একলা যেতে যেতে
রাস্তায় একলা কেউ যেতে যেতে
অন্য রাস্তা নিল — ঘর এলোমেলো
অথবা চৈত্র বিকেলে তেতেপুড়ে থাকা
মাটি থেকে ঘুর্ণি উঠছিল।
তা সে নিক, যেখানে যাচ্ছে যাক
ভিতরে ভিতরে। হয়ত নির্জনতর কোথাও
অথবা জমজমাট সান্ধ্য পানশালা, নাকি
স্কুলে বা স্কুল পালিয়ে শহরে শহরে
কোথাও সে গিয়েছে হয়ত একা একা
রাস্তায় একলা যেতে যেতে।
গিরগিটি
সংখ্যার ভিতরেও অজস্র সংখ্যারা থাকে
যেন বাসাবাড়ি, বৃক্ষকোটরে অরণ্য প্রয়াস
দরজা জানলা ডালপালা, ফুলফল পাতায়
মানুষ বা কীটের বসবাস, যাতায়াত বারোমাস।
আলো জ্বলে উৎসবে সমৃদ্ধির জয়গানে মুখর
কখনও বা মহামারী অগ্নুৎপাত বন্যায় উজাড়
আস্ত জনপদ অথবা প্রাচীন শিরীষটি —
রঙ ঢং ঠিকানা বদলেছে সেই অনুযায়ী
ক্রমশ সংখ্যার ভিতর জীয়ন্ত অগুন্তি গিরগিটি।
আমি
এমনও তো হতে পারে
যা আমি চাইতেই শিখিনি এযাবৎ
নাগালে আসবে মন্ত্র বা তুকতাক অ্যাপ
যার ব্যবহারে স্পর্শমাত্র
অপ্রার্থিত সমূহেরা স্পষ্ট হবে মুহূর্তে।
অথবা সামনে এসে দাঁড়াবে
অন্য আমি টা —
যে জানে ঠিক কোনটা চাইলে বা পেলে
ষোলকলা পূর্ণ হয় নিমেষে।
মাইরি বলছি, সে হতভাগাকে
সান্ত্বনা দেব মৃদু হেসে।
আশ্চর্য কবিতা
আশ্চর্য কবিতাটির ভিতর পৌঁছতেই দেখি
দ্বিতীয় লাইনেই প্রচুর ফুল ফুটে আছে
বারান্দার রেলিঙে মুখ বের করে
একটি পুডল শ্রেণীসচেতন ভাবে আওয়াজ ছাড়ে
মনে হয় ট্রেনের বাঁশি বাজলেই ছুটি শুরু
প্রিয় ঝালমুড়ি ওলা উঠবে কাঁচড়াপাড়ায়।
কিন্তু যাব টা কোথায়?
ঠিকানা স্বস্থানে রেখে মানুষেরা পাড়ি দিল দূরে
আশ্চর্য কবিতাটি আচমকা হাত দিল ছেড়ে।