এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • রাজধানী লোকাল - ৩

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৭৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)

  • মূল ছবিঃ নিখিল মানান
     
    ।। তিন ।।
     
    ঠিক এক হাত দূরে বসে আছে সে। আমার মুখোমুখি, ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়। আমিও তাই চাই, এই অসহ্য সাসপেন্স আর ভালো লাগছে না। একটা এসপার ওসপার হয়ে যাক... হয়ে যাক... কিন্তু না, দেখলাম আমি এখনও প্রস্তুত নই। রথের চাকা মাটিতে বসে যাওয়ার পর কর্ণকে অর্জুন কতক্ষণ সময় দিয়েছিলেন, মহাভারতে তা আছে কিনা জানি না। তবে আমাদের বোধ হয় দশ মিনিট হয়ে গেছে। আর দেরি করা যাবে না। জয় মা কালী কলকাত্তাওয়ালী...

    শত্রুটি হলেন এক বালতি কনকনে ঠান্ডা জল। সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে চেষ্টা করছি তার সঙ্গে একটা চুক্তিতে আসতে। তবে সে ব্যাটা দুর্যোধনের এক কাঠি বাড়া, একটা চায়ের চামচে যত টুকু জল ধরে তাও বিনা যুদ্ধে গরম হবে না। বুঝতেই পারছেন রাজধানীর সেই রাজকীয় গোসলখানায় গিজার বলে কোনও বস্তু নেই। ওদিকে অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে, মর্নিং ডিউটি আছে। তথাগত আরও এক বার দরজায় ধাক্কা দিয়ে গেল। সুতরাং – ঝপাস!!
    এক মগ জল মাথায় ঢাললাম। তার পরেই বুঝলাম মাথাটা আর মাথা নেই, পাথর হয়ে গেছে। আর সেই পাথর বেয়ে জলের ধারা ধেয়ে আসছে আমার বাকী শরীর লক্ষ্য করে। এখনি প্রত্যাঘাত করতে না পারলে পরাজয় নিশ্চিত। তাই ঝপাঝপ বাকি জল মাথায় ঢেলে যুদ্ধ জিতে নিলাম। গামছার বিজয়কেতন ওড়ালাম বিজয় নগরের ঘরের দড়িতে। এবার বাসস্ট্যান্ডের পথে। 
    গরম জামায় আপাদমস্তক মুড়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি আবছা কুয়াশায় রাস্তাঘাট তখনো ঢাকা। আশে পাশের বাড়ির বারান্দায় কাউকে দেখা যাচ্ছে না, কেবল দু-একটা বাচ্চা বাবা বা মায়ের হাত ধরে স্কুল যাচ্ছে। আর তার পরেই দেখলাম রাস্তার ধারে কলের জলে দু-জন লোক ধীরে সুস্থে সাবান মেখে স্নান করছে। যুদ্ধ টুদ্ধর ব্যাপারই নেই, তাদের সঙ্গে জলের আচরণ পরম বন্ধুর মত। 
    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের বাস এলো, উঠেও পড়লাম তাতে। বাস গুলোর নাম ছিল রেড লাইন, ব্লু লাইন ইত্যাদি। তবে এই দুই লাইনের তফাত আমায় কেউ বুঝিয়ে দিতে পারেনি। ভাড়া বা চেহারার তারতম্য কিছু নেই, রুটের পার্থক্যও কিছু বুঝিনি। এখন যেমন দিল্লি মেট্রোয় রুটের তফাত সহজে বোঝাতে লাল, নীল, কমলা এই সব নাম দেওয়া হয়েছে।
     
    যাই হোক, দিল্লির বাসগুলো চেহারায় কলকাতার মত নয়। বড় বড় স্টিল বডির বাস, সেই আমলের কলকাতার মত কাঠের তৈরি নয়। ফলে গরমের সময়ে গরম বেশি লাগে, শীতে ঠান্ডা। পিছনের দরজা দিয়ে উঠতে হয়, আর নামার নিয়ম সামনে দিয়ে। টু-সিটার আসনগুলো সব ড্রাইভারের দিকে মুখ করা, কলকাতার মত জানলার দিকে পিছন করা নয়। ফলে বাসের মাঝখানে জায়গা কম, তাই বলে ভিড় কিছু কম নয়। তার মধ্যে দিয়ে পা তুলে তুলে যাতায়াত করতে হয়, ফলে চান বা না চান, পদধূলি থেকে বঞ্চিত হন না কেউ। তাই অঘোষিত নিয়ম হল বাস থেকে নেমেই পুরুষরা ট্রাউজারের পিছনটা হাঁটুর নিচ থেকে ভাল করে ঝেড়ে নেবেন। মহিলাদেরও মাঝে মাঝে একই কাজ করতে দেখেছি। এই পা তুলে দেওয়া ব্যাপারটা দিল্লির একটা বিশেষত্ব বলে মনে হয়, একটু পরে এ নিয়ে আরও কিছু কথা নিবেদন করা যাবে।
    শীত কাল। ঠান্ডার জন্য বড় বড় জানলার কাঁচ সব টেনে বন্ধ করা। আর তারই মধ্যে কয়েক জন যাত্রী অম্লান বদনে বিড়ি সিগারেট খেয়ে চলেছে। কেউ কিছু বলে না, এদিকে আমরা দুজনেই ধূম্রপানের রসে বঞ্চিত, বেশ অসুবিধেই হয়। এক বার তথাগত এক কায়দা করেছিল। এক বিড়ি খেকোর সামনের জানলার কাঁচটা টেনে খুলে দিল, আর লোকটাকে ধমকে বলে ‘বিড়ি ফেকো’। হুহু করে হাওয়া ঢুকছে, ঘাবড়ে গিয়ে লোকটা বিড়ি ফেলে দিল। একই কেরামতি অন্য বাসে দেখাতে গিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় তথাগত। সে লোক একটা শব্দও খরচ করেনি, বাঁকা চোখে এক বার তাকাল, তার পর গম্ভীর মুখে বিড়িটা ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরে খোলা জানলা সুন্দর ভাবে ফের টেনে বন্ধ করে দিয়েছিল। 
     
    একই টেকনিক যে সব জায়গায় কাজ করে না সেটা বোঝানোর জন্য সেদিন বাড়ি ফিরে ভজহরি বাবুর বাজার করার গল্প বলেছিলাম তথাগতকে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-এর গল্প ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’-তে ‘বাজাড়ু’ ভজবাবুর দাম কমানোর কায়দা ছিল এক এক দোকানে এক এক রকম। কোথাও চড়া মেজাজ দেখিয়ে, কোথাও আবার হাপুস নয়নে কেঁদে। আমার রুম-মেটটি গল্প শুনে খুশী হল না, তার প্রেস্টিজে গ্যামাক্সিন লেগে গেছে, মুখে স্কচ ব্রাইট ঘষে দিয়েছে বাসের লোকটা। অমন চমৎকার মুক্তো ভুল জায়গায় ছড়িয়ে বসলাম। 
    বড় বড় সাধুরা নাকি ‘নির্বিকল্প সমাধি’ লাভ করেন। আগে কোন দিন দেখিনি। দেখলাম দিল্লির বাসে, তাও এক জন দু জন নয়, একেবারে পাইকারি হারে। লেডিস সিটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এক মহিলা। তাঁর সামনে আসীন পুরুষ পুঙ্গবটি জানলা দিয়ে প্রাকৃতিক শোভা দেখছেন তো দেখছেনই। কালো মেঘের ওপর সাদা বক উড়তে দেখে রামকৃষ্ণদেবের ভাব সমাধি হয়েছিল, আর এঁদের নির্ঘাৎ ‘নির্বিকল্প সমাধি’। সেই জন্যই বোধ হয় লেডিসদের কেউ কেউ জেনারেল সিটে আসীন জেন্টদের বসতে দেওয়ার অনুরোধ করে।
     
    সাধারণ বাসে ভাড়ার চারটে স্টেজ - এক, দুই, তিন আর চার টাকা। কিছু অসাধারণ বাসও আছে, তাদের ভাড়া বেশি। সরকারি, বেসরকারি দু-রকমের বাসই আছে। সরকারি বাসগুলো সব এক রকম দেখতে, যদিও তাদের ভাড়ায় তারতম্য থাকতে পারে। মজা হল বেসরকারি বাসের ধর্মঘট হলে প্রায় সব সরকারি বাস ফ্ল্যাট রেট হয়ে যায়, তখন ভদ্রলোকের এক কথা, যেখানেই যান না কেন, ভাড়া ওই চার টাকা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই, তাই আগে বাসে উঠতে হবে, ভাড়াটা জানতে হবে, এবং মুড়ি আর মিছরি এক দামে কিনতে আপত্তি থাকলে, নেমে যেতে হবে। এক টাকার দূরত্ব চার টাকা দিয়ে অনেকেরই যাওয়া সম্ভব হত না, ফলে তাদের নামতে হত। আর ধর্মঘটের ফলে অতি অল্প বাস, সেই বাজারে একই দরজা দিয়ে একই সাথে নামা বা ওঠার চেষ্টা... সবাই সবাইকে গালাগাল দেয়। কন্ডাকটরও তার প্রাপ্য গালাগালির ভাগ থেকে বাদ যায় না। 
    দিল্লির বাসের কন্ডাকটররাও দ্রষ্টব্য। একটু আগেই বললাম, বাসে উঠতে হয় পিছনের দরজা দিয়ে, আর নামতে হবে সামনে দিয়ে। পিছনের দরজার পাশেই বাঁ হাতে কন্ডাকটরের নিজস্ব চৌখুপী জায়গা। সেখানে সে গ্যাঁট হয়ে বসে থেকে ভাড়া নেয়, টিকিট দেয়। অর্থাৎ কলকাতার উলটো, পর্বতকেই মহম্মদের কাছে আসতে হয়। 
    এক দিন বাসে দেখলাম দুপুরের খবরের কাগজ বিক্রি হচ্ছে। এক স্বল্পবসনার পূর্ণাবয়ব রঙ্গিন ছবির পাশে হেডলাইন – ‘দিল্লিমে ১০ মরে’। ওই মেয়েটির কারণেই ১০ জনের মৃত্যু হল নাকি? বাপরে, সীতা, দ্রৌপদী আর হেলেন অফ ট্রয়কে বাদ দিলে এক মহিলার কারণে ম্যাক্সিমাম পুরুষের পটল তোলার রেকর্ড সম্ভবত সুজানার, রাস্কিন বন্ডের ‘সুজানাস সেভেন হাসব্যান্ডস’ গল্পে। কিন্তু তাই বলে ১০! এক টাকা দিয়ে কিনে ফেললাম কাগজ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পড়ে দেখলাম দু-দিন আগে থেকে শুরু করে আজ সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, খুন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মোট ১০ জন মারা গেছে। আর হ্যাঁ, এর একটিরও সঙ্গে ওই স্বল্পবসনা যুক্ত নন। সত্যি কথা বলতে কি, তাঁর ছবিটি কেন আছে সেটা গোটা কাগজ পড়েও বুঝলাম না। তথাগত গম্ভীর ভাবে বলল এর উত্তর খুঁজতে হবে মনের মধ্যে। 
    চুরি, ডাকাতি, খুন, জখম, অপহরন, ধর্ষণ ইত্যাকার নানা অপরাধের খবর ফলাও করে বেরোত ইংরাজী, হিন্দি সব কাগজেই। এত অপরাধ হয় রাজধানীতে? কলকাতার কাগজগুলোতে তো এ-সব খবর এত থাকে না (এখন অবশ্য প্রচুর থাকে)। রবীন্দ্রনাথের বিসর্জনের স্টাইলে এক জন পুরনো দিল্লিবাসীকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম, “এতো ক্রাইম কেন?” তিনি জানালেন নাদির শাহ বা তারও আগে থেকে আজ পর্যন্ত সবাই -- আকবর বাদশা থেকে হরিপদ কেরানি সবাই -- দিল্লি এসেছে অর্থলোভে। টাকাকে ভালবেসেছে, শহরটাকে নয়। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এ শহরে নাকি টাকা ওড়ে। নিজের ভাগে যাতে কম না পড়ে, তাই লাফিয়ে লাফিয়ে সবাই ধরার চেষ্টা করছে অহরহ। 
    ভেবে দেখলাম কথাটা ঠিক। এত লাফানোর অভ্যাসেই বোধ হয় সবাই পা একটু উঁচুতে তুলে রাখে। পাবলিক বুথের টেলিফোনে (মোবাইল তখন এসেছে, তবে ম্যাঙ্গো পিপলের হাতে ওঠেনি) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে সামনে বসার জন্য রাখা টুলে একটা পা তুলে দিল, রেস্টুরেন্টে খেতে এসে টেবিলের তলা দিয়ে উলটো দিকের চেয়ারে পা উঠে গেল, গাড়ির পিছনের আসনে বসে জুতোসহ পা টেরছা ভাবে চলে গেল ড্রাইভারের সিটের পিঠে। এই পা তুলে দেওয়া ব্যাপারটা এত স্বাভাবিক ভাবে হয় যে, যে করছে সে বোধ হয় নিজেও টের পায় না। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পড়েওছি যে ঢাকার লোকেদের একাংশ ‘বন্ধু’ বলে না, বলে ‘ফ্রেন্ড’। ব্যাপারটা এতই সহজ স্বাভাবিক যে তারা নিজেরা টেরও পায় না যে ‘বন্ধু’ শব্দটার সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বের অভাব ঘটেছে। 
    যাই হোক, ফের পথে নামা যাক। দিল্লির, বিশেষতঃ নয়াদিল্লির, রাস্তাগুলো কলকাতার মত ইয়ে নয়, বেশ ঝকঝকে এবং চওড়া।  
    কলকাতা ছেড়ে দিল্লিকে রাজধানী শহর বানাবার জন্য ইংরেজরা ব্রিটিশ স্থপতি স্যর এডুইন লুটিয়েন্-কে ডাকেন। ১৯১২ সালে দিল্লি প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য হন তিনি, নকশা শুরু করেন ভাইসরয়েস হাউস-এর, এখন যেটা রাষ্ট্রপতি ভবন। সেক্রেটারিয়েট-এর নকশা অবশ্য করেছিলেন হার্বার্ট বেকার। রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্বোধন করা হয় ১৯৩১ সালে। 
    লুটিয়েন সাহেব নয়াদিল্লির রাস্তা ঘাট যেভাবে বানিয়েছিলেন, তাতে এই ‘কার ব্যুম’-এর যুগেও গাড়িগুলো ভালো গতিতে এগোয়, বাম্পার টু বাম্পার দাঁড়িয়ে থাকে না। পুরোন দিল্লি সম্পর্কে অবশ্য চুপচাপ থাকাই ভাল। যেমন কলকাতার রাস্তা ঘাট নিয়ে নীরব থাকাই শ্রেয়। আমাদের প্রতিদিন লাল কেল্লার সামনে আধ ঘণ্টা জ্যাম-এ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অফিস থেকে ফেরার সময়ে। ১৬৩৯-এ যে কেল্লা তৈরির কাজ শুরু হয়ে নয় বছরে শেষ হয়েছিল, নয় দিনে তার নকশা আমাদের মুখস্থ হয়ে গেল, তবু বাসের চাকা এক চুল এগোল না।
     
    নাঃ, বিজয় নগর থেকে আমাদের বিজয় কেতন অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতেই হবে মনে হচ্ছে। চেনাজানা লোকজনকে বলা শুরু করলাম, কয়েকটা ঘর দেখেও এলাম। পছন্দসই পেলেই এখান থেকে টেনিদার ভাষায় ‘কাট ডাউন’ মানে কেটে পড়তে হবে। ওদিকে আবার অন্য একটা ঘটনাও দিল্লির আকাশে ঘনিয়ে আসছে। (ক্রমশঃ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৭৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন