এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ১৯

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫৫২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। ঊণিশ ।।

    দিল্লিতে মিউজিয়ামের অভাব নেই। সরকারি বেসরকারি নানা ধরণের আছে – ন্যাশনাল মিউজিয়াম, ন্যাশনাল সায়েন্স সেন্টার ; ব্যক্তিবিশেষের উদ্দেশ্যে নিবেদিত মিউজিয়াম যেমন মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী প্রমুখ। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আছে ন্যাশনাল রেল মিউজিয়াম, ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়াম, শংকরস ইন্টারন্যাশনাল ডলস মিউজিয়াম, ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, ন্যাশনাল ফিলাটেলিক মিউজিয়াম ইত্যাদি ইত্যাদি। গুগল করলে খান চল্লিশেক পাওয়া যাবে। সেই সময়ে অবশ্য গুগল ছিল না, তার জন্ম হতে মনে হয় তখনও বছর খানেক বাকি। মিউজিয়ামও অবশ্য কিঞ্চিৎ কম ছিল। তবে যত রকম মিউজিয়াম হতে পারে তার সব রকমই অল্পবিস্তর ছিল। অনেক অদ্ভুত জিনিস নিয়ে মিউজিয়াম হয় জানেন তো ? আগে একবার ভিয়েনার ব্রেড মিউজিয়ামের কথা বলেছিলাম। আরও কয়েকটার কথা বলি।

    ক্রোয়েশিয়ার জাগ্রেব-এ আছে মিউজিয়াম অফ ব্রোকেন রিলেশনশিপস (হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার স্মরণে লোকে সেই সম্পর্কের স্মৃতির স্পর্শ মাখা কোনও জিনিস দান করেন), টার্কির অ্যাভানস-এ আছে হেয়ার মিউজিয়াম (মহিলারা তাঁদের মাথা থেকে খানিকটা চুল দিয়ে যান), আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-এ আছে মিউজিয়াম অফ ব্যাড আর্ট (আজ্ঞে হ্যাঁ, যা পড়লেন তাই, আমার একটা আঁকা জমা দিয়েছিলাম, তবে তেমন ‘ভাল রকমের বাজে’ নয় বলে ফেরত দিয়েছিল), আইসল্যান্ডের ডাকিনীবিদ্যা মিউজিয়াম (ডাইনী সন্দেহে পুড়িয়ে মারা পুরুষ-মহিলাদের মাথার খুলি ইত্যাদি আছে), আর ব্যাংককের সিরিরাজ মিউজিয়াম (যাকে মৃতের মিউজিয়ামও বলে। দুর্বল হৃদয়ের দর্শকের জন্য নহে – কেননা বিকৃত শিশুদের মৃতদেহ থেকে শুরু করে মাথায় ঘা মেরে খুন করা হয়েছে এমন লোকের খুলিও পাবেন এখানে)।

    এই তালিকার এন্ট্রিগুলো পড়ে আপনি যদি মনে করেন টেররিস্ট আক্রমণে নিহত মানুষদের স্মৃতিতেও একটা মিউজিয়াম হতে পারে, তবে আমার সমর্থন আপনি পাবেন। দিল্লির লাজপত নগরের বিস্ফোরণের কথা বলেছিলাম আগের কিস্তিতে। আমার যে বন্ধু অরিজিত ফরেন সার্ভিস অফিসারের ট্রেনিং নিচ্ছিল দিল্লিতে, সে ওই ভয়ংকর মুহূর্তে ওই বাজারেই ছিল। পরে দেখা হলে বলেছিল সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। ওর জবানীতেই বলিঃ

    ‘’বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল ছুটি নিয়ে। বোন বলল ওর জন্য দিল্লী থেকে চিকণের সালওয়ার কামিজ আনতে। আমি চিকণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। এক ব্যাচমেটকে পাকড়াও করে গেলাম লাজপত নগরে, তার বাড়ি লখনউয়ে, চিকণ কী জিনিস সে জানে। লাজপত নগরের পার্কিং লটের সামনে একটা বড সালওয়ার স্যুটের দোকানে ঢুকলাম। দোকানের লোক বলল চিকণকী স্যুট বেসমেন্টমে হ্যায়। তো আমরা বেসমেন্টে নামলাম সিঁড়ি দিয়ে। বোন বলেছে সাদার ওপর কাজকরা স্যুট নিতে। সেরকম জিনিস দেখছি, দাম জিজ্ঞেস করছি। হঠাৎ একটা প্রচন্ড আওয়াজ। কাঁচের দুটো আয়না ভেঙে পড়ল বেসমেন্টের দেওয়াল থেকে। তারপর আর্তনাদ, চেঁচামেচি।

    ‘’আমরা তড়িঘড়ি সিঁডি দিয়ে ওপরে এসে দেখি দোকান পুরো বিধ্বস্ত। কয়েক জায়গায় আগুন জ্বলছে। কাঁচের দরজা জানালা সব চূর্ণ বিচূর্ন হয়ে ছডিয়ে আছে। কয়েকজন মাটিতে পড়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। কেউ কাঁদছে। আর সামনের পার্কিং লটে আগুন জ্বলছে। বেশ কয়েকটা দেহ ছডিয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রচুর লোক ছুটে পালাচ্ছে, তারা আমাদের মত ক্রেতা। আর বিক্রেতা আর তাদের কর্মচারীরা – কারও কান দিয়ে রক্ত গডাচ্ছে বা মাথায় গভীর ক্ষত – তারাই হতাহতদের বার করছে, ওষুধ দিচ্ছে, ব্যান্ডেজ বাঁধছে, অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিচ্ছে। শুধু বেসমেন্টে ছিলাম বলেই বোধ হয় বেঁচে গেছিলাম। ওপরের মাটি বিস্ফোরন জনিত কম্পন শোষন করে নেয়, তাই বম্ব শেল্টারও বানানো হয় বেসমেন্টে। আর হ্যাঁ, ওই বিস্ফোরণ পার্কিং লটেই ঘটানো হয়েছিল।‘’

    যাই হোক, মিউজিয়ামে ফেরত আসা যাক। মানে একটু অদ্ভুত বিষয়ের মিউজিয়ামে ফেরত আসা যাক। তার আগে একটা প্রশ্ন করি – ষোড়শ লুই কে ছিলেন ? ঠিক বলেছেন, ফ্রান্সের রাজা ; আর কী জানেন তাঁর সম্পর্কে ? হ্যাঁ এটাও নির্ভুল বলেছেন যে ফরাসী বিপ্লব তাঁর সিংহাসন আর প্রাণ দুই নিয়েছিল। আচ্ছা, এবার বলুন দেখি, তাঁর সিংহাসনটা ঠিক কী রকম ছিল ? কী বললেন ? রকম আবার কী মশাই, সিংহাসন সিংহাসন ! উঁহু, অমন জটায়ু সুলভ ‘’ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই ঠাঁই’’ মার্কা উত্তর দিলে সেটা যে ‘উটের পাকস্থলী’ হয়ে যাবে স্যার।

    নাহ, বলেই দেওয়া যাক। রাজসভায় সম্রাট ষোড়শ লুই (১৭৫৪-১৭৯৩)-এর বসার জায়গাটা আসলে ছিল টু-ইন-ওয়ান – একাধারে সিংহাসন এবং কমোড। হ্যাঁ, যা পড়লেন ঠিক তাই। এই তথ্য সরবরাহ করেছিল সুলভ ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ টয়লেটস, দিল্লির পালাম এলাকায়। সেখানকার গাইড মহোদয় আমায় আর তথাকে জানিয়েছিলেন মহারাজ আহার করিতেন নিভৃতে, কিন্তু ইয়ে মানে পেট খালি করতেন প্রকাশ্যে – প্রমাণ হিসেবে রয়েছে তাঁর সিংহাসন যার রেপ্লিকা রাখা আছে ওই মিউজিয়ামে।

    এমন চমকপ্রদ সব জিনিস, নানা দুষ্প্রাপ্য ছবি আর তথ্য দিয়ে সাজানো এই মিউজিয়ামে পাবেন ২৫০০ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত টয়লেটের ইতিহাস।

    এখানে এলে আপনি জানতে পারবেন সভ্যতা ও সিভিক সেন্সের পরাকাষ্ঠা যারা দেখায় সেই ইউরোপিয়ানরা ‘ওয়াটার ক্লোজেট’ – যাকে ডব্লু সি বলে – আসার আগে কী করত। মধ্যযুগে পায়খানার ময়লা বালতি করে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা হত। অবশ্য এটাও বলা দরকার প্রযুক্তির বিবর্তনের মাধ্যমে টয়লেটকে উন্নত করার কাজও অনেকটাই সেই সাহেবরাই করেছে।

    আর দুটো ছোট বার্তা দিয়ে এই বিষয়ে ইতি টানব, যা এখানেই জেনেছিলাম। একটা হল দিল্লি-আগ্রার মুঘল দুর্গগুলোতে নাকি প্রমাণ পাওয়া গেছে টয়লেটের ‘গুপ্তধন’ মূল প্রাসাদের বাইরে মাটির তলায় লুকিয়ে ফেলা হত। আর অন্যটা হল অসামান্য কারুকাজ করা চিনেমাটির কাপ আমরা যেমন দেখি, তেমনই সুন্দর চিত্রবিচিত্র কমোডও ব্যবহার করতেন রইস আদমীরা এক কালে। আর আজকের রাজাগজাদের অনেকেই যে জীরে-জহরত খচিত সোনার কমোডে বসে সক্কাল সক্কাল অবশ্যকর্তব্যটি সারেন তা তো নিশ্চয় জানেন।

    আমার অনুরোধ যাঁরা এই মিজিয়াম দেখেননি, তাঁরা অবশ্যই দেখবেন এবং, আমি নিশ্চিত, সমৃদ্ধ হবেন। আর হ্যাঁ, এই মিউজিয়ামটি এই দুনিয়ার একম এবম অদ্বিতীয়ম। যে বিষয় নিয়ে আলোচনা ডাক্তার ছাড়া সবাই এড়িয়ে যেতে চায়, আমার তো সেটিকে মোবাইল ফোনের সাথে তুলনা করতে ইচ্ছে করে – ‘একটি অতি প্রয়োজনীয় ঝঞ্ঝাট’।

    ঝঞ্ঝাট কি আর একটা ? অফিসে চলছে প্রবল কাজের চাপ, শিক্ষানবিশদের একটা মিড-টার্ম পরীক্ষাও হল। সেটায় তো ভালভাবেই উৎরে গেলাম। আর তারপর কয়েকদিন ধরেই ভেবে চলেছি একটা বিষয় নিয়ে। সেটা হল দিল্লিতেই কি থেকে যাব, নাকি কলকাতায় ফিরে যাব ? আমাদের কয়েক জন – আমি, তথাগত, দাশগুপ্ত সাহেব আর অমিতাভকে নেওয়াই হয়েছে কলকাতা অফিসের জন্য। অন্যদিকে জর্জ, সুকুমারন আর শ্রীকান্ত চলে যাবে চেন্নাই। ডিসেম্বরে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা হবে শিক্ষানবিশি পর্ব শেষ হওয়ার জন্য, তবে যেটা বোঝা গেছিল বস মনে করলে কাউকে দিল্লিতে রেখে দিতেও পারেন, যদি সে চায়। কেরিয়ারের দিক থেকে দিল্লি অনেক ভাল নিঃসন্দেহে, ওদিকে কলকাতা প্রাণের শহর। আমি কেরিয়ারিস্ট নই, ঠিক করে ফেললাম ঘরের ছেলে ঘরে ফিরব। তথাও জানাল আপাততঃ ফিরেই যাবে, পরের কথা পরে ভাববে। অমিতাভ আর দাশগুপ্ত সাহেবও রাজধানীতে থাকবে না। এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়ে থাকল যাতে পরে দরকার পড়লে চটজলদি জানানো যেতে পারে।

    অনেক কাজই চটজলদি করতে হয়, যেমন আমার আর সাহেবের প্রীতবিহার বাসট্যান্ডের উইম্পিতে ঢুকে পড়া। ২৫ বছর আগে হয়তো বলতো না, এখন এই ধরনের খাবারের দোকানের নাম দেওয়া হয়েছে কুইক সার্ভিস রেস্টুরেন্ট বা কিউ এস আর। এই সব জায়গায় পাওয়া যায় সেই সব ফাস্টফুড যা চট করে রান্না হয় এবং জলদি পরিবেশন করা যায়, ভ্যারাইটিও তেমন থাকে না। দাশগুপ্ত কী একটা দরকারে এসেছিল আমাদের বাড়ি, আমি ওকে বাসে তুলে দেব বলে এলাম মেন রাস্তায়, আর তখনই শুরু হল প্রবল ধুলোর ঝড় যার কবল থেকে বাঁচতে আমি আর সাহেব ঢুকে পড়লাম উইম্পিতে। রেস্টুরেন্ট সেই সময়ে খালি, অনেকটা আমাদের পকেটেরই মত অবস্থা তার। মেনু কার্ড তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখা গেল ভেজ বার্গার অর্ডার করা যেতে পারে।

    তাই করা হল, দ্রুত এসে গেল কাগজে মোড়া ভেজ বার্গার, টুথপিক দিয়ে কাগজটা আটকানো আছে। সঙ্গে মাস্টার্ড সস আর মেয়োনিজ ছিল বলে মনে হচ্ছে। আমি কাগজটা ছাড়িয়ে দু হাতে তুলে নিলাম বার্গার, ছোটখাটো সাইজের একটা কামড় বসালাম। দাশগুপ্ত কিছু একটা বকবক করছিল। থামল, গম্ভীর মুখে ওয়েটারকে ডাকল। সে এলে তাকে ছুরি আর ফর্ক দিতে বলল। হলুদ টিশার্ট পরা ওয়েটার ছেলেটি বেশ অবাক হল। অবাক আমিও হলাম - বার্গার খেতে ও সব কেন লাগবে ভেবে।

    ট্রেনড অভিজ্ঞ ওয়েটাররা সোজা বাঁকা পাগল ছাগল নানা ধরনের কাস্টমার হ্যান্ডল করে থাকেন। ইনি ছোট একটা প্লেটে টিস্যু পেপার আর তার ওপর ঝকঝকে ফর্ক আর ছুরি এনে আমাদের টেবিলে রাখলেন। আড়চোখে দেখলাম দূরে চলে গেলেও তাঁর নজর আমাদের দিকেই, ঠিকঠাক বলতে গেলে দাশগুপ্তর প্লেটের দিকে। আমিও খাওয়া ভুলে সেদিকেই তাকিয়ে। দেখলাম সাহেব ধীরেসুস্থে কাগজের মোড়ক ছাড়ালেন, খড়কে কাঠি তুলে এক পাশে রাখলেন। আর তারপর বার্গারের ওপরের বান, মাঝের প্যাটি আর নিচের বান তিন ভাগ করে পাশাপাশি রাখলেন। তারপর ছুরি দিয়ে একটা একটা করে সেগুলোকে টুকরো করে কেটে ফর্ক দিয়ে গেঁথে মুখে পুরতে লাগলেন।

    বার্গারের মানসম্মান এভাবে ধুলোয় মিশে যেতে দেখে ওয়েটার ছেলেটি দ্রুত কিচেনের ভেতরে ঢুকে গেল।

    দিল্লির কিচেনের কথা উঠলেই আমার আবার গরম জলের কথা মনে পড়ে। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৫৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:500:e780:bcc3:39b6:7904:***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৪০516687
  • এই সিরিজটা খুব উপভোগ্য হচ্ছে। আর ক্লিফ হ্যাংগার গুলো মোক্ষম!
  • ইন্দ্রাণী | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৪৯516689
  • কেকের সঙ্গে সহমত।
    পরে আবার লিখছি।
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১২516698
  • "একটা হল দিল্লি-আগ্রার মুঘল দুর্গগুলোতে নাকি প্রমাণ পাওয়া গেছে টয়লেটের ‘গুপ্তধন’ মূল প্রাসাদের বাইরে মাটির তলায় লুকিয়ে ফেলা হত। "....খুব ভাল লাগল লেখাটা ভাই। পড়ে খুব মজা পেয়েছি। আর জেনেওছি অনেক। 
  • Nirmalya Nag | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:১৩516711
  • @ kk - অনেক ধন্যবাদ 
     
    @ ইন্দ্রাণী - অনেক ধন্যবাদ। পরে যদি আরও কিছু লেখেন, খুব খুশি হব।
     
    @ মোহাম্মদ কাজী মামুন - অনেক ধন্যবাদ 
  • Surya Dipta Nag | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:২৪516722
  • খুবই সুখপাঠ্য। 
  • ইন্দ্রাণী | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০৪516727
  • শেষ পর্বের পরে লিখতাম তো বটেই।
    এই সিরিজের আগেও আপনার লেখা পড়েছি। প্রথম থেকেই। পাহাড়ের মতো ভারি দিয়ে শুরু। লকডাউনের সময় বেশ কয়েকটি লেখা খুব মনে আছে-ছাদ, মানুষের মতো চোখ, ভেনিস আর ভিজে জুতোর গল্প।
    এই সিরিজও প্রথম থেকেই পড়ছি। মিস করে যাই মাঝে মাঝে , তারপর সময় করে একসঙ্গে বেশ কটি পর্ব পড়ে ফেলি। একটি পর্বও হতাশ করে নি- কখনও পড়া শেষ হলে মুখে আপনা থেকেই এক চিলতে/ চওড়া হাসি ঠিক এসেই যায় ( সেদিনে আপদ আমার যাবে কেটে, দিল্লিমে দশ মরে, জ্বাঁল....) , কখনও ঈষৎ বিষাদ (সনাতনের গল্প), কখনও আপনার আবেগের অনুভূতির সঙ্গে নিজের এক এক সময়ের আবেগের মিল পাওয়া ( আগুনের পরশমণি গান শোনার কথা)-আরো আনেক লেখাই যায়।
    এক কথায় লেখাটার দুটো খুব বড় বৈশিষ্ট্য আমার মনে হয়েছে- এক, ব্যঞ্জনাময় নামকরণ , দুই, সরস ভঙ্গিতে গপ্পোগাছার তলায় আর এক অনুভূতি আগাগোড়া -কখনও অশ্রুত, কখনও স্পষ্ট- আপনারই লেখা লাইনের এই বৈপরীত্যের মতো- "চায়ের দাম আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনা মাখা মুখ নিয়ে সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল সনাতন। আমরা তিন জন বসে রইলাম। আমাদের থেকে সামান্য দূরে ঝাঁ-চকচকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাজারের আলো ঝলমল করা খোলা মুখটা দেখা যাচ্ছিল, সেখানে নানা মনোহারি জিনিস বিক্রি হয়।"
    এই পর্বে আসলে অন্য একটা কথা লিখতে এসেছিলাম- দুই জায়গায় 'ওয়েটারটা' অসম্ভব পীড়া দিচ্ছে। অনুগ্রহ করে ঠিক করে নেবেন।
  • Nirmalya Nag | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩০516760
  • @ ইন্দ্রাণী - এমন লেখা পড়ার পর আর আপনাকে শুধু ধন্যবাদ দিতে পারব না। আপনার বিশ্লেষণ খুব ভাল লাগল। এমন লেখা প্রচুর অনুপ্রেরণা দেয়। ওয়েটার ঠিক করে দেব অবশ্যই। আরও একটা দুটো টাইপো আছে, সেগুলো আগে ঠিক করতে গিয়ে পারিনি, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছিল। আবার চেষ্টা করব।
  • Ranjan Roy | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:২০516765
  • নির্মাল্য কিন্তু চা-পানের রসিয়া।
    আশা করছি, লেখার ফাঁকে ফোকরে কোথাও চা কেমন করে বানাতে হয় এবং কীভাবে খেতে হয় --- সে বিষয়ে আপনার মোক্ষম মন্তব্যগুলো গুঁজে দেবেন। 
  • Nirmalya Nag | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৫১516768
  • @ ইন্দ্রাণী - ওয়েটার ঠিক করে দিয়েছি, সত্যিই বিচ্ছিরি শোনাচ্ছিল। 
     
    @ রঞ্জন রায় - কী যে বলেন দাদা, গুরুজনেরা বাণী দিয়ে গেছেন "তাবচ্চ শোভতে মূর্খ যাবৎ কিঞ্চিৎ ন ভাষতে।"
  • Nirmalya Nag | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩১516784
  • @ রঞ্জন রায় - মনে হচ্ছে ওপরের মন্তব্যে যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা ফুটে ওঠেনি। তাই ফের লিখলাম। "কী যে বলেন দাদা, চা খাওয়া নিয়ে লিখব আমি! গুরুজনেরা বাণী দিয়ে গেছেন "তাবচ্চ শোভতে মূর্খ যাবৎ কিঞ্চিৎ ন ভাষতে"।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন