চে গুভ্যেরা
মানুষকে কখনো কখনো শার্দূল হয়ে উঠতে হয়
বাড়িতে তখন পোষ মানানো হচ্ছে
কুকুরের বাচ্চা
পোষ্য এবং পোষক দু'জনেই লোভনীয়
খোঁড়া পা নিয়ে আমার বিপ্লবী জেঠু
শার্দূলকে ভেবে বসছে কুকুর
কুকুর নিজেকে জেঠু ভেবে
সেজে উঠছে অযোধ্যায় যাবে বলে
পোষ্যদের খাদ্য প্রয়োজন
প্রয়োজন সঠিক সময়ে
সঠিক সমস্যা বোঝা
একটা হাড়ের লোভে শার্দূল ছুটছে
পেছনে পা খুঁড়িয়ে জেঠু
হাড় এবং
লোভ এবং
খোঁড়া পা
হো হো করে হেসে উঠছেন
আমাদের প্রণম্য
সন্তোষ রাণা
নির্বাচন
কাক এবং ময়ূর
এ জীবনে কার সঠিক কতটা দরকার!
যুক্তিতর্কে কেঁপে উঠছে পার্লামেন্ট
বিরোধী পক্ষের শের
ঝাঁপিয়ে পড়ছেন
সরকারী সিংহের ওপর
শান্তি পক্ষের পায়রা
খুঁটে দিচ্ছেন
মালতীপক্ষের লতা
সারা দেশ উত্তাল
ঔরঙ্গজেব কিছু না পেয়ে জড়িয়ে ধরছেন দিন-ই-ইলাহির নথিপত্র
দিল্লির বাকবিতন্ডা পৌঁছে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসের লনে
ব্রিটেনের রাজপ্রসাদ দূরবীন নিয়ে দেখছে
ভারত মহাসাগরের জল
কাক এবং ময়ূর গেছেন জম্মু-কাশ্মীর,
পক্ষীজাতি তারা
উড়ে বেড়াতেই ভালোবাসেন...
বধ্যভূমি
আমার ভালোরকম মনে আছে—
ক্লান্ত বিধ্বস্ত চোখ নিয়ে
বাবা একবার বিড়বিড় করে বলে ফেলেছিল,
অপমান হজম করতে করতে মানুষ পাথর হয়ে ওঠে...
আর সেই পাথর চলে যায়,
দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে
তৈরি হয় সড়ক, রাস্তা
বড়লোকদের রাজপ্রাসাদ
গরীবের কুটিরও মাঝে মধ্যে
আমি কঠিন কঠোর সময়ের দিকে তাকাই
দেখি বাঘ-ছাগলের খেলা
বুঝি, কর্মঠ বাঘের বুদ্ধির কাছে হার মানা সিংহ কেমন রাজা হয়ে ওঠে...
অপমান গুরুত্বপূর্ণ
কুমিরের গায়ের মতো করে তোলে মন এবং সময়কে
দুর্ভিক্ষ
বাঘের খাবার জোটাতে জোটাতে
আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম
ধুঁধলা চোখে দেখেছিলাম
এই নদী
পাহাড় পর্বত
এমনকি নীল ঘন আকাশ
সবটাই নিরর্থ এবং অপাংক্তেয়
রাষ্ট্র জানাল, যেহেতু বাঘ রাজা
তাই বাদবাকি জাহন্নামে যাক!
অভিমানে সমস্ত জনগণ হেঁটে যাচ্ছিল আন্দামানের দিকে
জলের কুমির
সুযোগ বুঝে
নেমন্তন্ন জানিয়েছিল
জলখাবারের
কৃতার্থ আমরা
টেবিলে পৌঁছে দেখি,
থরে থরে প্লেটে সাজানো
আমাদের লাশ ও মস্তিষ্ক...
পরিচয়পত্র
দু'টো হাত কিংবা
দু'টো পা প্রমাণিত হলেই
মানুষকে মানুষ ভাবার
উপযুক্ত প্রমাণ পত্র নয়
তার অতীত এবং বর্তমান
ঘেঁটে ঘেঁটে
একটা সুস্বাদু ডিস বানিয়ে
পেশ করতে হবে মহামান্য আদালতে
সেই আদালত তোমাকে বিচার
করতে করতে
করতে করতে
একদিন নিজে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখবে
দু'টো হাতও
পা হয়ে উঠছে কবেই
আর হামাগুড়ি দিচ্ছ তুমি...