তোমাদের সবার গল্প শুনতে ভালো লাগে, কিন্তু হঠাৎ গল্পটা সত্যি হয়ে গেলে কেমন লাগে? আমারও তাই হয়েছিল। আমরা পাঁচ ভাই রতন, হরি, পটলা, বল্টু। আমার নাম পুটু। একবার আমাদের বাড়িতে ঠাকুরদা এসেছিলেন। সে জমিয়ে গল্প বলতেন, এমনকি রাগী মা-বাবাও কান পেতে শুনতেন। সেইবার তিনি গল্প বলছিলেন যে “কে নাকি তার বিছানাটাকে শূন্যে তুলে ঝাঁকাচ্ছিল, পরদিন তিনি কালো--”।
মা আর শুনতে দিলেন না, “আজ অমাবস্যার রাত, বড্ড ভয় পাবে, ভূতের গল্প বলা বন্ধ করো”। কাজেই আর শোনা গেল না। রাত্তিরে শোয়ার সময় আমার বিছানাটা দুলছিল। নিচে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। পাশ ফিরে শুই, দেখি রতনের ওপর একটা ইভিল স্পিরিট ভর করে আছে। কম্বলে আমি মুখ ঢেকে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন শুনলাম রতন নাকি জলে ডুবে মরে গেছে। আমরা খুব মন খারাপ করে বাবার কাছে গেলাম, রুমে ঢোকার আগে আমরা রতনের আত্মাটাকে দেখে আমরা “ওরে বাবা” বলে সোজা বাবার কাছে গেলাম। তাকে সব কথা বলতেই তিনি বললেন, “যাঃ যাঃ যতসব উষ্টুম বুষ্টুম স্বপ্ন দেখেছে”। মায়ের কাছেও এক কথা। ঠাকুরদার কাছে যাওয়ার সময় কি যেন আমায় ঠেলে বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলো। আমি বেঁচে ঠাকুরদার কাছে গেলাম। তিনি বললেন, “হুম লা লোরোনা আমাকে দেখে এখানে এসেছে।” এই শুনে আমি বন্ধুদের ডাকলাম। সবাই মিলে ঘরে ভূত ধরার ফাঁদ পাতলাম। চারদিন পরও যখন ভূত ধরা পড়ল না, উল্টে সে সব বুঝতে পারছে তখন পারুলের মাথায় একটা চমৎকার বুদ্ধি এলো। আমরা একটা চার্চের কয়েকজন লোককে ডাকলাম, তারা অনেক মন্ত্র জপ করে বলল, “ভূত চলে গেছে।” আমরা বাড়িতে ঢুকলাম। তাদের ধন্যবাদ দিলুম অনেক খুশিতে আমরা ওই বাড়িতেই থাকলাম।