এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ২১

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২১ মার্চ ২০২৩ | ১০৬০ বার পঠিত
  •  
    মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। একুশ ।।

    পার্লামেন্ট স্ট্রিটে যেমন আমাদের অফিস, তেমনই ছিল অল ইন্ডিয়া রেডিও-র দফতর। নাইট ডিউটির সময়ে কাজ না থাকলে আমরা সেখানকার ক্যান্টিনে মাঝে মাঝে চা খেতে যেতাম। অনেক রাত অবধি খোলা থাকত আকাশবাণীর ক্যান্টিন। ওই দফতরে চেনা-জানা যে জনা দুই-তিন কাজ করতেন তাদের মধ্যে একজন অরিন্দমদা। লম্বা ছিপছিপে চেহারা, চমৎকার কণ্ঠস্বর। অরিন্দমদাকে আমি কলকাতা থেকেই চিনতাম, সে তখন ভাড়া থাকত দিল্লির একটা আট তলা বাড়ির শেষ তলার ফ্ল্যাটে। বাড়িটা বেশ পুরোন, লিফট ছিল না। ফলে মাথায় আকাশ ভেঙে না পড়লে দিনে এক বারের বেশি নিচে নামতে চাইত না।

    তো একদিন অরিন্দমদা বন্ধুর বাড়ি রাতে থেকে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরবে সকালে। পথে আমি সঙ্গী হয়েছি। তথাগত অফিস গেছে। আমার আর অরিন্দমদা দুজনেরই অফ। কিঞ্চিৎ আড্ডা ও জলযোগ হবে। হেঁটে হেঁটে আট তলায় ওঠার সময়ে মনে হচ্ছিল সিঁড়ি ভাঙা অঙ্কও এর কাছে তুশ্চু। ওঠার পর প্রথমেই পড়ল একটা বারান্দা অথবা প্যাসেজ, যেটা প্রতিটা ফ্ল্যাটের সামনে দিয়ে গেছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে ডান দিকের প্রথম ফ্ল্যাটটাই অরিন্দমদার। খানিক জিরিয়ে নিয়ে অরিন্দমদা ফ্ল্যাটের দরজার তালা খুলল, আর তার পরেই…

    একটা তীব্র ধাক্কায় আমরা তিন ফুট পিছিয়ে গেলাম, আরও একটু পেছাতে পারলে ভাল হত, কিন্তু বারান্দার প্যারাপেট অবধি পৌঁছে গেছি। এর পর আট তলা থেকে লাফিয়ে পড়া ছাড়া উপায় নেই। নিশ্চয় ভাবছেন বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে কে আমাদের এমন ধাক্কা দিল ? দিল একটা সাংঘাতিক দুর্গন্ধ।

    কাবুল যাওয়ার পথে বাস খারাপ হওয়ায় সৈয়দ মুজতবা আলীকে এক সরাইখানায় রাত্রিবাস করতে হয়েছিল। ত্রিশ ফুট উঁচু দেওয়ালে ঘেরা সেই সরাইখানায় একটি মাত্র দরজা। তার উঠোনে বাস, উট, ভেড়ার পাল আর মানুষ অতিথি সবাই সহাবস্থান করে। সেখানে ঢুকতে গিয়ে তিনি তিন গজ পিছিয়ে গেছিলেন - কত শত শতাব্দীর পুঞ্জীভূত দুর্গন্ধ যে তাঁকে ধাক্কা মেরেছিল তা তিনি বলতে পারেননি।

    আলী সাহেব লিখছেনঃ ‘’সেকেন্দারশাহী বাজীরাজ থেকে আরম্ভ করে পরশু দিনের আস্ত ভেড়ার পাল যে সব ‘অবদান’ রেখে গিয়েছে, তার স্থূলভাগ মাঝে মাঝে সাফ করা হয়েছে বটে, কিন্তু সূক্ষ্ম গন্ধ সর্বত্র এমনি স্তরীভূত হয়ে আছে যে, ভয় হয় ধাক্কা দিয়ে না সরালে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব ; ইচ্ছে করলে চামচ দিয়ে কুরে কুরে তোলা যায়। … সূচীভেদ্য অন্ধকার দেখেছি, এই প্রথম সূচীভেদ্য দুর্গন্ধ শুঁকলুম।‘’ 

    উনি না হয় বুঝেছিলেন কিসের গন্ধ উনি পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা কিসের গন্ধ পেলাম ? দুর্গন্ধ পেলে (এমন কি পাওয়ার আশংকা থাকলেও) আমার প্রবল কাশির দমক আসে। আমি কাশছিলাম, আর হতবুদ্ধির মত কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর অরিন্দমদার চোখে যে ঝিলিক (দুর্গন্ধের কারণ আবিষ্কার করে) আর বিষাদ (তার ফলের কথা বিবেচনা করে) একসাথে খেলল তার কথা দেড়শো বছর আগেই মেঘনাদবধ কাব্যে লিখে গেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

    চাহিলা দুয়ার পানে অভিমানে মানী।
    সচকিতে বীরবর দেখিলা সম্মুখে
    ভীমতম শূল হস্তে, ধূমকেতুসম
    খুল্লতাত বিভীষণে--বিভীষণ রণে !
    “এতক্ষণে”--অরিন্দম কহিলা বিষাদে,
    জানিনু কেমনে আসি লক্ষণ পশিল
    রক্ষঃপুরে !... ”

    এ তো গেল লংকাপুরীর নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারের অরিন্দমের কথা। আর দিল্লির অরিন্দমের ফ্ল্যাটে বিভীষণ রূপে যে এসেছিল সে হল অতি প্রয়োজনীয় ডিটারজেন্ট পাওডার। সিঙ্গল রুম ফ্ল্যাটের মধ্যে জামাকাপড় ভিজিয়েছিল অরিন্দমদা, তারপর বেমালুম ভুলে গেছিল। প্রায় দু দিন ধরে তারা ডিটারজেন্ট রসসিক্ত হয়েছে, জন্ম নিয়েছে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া আর ফাঙ্গাস, তারা আবার জন্ম দিয়েছে ওই প্রাণঘাতী দুর্গন্ধের, ফ্ল্যাটের দরজা-জানলা বন্ধ থাকায় বেরোতে পারেনি সেই বাস। ফলে যে মূহুর্তে সে জায়গা পেয়েছে, ছুটে বেরিয়ে এসেছে আর ধাক্কা খেয়েছি আমরা।

    ধাক্কা দেয় অনেক কিছুই। রাস্তাঘাটে, বাসে, ট্রেনে ভিড়ের মধ্যে শারীরিক ভাবে ধাক্কা খাই আমরা, আর কিছু ঘটনা, কোনও গল্প বা সিনেমা আমাদের মানসিক ভাবে ধাক্কা দিয়ে যায়। অফিসে এক জন বলল তার বাড়ির কাছে একটা টেন্ট হাউসের গুদামে আগুন লেগেছিল, কেউ হতাহত হয়নি, তবে তাদের অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছিল। দিল্লিতে টেন্ট হাউস বলতে বোঝায় ডেকরেটর যারা বিয়ে, অন্নপ্রাসন ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানে প্যান্ডাল বানিয়ে দেয়। আগুন, ক্ষয়ক্ষতির কথা বলতে বলতে একজন জিজ্ঞেস করল, “ডাবোয়ালির কথা মনে আছে ?’’ আর সবাই এক সঙ্গে চুপ করে গেল।

    প্রায় এক বছর আগের কথা, আমরা তখন অল্প দিন হল দিল্লি এসেছি। রাজধানী থেকে ৩০০ কিলোমিটার মত দূরে হরিয়ানার সিরসা জেলায় মান্ডি ডাবোয়ালি শহর। সেখানকার একটা স্কুলে বার্ষীক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের দিন – ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ - প্যান্ডেলে আগুন লাগে। বাইরে বেরোনোর পথ ছিল একটাই, আগুনের শিখা সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। অনেক বাচ্চা সহ প্রায় ৪০০ মানুষ মারা যান, আহত হন আরও বহু জন। মৃতদের অনেককে চিনতে পারা কঠিন ছিল। ওদিকে ওই ছোট শহরের হাসপাতালের ক্ষমতা ছিল না এত জন পুড়ে যাওয়া মানুষকে চিকিৎসা দেওয়ার, ফলে অনেককে আশেপাশের শহরের হাসপাতালে পাঠাতে হয়। প্রচুর ছাত্রছাত্রীর মৃত্যু হওয়ায় কয়েক দিন পরে যখন স্কুল খোলে, ক্লাসগুলোতে সেকশনের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হয়েছিল। তার পরের দিন একটা খবরের কাগজে হেডলাইন বেরিয়েছিল – ‘Their absence made their presence felt’ (খুব সম্ভব ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)।

    ধাক্কা দিয়ে গেছিল একটা ফিল্মও। ‘ব্যান্ডিট কুইন’, ফুলন দেবীর জীবন নিয়ে তৈরি ছবি। ‘’দেখে লোকে ভাল বলবে, খুশি হবে সে জন্য আমি এ ছবি বানাইনি,’’ বলেছিলেন পরিচালক শেখর কাপুর। কথাটা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। এ ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে অনেকেই আদাজল খেয়ে লেগেছিল। আসলে আয়নার সামনে দাঁড়াতে অনেকেরই অস্বস্তি হয়। আমার আরও অদ্ভুত লেগেছিল সিনেমা হলে পাশের দর্শকের আচরণে। ছবিতে একটা ভয়াবহ দৃশ্য ছিল। নিম্ন বর্ণের ফুলন দেবীর চরিত্রের অভিনেত্রীর গায়ে তখন যেমন তেমন করে জড়ানো রয়েছে ছেঁড়া পোশাক, অত্যাচারিত মহিলাটি খাওয়ার জল চাইলে তাকে বলা হল নিজে গিয়ে কুয়ো থেকে নিয়ে নিতে। আর জল আনতে যাওয়ার মুহূর্তে সেই জীর্ণ পোশাকও একটানে খুলে তাঁকে নিরাবরণ করে দিল উচ্চ বর্ণের এক পুরুষ, সেখানে তখন তার শাস্তি পাওয়া দেখতে উপস্থিত একগাদা লোক, তারাও প্রধানতঃ পুরুষ, অল্প কয়েক জন বাচ্চা ছেলেমেয়েও ছিল, মায়েরা সরিয়ে নিয়ে গেল তাদের। চুলের মুঠি ধরে ওই অবস্থায় ফুলন দেবীকে প্যারেড করানো হল সকলের সামনে। ঘটনা যে ভাবে এগিয়েছিল তাতে ওই পোশাক খোলার দৃশ্যে যৌন সুড়সুড়ির কোনও জায়গা ছিল না। ছিল একটা মারাত্মক ধাক্কা। ওই দৃশ্যে শীর্ষেন্দু চোখ বুজে ফেলেছিল, আমি আমার সামনের আসন আঁকড়ে ধরেছিলাম। আর আমার পাশের লোকটি ? সে একের পর এক সিটি দিয়ে যাচ্ছিল মুখে দুই আঙুল পুরে।

    আরও কিছু ছবি দেখেছিলাম। তাদের মধ্যে আছে গুলজার পরিচালিত ‘মাচিস’। পাঞ্জাবের জঙ্গী আন্দোলন নিয়ে ছবি। এতে কিছু অসামান্য গান ছিল – ‘ছোড় আয়ে হম উও গলিয়াঁ’, ‘চাপা চাপা চরখা চলে’, ‘পানি পানি রে’। গায়ক কেকে সম্ভবত প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন এই ছবিতে। এ ছাড়াও দেখেছিলাম ‘স্লিপিং উইথ দ্য এনিমি’ অনুসরণে ‘অগ্নিসাক্ষী’, ‘দিলওয়ালে দিলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’। এই ছবিতেও দারুণ দারুণ গান ছিল, যার একটার কথা আগে বলেছিলাম – ‘ঘর আ যা পরদেশী’।

    এর আগে যখন বিজয় নগরে দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের মাঝে থাকতাম, তখন মাঝে মাঝেই তাদের টেপ রেকর্ডার থেকে নানা জগঝম্প হিন্দি গান ভেসে আসত। কখনও সখনও কিশোর কুমার বা মুকেশও যে শোনা যেত না তা নয়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়-এর ‘ইয়াদ কিয়া দিল নে কাঁহা হো তুম…’ শুনেছিলাম মনে আছে।

    ‘ইয়াদ’ মানে স্মৃতি নিয়ে গাদা গাদা লেখা আছে (তাদের মধ্যে এক পিস আপনি এই মুহূর্তে পড়ছেন), হেব্বি ভাল ভাল কথা আছে (কে যেন বলেছিল – সময় বয়ে যায় এক দিকে, আর স্মৃতি হেঁটে চলে উলটো পথে), স্মৃতি হারানো এবং/অথবা ফিরে পাওয়া নিয়ে দারুণ দারুণ সিনেমা আছে (‘হারানো সুর’, ‘সদমা’, ‘মেমেন্টো’ যার থেকে হিন্দিতে হয়েছিল ‘গজনি’)। আর এই সবের বাইরে রয়েছে একটা কোটেবল কোট, যা নাকি বলেছিলেন অ্যাব্রাহাম লিঙ্কন – ‘কোনও পুরুষ মানুষেরই এত ভাল স্মৃতিশক্তি নেই যাতে সে একজন সফল মিথ্যেবাদী হিসেবে গণ্য হতে পারে’।

    স্মৃতি নিয়ে বকতে গিয়ে পরিস্থিতি একটু বেশি জটিল করে ফেললাম, সহজ ব্যাপারে ফিরে আসি। কলকাতার ‘ইয়াদ’ ফিরিয়ে এনে দিল্লিতে দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে জোর কদমে। আমি আর তথা নানা রকম প্ল্যান প্রোগ্রাম করছি, আবার সেগুলো বাতিল করে নতুন করে ভাবছি। রাজধানীর অভিজ্ঞ বাঙালীদের পরামর্শ চাইছি যে কোথায় কোথায় যাব, কোন কোন ঠাকুর দেখব। আর এই সব ভাবনার মধ্যে দড়াম করে এসে হাজির হল একখানা গরুর গাড়ি। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২১ মার্চ ২০২৩ | ১০৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:500:e780:fd6f:e71d:c364:***:*** | ২১ মার্চ ২০২৩ ০৫:০৪517702
  • এই পর্বের গতিপথ খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো। চিন্তার রাস্তা ধরে চলা...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন