এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ২৮

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ১৬ জুন ২০২৩ | ৬৭২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •  

    মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। ২৮ ।।
     
    সময় আর কাটে না। আমাদের কলকাতা যাওয়া নিয়ে অফিস যতদিন কিছু বলেনি ততদিন যেন তবুও কেটে যছিল (যদিও মোটেই যাচ্ছিল না), কিন্তু এখন? কবে একটা কবিতায় পড়ছিলাম “দিন কাটে তো কাটে না রাত”; এর সাথে আমার জুড়তে ইচ্ছা হচ্ছে ‘রাত কাটে তো যায় না যে দিন’ মানে আমার যেমন ডিউটি তার ওপর নির্ভর ক’রে আর কি। দাশগুপ্ত সাহেব চলে গেছে জানুয়ারির ৩১ তারিখ। ওকে ট্রেনে তুলতে গিয়ে মনে হচ্ছিল কবে আমাদের দিন আসবে। দিন এসেছে। এখন কেবল বাকি অফিসিয়াল অর্ডারের কাগজ হাতে পাওয়া।
     
    অফিসের কাজে আর খুব একটা মন লাগছে না। “পায়ে শিকলি মন উড়ু উড়ু” হলে যা হয় আর কি। বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি কবে ফিরছি। দিল্লি আবার নতুন করে ভাল লাগতে শুরু করেছে। পজিটিভ ভাইবস ফিরে এসেছে যে। সেই আনন্দ নিয়ে একদিন সকালের ডিউটির পর আমি অলয় গেলাম বৃটিশ বইমেলা ঘুরতে। ফিরে এসে অফিসের ক্যান্টিনে চা বসে খাচ্ছিলাম দু’জনে। এক সিনিয়র দক্ষিণ ভারতীয় সহকর্মী, যাঁকে কেভিভি (ওনার ইনিশিয়াল, আসল নাম কে ভি ভেংকটসুব্রামানিয়ান) বলে ডাকা হত, তিনি এসে আমাদের দেখেই জানালেন কলকাতায় একটা দুর্ঘটনা হয়েছে - বইমেলায় আগুন লেগেছে। তারপর একে একে আরও অনেকে এসে এমনভাবে খবরটা দিল, যেন এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। 
     
    আসলে কলকাতার মানুষের কাছে বইমেলা যে কী, তা হয়তো এনারা বুঝতে পেরেছিলেন। আমি নিজেও জানতাম না যে বইমেলা আমার ভেতরের এতটা জায়গা জুড়ে আছে। কয়েক বছর আগেও ওই মেলায় নিজেদের লিটল ম্যাগাজিন ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেছি। অনেকেই ছুঁয়েও দেখেননি; কয়েকজন হাতে নিয়ে পাতা উলটে ফেরত দিয়েছেন; আর একজন বলেছিলেন, “গোটা দশেক নিয়েছি। আরও একটা নিতে আপত্তি নেই। কত দাম?’’ আজ সেই মেলায় আগুন! হতবুদ্ধির মত বসে রইলাম। পরের দিন বাংলা কাগজ কিনতে ছুটেছিলাম কনট প্লেসে।
     
    ১৯৯৭-তেই প্রথম বইমেলার থিম হিসাবে বিদেশ যোগ করা হয়েছিল – ফ্রান্স (তার আগে হত দেশেরই কোনও না কোনও রাজ্য)। তখন বইমেলা হত ময়দানে, পার্ক স্ট্রীটের কাছে। থিম প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছিল ল্যুভর মিউজিয়ামের আদলে। বইমেলার উদ্বোধন করেছিলেন ফরাসি সাহিত্যিক জাঁক দেরিদা। একটা আইফেল টাওয়ারও বানানো হয়েছিল বইমেলা চত্বরে। আর মেলার ষষ্ঠ দিনে – ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ - সেই টাওয়ারের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল বই আর দোকানের কাঠামো পোড়া কালো ধোঁয়া, আর পাখিরা উড়ে যাচ্ছিল আগুনের তাপ আর ধোঁয়া থেকে বাঁচার জন্য।
     
    অনেক পরে আনন্দবাজারে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ পড়েছিলাম। “বুকফাটা কান্না এর আগে শুধু খবর কাগজের ছবিতে দেখেছি। সে দিন চাক্ষুষ দেখলাম। যে-সব ছোট বই-ব্যবসায়ী বছরের সব সঞ্চয় জড়ো করে বইমেলায় এসেছিলেন, হাহাকার ছাড়া তাঁদের আর কী-ই বা করার ছিল? কেউ কেউ স্টল থেকে বই বের করে সামনে ডাঁই করছেন, আর সুযোগ বুঝে সেই বই ঝপাঝপ টেনে নিচ্ছে বইচোরেরা। বেশির ভাগ দোকানিই অবশ্য অভিব্যক্তিহীন নির্বাক মুখে বাইরে বেরিয়ে কোলাপসিব্‌ল গেট টেনে স্টলে তালা মেরে দিচ্ছিলেন। তালাবন্ধ স্টলের ভেতর, মেঝেতে-তাকে থরে-থরে বই গিলে নিচ্ছে আগুনের শিখা। মনে হচ্ছিল, ভুল দেখছি।”

    আগুন লেগেছিল একটা খাবারের দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে। এরপর থেকেই মেলার মাঠে ধূমপান আর আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ফুড স্টলগুলো জায়গা পায় এক পাশে। এক জন লোক, নাম যতীন শীল, হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন।

    অবশ্য ব্যাপারটা পুড়ে যাওয়াতেই শেষ হয়নি। সেই সময়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী (পরবর্তীকালের মুখ্যমন্ত্রী) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদ্যোগে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত বইমেলা তিন দিনের মধ্যে ফিরে এল ফিনিক্স পাখির মত, যদিও ছোট আকারে। দপ্তরীদের ঘর থেকে এল নতুন বই, পুড়ে যাওয়া ক্ষততে প্রলেপ দিতে এল প্রচুর ফুলের গাছ। সাহিত্যিক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, দিব্যেন্দু পালিত ও অন্যান্যরা নিলামে বই বিক্রি করলেন। সেই টাকা দিয়ে গড়ে তোলা হল ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশক আর বিক্রেতাদের জন্য একটা তহবিল।

    একটা বৈশিষ্ট, একটা অহংকার প্রায় সকলেরই থাকে। যেটা অন্য কোন লোক চেষ্টা করেও হয়তো বুঝতে পারবে না। গ্রীক মিথোলজিতে আছে ফিনিক্স পাখি; গীতায় আছে “নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ”; আর আমাদের এই পোড়া শহরে আছে বইমেলা।
     
    ১৯৭০-এর গোড়ার দিকে কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসে আড্ডা দিতেন কয়েকজন সাহিত্য অনুরাগী ও প্রকাশক। বিখ্যাত ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা নিয়ে আলোচনা করার সময়ে তাঁরা কলকাতায় একটা বইমেলার কথা ভাবেন। তাঁদের হাত ধরেই ১৯৭৫ সালে গড়ে ওঠে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। এর পরের বছর, ১৯৭৬ সালের ৫ মার্চ, ৩৪ জন প্রকাশক মিলে একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনের মাঠে ৫৬টি স্টল দিয়ে চালু করেন প্রথম কলকাতা বইমেলা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সেটি উদ্বোধন করেন। পরে অবশ্য মেলার জায়গা আর তারিখ দুই-এরই বদল ঘটে।
     
    আমাদেরও জায়গা বদল হবে, তবে আরও বড় মাপে – দিল্লি থেকে কলকাতা। গোছগাছ শুরু করে দিতে হবে, অফিসও করতে হবে। আমাদের সম্পত্তির মধ্যে আছে দু’জনের দুখানা ফোল্ডিং খাট, বিছানা, স্টিলের ট্রাংক, সুটকেস, একটা সস্তা কাঠের তাক, ছোট গ্যাস স্টোভ প্রেসার কুকার সহ রান্নাঘরের জিনিসপত্র, পোশাকআসাক। রান্নাঘরের জিনিসগুলো আমার মনে হচ্ছিল সর্বাণীকে (যার সাথে গোল মার্কেটে সুপার কিংসাইজ চিকেন তন্দুরি সাঁটিয়েছিলাম) দিয়ে এসেছিলাম। কনফার্ম করার জন্য যোগাযোগ করলাম। সে বলল, ‘’২৬ বছর পরে ভাট বকছিস কেন ? আমি তো থাকতাম এক আত্মীয়ের সাথে। সেখানে তোর গ্যাস স্টোভ আর প্রেসার কুকার নিয়ে আমি করবই বা কী আর রাখবই বা কোথায় !’’ নিজের স্মৃতিশক্তির ওপর আমার খুব একটা ভরসা কোনও দিনই ছিল না, কিন্তু সেটা এই ভাবে নতুন করে প্রমাণ হয়ে যাওয়াটা মোটেই ভাল লাগল না (বলা বাহুল্য পুরনো প্রমাণ হল আমার স্কুল কলেজের পরীক্ষার ফল)। হায় ! আমার (আর তথাগতরও বটে) সাধের গ্যাস স্টোভ আর প্রেসার কুকার কার রান্না ঘরের শোভা বর্ধন করেছিল কে জানে ! আমার ‘’মুখের চকিত সুখের হাসি’’ দেখতে চেয়ে অকারণে কত গান যে তারা গেয়েছিল তার অন্ত নেই, কিন্তু কি আর করা, ‘’সে আমার মনে নাই মনে নাই’’। 
     
    আর অনিন্দ্যর দেওয়া সেই কিং সাইজ লেপ, যাকে আমি তোষক হিসেবেও ব্যবহার করতাম ? তার ভবিষ্যৎও পুরো অন্ধকার – মানে যদিও সেও কুকার আর স্টোভের মত ক্ষণে ক্ষণে আমার দুয়ারে এসেছিল, কিন্তু তাকে যে কার হাতে সঁপে দিয়েছিলাম সেটা ভুলে মেরে দিয়েছি। যাকগে, সেই ঐতিহাসিক লেপের অতীতটা বলে যাই, নইলে ইতিহাস আমায় ক্ষমা করবে না।
     
    অনিন্দ্য আর তার বন্ধু অমিতের নাম একই অক্ষর দিয়ে শুরু, একই কলেজে পড়েছে, একই বছর পাশ করেছে, একই কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে, একই সাথে দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া থেকেছে, একই দিনে কলকাতায় বিয়ে করেছে (বেশি বেশি ভাবতে আপনাকে কে বলেছে ? আলাদা আলাদা পাত্রীকেই বিয়ে করেছিল ওরা)। অমিত অবশ্য অনিন্দ্যর চেয়ে অনেক বেশি করিৎকর্মা। বিয়ে করে বৌ নিয়ে দিল্লি আসার পরে সংসার পাততে যা যা জিনিস লাগবে, অমিত কয়েকমাস আগে থেকেই তার বন্দোবস্ত করে রাখছিল। আর সেই জিনিসগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে – ইয়েস, ঠিক ধরেছেন - লেপ। বেশ সময় নিয়ে যত্ন করে লেপওয়ালাকে দিয়ে সেটা বানিয়েছিল অমিত। কিন্তু ওই - দানে দানে পে লিখা হ্যায় খানেওয়ালাকা নাম। হঠাৎ করে ওর বহুদিন আগে করা কলকাতায় বদলির আবেদন মঞ্জুর হয়ে যাওয়ায় অনিন্দ্যকে সেই কারুকার্যমন্ডিত লেপ দিয়ে যায় ও। বিয়ের পরে অনিন্দ্য আর তার বৌ দিল্লিতে প্রায় একবছর ছিল, পরে ওরা লন্ডন চলে যায়। আর যাওয়ার আগে সেই লেপ আমায় দিয়ে যায়, আর আমি কাকে দিয়ে এলাম তাতেও সেই এক গান - ‘’সে আমার মনে নাই মনে নাই’’।
     
    লেপ বাঁচিয়েছিল শীত থেকে, আর ওই রকম রক্ষা আরও অনেকেই অনেক রকম ভাবে করেছিল। বালতি আর মগ – তাদের আর কাকে দিয়ে যাব ? এই ভাড়ার ঘরেই রেখে দিয়ে যাব। কাঠের র‍্যাকটাও তাই। ট্রাংক-সুটকেস তো যাবেই আমাদের সাথে, ঠিক করলাম ফোল্ডিং খাট দুখানাও নিয়ে যাব আমরা। সেই খাট পরে দীর্ঘ দিন ব্যবহার করেছিলাম। কলকাতায় ৯৭ সালে ওই রকম ফোল্ডিং খাট কেবল ক্যাম্বিশের বা নাইলনের ফিতেওয়ালা পাওয়া যেত, কাঠের নয়। পরে অবশ্য সেগুলো বাজারে এসে গেছিল।
     
    কিন্তু অমন খাট তো আর রাজধানী এক্সপ্রেসের সিটের তলায় নিয়ে যাওয়া যাবে না, বাংকেও তোলা সম্ভব হবে না। অতএব ঠিক করা হল খাট আর ট্রাংক যাবে লাগেজ ভ্যানে। সেগুলো মাল বওয়া গাড়ি করে নিয়ে যেতে হবে নিউ দিল্লি স্টেশনে, আর বুক করার জন্য সেখানে পৌঁছতেও হবে বেশ কিছুক্ষণ আগে।
     
    যাই হোক, আমাদের কলকাতায় যাওয়ার অফিসিয়াল ছাড়পত্র হাতে এসে গেল। আর কয়েক দিনের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভাবে একটা নেমন্তন্ন পেলাম। আমাদের ঠিক আগের ব্যাচের (অলয়দের ব্যাচের) কয়েক জন আমাদের জন্য একটা ফেয়ারওয়েল পার্টি দিল। মূলতঃ নাগাল্যান্ডের লাইসরাম ইন্দিরা আর ওড়িশার দীপিকা সাহুর উদ্যোগে ওটা করা হয়েছিল, ওরা যেখানে ভাড়া থাকত সেখানে। গিয়ে দেখি অফিসের ১৫-২০ জন হাজির। বাড়ি ফিরতে সেদিন অনেক রাত হয়েছিল। তবে খুব মজা হয়েছিল সেদিন, আর একটা অদ্ভুত আবেগ কাজ করছিল ভিতরে ভিতরে। সময় শেষ হয়ে এল প্রায়।
     
    ‘’যাবার সময় হল বিহঙ্গের। এখনি কুলায়
    রিক্ত হবে। স্তব্ধগীতি ভ্রষ্টনীড় পড়িবে ধুলায়
    অরণ্যের আন্দোলনে। শুষ্কপত্র-জীর্ণপুষ্প-সাথে
    পথচিহ্নহীন শূন্যে যাবে উড়ে রজনীপ্রভাতে
    অস্তসিন্ধুপরপারে।’’ (রবীন্দ্রনাথ)
     
    আর এমন সময়ে হাতে এল পরের সপ্তাহের ডিউটি চার্ট আর তা দেখে আমার আর তথার চোখ কুতব মিনারের মাথায় উঠে গেল। (আগামী পর্বে শেষ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ জুন ২০২৩ | ৬৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন