এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক

  • মহাভারত - পঞ্চম পর্ব

    শুদ্ধসত্ব ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ২০ জুন ২০১১ | ১৬৭০ বার পঠিত

  • পৃথা, আরেক কন্যকার নাম। রাজা কুন্তীভোজের পালিতা দত্তক কন্যা। জনসমাজে অনেককাল ধরেই পুত্রের মতই কন্যার উপযোগিতা হিসেব করে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ সংসারে তার কাজ পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়া বিশেষ করে। কন্যা সন্তান খুব একটা কাঙ্খিত নয়। তার বিবাহের জন্য বড্ড সমস্যা। তাছাড়া সমাজ ভরে আছে দুরাচারে। কোনো রাজশক্তিই একে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম নয়। কন্যা জন্মালে যে কোনো সময়ে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জারজ সন্তানে সমাজ ভরে যাচ্ছে। কিন্তু সেই কন্যাই আবার উচ্চাকাঙ্খি পরিবারে সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। রাজা থেকে রাজপুরুষেরা কেউই তাকে সে কাজে ব্যবহার করতে পিছপা নয়। আবার সাধারণের মধ্যেও সেই হিসেবে একাংশ বেশ দড়। রাজা কুন্তিভোজও পৃথাকে তাঁর নিজের পুত্রসন্তান জন্মানোয় বংশধারা সুনিশ্চিত হবার পরে থেকে সেই কাজেই ব্যবহার করেছিলেন। মুনি-ঋষি থেকে অন্য রাজন্য বন্ধুরা পৃথার সেবায় সন্তুষ্ট হতেন। সেই সেবার পরে তাঁদের সঙ্গে কুন্তিভোজের সম্পর্ক উন্নতই হত। যদুবংশের যা দশা ছিল তাতে এই সামাজিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়া কিছুতেই সম্ভব ছিলনা নিজেকে টিকিয়ে রাখা। কংসের দাপটে ক্রমে ক্রমে অন্ধক, বৃষ?ণি সকলেই ঢাকা পরে যাচ্ছিল। কংসের পিছনে ছিল জরাসন্ধের সবল হাতের আশীর্বাদ। জরাসন্ধের জামাতা সে। কুন্তিভোজ যদি নিজেকে নিরাপদ রাখতে অক্ষম হতেন এই সম্পর্কের সুতোগুলো দিয়ে তাহলে তাঁর দশাও যে কালে মহারাজ উগ্রসেনের মত হত না কে বলতে পারে? কাজেই অন্দরমহলে কুন্তির গুরুত্ব প্রভূত ছিল।

    সেই গুরুত্বই কুন্তীকে রক্ষা করেছে দশমাস গর্ভাবস্থায়। ঋষি দুর্বাসার প্রতি তাঁর প্রেম ছিলনা। কিন্তু সমাজ গঠন এমন যে দুর্বাসাকে নিবৃত্ত করা তাঁর পক্ষেও সম্ভব ছিল না। শরীরের টান ছিল। দুর্বাসা বহুনারী সঙ্গে অভ্যস্ত এবং কুশলী পুরুষ। তাঁর শরীরি টান পৃথার কাছে কমও ছিল না। তার থেকেও বড় ছিল বাধ্যতা। দুর্বাসার শর্তই ছিল তিনি যতদিন কুন্তিভোজের আশ্রয়ে আছেন ততদিন তাঁকে কোনো কিছুতেই অপারগ বলা যাবে না। সেই শর্তের মধ্যে পৃথার শরীর অবগাহন পড়ে কিনা তা পৃথা স্বাভাবিক সঙ্কোচের বসে রাজা কুন্তিভোজের কাছে জানতে চাইতে পারেন নি। অন্যান্যরা শরীরকে ছুঁয়েছে, কিন্তু এভাবে ছানতে সাহস করেনি। তারা তো আর কেউ দুর্বাসার মত মহাশক্তিশালী নয়। দুর্বাসা ক্ষিপ্ত হয়ে এ দেশ ছেড়ে গেলে অন্যত্র অন্য কোনো রাজাকে উস্কে দিয়ে এ রাজ্য আক্রমণ করাবেন না এর কি মানে আছে? তাঁকে স্পর্শ করলেও সমগ্র ব্রাহ্মণ্য সমাজ উঠে দাঁড়াবে এবং কুন্তিভোজের বংশের সমাপ্তি ছাড়া জলগ্রহণ করবে না। কারণ এ তাদের অধিকার। সমগ্র বিশ্ব আদতে তাদেরই অধিকারের বিষয়। ব্রহ্মিষ্ঠ তারা। ব্রহ্মা থেকে জগত সৃষ্টি। সুতরাং সেই জগতে তাঁদের অধিকার ব্রহ্মার পরেই। সেখানে ব্রাহ্মণকে হত্যার পাপ তো কল্পনাতীত স্পর্শ করলেও অনাসৃষ্টি! এই ভূখন্ডে রাজশক্তির প্রতাপ এখনো এত বেশী নয় যে তারা চাইলেই সব কিছু করতে পারে। প্রজাপুঞ্জের বিক্ষোভ থেকে খরা বা বন্যা সবেতেই ব্রাহ্মণদেরই সাহায্য চাই। নাহলে রাজ্যশাসন চালানোও দুর্ভর।

    কেউ চেষ্টা যে করেনি কখনো তা নয়! এককালে রাজা বিশ্বামিত্র মহর্ষি বশিষ্ঠ্যর প্রতাপ ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঐন্দ্রজালিক, শাস্ত্রপ্রণেতা, বেদের একটি ধারার জনক এই ঋষির ক্ষমতা ছিল প্রবল। বহু রাজাদের এই কূলগুরুর পিছনে ছিল এক বিপুল জনসমর্থন। তারই সঙ্গে ছিল বশিষ্ঠ্যের বুদ্ধি। তিনি বিরোধটিকে অনায়াসে রূপ দিয়েছিলেন এই আর্যাবর্তের রাজার সঙ্গে অরণ্যচারীদের বিরোধের। তাঁর আশ্রম এবং সম্পদ অপহরণ মানে আসলে তাঁকে সরিয়ে অরণ্যবাসীদের শাসনের অধীন করা এবং তাদের অরণ্য সম্পদ দখলের ইচ্ছে। তারপরে সেই অরণ্য পরিস্কার করে হবে চাষের জমি। সেই জমি থেকে আগত কর-এ রাজার কোষাগার ভরে উঠবে। অরণ্যবাসীরাও গেল ক্ষিপ্ত হয়ে। অন্যদিকে দাঁড়ালো বশিষ্ঠ্য পূজক রাজন্যরা। তারা সরাসরি যুদ্ধে না এলেও তাদের বাহিনী পাঠালো বশিষ্ঠ্যের সাহায্যে। ব্রাহ্মণ বশিষ্ঠ্য পরশুরামের মতই একই ধারায় শিক্ষিত। শাস্ত্র এবং শস্ত্র দুই-এই তাঁর সমান দখল। কাজেই রাজা বিশ্বামিত্রর জন্য ছিল পরাজয়। তারপরে তো এক মহাযুদ্ধ চলছে। যা আজও শেষ হয়নি। বিশ্বামিত্র রাজর্ষি হয়েছিলেন। ব্রহ্মজ্ঞানী রাজা বিশ্বামিত্র সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসী, যাঁর একমাত্র ব্রত বশিষ্ঠ্যর ধ্বংস সাধন।

    ইতিহাস বলে ব্রহ্মজ্ঞান ব্রাহ্মণের অধিকারে এসেছে অনেক পরে। প্রথমে এ ছিল রাজাদের হাতে। তারপরে রাজার থেকে পায় ব্রাহ্মণ। ব্যাস জানেন কারণটা। জানতে হয়েছে তাঁকে। তবেই না তিনি বেদব্যাস। জনকের সভায় যাবেন ঋষি। সেখানে সকলে আলোচনা করবে ব্রহ্ম নিয়ে। যাজ্ঞ্যবল্ক থেকে অর্বাচীন গার্গী সকলেই আসবে। এদিকে দেশে তখন ঘোর বিপদ। খরায় চারদিক যাচ্ছে শুকিয়ে। শুধু হাহাকার আর হাহাকার! অন্ন অতি দুর্লভ বস্তু। ঋষি ভিক্ষা করতে বেরোলেন। এক শুদ্রের বাড়িতে জুটলো ডাল আর সামান্য চাল। কিন্তু বহুক্ষণ কোথাও জল জোটেনি। সব কুয়ো, পুস্করিণী শুকিয়ে গ্যাছে। ঋষি শুদ্রের বাড়িতে প্রথমে জলপান করলেন। তারপরে খাদ্য গ্রহণ। বর্ণাশ্রমে অতি গর্হিত কাজ। শুদ্রের ছায়া মাড়ালে পাপ হয়, সেখানে এত। পরিচিত জন জানতে চাইলেন এই পাপ ঋষি করলেন কেন? সাধারণ ব্রাহ্মণে করে তার একটা মানে আছে! তার অনেক সময়েই শিক্ষা কম থাকে। তাই সংস্কারও কম। প্রয়োজনে সে চুরিও করে। কিন্তু ঋষি তা বলে? ঋষি নিজে খেয়ে গৃহিণীর জন্য কিছুটা ডাল সংগ্রহ করে নিলেন সেই শুদ্রের থেকে। হেসে বললেন, অন্নই আদত। অন্নই ব্রহ্ম। অন্নাভাবে একে গ্রহণ করায় কিছুমাত্র সমস্যা নেই। অথচ সেই ঋষির উপস্থিতিতেই জনকের সভায় যাজ্ঞ্যবল্ক জানালেন ব্রহ্মা সম্পর্কিত প্রশ্ন আসলে অতিপ্রশ্ন। শাসালেন গার্গীকে, অতিপ্রশ্ন করলে মুন্ড স্কন্ধচ্যুত হবে। ব্রহ্ম অন্ন রইল না দেখেও ঋষি কিছুই বললেন না। এমন কেন হয়? আসলে শাসনের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। অন্নই যদি ব্রহ্ম হয় তাহলে আকালে, মন্বন্তরে কিম্বা অতিবৃষ্টিতে বা বন্যায় রাজার কি হবে? সে ব্রহ্মলাভ করাতে পারছেনা তার প্রকৃতিপুঞ্জকে, একি কোনো কথা হল? তাহলে তার প্রতি আস্থা থাকবে কেন? তাছাড়া ব্রহ্ম যদি এতই সহজ হবে সেক্ষেত্রে সকলেই একে অনুধাবন করতে পারে। যা সকলে অনুধাবন করতে পারে তাতে রহস্য নেই। যাতে রহস্য নেই তা দিয়ে শাসন কোনো তন্ত্র রচনা করতে পারেনা।

    এক সময়ে প্রাচীন বেদগুলি ছিল সহজবোধ্য। সূর্যাদি দেবের স্তব থেকে মেঘাধিপতি দেবরাজ ইন্দ্রপূজা ইত্যাদি সংক্রান্ত ভাবনা এবং সামাজিক আচরণাদি ছিল এর বিষয়বস্তু। তার ফলে যখন বেদাধ্যায়ীদের মধ্যে বেদের অধিকার এবং চর্চা নিয়ে বিরোধ বাধলো তখন তাকে মেটানো হয়ে গেল অসম্ভব। ঋক্‌ আর সামপন্থীদের বিরোধে দিগ্‌বিদিক মুখরিত। মুখরিত সূর্য, ইন্দ্র-বরুণাদি দেবতাদের পুজকদের বিরোধ নিয়ে। কে শ্রেষ্ঠ? কে পাবে যজ্ঞভাগ আগে? কে ঠিক করবে কোন যজ্ঞের কী রীতি? সেই অনুযায়ী অনুসারীদের সম্পদ এবং সমাজে জোর বৃদ্ধি পাবে। কাজেই এই বিরোধ সহজে থামার ছিল না। থামেও নি। বন্যায়, খরায়, দুর্ভিক্ষে তাহলে কোন দেবকে ডাকা হবে? সমাজে শাসনের মতই দেবতার কর্তৃত্ব না থাকলে সবচেয়ে বড় বিপদ জন্মাবে। প্রজাপুঞ্জ ভাববে কেন হচ্ছে এমন? রাজার শাসনের ত্রুটি তার চোখে পরবে। ক্ষত্রিয়রা একে সমাজ এবং রাষ্ট্র শাসনের পক্ষে বিপদ মনে করলেন। তাই তাদেরই হাল ধরতে হল। সব দেবতাকে ছেড়ে তারা ব্রহ্মার স্মরণ নিলেন, যিনি ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি কত্রেছিলেন, যিনি বিভাজন যা কিছু সব করে পাঠিয়েছিলেন একেবারে। এক ঈশ্বর বিরোধ মেটাবে। সমাজ শাসন এবং তাঁদের অবস্থান শক্ত হবে। তাঁরা ব্রহ্মার মনোনীত বংশ। তাঁদের কর্তৃত্বকে প্রশ্ন করা মানে হল ঈশ্বরকে অস্বীকার করা। এই কারণে সে যুগের ব্রহ্মর্ষিরা সকলেই ক্ষত্রিয় রাজা। তাদেরই কাছে এসে ব্রাহ্মণদের শিখতে হয়েছে ব্রহ্মবিদ্যা। সম্পূর্ণ নতুন এক দর্শন। এবারে আবারও সমস্যা। সে বিদ্যার ব্যাখ্যা নিয়ে আবার লেগে গেল শিবিরে শিবিরে দ্বন্দ্ব। ব্রহ্ম কী? কে ব্যাখ্যা করবে? কী সেই দেবের স্বরূপ? যজু: বা অথর্ব দিয়েও একে সামলানো গেলনা বলেই না এসেছে এতগুলি উপনিষদ। তারাও আবার ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে। অন্য সব দেবতা ছেড়ে ব্রহ্মের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে গিয়েও কত ভিন্নতা। এ সব খেলা জানেন বেদব্যাস। তিনি নজর করে চলেছেন সব বহুকাল। তিনি তাঁর পিতার মত না, শুধুমাত্র বৃক্ষ তাঁকে আকৃষ্ট করেনা, করে মানবজীবন। তিনি দ্রষ্টা হতে চান। কিন্তু নতুন করে আর বেদ সৃষ্টি করা যাবে না। তাই চাই অন্য কিছু। কিন্তু তা হতে হবে সহজ সরল। সেই এক কাজে সমাধান করতে হবে সকল শাসন এবং সমাজ বিকাশ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যার।

    তিনি এখনও জানেন না কী ভাবে হবে! তবে খুঁজে চলেছেন উত্তর। কুন্তীর পঞ্চপুত্র সমেত হস্তিনাপুরে এই সময়ে আসাটা একটি সংকেত। এর তাৎপর্য্য অসীম। পাণ্ডুর পুত্র হয়েছে এমন খবরও জানতো না কেউ। বনবাসী রাজার পুত্র? গোটা রাজ্যে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। এমনকি এই কুরুকূলের ক্ষেত্রেও এর জুড়ি নেই। ক্ষেত্রজ পুত্র নিয়েও এর আগে এত আলোচনা হয়নি। এবারে হচ্ছে। ধার্তরাষ্ট্ররা মনে করছে এ তাদের ন্যায্য অধিকারে ভাগ বসানোর চক্রান্ত, যাতে লিপ্ত আছে হস্তিনাপুরের ধৃতরাষ্ট্র বিদ্বেষীরা। বিদুরও সন্দেহর উর্ধে নয়। তাহলে? কে এর সমাধান করবেন? ভীষ্ম মহামতি শাসনের কাজে আছেন, কিন্তু এই ধরণের ক্ষেত্রে পক্ষ নেওয়া তাঁর ইচ্ছাবহির্ভূত। তাই বাকী থাকে একজনই। পান্ডু, ধৃতরাষ্ট্র এবং বিদুর এই তিনজনেরই আসল পিতা, ধর্মাধিকারী ব্যাস। পিতার পক্ষপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমস্যা হবে সকলের পক্ষেই। সেই জন্যেই মাতা সত্যবতী চাইছেন তাঁকে। ব্যাসও জানেন একথা। দার্শনিক ব্যাস এবং পিতা ব্যাস সমভিব্যহারে চলেছেন হস্তিনাপুরের পথে। আর দশ ক্রোশ পথ গেলেই পৌঁছে যাবেন, তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন মোড়ে। একটি সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে তাঁর ভবিষ্যৎ সমস্ত প্রকল্প, সমস্ত সাফল্য এবং রাষ্ট্রের সুশাসন। উত্তরীয়টি হাওয়ার টানে ভেসে যাচ্ছিল অবিরল। তাকে গায়ে জড়ালেন ব্যাস। ভাবতে শুরু করলেন অন্য বিন্দুতে আছে যে নারী সেই পৃথা এখন কী করতে পারে! তার চলনের উপরও দাঁড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান। এরপরে একে একে গান্ধারী থেকে সত্যবতী সকলেই আসবে তাঁর ভাবনায়। সকল চরিত্রের অবস্থান স্পষ্ট জেনেই তিনি দাঁড়াবেন মাতা সত্যবতীর দুয়ারে, ভোরের ঠিক আগে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২০ জুন ২০১১ | ১৬৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন