সমস্যাটা হল ইন্টারমিটেন্সির। সৌর বিদ্যুতের কথাই ধরুন। ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত সূর্যের আলো আছে বলে সোলার প্যানেলগুলি না হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে, কিন্তু রাত হয়ে গেলেই তারা কার্যত অকেজো। কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা তো রাত্রেবেলাও থাকছে...... ... ...
এখানেই শেষ নয়। প্রচুর প্রাইভেট কোম্পানি আছে যেখানে কর্মীদের বসেরা 'বাপের চাকরে'র মতো করে ট্রিট করে। প্রচুর কোম্পানিতে লোকজনকে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলে। এটা বিশেষ করে ঘটে একজন জুনিয়র এমপ্লয়ির সাথে। একটি কল সেন্টারের কথা শুনেছিলাম যেখানে জুনিয়র বা সদ্য জয়েন করা কর্মীরা সময়মতো পৌঁছেও কোন এক রহস্যময় কারণে কিছুতেই যথাসময়ে লগইন করতে পারতেন না। ফলে, সিস্টেমে সর্বদাই তাদেরকে দেখানো হতো লেট হিসেবে। এইভাবে সারাদিন কাজ করেও তারা দিনের শেষে বাড়ি ফিরতেন অর্ধেক কাজের স্যালারি নিয়ে। ... ...
হয়তো ২০৫০ এর আগেই বিশ্বজুড়ে ক্লাইমেট ক্রাইসিস এমন একটা চেহারা নেবে যে গোটা পৃথিবী আর সবকিছু লাটে তুলে এই বিপদ কি করে সামলানো যায় সেই দিকে ফোকাস করতে বাধ্য হবে! অর্থাৎ, Covid প্যান্ডেমিকের সময় যেমন সারা পৃথিবীর ডাক্তার, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ, পুলিশ এবং আরো অনেকে এক হয়ে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে, তেমনই আর একটা অবস্থা হয়তো আমরা আমাদের জীবদ্দশায় দেখতে চলেছি এই বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে। তবে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সস্তা হবেনা। ... ...
এমনকি যা পরিস্থিতি আসছে তাতে ভবিষ্যতে প্রচণ্ড গরমে একেবারে হতদরিদ্র মানুষেরও সাময়িকভাবে আশ্রয় নেবার জন্য কিছু কিছু এয়ারকন্ডিশনড জায়গার ব্যবস্থা করতে হলেও আশ্চর্য হব না। তো, এই সময়ে লোকজনকে এসি ব্যবহারের এবং এসি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে উস্কোনো একটি অত্যন্ত বড় অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু নয়..... ... ...
গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি সায়েন্স স্টেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ওখানকার গ্রীষ্মকালীন গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধি হয়েছে ১১° সেলসিয়াস! লাইনটা পড়ে যদি চমকে না গিয়ে থাকেন তাহলে আরেকবার ভালো করে পড়ুন....... ... ...