অভ্যুত্থান হয়েছে? বেশ চমকে উঠলেন ব্যাস। তাঁর ধারণায় ছিল না এটা। তিনি জানতেন বিক্ষোভের কথা, জানতেন অত্যাচারের কথা, জানতেন যারা বিরোধী তারা দীর্ঘ্যদিন এই একটি দিনের আশায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তার সাফল্য আসতে পারে একথা তাঁর সত্যি মনে হয়নি। কারণটা খুব সহজ। জরাসন্ধের জাল কেটে বেরিয়ে আসা আজকের এই উত্তরাখন্ডে প্রায় অসম্ভব। জরাসন্ধ নিজে মথুরা শাসন না করলেও শাসক তাঁর জামাই। অতএব এই আর্যাবর্তের কোনো রাজা, এমনকি কৌরবদেরও সাহস হয়নি বিদ্রোহীদের সাহায্য করা। অনেকবার গোপনে দূত এসেছে গাঙ্গেয়র কাছে। তিনি শুনেছেন সহৃদয়তার সঙ্গে, মর্মাহতও হয়েছেন, কিন্তু সরাসরি সাহায্য করার আশ্বাস দিতে পারেননি। কুরুগণের সভা-ও এ কাজ মেনে নেবেনা। নিয়ম হচ্ছে জরাসন্ধ এবং কুরুকূল পরস্পরকে এড়িয়েই চলবে, আর চক্রান্ত শানিয়ে যাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে, সন্দেহের চোখে দেখবে পরস্পরকে, কিন্তু বাহ্যিক সৌহার্দ্যের ত্রুটি ঘটবেনা। সেখানে এ কি করে সম্ভব? অথচ খবর নিয়ে এসেছেন ঋষি কদম। তিনি এসেছেনও বেশ কদিন হল। ব্যাস হস্তিনাপুরের কর্মকাণ্ড সমাপ্ত করে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। নিজের কাজ ফেলে রেখে ঋষি কদম এমনিতে এতদিন অপেক্ষা করার লোক না।
চতুর বর্মা যতই বলুন তিনি এখন অন্তত ঋষিকে অপেক্ষা করাতে পারবেন না। তিনি নিজেই ব্যাকুল জানার জন্য। তাছাড়া ইনি তাঁর প্রিয় সখা কদম। সময় বা ক্ষুৎপিপাসা অপেক্ষা করতে পারে তাঁর জন্য, কদম না। অধিরথের রথ থেকে নেমে সোজা এগিয়ে চললেন অতিথির কুটিরের দিকে। উদ্যানে এবং পশুশালায় কর্মরত ঋষিযুবক এবং যুবতীরা তাঁকে প্রণাম জানাচ্ছে। বৃদ্ধা এবং প্রৌঢ়ারা গম ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে কাজ থামিয়ে তাঁকে নমস্কার জানাচ্ছেন। দূরের এবং কাছের পাঠশালাগুলি থেকে ভেসে আসছে পাঠের সুর। দ্বিপ্রহর গমনোদ্যোত। এখন চলছে সকালের পাঠকে দ্বিতীয়বার অভ্যাস করার পালা। ঋষিকুমাররা, বালকরা তাঁর আশ্রমে অন্তত মূলত পাঠাভ্যাসই করে থাকে। তিনি আশ্রমিকেদের বয়সকাল উপস্থিত না হলে গবাদি পশুচারণ পছন্দ করেন না। গুরুকূলে কায়িক শ্রমদানও তাঁর পছন্দ না। এতে পাঠের বিঘ্ন ঘটে। কম সম্পদশালী মুনি-ঋষিদের এটা বাধ্যতা। তাঁদের আলাদা করে লোক রাখার সামর্থ্য আগেও ছিল না, এখনো নেই। তাঁদের ছাত্ররাই সকল কর্মে সহায়তা করবে এবং গুরুর জন্য সম্পদ উপার্জন করবে বা তাঁর সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এটাই বিধেয়। কিন্তু তাতে করে এখনকার সময়ে আর চলতে পারেনা। সামান্য বেদশিক্ষার বাইরে অন্য শিক্ষাদি সেই কারণেই এই সকল আশ্রমে কম পরে। স্মৃতি, নিরুক্ত, ব্যাকরণ, কল্পাদি অধ্যয়ণ প্রায় হয়না সেখানে। এখানে তা হয় না। অনেক বিষয়ে জ্ঞানচর্চার আবশ্যকতা আছে এখন। সেই সকল বিষয় এখানে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে অধিত হয়। ছাত্রদের অধ্যয়ণই কাজ। তারা এখান থেকে যখন বেরোয় তখন তাদের জীবিকার জন্য ভাবতে হয় না। এই আর্যাবর্তের যে কোনো প্রান্তে, অবশ্যই জরাসন্ধের সাম্রাজ্য ব্যাতীত, তারা রাজার যাজ্ঞিক থেকে, রাজপুত্রদের শিক্ষক বা নিতান্ত স্বাধীন শিক্ষাদান কর্মের হোতা হিসেবেই জীবন নির্বাহ করতে পারে। সাধারণের দোরে দোরে ভিক্ষান্ন লাভে, বা গৃহস্থের পুজাপাঠের কাজে তাদের যাবার প্রয়োজন হয় না। এই কারণেই আবার ব্যাসের আশ্রমে শিক্ষাগ্রহী ছাত্রকুলের স্রোত লেগে থাকে। কিন্তু স্থান সীমিত বলে সকলের ঠাঁই হয় না। এমনকি ছাত্র নেওয়ার জন্য পরীক্ষাও করতে হয় আজকাল। সেই ছাত্ররা প্রস্তুত হচ্ছে। তারই শব্দের মধ্যে দিয়ে সাঁতার কাটতে কাটতে ব্যাস পৌঁছলেন অতিথির কুটিরের সামনে।
কদম খবর পেয়েছেন ব্যাস আসছেন। তিনি অপেক্ষায় ছিলেন। অনেকদিন পরে দেখা হল ব্যাসের সঙ্গে। এককালে একইসঙ্গে অধ্যয়ন করেছেন তাঁরা। তারপরে কদম চলে গেছিলেন নিজের রাজ্যে। শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু গিয়ে শিক্ষাদান আর করা হল কই? দেখা হল মহর্ষি গর্গের সঙ্গে। কণাদপন্থী গর্গ চিরকালই বেদবিরোধী। আর কদম বেদবাদী। খুব একটা মিলমিশ খাবার কথা না। তবু সেটাই হল। এই তো জগত!যা হবার কথা না তা হয়ে যায়, যা হবার তা হয় না। কদম যাদব না, কিন্তু যদুবংশের সঙ্গে তাঁর পূর্বপুরুষেরা বহুকাল সম্পর্কিত। বৃষ্ণি বা অন্ধক কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গেই তাঁদের যোগ ছিল না। কিন্তু এককালে যখন উদ্রসেন রাজা হলেন তখন অন্যান্য পন্থীদের সঙ্গেই বেদবাদীদেরও স্থান দিয়েছিলেন রাজত্বে। কদমের পূর্বজরা এসেছিলেন আরো পশ্চিম থেকে। একেবারে কট্টর ঋক্পন্থী ছিলেন তাঁরা। ক্রমশ পশ্চিমে সামের প্রভাব বাড়ছিল বলে নিজেদের স্থান ত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এখানেও সুখ বেশীদিন সইলো না। উগ্রসেন বন্দী হলেন নিজ সন্তান কংসের হাতে। কংস বেদবাদের বিরুদ্ধে গেল শ্বশুর জরাসন্ধের প্ররোচনায়। কদম তখন শিক্ষালাভের জন্য পরাশরের আশ্রমে। ফিরে এসে দেখলেন তাঁর পরিবার সকল হারিয়েছে। বৃদ্ধ পিতা কোনোক্রমে টিকে আছেন। পিতামহ, মাতা সকলেই মৃত। তাঁর পৈতৃক ভিটে এবং পরাশরের আশ্রমের দূরত্ব ছিল গো শকটে কমপক্ষেও এক বছরের রাস্তার। একমাত্র ঘোড়ার পায়ে দূরত্ব দাঁড়াত ছয়মাসের। আর পায়ে হেঁটে হলে দু বছর তেত্রিশ দিনের। দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের কারোর পক্ষেই সম্ভব ছিল না এই সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার। পাঠ সমাপ্ত হবার মুখে আশ্রমে আগত ঋষিদের কাছে কদম শুনেছেন মথুরা রাজ্য রাহুগ্রাসে চলে যাচ্ছে। বেদবাদীদের বলে শুধু না কংস তার বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে এমন কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। আবার কেউ কেউ, যারা তার ভজনা করছে তাদের ছাড় দিয়েছে। তাদের সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠছে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে তাঁর পরিবারের খবর আলাদা করে জানাতে কেউই পারেননি। গিয়েই জানলেন সব। আশ্রম গড়ার পরিকল্পনা শেষ। এমন সময় এক রাত্রে এল মহর্ষি গর্গের দূত। গৃহত্যাগ করলেন কদম। সেই শুরু। তারপরে তিনি গর্গের সঙ্গেই ঘুরে বেড়িয়েছেন গোটা মথুরা রাজ্য। কংসের প্রহরীদের হাত এড়িয়ে সীমান্ত পেরিয়ে অরণ্য পথে ঘুরেছেন উত্তরাখণ্ডের সকল রাজ্য। সাহায্য যোগাড়ের কাজে। গর্গ থেকেছেন মথুরা রাজ্যেই। অক্রুর, পৌল সাত্যকী ইত্যাদি রাজকর্মচারীদের উৎসাহিত করেছেন বিদ্রোহে। গোপন ষড়যন্ত্র চালিয়েছেন। জনসাধারণের মধ্যে চালিয়ে গিয়েছেন কংসবিরোধী প্রচার। বহুবার মৃত্যুর একচুল দূরত্ব থেকে বেরিয়ে এসেছেন জীবনে। বহুবার সঙ্গীরা ধরা পড়ে গিয়েছে। কংসের মত্ত রাজহস্তী রাজপ্রাসাদের সামনের চওকে, পায়ে থেঁতলে মেরেছে তাদের। কংসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শাস্তি মৃত্যু। জনমনে এই কথাটা কংস গেঁথে দিতে চেয়েছে নৃশংসতার চূড়োয় উঠে। কিন্তু সে সব দিন এখন অতীত। এখন মুক্তির দিন। কংসের শাসন শেষ।
দুই সহপাঠী পরস্পরকে সম্ভাষণ করার বদলে জড়িয়ে ধরলেন। ব্যাস, এই একটি মানুষের ক্ষেত্রে গুরুপুত্র না, বন্ধুই ছিলেন। কদম, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে দুঃসাহসী, সবচেয়ে বেপরোয়া এবং মেধাবী ছিলেন। ব্যাস এখনো মনে করেন, কদম যদি বিদ্রোহে জড়িয়ে না পরতেন তাহলে বেদ বিভাজন করার কাজটা তিনিও করতে পারতেন! অথবা সংহিতা রচনার কাজ। কিন্তু বিদ্রোহ সকল কিছুর অবসান ঘটিয়েছে। প্রৌঢ় হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মাথার চুলে পাক। কিন্তু কদমের মাথার চুল আর তাঁর মধ্যে ফারাক হল তিনি এখনো দীর্ঘ্য কেশাবৃত। কদম সত্যি কদম ছাঁট করে নিয়েছেন চুলে। সম্ভবত আত্মগোপন কালের ফসল। ছিপছিপে চেহারাটায় একটু পাক ধরেছে শুধু, সেখানে ব্যাসের শরীরে জমেছে কিছু মেদ। চামড়ায় রয়েছে তেলের সঞ্চার। কদম রুক্ষ। চোয়ালের কাছে যে কাটা দাগটা ছিল চামড়া কুঁচিয়ে সেটা আরো গভীর দেখাচ্ছে।
গাঢ় দৃষ্টিতে দেখছেন ব্যাস। সেই বালকটি কই? কদম-ও একই অনুরাগপূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন তাঁর দিকে। সত্যি!এই কি সময়ের শিল্প? অমোঘ ভাস্করের মতন তাঁদের চেহারায় কত কত কারুকার্য্য খোদাই করেছে সময়। হায়!এই তো সেদিন ছিল যেন। কত কত গোপন দুষ্কর্মে দুজন মত্ত হয়েছেন তার ইয়ত্তা ছিল না। আশ্রমিকরা যা কল্পনা করলেও শিউরে উঠবে এমন কাজও তাঁরা করেছেন অবলীলায়। শুধু কৌতুহলের জন্য। নিজেদের ব্রাহ্মণ্যত্ব নিয়েও তাচ্ছিল্য করেছেন, খেলা করেছেন তাঁরা। মুখের কাটায় হাত বোলালেন কদম। এই কাটার পিছনের গল্পটিই তো আশ্রমিকদের চিত্তের ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। ব্যাসও হেসে ফেললেন এই বার। ওই কাটায় হাত দেওয়াই তাঁকেও মনে করিয়ে দিল সব।
ব্রাহ্মণদের নিষেধ ছিল মৃতদেহ স্পর্শের বিষয়ে। তায় তাকে নাড়াঘাঁটা তো একেবারেই নিষিদ্ধ। দুজনেই অথর্ববেদ অধ্যয়ন করছেন তখন। পিতা পরাশর যখন পাঠ দিতেন তখন তিনি ছুঁৎমার্গের ধারও ধারতেন না। অথর্বের মধ্যে থাকা ঋক্--এর বিরোধগুলিকে ধরিয়ে দিয়েছেন। দুজনেই বুঝছেন চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করতে গেলে খুব জরুরী শব ব্যবচ্ছেদ। কিন্তু পিতা পাঠের ক্ষেত্রে অনেক পরিচ্ছন্ন হলেও মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের এই নিয়মকে ভাঙতে রাজি ছিলেন না। তাই গোপন অভিযান।
এক পূর্ণিমার রাত্রেই তাঁরা গিয়েছিলেন শ্মশানে। আলো না থাকলে শবনিরীক্ষণ করা যাবেনা। সঙ্গে করে প্রদীপ নেওয়াও চলবে না। তাই প্রকৃতির আলোতেই দেখতে গিয়েছিলেন শব। সদ্য আনা মৃতদেহর সঙ্গে থাকা শবযাত্রীদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেও কদমের বুদ্ধি। সাদা কাপড় জড়িয়ে অর্জুন বৃক্ষের ডালে বসেছিল সে। পূর্ণিমার রাত্রে সকল প্রান্ত যখন আলোয় ভেসে যাচ্ছে তখন ওই কাপড় লেগেছিল অপ্রাকৃত। হাওয়ায় ধীরে ধীরে দুলছে। ব্যাস গাছের নীচে কান্ডের আড়ালে দাঁড়িয়ে গোঁঙানির শব্দ করছিলেন। অরণ্যের প্রান্তের শ্মশানে শবযাত্রীরা ওই দেখে মৃতদেহ নামিয়ে দে ছুট! দুজনে তখন ধীরে ধীরে এসে দেখতে শুরু করেছিলেন শবটি। না। ব্যবচ্ছেদ করা হয়নি তাঁদের। সবে ছুরিটি বের করতেই শ্মশানের পাহারাদার এবং ডোম দুজনেই শবযাত্রীদের আহ্বানে এসে পড়েছিল। দূর থেকেই তাদের হাঁক এবং আসার শব্দ শুনেই ছুট দিয়েছিলেন তাঁরা। পিতার কানে খবর গেলে রক্ষা নেই। আসলে শ্রেষ্ঠীর শব ছিল। তাই অর্থের লোভে শ্রেষ্ঠীর আত্মীয়রাই ফিরিয়ে এনেছিল বাহকদের। নিজেরাও ফিরেছিল। এই খবর কোনো ভাবে পাঁচকান হলে শ্রেষ্ঠীর ছেলের বদান্যতা থেকে বঞ্চিত হবে তারা। শবযাত্রীরা যে এদের নিয়ে ফিরে আসবে এতটা তাঁরা ভাবেননি। দৌড়তে গিয়েই কদম পড়েছিল একটি গর্তের মধ্যে। সেই গর্তে পড়ার সময়েই তার থুতনিতে লাগে চোট। রাত্রে সেই চোট নিয়েই শুয়ে পড়েছিলেন দুজনে। পথে খুঁজে নেওয়া গুল্ম থেঁতো করে রক্ত বন্ধ করেছিলেন। তারপরে রাত্রে আশ্রমের ভাঁড়ার থেকে হরিদ্রা চুরি করে পাথরে থেঁতলে চিকিৎসা হয়েছিল। পরের দিনই ধরা পড়েছিলেন। যদিও আসল কারণটা পিতাকে বলা হয়নি, তবু রাত্রে আশ্রম ত্যাগের জন্য শাস্তিও পেয়েছিলেন দুজনেই। পিতা শুধুমাত্র সঠিক গুল্ম এবং হরিদ্রা চুরি করে ঔষধ বানানোর জন্য শাস্তি কিছুটা লঘু করেছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় শাস্তি দিয়েছিল এক আশ্রমকন্যা। কদম যে আশ্রমকন্যাটির প্রতি কিছুটা আসক্ত ছিলেন সে যখন কদমকে ওই কাটা দাগের জন্যই অবহেলাভরে দেখে চলে যায় আর এক আশ্রমকুমারের কাছে, তখন কদমের মুখটি দেখার মতন হয়েছিল। কদম সখেদে বলেছিল,
-এ দাগ থাকবে মুখে, আর ও দাগ থাকবে বুকে।
-হা হা হা হা হা হা!
দুজনেই উচ্চহাস্যে বেজে উঠলেন এই বয়সেও। হ্যাঁ, সকলই পটের ছবির মতন ভাসে আজও। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে প্রবেশ করলেন কুটিরে। আজ তাঁদের পূনর্সন্মিলনের দিন।