব প্রশ্নেরও অবকাশ দেননি তাঁকে। অনায়াস নিস্পৃহতায় তাঁকে শুধু বলে যেতে এসেছিলেন তিনি ফিরে আসবেন একদিন। আসবেনই! একা নয়, সন্তানসমেত। পাণ্ডু সমেত অথবা পাণ্ডু ছাড়া। কোথায় থাকবেন, কী ভাবে বাঁচবেন কৌরব রাজশক্তির সহায়হীন কুরুকুলপতি, তা নিয়ে তাঁর কোনো প্রশ্নই পৃথাকে স্পর্শ করতে পারেনি যেন! বিদুরও জানতেন পাণ্ডু বিহীন এই পুরীতে সধবা পৃথার উপস্থিতি বিপজ্জনক। ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারি, মাতা সত্যবতী-এঁরা কেউই মেনে নেবেন না। তার উপরে পুত্র সম্ভাবনাতো নয়ই। অম্বিকা, অম্বালিকা তবু দুই রাজপুত্রের জননী এবং তাও সে কাজ তাঁরা নিয়োগপ্রথায় আদেশের বশবর্তী হয়ে করেছেন বলে কিছুটা ছাড় পেয়েছেন, ইনি তাও পাবেন না। অবশ্য ছাড় পেয়েই বা কী হয়েছে? এই দুই রাজরাণীর উপস্থিতি এখন নিতান্তই সংস্কৃত বর্ণমালার বিসর্গের মত ওই কুরুপ্রাসাদে। চন্দ্রবিন্দু হওয়া থেকে একটু মাত্র দূরে দাঁড়িয়ে বহুকাল। কিন্তু পৃথার জন্য বোধহয় ওই জায়গাটুকুও জুটবে না, একথা পৃথার মতই বিদুর জানতেন এবং এও জানতেন হস্তিনাপুর বা তার বাইরে পৃথাকে রক্ষা করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, সে যতই তিনি রাজসভার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা হন না কেন!

    পৃথাও তাঁর দুর্বলতাকে আঘাত না করেই নি:শব্দে সরে যেতে চেয়েছেন এবং যাবার সময়ে আরো নি:সাড়ে আঘাত করে গেছেন বিদুরকেই। যে পৃথিবীতে তিনি পৃথাকে রাখতে সক্ষম নন, সেই একই পৃথিবীতে পৃথা নিজেকে, নিজের সন্তানকে রাখা এবং ফিরে আসার অঙ্গীকার করে গেলেন তাঁর কাছে। তাহলে তিনি কি পৃথার কাছে তুচ্ছ হলেন না? হলেন? কিন্তু তিনি বিদুর। তিনি তুচ্ছাতিতুচ্ছ হয়েই জন্মেছেন। অনুগ্রহভাজন মাত্র। ধীশক্তিতে জ্ঞানকে বশ করেছেন, কর্মকে জয় করেছেন কিন্তু ভাগ্য তাঁকে মেরেই রেখেছে। এই তুচ্ছতাই তাঁর আজন্মের সঞ্চয়। মাথা নীচু করে ফিরে এসেছিলেন সেদিন। আর গরবিণীর মত রাণী কুন্তী চলে গিয়েছিলেন রাজভূষণ ছেড়ে সামান্য আশ্রমবাসিনীর আভরণে। আজ, এই নিশাকালের প্রায় অবসানে তাঁর প্রশস্ত বক্ষের উপরে মৃদু বীণার মূর্ছনার মত মাথা রেখেছেন যে নারী, সেই নারী কি জানেন আসলে বিদুরের ভিতরে এখন একটা কান্নার নদী বয়ে চলেছে? সারা জীবনের দাসত্বের অপমান, লাঞ্ছনা, কষ্ট সব একটা তালগোল পাকিয়ে উন্মত্তের মত বয়ে চলেছে তরঙ্গে তরঙ্গে? আজ তাঁর নারী ফিরে এসেছে তাঁর সন্তান সমেত। প্রথম পাণ্ডব যুধিষ্ঠির-মাতা হয়ে। কিন্তু দাসীপুত্র বিদুর জানেন না হস্তিনাপুর এই নারীকে এবং তাঁর পুত্র যুধিষ্ঠির সমেত বাকি চার পাণ্ডবকে মেনে নেবেন কিনা! এমনকি জানেন না বাকি চার পুত্রের জনক কে! পৃথা এখন তাঁকে জানাবেন সে কথা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০২ জুলাই ২০১১ | ১৪০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন